"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৩৫ ||বাদলও দিনে চিকেন ঝাল কদম
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
বাসমতি চাল
গাজর
কাঁচা মরিচ
ধনিয়া পাতা
আদা বাটা
রসুন বাটা
সয়া সস
রসুন
লবণ
চিনি
গোল মরিচের গুঁড়া
কনফ্লাওয়ার
টক দই
প্রথমে মাংসগুলোকে কুচি কুচি করে কেটে ভালো মতো ধুয়ে নিয়েছি। তারপরে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
 |  |
|---|
গাজর এবং মরিচ কুচি করে কেটে নিয়েছি। তারপর ব্লেন্ড করা মাংসের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
 |  |
|---|
এখন ধনিয়া পাতা কুচি, আদা এবং রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি। তারপর গোলমরিচের গুড়া এবং সয়া সস দিয়েছি।
 |  |
|---|
 |  |
|---|
এখন সবকিছু ভালোমতো মাখিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিয়েছি। ৩০ মিনিট পর কর্নফ্লাওয়ার এবং লবণ দিয়েছি। লবণ আগে থেকে দেয়নি কারণ লবন দিলে পানি ছেড়ে দিত।
 |  |
|---|
চালগুলো ভালোমতো ধুয়ে ৩০ মিনিট পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখেছি। তারপর একটি চালনিতে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি। তারপর একটা প্লেটের উপরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিয়েছি যাতে পানিটা পুরোপুরি শুকিয়ে যায়।
 |  |
|---|
এখন মাংসগুলো গোল করে বল বানিয়ে চালের মধ্যে গড়িয়ে নিয়েছি। এভাবে সবগুলো বানিয়ে নিয়েছি।
 |  |
|---|
এদিকে আমি আগে থেকেই স্টিমার রেডি করে নিয়েছি। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে তার উপরে স্টিমার বসিয়ে দিয়েছি। পানি ভালোমতো গরম হয়ে আসলে মাংসগুলো ফাঁকা ফাঁকা করে বসিয়ে দিয়েছি। এখন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩০ মিনিটের জন্য স্টিম করবো।
ঝাল কদম রান্না হতে হতে এই ফাঁকে একটি সস তৈরি করে নিব। ব্লেন্ডারে প্রথমে ধনিয়া পাতা, রসুন এবং মরিচ দিয়েছি। তারপর এক চামচ চিনি এবং এক চামচ লবণ, তিন চামচ টক দই দিয়েছি। তারপর সবকিছু ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
 |  |
|---|
 |  |
|---|
চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে দুই টেবিল চামচ বাটার দিয়ে দিয়েছি। তারপর তার ভিতরে কুচি করা রসুন দিয়েছি।রসুন ৬০% ভাঁজা হয়ে গেলে তার মধ্যে হলুদের গুড়া দিয়েছি। হলুদের গুড়া দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
 |  |
|---|
এখন এই বাটার ঝাল কদমের উপরে সামান্য একটু করে দিয়ে দিয়েছি। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আরও দু এক মিনিট স্টিম করে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
 |  |
|---|
এখন পরিবেশনের জন্য একটি প্লেট নিয়েছি। তারপর যে সস তৈরি করেছি সেই সসগুলো প্লেটের উপরে দিয়ে দিয়েছি। তার উপরে ঝাল কদম খুব সাবধানে উঠিয়ে পরিবেশন করেছি।
এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার মজাদার চিকেন ঝাল কদম রেসিপি। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
| Photographer | @tania |
|---|---|
| Phone | oppo reno5 |
| আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
|---|
VOTE @bangla.witness as witness 
OR SET @rme as your proxy
চিকেন ঝাল কদম রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। যদিও দুর্ভাগ্যবশত আমিও এই রেসিপি শেয়ার করে ফেলেছি। আসলে আমি দুই দিন আগেই বানিয়েছিলাম। আর আপনার সাথে একেবারে মিলে গেল। প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফল অর্জন করুন এই প্রত্যাশাই করি আপু। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু আপনি দুইদিন আগে রেসিপিটি তৈরি করে পোস্ট না করেই তো ঝামেলাটা হল। আপনি পোস্ট করলে হয়তো আমি অন্য কোন নতুন রেসিপি বানাতাম। আমি কালকে রাতেই বানিয়েছিলাম । যাইহোক আমরা আমারই তো। মিল তো থাকবেই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
আপু আপনার মনের সাথে কিন্তু আমার বেশ মিল আছে। এর আগে কাঁচা আম দিয়ে আমি কাঁচা আমের চপ রেসিপি বানাতে চেয়েছিলাম সেটা আপনি বানিয়েছিলেন। এবার তো একেবারে এক হয়ে গেল। যদিও আমি আপনার পোস্ট আগে দেখিনি। আমার পোস্ট করার পর দেখলাম। 😅😅
তাই তো দেখছি। সমস্যা নেই। অংশ গ্রহণ করাটাই আসল।
আপনার রেসিপিটি দেখে একেবারে লোভ লেগে গেল ।মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ।আমি প্রথম এ ভেবেছিলাম আপনি কদম ফুল দিয়ে কোন রেসিপি করেছেন। দেখতে যতটা ইউনিক লাগছে খেতে ও ঠিক ততটাই সুস্বাদু হয়েছে মনে হচ্ছে।আশা রাখি সেরাদের একজন হবে।।
জ্বি আপু খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়েছিল দেখতে অনেকটা কদম ফুলের মত হয়েছে জন্যই আপনি ভেবেছেন কদম ফুল দিয়ে কিছু তৈরি করেছি । যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার এই "বাদলও দিনে চিকেন ঝাল কদম" চিকেন রেসিপি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে ।আমি তো প্রথমে দেখে বুঝতেই পারিনি এটি কোন চিকেন রেসিপি। পরে যখন টাইটেল দেখলাম তখনই বুঝতে পারলাম যে চিকেন দিয়ে আপনি এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। পুরো অবাক হয়ে গেছি আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি দেখে।
যাই হোক তাহলে আমার কদম বানানোটা সার্থক হয়েছে । যেহেতু আপনি এটিকে কদমই মনে করেছিলেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নতুন নতুন রেসিপি দেখতে পারছি এবং শিখতে পারছি। আপনার রেসিপিটা দেখতে খুবই ইউনিক লাগছে। দেখে বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নতুন নতুন রেসিপি শিখতে পারছি। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
বেশ ভালই উপভোগ করলাম আপু, আপনার প্রতিযোগিতার জন্য বানানো রেসিপিটা। অনেকটাই ইউনিক বলা যায়। আশাকরি এটা খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আমার রেসিপিটি দেখে আপনি বেশ ভালো উপভোগ করেছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি তো দারুণ কিছু শেয়ার করেছেন ৷ আমি তো প্রথমে ভেবেছি সেগুলো কদম ই ছিলো ৷ খানিকটা সময় পর রেসিপি দেখে বুঝতে পারলাম সবটা ৷ যাই হোক অসম্ভব সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন রেসিপিটা , প্রথম ছবি দেখে বোঝার উপায় নেই আসলে কি সেটা ৷ আশা করি খেতেও দারুণ হয়েছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে , নতুন কিছু শিখতে পারলাম ৷ শুভকামনা রইল আপনার জন্য ৷ ভালো থাকবেন
আমার রেসিপি দেখে আপনি নতুন কিছু শিখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। এত সুন্দর মন্তব্য দেখলে কাজের উৎসাহ আরো বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আমি আগে কখনো এভাবে চিকেন ঝাল কদম রান্না করে খাইনি। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন রেসিপিটি ট্রাই করবো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আমিও এই রেসিপি আগে কখনো বানায়নি আজকেই প্রথম বানিয়েছিলাম। খেতে আসলেই অনেক মজাদার হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু খুব সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। আমি তো প্রথমে খেয়াল করে দেখেছি চিকেন কাটিং করে কদম ফুল বানাইছেন মনে করছি। এরপরে আবার পুরো রেসিপি দেখে বুঝতে পারলাম মাংসের কিমাতে চাল দিয়ে কদম ফুলের মত হয়েছে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন অনেক ইউনিক একটা রেসিপি।
জ্বি আপু মাংসের কিমাতে চাল দিয়ে এই কদম ফুলটি তৈরি করেছি। আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আপু আপনি শেষমেশ কদমফুল বানিয়ে ফেললেন।দেখতে কি যে সুন্দর হয়েছে মনে হচ্ছে একেবারেই কদমফুল।অসম্ভব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন যা একেবারে ইউনিক একটি রেসিপি।অবশ্যই বাসায় একদিন ট্রাই করবো।অনেক অনেক শুভকামনা জানাই আপু।
অবশ্যই আপু আপনিও বাসায় একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। খুবই মজা লাগবে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। আপনি প্রতিযোগিতা উপলক্ষে খুবই ইউনিক এবং মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপির কালার কম্বিনেশন টা ও খুবই ভালো এসেছে। যা দেখে বোঝা যাচ্ছে এটি খুবই সুস্বাদু হয়েছে এবং আপনারাও বেশ মজা করে খেয়েছিলেন। ভালো লাগলো আপনার সম্পূর্ণ রেসিপিটা।
আমার রেসিপির কালার কম্বিনেশন টা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।