বিশুদ্ধ পানির খোঁজে
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পানির অপর নাম জীবন। সেই পানি যদি বিশুদ্ধ না হয় তাহলে জীবনের কি অবস্থা হবে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। ঢাকা শহরের ওয়াসার পানির খবর কারোরই হয়তো অজানা নয়। পৃথিবীতে যত জীবাণু রয়েছে তার সবই মনে হয় এই ওয়াসার পানিতে রয়েছে। তারপরও আমরা যারা ঢাকায় থাকি তাদেরকে বাধ্য হয়ে এই পানি বিভিন্ন পদ্ধতিতে খেতে হয়। বেশিরভাগ মানুষই এই পানিকে ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করার চেষ্টা করে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় ফুটালেও জীবাণু দূর হয় না। তারপরও সবাইকে বাধ্য হয়েই এই পানি খেতে হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন রকম অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। তাই আমার হাজব্যান্ড বেশ কিছুদিন ধরে পিওর ইট R O লাগানোর কথা বলছিল। বাসায় এতদিন পিওর ইট ক্লাসিক্যাল ছিল। ওটাতে নাকি পানি অত বেশি বিশুদ্ধ হয় না।
এই ওয়াটার ফিল্টাটি সাতটি স্তরে পানিকে বিশুদ্ধ করে। পানির টেস্টও অনেকটা বাজারের বোতলের কেনা পানির মত। বেশ কয়েকবার লাগানোর উদ্যোগ নেওয়ার পরও লাগানো হয়নি। কারণ এই পিউরিফাই লাগানোর জন্য একসঙ্গে বেশ কয়েকটি লাইনের প্রয়োজন হয়। একটি নরমাল পানির লাইন, একটি কারেন্টের লাইন এবং একটি ময়লা পানি বের হওয়ার লাইন। এক জায়গায় এতগুলো লাইন ভাড়া বাসায় ম্যানেজ করা বেশ কষ্টকর। এজন্য ভাড়া বাসায় এই ফিল্টার লাগানোর পক্ষপাতি ছিলাম না আমি। কিন্তু আমার হাজবেন্ড ছাড়ছিল না। বিভিন্ন উপায় বের করে যেখানে ওয়াশিং মেশিন রাখার জায়গা সেখানে ফিল্টারটি সেট করে নিলাম।
পিওর ইট R O এর প্রাইস অনেক বেশি। এই প্রাইস দিয়ে ছোটখাটো একটি ফ্রিজ কেনা যায়। ৩২ হাজার টাকা লেগেছে এটি লাগাতে। সবথেকে বড় সুবিধা আলাদা করে পানি দেওয়া লাগে না। তাছাড়া একটা অসুবিধা হলো কারেন্টের লাইনে চলে। কারেন্ট না থাকলে পানি নেওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। সেজন্য পাশে একটি এক্সট্রা ট্যাপ লাগিয়ে নিতে হয়। যদিও আমাদের ট্যাপটি লাগিয়ে দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু লোকটি এসে আর লাগিয়ে দিয়ে যায়নি। তাছাড়া সব কিছু অটো। কিট চেঞ্জ করার সময় হলে সিগন্যাল দিতে থাকে। এদের অনলাইন নাম্বার শো করতে থাকে। সেখানে ফোন দিলে তারা এসে সবকিছু আবার ঠিক করে দিয়ে যায়।
আগের দিন সন্ধ্যার সময় আর এফ এল এর বেস্ট বাই থেকে আমার হাজবেন্ড এই ফিল্টারটি কিনে নিয়ে আসে এবং পরের দিন ওরা এসে সুন্দর করে সেট করে দিয়ে যায়। যাক এখন খাওয়ার পানি নিয়ে কিছুটা নিশ্চিন্ত। তাছাড়া পানি দেয়ার এবং ফুটানো ঝামেলা থেকেও বেঁচে গিয়েছি। সব থেকে বড় কথা আমার হাজবেন্ডের মাথা ঠান্ডা হয়েছে।
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
| Photographer | @tania |
|---|---|
| Phone | i phone11 |
| আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
|---|
VOTE @bangla.witness as witness 
OR SET @rme as your proxy
আসলেই তো এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আলাদা পানি দিতে হয় না। যদিও আপনি এটার পক্ষে ছিলেন না কারণ আলাদা আলাদা তিনটি লাইন করতে হয় তবে ভাইয়ার উদ্যোগে সেটা সম্পূর্ণ হয়েছে। তাছাড়া আরও একটি সুবিধা কোন কিছু চেঞ্জ করতে হলে সেখানে সিগন্যাল উঠবে আর তাদের নম্বরে ফোন দিলে তারা এসে সবকিছু চেঞ্জ করে দিবে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আলাদা করে পানি দেয়ার ঝামেলা না থাকার কারণে খুব সুবিধা হয়েছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
পানি বিশুদ্ধ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু।আর এজন্য ই ভাইয়া এটাতে আগ্রহী ছিল।তবে ভাড়া বাসার জন্য আমার ও এটা আনা হয়নি।তিনটি লাইন নেয়া ভাড়া বাসায় একটু ঝামেলারই।তবে পানি দেয়ার ঝামেলা নেই,এটা ভীষণ ভালো।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ভাড়া বাসায় লাগানো একটু ঝামেলা। কিন্তু একবার লাগিয়ে নিলে সুবিধা আছে। আপনিও লাগাতে পারেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া বেশ ভালো কাজই করেছেন। পানি আমাদের নিত্য দিনেরই প্রয়োজন। সেই পানি যদি বিশুদ্ধ না থাকে, তবে অনেক রোগ জীবাণু শরীরে সহজেই বাসা বাঁধে। আর পানি ফুটানো তে আমার তো মনে হয় পুরো বাসা শুদ্ধ প্রেসার কুকারের মতো গরম হয়ে থাকে! কি যে ঝামেলা এই পানি ফুটানো! আমরাও বিয়ের পরপরই ২য় মাসেই ভালো মানের ওয়াটার ফিল্টার কিনে নিয়েছি। লাইফ অনেকটাই ইজি হয়ে গেছে।
ঠিক বলেছেন আপু পানি ফুটালে সারা ঘর গরম হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
ঢাকা শহরের এই ব্যাপার টা আমাকে বেশ অবাক করেছে। অধিকাংশ মানুষ ই ওয়াশার ঐ পানি সরাসরি খাই ফিল্টার করে না। পিওর ইট এর ফিল্টার টার দাম টা বেশি। তবে যে বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা আছে সেটা বেশ ভালো। কিন্তু কারেন্টে চলার বিষয়টি সত্যি বেশ অসুবিধাজনক। যদিও বিকল্প একটা ব্যবস্থা আছে।
বিশেষ করে নিম্ন শ্রেণীর লোকজন সরাসরি এই পানি খায়। আমার বাসার কাজের মেয়েকে দেখেছি সরাসরি এই পানি খেতে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আসলে বিশুদ্ধ পানি এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই আমরা বিশুদ্ধ পানির খোঁজে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছি৷ ভাইয়াও এরকম একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন৷ এর অনেকগুলো সুবিধাই তো দেখা যাচ্ছে৷ এটিতে আলাদা করে কোন পানি দিতে হয় না৷ কোন ধরনের সমস্যা হলে নিজ থেকে সিগন্যাল দেয়। তাদের নাম্বারে ফোন দিলেই তারা সবকিছু এসে ঠিক করে দেয়৷ এরকম সুবিধা খুবই কম দেখা যায় এবং এই সুবিধাগুলো আপনি পাচ্ছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
জ্বী ভাইয়া কোন সমস্যা হলে নিজ থেকে সিগনাল দেয়। এদের নিয়ে হট লাইনে ফোন দিলে ঠিক করে দিয়ে যায়।
ঠিকই বলেছেন ঢাকার ওয়াসার পানিতে যে কি পরিমাণ জীবনে কিলবিল করে তারপরও তো মানুষের বাধ্য হয়ে খেতে হয় । এদিক থেকে আমরা কিন্তু আরামে রয়েছি ।শেষ পর্যন্ত আপনি ফিল্টারটি লাগিয়ে ফেলেছেন দেখে ভালো লাগলো । আর কারেন্ট না থাকলে তো সমস্যা আলাদা টেপ লাগানোর কারণে সুবিধা হবে কারেন্ট না থাকলেও যখন তখন পানি পাবেন ।
কারেন্ট তো তেমন একটা যায় না। তাছাড়া বোতলে তো পানি ভর্তি থাকেই। তারপরও এক্সট্রা ট্যাপ লাগিয়ে নিয়েছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাহ আপনার নতুন ফিল্টারটি দেখে বেশ ভাল লাগল। যাক এখন তাহলে কিছুটা হলেও বিশুদ্ধ পানি খেতে পারবেন। দেখতেও চমৎকার লাগছে আমার কাছে ।আসলে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে একটু টাকা খরচ করলেও ভালো জিনিসটি কেনাই ভালো। ধন্যবাদ।
জি আপু ফিল্টারটি দেখতে খুব সুন্দর। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন পরিবারের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে একটু বেশি টাকা খরচ করাও ভালো।