গ্রামে গিয়ে মজাদার খাবার খাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগে রংপুরে গিয়েছিলাম। সে জার্নি অবশ্য আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়নি। কারণ রংপুরে যাওয়ার পর থেকেই রুমের মধ্যে একদম নেট পাচ্ছিলাম না। বাইরে গিয়ে আসলে কাজ করা সম্ভব নয়। এজন্য কিছুদিন ছুটিও নিয়েছিলাম। আইফোনে রুমের মধ্যে একদমই নেট পাচ্ছিল না। E উঠেছিল। অন্য মোবাইলে টুকটাক নেট পাচ্ছিলাম। কিন্তু নেট ভালোমতো কাজ না করলে কোন কিছু করে শান্তি পাওয়া যায় না। তারপরে ভাবলাম যে এত কষ্ট করে কাজ করার থেকে ছুটি নেওয়াই ভালো। এতে টেনশন ফ্রি হয়ে আরাম করে ঘোরা যাবে গ্রামের বাড়িতে। এবার গ্রামে যাওয়ার সময় আমার চাচা শ্বশুরের ফ্যামিলিও গিয়েছিল। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বাইরে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়েছি আমরা। আজকে সেগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
একদিন সন্ধ্যার পরে এমনিতেই ঘুরতে চলে গিয়েছিলাম বাইরে। আমার চাচাতো ভাসুর এবং জা সহ। আমার হাজবেন্ড সাধারণত বাইরের রাস্তার সাইডের খাবারগুলো খায় না। আমাদেরও খুব একটা খেতে দেয় না। কিন্তু ভাই ভাবি থাকার কারণে কিছু বলেনি। তাদের সঙ্গে এই ধরনের খাবারগুলো আমি খেয়েছি। শীতকালে এরকম বাইরের সাইডে দাঁড়িয়ে পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। ঢাকার রাস্তার সাইড দিয়ে এরকম বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানায়। আমি একা যখন বাইরে যাই তখন খাই। কিন্তু হাজবেন্ডের সঙ্গে গেলে খাওয়ার উপায় থাকে না। এবার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বেশ মজা করে পিঠাগুলো খেয়ে ছিলাম। উপরের শুরুতে যে পিঠা দেখছেন তাহলো ভাপা পিঠা। ভাপা পিঠা বাসায় বানানো অনেক ঝামেলা। দোকানে গিয়ে খুব সহজেই খাওয়া যায় তাহলে এত কষ্ট করে বাসায় বানানোর কি দরকার। শীতকালে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। এখানে ধনিয়া পাতার ভর্তা এবং শুটকি ভর্তা ছিল চিতই পিঠার সাথে।
পিঠা খেয়ে পাশের দোকানে গিয়েছিলাম চা খাওয়ার জন্য। সেখানে আবার টক দই বিক্রি করছিল গুড দিয়ে। টক দই যে গুড দিয়ে খাওয়া যায় এই প্রথম দেখলাম। আমার ভাসুর প্রথমে নিয়ে খেলো। তারপর তার মেয়েও খেলো। খুবই মজা করে তারা খাচ্ছিল। যদিও আমার দেখে তেমন একটা খেতে ইচ্ছা করেনি। কেমন লাগবে? তারা বলল খুব মজা ছিল খেতে। আমি অবশ্য সেখানে গিয়ে মালাই চা খেয়েছিলাম। মোটামুটি ভালোই ছিল। অনেকদিন পর মুড়ির মোয়া দেখলাম দোকানে সাজিয়ে রেখেছে। ছোটবেলায় মুড়ির মোয়া অনেক খেয়েছি। এখন তেমন একটা খাওয়া হয় না।
তাছাড়া ওই দোকানটিতে বিভিন্ন ধরনের চিড়া বিক্রি করছিল। অনেকে চিড়া দিয়েও টক দই খায়। অদ্ভুত খাওয়া। কেমন লাগে জানিনা। খাওয়ার ইচ্ছাও হয়নি। যারা খায় তারা নাকি খুবই মজা করে খায়। নিশ্চয়ই তাদের কাছে মজা লাগে। তা না হলে এভাবেতো আর বিক্রি করতো না।
ওখানে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাজারে যাওয়ার সময় দেখলাম যে এক দোকানে মুড়ি ভাঁজছে। আগেকার দিনে দেখতাম যে বালি দিয়ে মুড়ি ভাঁজতো। আর এখন দেখলাম মেশিনের মাধ্যমে মুড়ি ভাজছে। ভিতরে চাল দিচ্ছে আর মুড়ি বাইরে এসে এভাবে পড়ছে। এই প্রথম এই মেশিনটি দেখলাম। খুব সহজেই অনেক মুড়ি ভাজা হয়ে যাচ্ছে। আর আগেকার পদ্ধতিতে মুড়ি ভাঁজতে অনেক সময় লাগতো এবং অনেক লোকের প্রয়োজন হতো। যাই হোক এবার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া হয়েছে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | I Phone 15 Pro Max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাঝে মাঝে রাস্তায় দাঁড়িয়ে এমন ধরনের খাবার খেতে বেশ ভালই লাগে। তবে ভাইয়া যে বেশি কিছু খেতে দেয় না এটা কিন্তু ঠিকই করে। বেশি বাইরের খাবার খেলে শরীরের বিষয়ে আর দেখতে হবে না। তবে আপনি যে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলি আপলোড করেছেন সেগুলি এক কথায় অসাধারণ ছিল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মাঝে মধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে এরকম খাবার খেতে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
চিড়া দিয়ে টক দই আমারও কখনো খাওয়া হয়নি। এভাবে খাওয়া হয় জানতাম ও না। যাই হোক গ্রামে গিয়ে বেশ মজার খাবার খেয়েছেন। মুড়ির মোয়া কিন্তু আমারও খুব পছন্দ। অনেকদিন হলো খাওয়া হয় না। পিঠার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে লোভনীয় লাগছে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমিও সেদিন প্রথম জেনেছিলাম। গ্রামের মানুষ এভাবে খায়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
গ্রামে গিয়ে দারুন কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপু।আসলে রাস্তার পাশে এ ধরনের খাবার গুলো চমৎকার দেখতে লাগলেও,খেতে স্বাদের হলেও আমার ও কম খাওয়া হয়।আপনি মালাই চা ও খেয়েছেন।মালাই চা খেতে তো দারুন স্বাদের হয়।মুড়ি আজকাল মেশিনেই ভাজে।আর মোয়া ও নাকি মেশিনেই তৈরি করে।অনুভূতির সাথে ফটোগ্রাফি গুলো ও ভালো লাগলো আপু।
খুব বেশি স্বাস্থ্যসম্মত থাকে না। এজন্যই তেমন একটা খাওয়া হয়না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
টক দই দিয়ে চা এটা তো কখনো খাইনি। এটা বেশ অদ্ভূত লাগল। যদিও গুড় দিয়ে তৈরি চা আমি খেয়েছি। বেষ চমৎকার লাগল আপনার পোস্ট টা। গ্রামে গেলে এইটাই মজা। এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ানো এইরকম খাবার খাওয়া।। ভালো লাগল দেখে আপনার পোস্ট টা।
টক দই দিয়ে চা তো খাইনি। টক দিয়ে গুড় খেয়েছে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
্টক দই দিয়ে চিড়া খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। সাথে দিতে হয় বিভিন্ন ধরনের ফ্রুটস কিসমিস ও বাদাম। একদিন খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। আর স্বাস্থ্যকর বটে। যাইহোক বেশ ভালো কিছু সময় কাটিয়েছেন বাড়িতে গিয়ে। আর আমিও প্রথম দেখলাম মুড়ি ভাজার মেশিন আপনার মাধ্যমে।
আমার অবশ্য খাওয়া হয়নি। সেদিন প্রথম দেখেছিলাম খাওয়া। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকে আপনি গ্রামে খাবার খাওয়ার খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন৷ আসলে গ্রামে গেলে আমরা অনেক কিছুই দেখতে পাই যা আমরা শহরে দেখতে পাই না৷ আপনি যেভাবে আজকে গ্রামের সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ একই সাথে এখানে যেভাবে চিড়া দিয়ে টক দই খাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন এরকম মুহূর্ত আমি কখনো দেখিনি৷ আপনার কাছ থেকে প্রথম দেখতে পেলাম৷ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রামের কালচার আর শহরের কালচার একেবারেই ভিন্ন। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
সবগুলোই গ্রামের সুস্বাদু লোভনীয় খাবার। ভাপা পিঠা, মুড়ির মোয়া এগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমি কিছুদিন আগে ফুটপাত থেকে এগুলো কিনে খেয়েছিলাম। ভালোই স্বাদ লাগে। ধন্যবাদ।
এগুলো আমার কাছেও খেতে খুব ভালো লাগে। কিন্তু শহরে থাকলে তেমন একটা খাওয়া হয়না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।