আমার বাগানের জন্য চারা উৎপাদন প্রক্রিয়া (10% beneficiary to @ shy-fox)
আসসালামুআলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনারা অনেকেই জানেন আমি বাগান করতে ভালোবাসি এবং আমার একটি বাগান রয়েছে যেখানে সব ধরনের ফলমূল শাকসবজি ও ফুলের চাষাবাদ করে থাকি, যা সত্যি আমি দারুণভাবে উপভোগ করে থাকি । আমার একটি পোস্টে আপনাদেরকে বলেছিলাম আমার চারা উৎপাদন প্রক্রিয়া আপনাদের সাথে একদিন শেয়ার করবো তাই আজকে আমার এই আয়োজন ।আজকে আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে এই চারা উৎপাদন করে থাকি, আশাকরি আপনারা এ থেকে উপকৃত হতে পারবেন।
বেশিরভাগ বীজ বাংলাদেশ থেকে আনা হয়, তাছাড়া এখান থেকে কিছু কিছু কিনে আনা হয় । আমার বীজের মধ্যে থাকে কাঁচা মরিচ, টমেটো, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, সীম , বরবটি, শষা বেগুন ইত্যাদি। এসকল বীজ বাংলাদেশ থেকে আনা হয়। কিছু ফুলের বীজ এখান থেকে আনা হয়।চারা তৈরি করতে হলে প্রথমে সব ধরনের বীজ ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে । বীজ তৈরির জন্য ছোট ছোট পট বাজারে কিনতে পাওয়া যায় ।প্রথমে পটগুলো কিনে আনতে হবে।এরপর পটটির ২ তৃতীয়াংশ কম্পোস্ট মাটি দিয়ে পূরণ করতে হবে।এই কম্পোস্ট মাটিও বাজার থেকে কিনে আনা হয়।এরপর মাটির উপরিভাগে বীজ রাখতে হবে ।প্রতিটি পটের মধ্যে ৬/৭ টি করে বীজ রাখতে হবে। তারপর বীজের উপরে কিছুটা মাটি যোগ করে পটটি পূর্ণ করতে হবে। এরপর হালকা পানি ছিটিয়ে পলিথিন কাগজ দিয়ে শক্ত করে ঢেকে রাখতে হবে। সাধারণত ১০/১৪ দিনের মধ্যেই চারাগুলো উঠে যায়।
১০/১৪ দিন পর:
এরপর চারাগুলোকে আলাদা করার সময় কারণ তারা একসাথে ভালভাবে বেড়ে উঠতে পারে না, তাই এদেরকে আলাদা করতে হবে। প্রথমে একটি পটে এক তৃতীয়াংশ মাটি নিয়ে চারা লাগাতে হবে , তারপর মাটির সাথে গাছের খাদ্য যোগ করতে হবে। উদ্ভিদের বেড়ে উঠার জন্য খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ মত উদ্ভিদেরও পানি ও খাদ্য প্রয়োজন। আমি যে খাবারটি ব্যবহার করছি তাতে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম ইত্যাদি রয়েছে যা উদ্ভিদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটি ছাড়া এরা শক্তভাবে বেড়ে উঠতে পারে না।অবশেষে চারাগুলোর সাপোর্টের জন্য একটি করে স্টিক দিয়েছি ।তারপর তাদেরকে আমার রান্নাঘর, বেডরুম, লিভিং রুমের জানালার পাশে রেখে দেই কারণ অনেক চারা এক স্থানে জায়গা হয়না।এসময় আভহাওয়া অনেক ঠান্ডা থাকে তাই বাইরে নেওয়া হয়না। আবহাওয়া যখন অণূকুল হয় তখন বাগানে নিয়ে যাই।
অবশেষে যখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তখন চারা গুলোও বেশ বড় হয়ে যায়, তখন সময় হয়ে যায় চারাগুলোকে বাগানে নেওয়ার।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone Xs max |
বন্ধুরা এটি ছিল আমার আজকের আয়োজন, আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ,
@tangera
বাহ আপু আপনার চারা উৎপাদন প্রক্রিয়া টা খুবই চমৎকার এবং অসাধারণ। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। পোস্ট টা পড়ে এই বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর শিক্ষনীয় একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আপু।এখান থেকে অনেকেই চারা উতপাদন প্রক্রিয়া জানতে পারবে এবং বাসায় নিজেরা চেষ্টা করতে পারবে।ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ওয়াও আপু!!
আপনি তো মারাত্মক লেভেলের কাজ পারেন!
এতো কষ্ট আর সময়ের কাজ আমার দ্বাড়া হয়তো জীবনেও হবেনা।
খুব ভালো হয়েছে কাজগুলো আপু।
অনেক শিক্ষনীয় ব্যাপার ছিলো।
আপু এই কাজটি আমার পক্ষে একা সম্ভব নয় আমার হাজবেন্ডেও ছিল আমার সাথে।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এটা দেখে অনেক ভালো লাগছে যে নিজের বাগানের জন্য চারাগুলো নিজেই উৎপাদন করছেন। আশা করছি আপনার বাগানটি অনেক সুন্দর হবে এবং সবকিছু পরিপূর্ণ হবে। অনেক শুভেচ্ছা রইল আপু আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
চারা গাছগুলো খুব সুন্দর দেখতে। গাছগুলো যখন বড় হয় ধীরে ধীরে তখন আসলে মনে এক ধরনের প্রশান্তি অনুভূত হয়। খুব ভালো একটি পোস্ট ছিলো। আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনি একদম ঠিক ধরেছেন ভাইয়া চারা গুলো যখন একটু একটু করে বড় হয় তখন মনে কি যে এক আনন্দ অনুভূত হয় তা বলে বোঝানো যাবে না।
Hi, @tangera,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP
Thank you very much.
একটি পোস্ট করতে আপনি দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছেন। কতটা যত্ন, পরিকল্পনা নিয়ে তিলে তিলে বীজ থেকে চাড়া উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যন্ত ধাপে ধাপে ছবি তুলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
ঠিকই বলেছেন আপু, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
নিঃসন্দেহে আপনার চারা উৎপাদন প্রক্রিয়াটি আমাদের অনেকেরই কাজে লাগবে। আমার বাসায় একটি ছোট্ট বাগান আছে সেখানে বরবটি চারার লাগিয়ে ছিলাম এখন বরবটি হচ্ছে পেঁপে লাগিয়ে ছিলাম এখন পেপে হচ্ছে। লাউ লাগিয়েছি ইনশাআল্লাহ লাউয়ের গাছ বড় হচ্ছে। দোয়া করবেন আপু আপনার এই প্রক্রিয়া আমার অনেক কাজে লাগবে।।শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি♥
অনেক অনেক ধন্যবাদ সেলিনা আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য, দোয়া করি আপনার বাগানটি যেন আপনার মনকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে।
শুভ কামনা আপু মনি♥
আপনার বীজ থেকে চারা উৎপাদনের ফর্মুলাটি খুবই আশ্চর্য জনক। এর আগে কখনও এভাবে চারা উৎপাদন দেখিনি। আমরা সাধারণত গ্রামে মাটির মধ্যে বীজ বপন করে দেই ১০ থেকে ১৫ দিনের মাথায় বীর্য উঠে। তবে একটা সমস্যা হয় যেটা হচ্ছে পোকামাকড়ে নষ্ট করে বেশি এবং বীজ অনেক কম উঠে মিস হয় বেশি। আপনার নার্সারীর প্রক্রিয়াটি খুবই অসাধারণ এবং কি গাছের জন্য যা যা প্রয়োজন আপনি ব্যবহার করেন। পৃথিবীতে জল এবং স্থলে সবকিছুর খাদ্যের চাহিদা থাকে তেমনি গাছেরও। আপনার চারা উৎপাদন প্রক্রিয়া এটি একটু ভিন্ন এবং অসাধারণ। এতে কস্টিং টা একটু বেশি হচ্ছে মনে হয়। তবে আপনি সুস্থ সবল চারা উৎপাদন করতে সক্ষম। আমি নিজেও বাগান করতে ভালোবাসি। আমার গ্রামের বাড়িতে আমার নিজের একটা বাগান। আছে বাড়িতে গেলে আমি স্টিম এর মাধ্যমে তুলে ধরবো। ফলমূল থেকে শুরু করে শাকসবজি এবং কি কাঠের গাছ ও যারা বাগান পরিচর্যা করে তাদের আলাদা একটা আনন্দ এবং ফিলিংস অনুভব হয়। দাদা আপনার চারা উৎপাদন প্রক্রিয়া টি চোখজোড়ানো এবং দৃষ্টিনন্দন ছিল। আপনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রইল দাদা
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার দীর্ঘ সুন্দর মন্তব্যের জন্য, কিন্তু আমি দাদা নই আমি দিদি।
আপনার প্রক্রিয়া এবং চারাগাছ সফলভাবে রোপনের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে আপনি একজন সৃষ্টিশীল মানুষ ।আর সৃষ্টিশীল মানুষ যারা এসব কাজ সম্ভব হয় না। অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম আপনার চারা গাছ রোপন পদ্ধতি থেকে। আপনার জন্য দোয়া এবং শুভকামনা রইল।