সিমের বিচি দিয়ে শিং মাছের রেসিপি(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
কোন সিজনে কোন সবজি বা কোন ফল পাওয়া যায় এই বিষয়টি আমার মনে থাকেনা। এই ব্লগে জয়েন হওয়ার পর একটি ভালো জিনিস হয়েছে সেটি হল সিজনের সবজির কথা মনে না থাকলেও কারও না কারও পোষ্টের মাধ্যমে দেখে ঠিকই মনে পড়ে যায়। ঠিক তেমনি আজকে আমি যে রেসিপিটি করেছি সেই রেসিপির প্রধান যে বিষয়টি শিমের বিচি আমি ব্লগের সবার রান্না দেখে মনে করেছি। অনেকেই শিমের বিচির রেসিপি শেয়ার করেছে, তখন আমার মনে হল যে এখনতো শিমের বিচির সিজন। তাই আমিও সিমের বিচি দিয়ে করে ফেললাম একটি রেসিপি। আজকে আমি শিমের বিচি দিয়ে শিং মাছ দিয়ে রান্না করেছি। সেই রেসিপিটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
- মাছ- ৫ পিছ
- শিমের বিচি- পরিমাণমতো
- পেঁয়াজ- ২টি
- কাঁচামরিচ- ৩টি
- পেঁয়াজ বাটা- ৩ টেবিল চামচ
- আদা বাটা- ১ চা চামচ
- রসুন বাটা-১ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া-১ চা চামচ
- মরিচের গুঁড়া-১ চা চামচ
- হলুদের গুঁড়া-১.৫ চা চামচ
- জিরা গুড়া-১ চা চামচ
- লবণ- পরিমাণমতো
- সরিষার তেল -পরিমাণমতো
- ধনিয়া পাতা- পরিমাণমতো
একটি ফ্রাইপ্যানে পরিমাণমতো সরষের তেল নিয়ে নিয়েছি। তেল গরম হলে এর মধ্যে পিয়াজ মরিচ কুচি দিয়ে দিয়েছি। পেঁয়াজ মরিচ কুচি গুলো একটু ভেঁজে নিয়ে তার মধ্যে বাটা মসলা গুলো সব দিয়ে দিয়েছি।
মসলাগুলো ভালোমতো কষিয়ে নিয়ে তারপর গুঁড়ো মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি। গুঁড়ো মশলাগুলো দিয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে আগে থেকে ধুয়ে রাখা শিং মাছ গুলো এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
শিং মাছ মসলার সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়ে তারপর কষিয়ে নিব। মাছগুলো ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে একটি বাটিতে উঠিয়ে রেখে ওই মসলার মধ্যে সিমের বিচি গুলো দিয়ে দিব।
সিমের বিচি গুলো মসলার সঙ্গে ভাল মত কষিয়ে নিয়ে তারপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিব শিমের বিচি গুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
কিছুক্ষণ পর শিমের বিচি গুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে মাছগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিব। একটু ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে দিব।
সবশেষ জিরা গুড়া দিয়ে কিছুক্ষণ পর চুলা বন্ধ করে দিব।
একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবেই রান্না হয়ে গেল আমার রেসিপি। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটা আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ । পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে শিমের বিচি দিয়ে শিং মাছের চচ্চড়ি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শিং মাছ বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে তবে আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনো সিমের বিচি দিয়ে খাওয়া হয়নি। এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাইয়া এটি শিং মাছের চচ্চড়ি না। শিং মাছের ঝোল। যাইহোক আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অবশ্যই শিমের বিচি দিয়ে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।
এতো দেখা যায় ভিটামিন এ ভরপুর এক রেসিপি শেয়ার করলেন আপনি আপু। অসাধারন হয়েছে আজকের এই রেসিপিটি। দারুণ ভাবে আপনি শিমের বিচি দিয়ে শিং মাছ এর রেসিপি বানালেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন এক সুস্বাদু রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য।
আপনার ভিটামিন এ এর অভাবে থাকলে এই রেসিপিটি বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখবেন। দূর হয়ে যাবে আশা করি। ধন্যবাদ সবসময় পাশে থাকার জন্য।
এই জন্যই তো আমি আপনার ফ্যান আপু। কি সুন্দর উপদেশ দিলেন। যা আমার জন্যই ভালো অনেক।
আপু এখন তো শিমের বিচির সিজন না আপনি সিমের বিচি কোথায় পেলেন। সিমের বিচি দিয়ে শিং মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন এভাবে শিমের বিচি দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমিও রান্না করেছিলাম একবার। যদিও আমি ফ্রিজে কিছু শিমের বিচি রেখে দিয়েছি নিশ্চয়ই আপনিও ফ্রিজের সিমের বিচি দিয়ে রান্না করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার রেসিপি দেখে।
আপু এই রেসিপি অনেকদিন আগে রান্না করেছিলাম। যখন সিজন শেষ হয়ে যাবে তখন রেসিপি দিব সেইজন্য। যাতে আপনাদের লোভ লাগে দেখে। হা হা হা।
শিমের বীচী দিয়ে শিং মাছ খেতে ভালই লাগে মে বি। আমি শিমের বীচী বেশি একটা খাই না। তবে এতে অনেক পুষ্টি গুণ আছে। আপনার রান্না অনেক ভাল ছিল। তাছাড়া শিং মাছ খেলে শরীরে রক্ত বাড়ে। অনেক সুস্বাদু ও লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সিমের বিচি এবং শিং মাছ দুটিই খুব পুষ্টিকর। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি শিং মাছ অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনি সিমের বিচি দিয়ে শিং মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন।আপমার রেসিপি আমাদের খুব ভালো লেগেছে।আপনার রেসিপি আমি ফলো করে তৈরি করবো।
আমার রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম । অবশ্যই রেসিপিটি ফলো করে রান্না করে দেখবেন খেতে খুবই ভালো লাগবে।
আপু মনি আমার দুইটি উপকরণেই অনেক প্রিয়, শিমের বিচি দিয়ে খুব সুন্দর করে শিং মাছ রান্না করেছেন, আপনার রেসিপিটি আমার ভিসন ভালো লেগেছে, অনেক সুন্দর করে রান্না পদ্ধতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আর এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ, সেই সাথে অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য আপু মনি।
ভাইয়া আপনিও বাসায় এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন । আসলেই খেতে খুব মজা লাগে। শিং মাছ এবং শিমের বিচি আমারও খুবই পছন্দের। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমার কখনো শিমের বিচি দিয়ে শিং মাছ রান্না করে খাওয়া হয়নি। কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আমি শিমের বিচি দিয়ে ডাল রান্না করে খেয়েছি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। তাহলে শিমের বিচি দিয়ে মাছ রান্না করে খেতেও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হবে। আপনার রেসিপির ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। রেসিপির কালার দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে। উপস্থাপনা অনেক সুন্দর করেছেন। ধন্যবাদ আপু। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সিমের বিচি দিয়ে শিং মাছ যেহেতু রান্না করে খেয়ে দেখেন নি তাহলে অবশ্যই একবার খেয়ে দেখবেন আপু। খুব ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মাত্র কয়েকদিন আগেই কমিউনিটিতে শিমের বিচির বিভিন্ন রেসিপি শেয়ারের ধুম পড়ে গিয়েছিল। তারমানে তখনই হয়তো সিমের সিজন ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের বাসায় সিম খেলেও শিমের বীজ কখনোই আমরা খাইনা। আপনাদের এত এত রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে একদিন খেয়ে দেখতে হবে। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমিও তখনই সিমের বিচি দিয়ে শিং মাছ রান্না করেছিলাম। রেসিপিটি রেখে দিয়েছিলাম পরে শেয়ার করার জন্য । যাতে সিজন ছাড়া রেসিপি দেখে আপনাদের লোভ লাগে। হি হি হি।
😲 কি চালাক!!!!
শিমের বিচি আমার খুবই পছন্দ। যদিও অনেকদিন হয়ে গেল শিমের বিচি খাই না। আমিও একবার মাছের মাথা দিয়ে শিমের বিচি রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। এখন আপনার শিং মাছ দিয়ে শিমের বিচি রেসিপি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। খুবই লোভনীয় লাগছে লাগছে আপু রেসিপিটি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ শিং মাছ দিয়ে শিমের বিচির মজাদার রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
আপু এখন তো সিমের বিচির সিজন না এইজন্য হয়তো আপনার খাওয়া হচ্ছে না। সিজন আসলে আবারো খেতে পারবেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শিমের বিচি শিং মাছ দুটোই খুব মজাদার খাবার। দুটো যেহেতু একসাথে রান্না করেছেন তাহলে মনে হয় খুবই সুস্বাদু হয়েছে খেতে। শিমের বিচি রান্না করে খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি খুবই লোভনীয় হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু শিমের বিচি এবং শিং মাছ দুটি খুব মজাদার খাবার । একসঙ্গে রান্না করার কারণে আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।