রমনা পার্কে ঘোরাঘুরি ও কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। অনেকদিন আগে রমনা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেই গল্প আপনাদের কাছে করেছি। পার্কে ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়নি। যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন শুক্রবার হওয়ার কারণে অসম্ভব রকম ভিড় ছিল। সেখানে দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না বসা তো দূরের কথা। তাছাড়া এত গরম ছিল যে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চারাও অস্থির হয়ে গিয়েছিলো। সাথে আম্মাও ছিল আম্মাও গরমে অস্থির হয়ে গিয়েছিল।বসার জায়গা খুজছিলাম কোথায় এদেরকে বসানো যায়। কিন্তু তেমন ফাঁকা জায়গায় পাচ্ছিলাম না। পরে অবশেষে অনেক ঘুরাঘুরির পর একটা জায়গা ফাঁকা পেয়ে বাচ্চাদেরকে আর আম্মাকে ওখানে বসিয়ে আমরা বেশ কিছুক্ষণ গল্প করেছিলাম। এর আগে যখন রমনা পার্কে গিয়েছিলাম তখন বেশ ফাঁকা পেয়েছিলাম। তখন অবশ্য ছুটির দিন ছাড়া গিয়েছিলাম এজন্য ফাঁকা ছিল। ফাঁকা অবস্থায় রমনা পার্কে খুব ভালো লাগে। এত চমৎকার গাছ ঢাকা শহরে আর কোথাও দেখা যায় না। বিশেষ করে এত বড় বড় গাছ খুব ঠান্ডা একটা পরিবেশ থাকে। কিন্তু সেদিন এত পরিমান মানুষ হয়েছিল এই মানুষের নিঃশ্বাসে গরমটা আরো বেশি বেড়েছিলো।
আমরা বাসা থেকে পাঁচটার ভিতরে বের হয়ে গিয়েছিলাম যাতে সন্ধ্যার আগে ফিরে আসতে পারি। তখন সূর্য পুরোপুরি ডুবেনি। তাছাড়া আশেপাশের যে ছবি তুলবো সে উপায়ও পাচ্ছিলাম না। কারণ যেদিকেই ছবি তুলতে যাই সেদিকেই মানুষ।
রমনা পার্কের এই লেকটা খুব চমৎকার লাগে। মনে হচ্ছে ছিল যে লেকের পাড়ে বসে থাকি। কিন্তু সেখানেও মানুষের ভিড়ে বসার জায়গা ছিল না।
রমনা পার্কের আসল সৌন্দর্য এই বড় বড় গাছগুলো। এই গাছগুলোর জন্য এই পরিবেশটা আরো বেশি চমৎকার লাগে দেখতে। পুরো ঢাকা শহরে কোথাও মনে হয় এত বড় বড় গাছ গাছালি নেই।
বেশ কিছু নাম না জানা ফুল গাছ দেখলাম। ফুলগুলো এত সুন্দর লাগছিল যে কি আর বলবো। আরো কিছু ফুল গাছ ছিল কিন্তু সেখানে অনেক মানুষের ভিড়ের জন্য আর কাছে যায়নি।
বাচ্চারা যখন গরমে আর পারছিলো না তখন চলে এসেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে অথবা ভিড় কম থাকলে আরো কিছুক্ষণ এই পরিবেশে বসে থাকতে বেশ ভালই লাগতো। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on Twitter by the account josluds
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 7/8) Get profit votes with @tipU :)
অনেক দিন হয়েছে রমনা পার্কে গিয়েছিলাম। আপু আজকে আপনার পোস্ট ভিজিট করে মনে পড়ে গেলো। পরিবার নিয়ে চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। এমন জায়গায় ঘুরতে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
রমনা পার্কে গেলে অবশ্যই ছুটির দিন ছাড়া যাওয়া উচিত তাহলে আরামে ঘোরা যায়। ছুটির দিনে এত ভিড় থাকে খুবই খারাপ লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
রমনা পার্কে গিয়ে দেখছি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছিলেন। রমনা পার্কে অনেক বেশি ভিড় ছিল আবার অনেক গরমও ছিল। আর আপনারা তো বসার জায়গা পাচ্ছিলেন না। যেহেতু আপনার আম্মুও গিয়েছিল তাই ওনার কাছেও অনেক বেশি অস্বস্তিকর লাগছিল। এরকম পার্কে ঘোরাঘুরি করতে এমনিতে ভীষণ ভালো লাগে যদি লোক সংখ্যা কম হয়। গরমের কারণে বেশিক্ষণ থাকতে পারছিলেন না তাই চলে এসেছিলেন। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো আর মুহূর্তটাও বেশ ভালো লেগেছে পড়ে।
ধন্যবাদ আপু আমার পুরো পোষ্টটি পড়ে সংক্ষেপে বর্ণনা করার জন্য। এভাবেই মন্তব্য করে পাশে থাকবেন আশা করি।
যদিও গরমের কারণে এবং বেশি ভিড় থাকার কারণে তেমন ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করতে পারেননি কিন্তু খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছিলেন। এরকম গরমের কারণে আর ভিড়ের কারণে জায়গাগুলোতে থাকা যায় না। আর এই জন্য বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তাই চলে এসেছিলেন। জায়গাটা কিন্তু অনেক বেশি সুন্দর দেখতে। আর এরকম জায়গাগুলোতে ভিড় না থাকলে অনেক বেশি ভালো মুহূর্ত কাটানো যায়। সবমিলিয়ে এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
আসলেই ভাইয়া সেদিন কেন যেন অসম্ভব গরম ছিল। বৃষ্টি হয়েছিল কিছুক্ষণ আগে তারপরেও গরমের পরিমাণ দেখে মনে হচ্ছিল যে কতদিন যেন বৃষ্টি হয় না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
জানিনা কবে কখন রমনা পার্কে যেতে পারবো। ছোট থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট পর্যন্ত রমনা পার্ক নিয়ে অনেক পড়েছি তবে আজ পর্যন্ত সেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি আমার। তবে আপনার মত বড় বন্ধুরা যখন খুব সুন্দর করে সেই স্থানের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেন তা দেখে তো আমার প্রাণ জুড়িয়ে যাওয়ার মত। অনেকগুলো সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন পাশাপাশি সেখানকার দারুণ কিছু বিষয় বর্ণনার সাথে তুলে ধরেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার এই সুন্দর পোস্ট।
ইচ্ছা থাকলে একদিন অবশ্যই যেতে পারবেন । ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।