লাইফ স্টাইলঃ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিছুক্ষন সময়।
👰🥀আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি..........
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। আপনারা নিশ্চয়ই আপনাদের পরিবার-পরিজনদের কে নিয়ে অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে আমার পরিবারের সকল সদস্যদের কে নিয়ে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আমার নতুন ব্লগে আমার বাংলা কমিউনিটির সকল বোনদেরকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে লাইফস্টাইল পোস্ট করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুদিন আগে যেহেতু আমি অনেক অসুস্থ ছিলাম তাই ভাবলাম আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করি।সুস্থতা আল্লাহর বড় নিয়ামত।অসুস্থ তাহলে বোঝা যায় জীবনটা কত কঠিন। আশা করি আমার লাইফ স্টাইল পোস্ট আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
দুদিন আগে হঠাৎ করে আমি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ি।আমি যখন অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম তখন আমার পাশে কেউ ছিলো না। শুধুমাত্র আমার ছোট্ট ছেলে আইয়ান বাবু ছিলো কিন্তু আইয়ান তো এখনো তেমন একটা কিছু বোঝেনা। আমার ছেলে আইয়ান তবে এটা বুঝতে পারছে যে তার আম্মু অনেক অসুস্থ তখন সে নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আমার ফোনটা আমার কাছে এনে দেই।আর তখন আমি তার বাবাকে ফোন দিয়ে আমার অসুস্থতার কথা জানাই এবং আইয়ানের বাবা কিছুক্ষণের মধ্যে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে আসে।আইয়ানের বাবা বাসায় এসে আমার শারীরিক অবস্থা অনেক খারাপ দেখে তাড়াতাড়ি করে সে আমকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়।
যেহেতু আমি অনেক অসুস্থ ছিলাম তাই আমাদেরকে আর টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট করতে হয় না। একবারে সোজা ইমার্জেন্সিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপরে ইমারজেন্সিতে যে ডাক্তার ছিলেন তিনি আমার পেশার মাপেন এবং আমার কি প্রবলেম হচ্ছে সেগুলা কম বেশি সব শুনেন। সবকিছু শোনার পর ডক্টর আমাকে টেস্ট করাতে দেয়।তারপর ডক্টর বলে আপনি টেস্টগুলো করিয়ে তারপর আসুন। আমি বললাম জ্বি ঠিক আছে। এর পর আইয়ানের বাবা রিসিপশনে যায় এবং ওখানকার একজন লোকের সাথে কথা বলে। এরপর রিসেপশনে থাকা লোকটা বললো আপনারা ২১০ নম্বর রুমে চলে যান। আমরা বললাম ঠিক আছে ভাইয়া ধন্যবাদ।
এরপর আমরা আর বেশি দেরি না করে সোজা ২১০ নম্বর রুমে চলে আসি টেস্ট করার জন্য।কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর প্যানথোলজি রুমে যে আঙ্কেল ছিলেন তিনি আমার হাত থেকে ব্লাড নিলেন এবং সেই সাথে আরো দুইটা টেস্ট ছিল সেগুলাও কমপ্লিট করলাম। তারপর আঙ্কেল টা আমাদের বলল আপনারা একঘন্টা অপেক্ষা করুন। এক ঘন্টা পর আপনারা রিপোর্ট হাতে পাবেন।দেখতে দেখতে এক ঘন্টা হয়ে গেল তারপর আইয়ানের বাবা গিয়ে রিপোর্ট আনলো রিপোর্ট আনার পরে আমাকে বলল তোমার হিমোগ্লোবিন একেবারেই কম। সাথে আরো দুইটা রিপোর্ট ছিল সে রিপোর্ট গুলাও ভালো আসেনি। রিপোর্ট গুলো দেখে আমার অনেক খারাপ লাগছিল। তারপর আমরা আবার ডক্টরের কাছে যাই রিপোর্ট গুলা নিয়ে। ডক্টর রিপোর্ট দেখে বলে আপনার কন্ডিশন খুবই খারাপ। এভাবে চলতে থাকলে আপনি কিছুদিনের ভিতরে বিছনা গত হয়ে যাবেন।বিশেষ করে আপনার হিমোগ্লোবিন বাড়াতে হবে। তখন আমি ডক্টর কে বললাম এখন কি রক্তের স্যালাইন দেওয়া যাবে। ডক্টর আমাকে বলল এখন আপনার রক্তের স্যালাইন দেওয়া যাবে না কিছুদিন পরে আবার হিমোগ্লোবিন টেস্ট করে দেখবো এবং তারপরে সিদ্ধান্ত নেব।এরপর তিনি বেশ কিছু মেডিসিন লেখেন। এবং তিনি আমাকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে নিয়ম মানার জন্য। তারপর তিনি বলেন বলেন এই ঔষধ গুলো নিয়ম করে খাবেন।আমি বললাম ঠিক আছে আন্টি। এরপর তার কাছ থেকে আমরা বিদায় নিয়ে বাইরে চলে আসি। তারপর আইনের বাবা বলে তুমি আর ছেলে এখানে অপেক্ষা করো রোদ্রে বাইরে যেতে হবে না। আমি এখনই ওষুধ কিনে নিয়ে আসছি।এরপর আইনের বাবা ওষুধ নিয়ে আসলে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
পোস্টের বিষয় | লাইফ স্টাইল |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
আসলে কখন যে কার কি হয়ে যায় কেউ জানে না। বেশ কিছুদিন ধরে আমিও অসুস্থ বোধ করতেছি। তাই গতকাল গিয়েছিলাম ডাক্তারের কাছে। তবে আপনার কন্ডিশন তো খুবই খারাপ। এই মুহূর্তে ডাক্তার জা পরামর্শ দিবে সেভাবেই চলতে হবে। কারণ ডাক্তারের পরামর্শ মত চলতে পারে দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভব।
জ্বি আপু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করছি যাতে তাড়াতাড়ি নিজে সুস্থ হতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
কখন যে কিভাবে কেউ অসুস্থ হয়ে যায় বলায় মুশকিল। কিছুদিন আগে আপনি অনেক অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন তবে আয়ান বাবুর বুদ্ধি দেখে আমিও অবাক। সে বুদ্ধি করে ফোনটা আপনার কাছে এনে দিলে আপনি ভাইয়ার কাছে কল দেন। তারপর তিনজনে মিলে হাসপাতালে গিয়ে ডক্টর দেখান। কিছু টেস্ট দিলে রিপোর্টে খুব একটা ভালো আসে না। হিমোগ্লোবিন কম থাকলে আমাদের দেহে রক্তের পরিমাণটা অনেকটাই কমে যায় সাথে বিভিন্ন সমস্যা হয়। আমারও বাবু পেটে থাকতে হিমোগ্লোবিন কম ছিল এতে দুই ব্যাগ রক্ত দেয়া লেগেছিল। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল আপু।
জি আপু আইয়ানের বুদ্ধির জন্যই হয়তো ওই দিন আমি বেঁচে গিয়েছিলাম।আর আমার রিপোর্ট গুলাও অনেক খারাপ আসে।আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়।
গত কাল আমিও উপজেলা স্বাস্থ অফিসে গেছিলাম। তবে আমার মেয়েকে টিকা দিয়ে চলে এসেছি। যায়হোক চাটমোহার উপজেলা স্বাস্থ অফিসে ভালোই সেবা পেলেন। ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া চাটমোহর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশটা অনেক সুন্দর এবং সার্ভিস অনেক সুন্দর ভাবে দেয় তারা। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো তাদের সার্ভিসটা।