কি ভুল দেখছেন নাতো
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
কি ভাবছেন ভুল দেখছেন? না ভুল না। ইনি আমাদের ব্লগের @roy.sajib ভাইয়া ই। অনেক দিন ধরে ভাইয়ার সাথে দেখা হবে হবে করছিলো। এর আগে আমার এলাকায় গিয়ে কয়েকবার নক দিয়েছিলো। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে দেখা হয়নি। তাছাড়া আমের আচার এর রেসিপি দেখে আচার খাবে বলছিলো। কিন্তু ভাইয়া তো থাকে বগুড়া ঐখান থেকে আচার কিভাবে নিবে। আমি আজকে তৌহিদা আপুর বাসায় গিয়েছিলাম।তৌহিদা আপুর বাসা থেকে রমনা পার্ক কাছেই। ভাবলাম পার্কে ঘুরতে যাবো। সজীব ভাইয়া ও ঢাকাতে এসেছেন একটা কাজে। হঠাৎ ডিসকর্ড এ কথা হচ্ছিলো। তাই ওনাকেও আসতে বললাম পার্কে। প্রথমে আসতে রাজি হচ্ছিলো না। ভাবছিলো আমি মজা করছি। পরে সত্যি সত্যি বলার পর রাজি হয়ে গেলো। ভাবলাম যে দেখা যেহেতু হচ্ছে তাহলে ভাইয়ার জন্য আচার নিয়ে যাই। তা না হলে কথা শুনাতে শুনাতে শেষ করবে।
সকাল থেকে ওয়েদার মোটামুটি ভালোই ছিল। কিন্তু বিকাল বেলায় কেনো যেনো প্রচন্ড রকম গরম লাগছিল। ভাবলাম যে পার্কে যেহেতু অনেক গাছ-গাছালি আছে ওখানে গেলে ভালো লাগবে। কিন্তু ওখানে যাওয়ার পর দেখি যে একেবারে ভয়ংকর অবস্থা। পার্কে মানুষের জন্য একটুও ফাঁকা জায়গা নেই । এত মানুষ যে কোথা থেকে এসেছে তাই বুঝতে পারলাম না। মনে হচ্ছে আজকে ঢাকা শহরের সব মানুষই পার্কে এসে বসেছে। সজীব ভাইয়া উত্তরা থেকে রমনা পার্কে এসেছে। ভেবেছিল রাস্তায় অনেক জ্যাম হবে দেড় দুই ঘন্টা লেগে যাবে সেজন্য সে তাড়াতাড়ি রওনা দিয়েছিল। কিন্তু সে ৩০ মিনিটে পৌঁছে গিয়েছে। দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে এই গরমের মধ্যে। দেড় ঘন্টা বসে একদম ঘেমে গোসল হয়ে গিয়েছিলো। আমরা যাওয়ার পর বুঝতে পারলাম যে কেন তার এই বেহাল দশা। আসলেই প্রচণ্ড রকম গরম ছিল। ওখানে গিয়ে বাচ্চারাও অস্থির হয়ে গিয়েছিল গরমে।
এত লোকের ভিড়ে প্রথমে তো খুঁজেই পাচ্ছিলাম না ভাইয়াকে। বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হওয়ার পর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে অনেক সময় পর ভাইয়া খুঁজতে খুঁজতে আমাদের কাছে চলে এসেছে। সজীব ভাইয়াকে দেখে একবারেই চিনে ফেলেছি। দেখে মনে হচ্ছিলো যে কতদিনের পরিচিত। সেই হাসি মাখা মুখ।
দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইলটা দিলাম তাকে সেলফি তোলার জন্য। অনেকদিন আগে দুষ্টামি করে বলেছিল যে আমার ফোন দিয়ে সে একটি সেলফি তুলবে। এজন্য দেখা হওয়ার সাথে সাথেই তার সেই ইচ্ছাটা পূরণ করলাম। তাছাড়া আচারগুলো দেয়াতে ভাইয়া বেশ খুশি হয়েছে। আমার কাছেও ভালো লাগছিল যে অবশেষে আচারগুলো দিতে পেরেছি।
ভাইয়া বাচ্চাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি তোলার পর অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে গল্প করলাম আমরা। কিন্তু গরমে ভালো লাগছিল না জন্য বেশি সময় আর অপেক্ষা করিনি। ভাইয়ার সঙ্গে দেখা হয়ে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক মিশুক এবং প্রানউচ্ছল একজন মানুষ। বেশ ভালো একটা সময় কাটালাম আজকে। যাইহোক সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
সজীব ভাইয়ার সাথে ডিস্কোতে যতক্ষণ কথা বলি ততক্ষণ বুঝা যায় ভাইয়া অনেক ফ্রেন্ডলি একজন মানুষ। অনেক ভালো লাগে কথা বলতে সবসময় হাস্যোজ্জ্বল কথাবার্তা বলে। অবশেষে আপনার সাথে দেখা হলো আচারের বয়াম দিতে পারছেন বেশ ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পরিবেশে আপনারা দেখা করলেন ধন্যবাদ।
ডিসকার্ডে যেমন ফ্রেন্ডলি সামনাসামনিও তেমন। মনেই হয়নি যে এই প্রথম দেখা হচ্ছে। খুব ভালো লেগেছিল । জি আপু অবশেষে আচারের বোয়াম পৌঁছাতে পেরেছি। তা না হলে তো মাথা খারাপ করে দিচ্ছিলো😛।
আসলে ডিসকার্ডে সবার সাথে কথা বলতে বলতে হয়তো অনেক পরিচিত হয়ে গিয়েছেন। তাই সামনে থেকে দেখে অচেনা লাগে নি। সামনে থেকে দেখে মনে হয় যে অনেক দিনের চেনা। আপনারা নিশ্চয়ই খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়ে ছিলেন। আর হ্যাঁ এ ধরনের কোলাব্রেশন পোস্ট দেখতে আমার কাছে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ডিসকর্ড কি সবার সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলতে বলতে একদম পরিচিত মানুষ মনে হয়। অচেনা মানুষ একদমই মনে হয় না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
রয় সজীব দাদার সাথে দেখা করে আপনারা খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন।। বাচ্চাগুলো তো দেখছি খুবই খুশি হয়েছে।।
আর অনেকদিন পরে দাদার আচার খাওয়ার ইচ্ছাটাও পূরণ হয়ে গেল আপনাদের জন্য সাক্ষাৎ হয়ে গেল।।
আসলে আমরা যারা ডিস্কডে কথা বলি আড্ডা দেই মনে হয় সবাই সবার যেন কত পরিচিত কত আপন।।
বাচ্চারা খুব একটা খুশি হতে পারেনি। কারণ প্রচন্ড রকম গরম ছিল গরমে অস্থির হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
@roy.sajib দেখলেন!! আপনি তো বলেন আপু দাওয়াত দেই না এই যে আপনার সাথে কি সুন্দর দেখা করলেন । হাহাহা
ভাল লাগলো পোস্ট টা দেখে, ভাই বোনের এতোটা টান দেখে। এভাবেই যেন বেঁচে থাকে আমাদের ছোট্ট সম্পর্কগুলো।
শুধু শুধু বদনাম করে আমার নামে। দেখেন ডেকে নিয়ে আচার দিলাম। এখন যদি একটু সুনাম পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপু।
আপু,, দাওয়াত তো দিল তৌহিদা আপু 🤪🤪,, আর তানিয়া আপুর পিছনে না লাগলে এই আচার কি আর কপালে জুটতো বলেন 😅😅 দোয়া করবেন আপু সব সম্পর্ক যেন এভাবেই ভালো থাকে সব সময়।
এইভাবে অস্বীকার । আচার দিতে চাইলাম আমি পরেনা তৌহিদা আপু রাজি হল। মাঝখান দিয়ে নাম হল তৌহিদ আপুর। মনে থাকবে দেখি এরপরে কে কি খাওয়ায়।
@tauhida আপু দেখেন চারদিকে দুর্নীতি শুরু হয়ে গেছে 😉,, কেমন হুমকি দিচ্ছে !! এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। জোরদার আন্দোলন করে সব কিছু প্রতিহত করা হবে। 😥😥
ঝগড়াটা আমি লাগাই দিয়ে এইবার চুপচাপ বসে আছি, অহ কি মজা কি মজা।
আপনার লাগানো লাগে না। সজীব ভাইয়া যে ঝগড়াটে এমনিতেই লেগে যায়। আমাকে ডিসকর্ড এ মেনশন দিয়ে ডেকে নেয় ঝগড়া করার জন্য।
ভাবছিলাম একদিন বোয়াল মাছ খাওয়াবো। কিন্তু ক্যান্সেল করলাম ভাবনা। আপনি তৌহিদা আপুর বাসায় গিয়ে খায়েন।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে এসব আজেবাজে চিন্তা বাদ দেন। চলেন আমরা আগের প্ল্যানে ফিরে যাই 😊😊😊
😂হাহাহাহা
ওহ্ বসের পোস্টে আমি ,,,,, ফিলিং সেলিব্রিটি 🥰🥰🥰। আসলে এতটা গরম ছিল যে সুস্থ ভাবে আর ঠান্ডা মাথায় দাড়িয়ে কথা বলায় মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল। আর মানুষের ভিড় যেন মৌমাছির থেকেও বেশি ছিল। সে যাই হোক,, আমার জন্য মনে রাখার একটা মুহূর্ত ছিল পুরোটাই। যদিও ঘেমে আমার মেক আপ করা আটা ময়দা সুজি সব উঠে গেছে 😅। হিহিহিহি,, ভাই বোনদের সম্পর্কে কখনো ধন্যবাদ আসে না। তাই ঐদিকে নাই বা গেলাম। এমন কিছু মুহূর্ত গুলোর জন্যই আমাদের বেচেঁ থাকা, ভালো থাকা। এমন মুহূর্ত আরো ফিরে আসুক আমাদের মাঝে, আর সম্পর্ক টাও ভালো থাকুক, এটাই চাওয়া। ❤️❤️।
আজ অনেক ভালো করে মন্তব্য করে দিলাম কিন্তু আপু 😉😉😉😉
গরম হলেও গল্প করতে বেশ ভালই লাগছিলো। যদি আবহাওয়া একটু ভালো হতো আর এত লোকের ভিড় না থাকতো তাহলে আরও কিছুক্ষণ গল্প করা যেত। ভালোই সময় কেটেছিল । ধন্যবাদ ভাইয়া কষ্ট করে আসার জন্য।
ভাইয়ার বাসায এবং আমাদের বাসা প্রায় কাছাকাছি। এর সুবাদে আমার বরের সাথে বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। তবে আমার সাথে হয় নাই। আপনার সাথে ভাইয়ার দেখা হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মুহূর্তে শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের কথা বলল শুভ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। কালকেই কথা হচ্ছিল। ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
তৌহিদা, আপুর পোস্ট পড়ে জানতে পেরেছি রমনা পার্কে গিয়ে আমার বাংলা ব্লগের কোন একজন সদস্যের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তবে এই সদস্য যে আমাদের প্রিয় সজীব ভাই এটা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। আর আপু, সজীব ভাইয়ের হাসিমাখা মুখটা বলে দেয় উনি কতটা ভালো মনের মানুষ এবং প্রানোচ্ছল মানুষ। যদিওবা রমনা পার্কে মৌমাছির মত মানুষের ভিড়ে সজীব ভাইকে, খুঁজে পেতে কিছুটা সময় লেগেছিল। তবে আমি নিশ্চিত যখন দেখা হয়েছিল তখন আপনাদের খুবই ভালো লেগেছিল। আপনাদের সাথে সজীব ভাইয়ের দেখা হয়েছে জানতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। এভাবে আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যরা ভাই বোনের মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক এই প্রত্যাশা সবসময়।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সজীব ভাইয়া আসলেই অনেক হাসিখুশি এবং প্রানোচ্ছল মানুষ। খুব ভালো লেগেছে ওনার সঙ্গে দেখা হয়ে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আরে আপনি তো দেখছি রয় সজীব ভাইয়ার সাথে দেখা করে ফেলেছেন। আপনার আচার তৈরির রেসিপি দেখে উনি বলেছিল উনিও খেতে চান। আপনার সাথে যখন ওনার দেখা হয়েছে তখন আপনি ওনার জন্য আচার নিয়ে গিয়েছিলেন। ওনার ছবি দেখে বুঝতে পারছি আসার পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে। আসলে উনি খুবই মিশু এবং হাসিখুশি এটা ওনাকে দেখলেই বোঝা যায়। ভালো লাগলো আপনার সম্পূর্ণ পোস্টটা পড়ে। খুবই ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন দেখে বুঝতে পারছি। আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আরো বেশি ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন আপু ডিসকর্ড এ যেমন মিশুক সামনাসামনিও তেমনি হাসিখুশি মিশুক। খুব ভালো লাগছে দেখা করে ভাইয়ের সঙ্গে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনারা গরমের কারণে তাহলে ভালোভাবে আড্ডা জামাতে পারেননি। যদি আবহাওয়া আরেকটু ভালো হতো এবং মানুষের ভিড় কম থাকতো তাহলে আপনাদের গল্পটা আরো বেশি জমত বুঝতে পারছি। রয় সজীব ভাইয়া কিন্তু খুবই মিশুক এবং হাসিখুশি একজন মানুষ। ওনার মুখে সব সময় হাসি থাকে যার কারণে ভীষণ ভালো লাগে। অবশেষে আচারের বৈয়াম ওনার কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছেন। সব মিলিয়ে বেশ দারুন একটা পোস্ট ছিল সম্পূর্ণটা পড়ে ভালো লেগেছে।
আড্ডা আর কই মারতে পারলাম ভাইয়া যে পরিমাণ গরম পড়েছিল দাঁড়ানোর উপায় ছিল না। কোন রকম কথা বলে চলে এসেছি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।