মজাদার জাম্বুরা মাখা
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি মজাদার জাম্বুরা মাখার রেসিপি নিয়ে। এই জাম্বুরার অনেক নাম রয়েছে।কমন নাম হচ্ছে বাতাবি লেবু যা আমরা সকলেই চিনি এক নামে, সিলেট অঞ্চলে বলে মাততু। এটা আমার অনেক পছন্দের একটি ফল ছিল। বাংলাদেশে থাকতে প্রায়ই খাওয়া হত। কিন্তু এদেশে আসার পর তেমন বেশি খাওয়া হয় না। যদিও এ দেশে পাওয়া যায় কিন্তু তার স্বাদ বাংলাদেশের মত নয়। বাংলাদেশের লেবুগুলোর ভেতরের কোয়া গুলো থাকে অনেক বড় বড়। কিন্তু এ দেশের গুলো থাকে অনেক ছোট ছোট।আর ভেতরের কালার ও থাকে গোলাপি, কিন্তু এ দেশের গুলো থাকে সাদা।বাংলাদেশের গুলো মিষ্টি ও টক দুটোই হয়ে থাকে।কিন্তু এদেশের গুলো মিষ্টি থাকে কিন্তু টক একটু কম থাকে। তবে কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে খেলে স্বাদ একটু কম হলেও কিন্তু সেই স্বাদ পাওয়া যায়। তবে এই সুদূর প্রবাসে বসেও যে জাম্বুরা খেতে পারছি সেটাই বড় কথা। প্রথম যেদিন বাসায় এনেছিল সেদিন আমি তো দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।কারণ আমি কখনো কল্পনাও করিনি যে এখানে জাম্বুরা পাওয়া যায়। যাইহোক চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
জাম্বুরা | ১ টি |
কাঁচা মরিচ | ছোট সাইজের ৮/৯ টি |
ধনেপাতা কুচি | ৪ টেবিল চামচ |
লবন | স্বাদমত |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমেই ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচ কুচি করে কেটে নিয়েছি।
এরপর দুই সাইড এভাবে কেটে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এরপর মাছ বরাবর কেটে কয়েকটি অংশে ছোট ছোট পিস করে কেটে নিয়েছি।
এরপর ভেতরের সাদা খোসা গুলো ফেলে দিয়ে নরম অংশ গুলো বের করে নিয়েছি, যা বের করতে অনেক সময় লেগেছে কারণ লেবুর সাইজ অনেক বড় ছিল।
এরপর লবণ ও ধনেপাতা দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি। মাখানোর সময় শক্ত শক্ত যে দলাগুলো ছিল ওগুলো ছাড়িয়ে নিয়েছি।
হয়ে গেল আমার মজাদার জাম্বুরা মাখা। দুই বাটি হয়েছিল।এক বাটি আমার,আর এক বাটি আমার হাসবেন্ডের।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এটাতো আমরা বাদাম নামে চিনি। সিলেট অঞ্চলে যে মাততু বলে। এটা জানতাম না এবং অনেক ভালো লাগে এটা খেতে। বাংলাদেশের তা একটু স্বাদ মেলা এটা আসলেই সত্য। এটাই যে সুদূর প্রবাসে বসে হতে জাম্বুরা খেতে পারছেন৷ এটা অনেক আনন্দের। আপনি প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি সঠিক মাত্রায় দিয়েছেন। যা ইচ্ছা করলে আমরা বাসায় বানিয়ে নিতে পারবো। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন এবং বেশ ভালো লাগছে। ছবিগুলো খুবই স্পষ্ট ছিল। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ভাইয়া আমার জানা মতে বাংলাদেশের জাম্বুরা গুলোই বেস্ট। কারন আমাদের বাংলাদেশের জাম্বুরা গুলোর স্বাদ অনেক এবং কালার টাও বেশ সুন্দর। কিন্তু এই জাম্বুরার মধ্যে শুধু সাদা কালার দেখা গেলো।যাইহোক জাম্বুরা আমার অনেক পছন্দের। আপনি সুন্দর ভাবে জাম্বুরা মাখার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাংলাদেশী জাম্বুরা গুলোর কালার একটু বেশি সুন্দর হয়। ভিতরে গোলাপি ও খেতে মিষ্টি টক জাতীয়। এবং কোষগুলোও বড় থাকে। প্রবাসে গিয়ে এদেশের জিনিস মিস করছেন। যাইহোক এভাবে কখনো জাম্বুরা মাখা খাওয়া হয়নি একবার টেস্ট করব।
আপু যদিও এটা নাম জাম্বুরা কিন্তু আমরা গ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলে থাকি বাদাম। এই ধরনের বাদামগুলো এভাবে সুন্দর করে মাখিয়ে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। যখন আমরা বন্ধুরা এক জায়গায় থাকতাম তখন প্রচুর খেয়েছে এখন সেভাবে খাওয়া হয়না বা সুযোগ হয়ে ওঠে না। এভাবে খেতে সত্যি অনেক সুস্থ লাগে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জাম্বুরা ফলটি আপনার অনেক প্রিয় জেনে ভালো লাগলো। আসলে আপু নিজের দেশের খাবারের মত স্বাদ মনে হয় আর কোথাও নেই।
তারপরও আপনার জাম্বুরা মাখা দেখে অনেক লোভ লেগে গেল। মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছিল।
সঙ্গে ধনেপাতা এড করেছেন সাদ আরো দিগুণ বেড়ে গেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এত দেখছি বাংলাদেশের জাম্বুরার সাথে ওখানকার জাম্বুরার বিশাল ব্যবধান। যেমন রং তেমনি করে টেস্টও আলাদা। তবে জাম্বুরা কিন্তু দারুন করে ভর্তা করেছেন আপু। এত সুন্দর আর লোভনীয় করে জাম্বুরা ভর্তা করে কখনও খাওয়া হয়নি। দেখেই মনে হচেছ বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কি শেয়ার করলেন আপু মুখে তো পানি চলে আসলো। আসলে এই জাম্বুরা একসময় মাখিয়ে খেতাম সবাই মিলে কি যে ভালো লাগতো। এখন একা আর তেমন একটা খাওয়া হয় না। আসলেই দেখছি আপনাদের গুলোর কালার একেবারেই ভিন্ন। টক কম হলেই তো সুবিধা। খেতে ভালো লাগে। দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজা করে খেয়েছেন।
মাততু নাম আজকেই প্রথম শুনলাম আপু। তবে আমাদের অঞ্চলে জাম্বুরা নামেই পরিচিত। আর এই জাম্বুরা একটু টকটক হলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি হালকা মিষ্টি থাকলেও খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে বাংলাদেশে যেই জাম্বুরা পাওয়া যায় সেগুলো দেখতে একটু আলাদা রকমের হয়। বিশেষ করে ভিতরে হালকা একটু লাল লাল থাকে। আর বিদেশেও জাম্বুরা পাওয়া যায় জেনে সত্যি ভালো লাগলো আপু। তবে দেশি খাবারের টেস্ট সব সময় অনেক বেশি হয়।
যদি ভুল না বলি তাহলে বাংলাদেশের জাম্বুরা গুলোর টেস্ট বেশি যদিও সেখানকার গুলো একটু সাদা টাইপের হয় তবে যেহেতু ধনেপাতা সহ মাখিয়েছেন তাই খেতে মনে হয় বেশ ভালোই লাগবে যেটা আপনার বিবরণ পড়ে বুঝতে পারলাম। বাংলাদেশে আসলে আমাকে জানাবেন অনেকগুলো জাম্বুরা দিতে পারব কারণ আমাদের বেশ কয়েকটি গাছ আছে।
আপু আমরা এই ফলটাকে জাম্বুরা নামেই চিনি।তবে সিলেটে এটাকে মাততু বলে এটা আজ প্রথমই শুনলাম।সব দেশেই আজকাল সবকিছু পাওয়া যায়। শুধু স্বাদের তফাৎটা থাকে।আপনি ওদেশে জাম্বুরা পেয়েছেন কিন্তু দেখা বা স্বাদ কিচুটা ভিন্ন। তারপরেও আপু নাই মামার চেয়ে কানা মামা ও ভালো কি বলেন? জাম্বুরা মাখা দেখে জিভে জল চলে এলো।আমাদের এখানেও এখন অনেক জাম্বুরা পাওয়া যাচ্ছে।খাওয়া হয় মাঝে মাঝে।এটা ঠিক মিষ্টির সাথে টক হলে একটু বেশীই মজার হয় খেতে।ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।