মেয়ের বার্থডে উপলক্ষে IPhone 15 plus
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
বড় মেয়ের জন্মদিন এই মাসের ১৫ তারিখে। তাই আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম তার জন্মদিনে একটি iphone কিনে দিব।ওকে বলেছিলাম samsung ফোন কিনে দেই,কিন্তু সে রাজি হয়নি। সেও আমার মত iphone পছন্দ করে।অবশ্য এ দেশের বেশিরভাগ ছেলে মেয়েরাই iphone পছন্দ করে। যেহেতু সে এখন হাইস্কুলে যাচ্ছে তাই তার একটি ফোন দরকার। স্কুলে বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক গুলো করতে তাদের স্মার্টফোনগুলো দরকার হয়। এমনকি বাসায় ও যে হোমওয়ার্কগুলো দেয় সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু হোমওয়ার্ক করতে ফোন ব্যবহার করতে হয়।এদেশের সিস্টেমই এমন যে বাচ্চারা হাইস্কুলে যাওয়ার সাথে সাথেই ফোন পেয়ে যায়। তাই আমিও অপেক্ষা করছিলাম তার বার্থডে যখন আসবে তখন তার ফোনটি কিনে দিব।কয়েক দিন আগেই কিনে রাখলাম যদি বার্থডের দিন ফোনটি না দিতে পারি।যাইহোক এখন শান্তি ফোনটি হাতে পেয়েছি।
অর্ডার করেছিলাম আইফোন ফিফটিন প্লাস।গোলাপি রঙের ফোনটি, খুবই চমৎকার দেখতে। দাম পড়েছে ১০১৭ পাউন্ড বাংলাদেশীর টাকায় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার এর মত। অবশ্য আমি কন্টাক্ট এ কিনেছি, মান্থলি পেমেন্ট করব। এদেশের সকলেই এভাবে ফোন কিনে থাকে সিম কন্টাক্ট সহ, মান্থলি পে করে থাকে। অবশ্য এর আগে অর্ডার করেছিলাম iphone ফিফটিন। কিন্তু বাসায় এসে খুলে দেখি ফোনটি একেবারেই ছোট, 6.1 ইঞ্চি হবে। এরপর ফোনটি দেখে মোটেও পছন্দ হয়নি। তার বাবা তো দেখে একেবারে রেগে বেগে অস্থির। এত ছোট ফোন কেন অর্ডার দিয়েছি তার মেয়ের জন্য।এরপর company তে ফোন করে আবার অর্ডার করি আইফোন ফিফটিন প্লাস।এটি সাইজে হবে 6.7 ইঞ্চি। মেয়েকে বললাম আমার iphone থার্টিন প্রো ম্যাক্স এর সাথে সোয়াপ করতে, কিন্তু সে একেবারেই রাজি নয়।সে এটিই নেবে।অবশ্য সে বলছে আমিও ইউজ করতে পারব। যাইহোক আমার দরকার ফটোগ্রাফি।ফটোগ্রাফির কাজটি আমি এই ফোন দিয়েই সেরে নিব। যদিও সে এখনও অনেক ছোট রয়েছে,ফোনটি তার হাতে থাকা এখন অনেক রিস্কি হতে পারে।তাই ভেবেছি স্কুলের জন্য অন্য আরেকটি কম দামি ফোন কিনে দিব।আর এই ফোনটি বাসায় ব্যবহার করবে। আমি আমার ফোনটি যেভাবে যত্নে রাখি সে সেভাবে যত্নে রাখতে পারবেনা।
যাইহোক এখন অপেক্ষা শুধু তার বার্থডের দিনটি আসার। বার্থডের দিন ফোনটি তার হাতে তুলে দিব। তবে এখনকার মোবাইলের প্রবলেম চার্জারে।শুধু ইউ এস বি ক্যাবল থাকে, এডাপ্টার থাকে না।তাই এখন অর্ডার করতে হবে এডাপ্টার। এছাড়াও অর্ডার করতে স্ক্রিন প্রোটেক্টর এবং মোবাইল কভার যা ছাড়া মোবাইল মোটেও সুরক্ষিত নয়। আগে খুবই ভালো সিস্টেম ছিল, ফোনের সাথে যাবতীয় এসোসরিজ দিয়ে দিত। হেডফোন, চার্জার সহ আরও অনেক কিছুই থাকত প্যাকেটে।
যাইহোক এটি ছিল আমার আজকে আয়োজন।সবাই দোয়া করবেন আমার মেয়ের জন্য।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সেখানকার সিস্টেমটা বেশ ভালো লেগেছে প্রতি মাসে আমি পেমেন্ট দিতে পারব একবারে টাকাগুলো দিতে হচ্ছে না এমন সুবিধা হলে তো ভালোই হয়। মেয়ের জন্য বাংলাদেশী টাকায় দেড় লাখ টাকা দিয়ে ফোন কিনে দিয়েছেন বাহ। জন্মদিনের অনেক বড় একটা গিফট।
ওয়াও মানহার জন্মদিন উপলক্ষে খুব চমৎকার একটি ফোন কিনেছেন দেখছি। এত দামি মোবাইল স্কুলে না দেওয়াই ভালো। বাচ্চাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া এত সুন্দর মোবাইল রেখে পুরোনো মোবাইলের সঙ্গে কে চেঞ্জ করতে চায়। আপনাকে ছবি তুলতে দিতে রাজি হয়েছে তাই তো অনেক। খুব সুন্দর হয়েছে মোবাইলটি। ভালো লাগলো দেখে।
বর্তমান সময়ে স্কুল কলেজের প্রায় সকল শিক্ষার্থীর হাতেই এত করে ফোন রয়েছে কারণ সেই ফোন দিয়ে তারা হয়তো বা কোন স্কুলের প্রোগ্রাম অথবা করতে পারে। ফোন অনেক রকম ভাবেই ব্যবহার করা যায় কেউ হয়তোবা ফোন অন্যান্য কাজে ব্যবহার করে আবার কেউ নিজের প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে তবে আপনার মেয়ের স্কুলের হোম ওয়ার্ক কাজে ব্যবহার করবে এটা জেনে খুবই ভালো লাগছে। এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো যে আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্স ফোনটা এত ছোট কিন্তু দামটা অনেক বেশি। যাইহোক আপনি এটা ব্যবহার করবেন আর আপনার মেয়ের জন্য অন্য আরেকটা ফোন কিনে দেবেন এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। এই ফোনটা যেহেতু তার জন্য কেনা হয়েছে তাকেই দিয়ে দিন। ধন্যবাদ আপনাকে মেয়ের বার্থডে উপলক্ষে ফোন কিনে সেই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ভাইয়া আপনি কি আমার পোস্টটি ভালোভাবে পড়েছেন? এই ফোনটি আমার মেয়েই ব্যবহার করবে, আমি শুধু ফটোগ্রাফিটা করব। আর স্কুলে যাওয়ার সময় অন্য আরেকটি ফোন দিব, এছাড়া সবসময়ই তার কাছেই থাকবে। কারন এখনও সে অনেক ছোট রয়েছে হারিয়ে ফেলতে পারে স্কুলে।আর এটি তার বার্থডের গিফ্ট, আমি কেন নিব?
আরও বলেছেন আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্স ফোনটা এত ছোট কিন্তু দামটা অনেক বেশি।আমি আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্স এর কথা বলিনি, বলেছি আইফোন ফিফটিন এর কথা। কয়েকটি সাইজ আছে এ ফোনের।
আশা করছি পরবর্তীতে কোন পোস্ট ভালোভাবে পড়ে তারপরে কমেন্টস করবেন, ধন্যবাদ।
খুবই দুঃখিত আপু বুঝতে হয়তোবা ভুল হয়েছে। পরবর্তীতে এরকম ভুল আর হবেনা। 🙏🙏
হ্যাঁ আপু, আগেই ভালো ছিলো ফোনের বক্সের মধ্যেই সব এক্সেসরিজ থাকতো। এতো টাকা দিয়ে ফোন কেনার পরও, যদি এক্সেসরিজ আলাদা কিনতে হয়,তখন আসলেই খারাপ লাগে। আসলে সব ই হচ্ছে ব্যবসা। যাইহোক ফোনটা আসলেই খুব সুন্দর। আইফোন ১৫ প্লাস বলে কথা,সুন্দর তো হবেই। তবে আইফোন ১৫ এর চেয়ে ১৫ প্লাস টা খুব ভালো হয়েছে, সাইজেও বেশ বড়। ছোট ফোন ইউজ করতে আসলেই ভালো লাগে না। তবে খুব দ্রুত অবশ্যই একটি নরমাল ফোন কিনে দিবেন আপনার মেয়েকে। কারণ ছোট মানুষ যেহেতু, এতো দামী ফোন বাহিরে নিয়ে গিয়ে, ফেলে দিয়ে নষ্ট করে ফেলতে পারে। ডিসপ্লে ভেঙে গেলে তো চেইঞ্জ করতে অনেক টাকা লাগে। তবে আপনার জন্য বেশ সুবিধা হলো,মাঝেমধ্যে ফটোগ্রাফি করতে পারবেন নিউ ফোন দিয়ে। এমনিতেই দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি করেন, আর এখন তো একেবারে ফাটিয়ে দিবেন মনে হচ্ছে। যাইহোক আপনার মেয়েকে জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপু। এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার মেয়েকে অগ্রিম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই তবে এটি কিন্তু অনেক বড় সারপ্রাইজ আপনার মেয়ের জন্য। যদিও এই iphone ফিফটিন ফোনটি অর্ডার করার পর পছন্দ হয়নি। কারণ এটি সাইজে ছোট ছিলো। পরবর্তীতে iphone ফিফটিন প্লাস অর্ডার করেছেন। তবে ৬.৭" কিন্তু একদম স্টান্ডার মাপের।আর আপু একটা কথা জানার ছিল iphone ফিফটিন ও iphone ফিফটিন প্লাস এর দাম কি একই ছিলো?যাইহোক মান্থলি পেমেন্ট সিস্টেমটা আমার খুবই ভালো লাগলো।তবে একটা জিনিস কি এখনকার দামি ফোনগুলোতে চার্জার দেয় না।চার্জার হেডফোন এগুলো আলাদা করে কিনতে হয়। এতে করে বাজেটের বাইরেও টাকা খরচ হয়ে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বড় মেয়ের জন্মদিন এ মাসের ১৫ তারিখে।তার জন্য উপহার হিসেবে আইফোন এনেছেন আপু।ভীষণ সুন্দর হয়েছে।আপনার মেয়ে আপনার মতো ই আইফোন পছন্দ করে। তাইতো স্যামসাং কিনার জন্য রাজি হয়নি।হাই স্কুলে গেলে স্মার্ট ফোনের দরকার হয় বিভিন্ন হোমওয়ার্কের জন্য। খুব ভালো হয়েছে মোবাইলটি, মেয়েও খুশী হবে। আপনার সুন্দর অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু।