ফটোগ্রাফি পোস্টঃ আমার শখের কবুতরের কিছু ফটোগ্রাফি।
🌿🥰👰🥀আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
রোজ বৃহস্পতিবার।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি........
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি আমার পরিবার পরিজনকে নিয়ে আপনারাও নিশ্চয়ই অনেক ভালো আছেন পরিবারের সকল সদস্যদেরকে নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আজ আমার নতুন ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি।আজ আমার লালন-পালন করা কিছু কবুতরের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।কবুতর লালন পালনটা আমি অনেক পছন্দ করি এবং কবুতর আমার অনেক শখের। নিজের হাতে লালন-পালন করা যে কোন জিনিস দেখলেও মনে অনেক শান্তি লাগে। আশা করি আমার ধারণ করা কবুতরের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রথম ফটোগ্রাফিতে আপনারা যে কবুতর দুইটি দেখতে পারছেন এটা হল রাজশাহী গিরিবাজি কবুতর।এই কবুতর দুইটি আমি বাজার থেকে নতুন কিনে এনেছি।আমার মোট ১৬ টি কবুতর আছে তার মধ্যে আবার এই দুইটি কবুতর আমি কিনেছি এখন মোট ১৮ টি কবুতর আছে।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিতে আপনারা যে কবুতরের ছবিটি দেখতে পারছেন এই কবুতরটাকে আমি ছোটকাল থেকে নিজের হাতে তোলা খাবার খাওয়ায়ে এ মানুষ করেছি।এই কবুতরটি যখন অনেক ছোট ছিল তার মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে।কিন্তু অনেক টিটমিনের পরেও মা কবুতরটিকে বাঁচাতে পারিনি।পরে বাধ্য হয়ে বাচ্চা কবুতরটিকে তোলা খাবার খাওয়ে বড় করেছি।কবুতরটি এখন নিজে নিজেই খাবার খেতে পারে এবং অন্য সব কবুতরদের সাথেই সে এখন থাকে।
তৃতীয় ফটোগ্রাফিতে আপনারা যে দুইটি কবুতর দেখতে পারছেন এ দুটো বাচ্চা কবুতর।একটা ছেলে কবুতর আর একটা মেয়ে কবুতর।আমরা আমাদের ভাষায় ছেলে ও মেয়ে কবুতর কে বলি মদ্মা ও মাদি। অঞ্চল ভেদে হয়তো নামের পরিবর্তন হতে পারে। আমার এই কবুতর দুইটি খুবই ভালো।
চতুর্থ ফটোগ্রাফিতে আপনারা যে ছবি টি দেখতে পারছেন এটা দুইটা ছোট্ট কবুতরের বাচ্চা। এই বাচ্চা দুইটার বয়স মাত্র দুইদিন।বাচ্চাদের এখনো চোখ ফোটেনি। বাচ্চা দুইটার গা অনেক নরম আর দেখতেও অনেক সুন্দর হয়েছে। এটা আমার শখের কবুতর। আমার শখের কবুতর এর আগেও একবার বাচ্চা তুলেছে। এবার দ্বিতীয়বারের মত বাচ্চা তুলতে সক্ষম হয়েছে এটা দেখে আমি খুবই আনন্দিত। আশা করি বাচ্চাগুলা খুবই দ্রুত বড় হয়ে যাবে। বাচ্চা গুলো দেখতে কিন্তু মাশআল্লাহ।
কবুতর পালন করা খুবই সহজ যদি এই বিষয়ে আপনার একটু ধারনা থাকে। ভালো মানের কবুতর হলে এর থেকে অনেক ভালো পরিমানে ডিম বাচ্চা পাওয়া সম্ভব। আমার কবুতর গুলা অনেক ভালো এরা অনেক বেশি পরিমানে ডিম বাচ্চা করে থেকে। কিন্তু অল্প জায়গায় বেশি কবুতর হওয়াতে একটু সমস্যা হয়ে যায়। তবে তার পরও বেশ ভালোই ডিম বাচ্চা করে।
আপনারা ষষ্ঠ ফটোগ্রাফিতে যে কবুতর দেখতে পারছেন এটা একটা মাদি কবুতর। আমার কাছে যে কবুতর গুলা আছে তার ভিতর বেশিরভাগই রাজশাহী গিরিবাজ। আমার কাছে যে কবুতর গুলা আছে তারা ডিম দিয়ে বাচ্চা তোলার দিক দিয়ে খুবই পটু।কবুতরের বাচ্চা গুলো সুস্থ সবল হয় এবং বাচ্চাদের খুব সুন্দর করে খাওয়াই। যার কারণে বাচ্চাগুলো খুব দ্রুত বড় হয়ে যায়। এই কবুতরের প্রতিটি বাচ্চাই বেঁচে যাই।
সপ্তম ফটোগ্রাফি তে আপনারা যে কবুতরটি দেখতে পারছেন এটা খুবই লক্ষ্মী একটা কবুতর। কবুতরটি খুবই শান্ত স্বভাবের এবং পরিশ্রমী। কারণ সে একাই ডিম পেড়ে বাচ্চা তোলে এবং বাচ্চাকে খাবার খাওয়াইয়ে মানুষ করে। কবুতরের যে জোড়া আছে তার কোন কাজ করাই লাগে না। কাজ শুধু এটাই সময় মতো ভালোবাসা দেয়া।
পোস্টের ধরন | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ফটোগ্রাফার | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
হ্যাঁ আপু আমারও পশু পাখি পালতে খুব ইচ্ছে করে। কিন্তু যদি মরে যায় এভয়ে পালি না। কারণ একবার ছোট বাচ্চা কুকুর পেলে বড় করেছিলাম।আমার খুবই আপন ছিল। কিন্তু মারা গেছে তখন আমি প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছিলাম। তাই পশু পাখি আমার কাছে দেখতে আর আদর করতে অনেক ভালো লাগে। আজ আপনার পালা কবুতরের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। সত্যি আপু আপনার কবুতরের বাচ্চাগুলো মাশাল্লাহ। আপনার কবুতরের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ইচ্ছে হচ্ছে আমিও পালি।
জ্বি আপু আমরা যখন অনেক ভালোবেসে কিছু লালন পালন করি আর যদি কোন কারনে অসুস্থ হয়ে যায়কিংবা মারা যায় সত্যি তখন অনেক কষ্ট লাগে।আপনার প্রশংসামূলক মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে আপনার শখের কবুতরের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমি কবুতর অনেক পছন্দ করি শুধু কবুতর না যে কোন পাখি আমার অনেক পছন্দের। আপনার কবুতরের ভিতরে বেশিরভাগই দেখছি রাজশাহী গিরিবাজ কবুতর। তবে আপনার কবুতর গুলা অনেক স্বাস্থ্যবান। আপনাকে ধন্যবাদ অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার মত আপনারও যে কবুতর অনেক পছন্দ জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। আপনি ঠিকই বলেছেন আমার কাছে যে কবুতর গুলা আছে তার ভেতর বেশিরভাগই রাজশাহী গিরিবাজ।
হ্যা আমি দেখেই চিনে গেছি।
আপনি নিজেও তো কবুতর পালন করেন এজন্য দেখে একবারে চিনতে পেরেছেন।
আপনি দেখতেছি চমৎকার কিছু কবুতরের ফটোগ্রাফি করেছেন। কবুতর পালন করতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমাদের বাড়িতে আমরা অনেকগুলো কবুতর লালন পালন করি। তবে আপনি ধৈর্য ধরে চমৎকারভাবে কবুতর গুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন। সুন্দর করে কবুতরের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।