বাচ্চাদের স্কুল হলিডে উপলক্ষে বেড়ানোঃ পর্ব-১৬
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আবার অনেকদিন পর আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম বাচ্চাদের স্কুল হলিডে উপলক্ষে বেড়ানোর ১৭ তম পর্ব নিয়ে।আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব Eastbourne Sea beach সিরিজ এর ১০ম পর্ব। দেখতে দেখতে এখানকার ৯ টি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলেছি। আজকের পর্বের মধ্য দিয়ে Eastbourne সমুদ্র সৈকতের সিরিজ পর্বটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। হ্যাঁ বন্ধুরা গত পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম সমুদ্রের তীর হতে তার আশপাশের কিছু ফটোগ্রাফি।আজকের পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব সমুদ্রের উপরে তৈরি করা বাচ্চাদের জন্য বড় একটি খেলার স্থানে উপভোগ করা কিছু ফটোগ্রাফি। বাচ্চাদের খুবই পছন্দের স্থান।কারণ এখানে নানান ধরনের খেলা রয়েছে যা খেলতে হলে তাদেরকে পয়সা দিয়ে কিছু কয়েন কিনতে হয়।সেই কয়েন দিয়েই এই খেলাগুলো করতে হয়। ব্রাইটন সমুদ্র সৈকতেও ঠিক একই রকম বাচ্চাদের খেলার স্থান রয়েছে। সমুদ্র সৈকতে আসলে তাদেরকে অবশ্যই সেখানে গিয়ে খেলতে হবে। খুব উপভোগ করে তারা সেখানে। শুধু তারাই নয়, আমি দেখেছি অনেক বড় বড় লোকজনও খেলছে সেখানে।এবার চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
দূরে দেখতে পাচ্ছেন হলুদ রঙের গম্বুজের মত, এটিই হচ্ছে সেই স্থান সাগরের উপর তৈরি করা বাচ্চাদের খেলার স্থান।
ওপরে দেখুন একটি কাঁকড়ার মত যন্ত্র রাখা রয়েছে।আর নিচে দেখুন কতগুলো পুতুল রয়েছে।এই খেলার সিস্টেম হচ্ছে যে কোন পুতুলকে টার্গেট করে ওই যন্ত্রটিকে প্রেস করতে হবে। ওই যন্ত্রটি যদি একটি পুতুল উঠাতে পারে তাহলে সে পুতুলটি হয়ে যাবে তার। একবার মিস হয়ে গেলে আর দ্বিতীয়বার কোন সুযোগ নেই।আবার খেলতে হলে তাকে আবার আরও একটি কয়েন দিতে হবে। তবে আমি আজ পর্যন্ত কাউকেই দেখিনি কোন পুতুল ওঠাতে।শুধু শুধুই এই সিস্টেম করে রেখেছে পয়সা নেয়ার জন্য। আর আমার মেয়েরাও পাগল এই খেলাটি খেলতে।তারা খুবই পছন্দ করে এটি খেলতে।
বড়রাও ব্যস্ত রয়েছে খেলতে।
এখানে নানান রকমের খেলার আইটেমগুলো ছিল। সবগুলোর ফটোগ্রাফি তোলা হয়নি। কিছু ফটোগ্রাফি তুলেছিলাম সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি সমুদ্র সৈকতের সবগুলো পর্বই আপনারা উপভোগ করেছেন। আগামী পর্বে আপনাদেরকে নিয়ে যাব লন্ডন জু-তে। সামনে লন্ডন জু-এর অনেকগুলো সিরিজ পর্ব আপনাদের সামনে হাজির হতে যাচ্ছি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
Location |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শুভ সন্ধ্যা !!!
আমি স্টিমিট পরিবারের একজন নতুন সদস্য। আমি আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।
https://steemit.com/hive-172186/@pritomdebfl/achievement-1-introduction-through-verification
বাচ্চাদের স্কুল হলিডে উপলক্ষে বেশকিছু পর্ব দেখা হলো।ভীষণ ভালো লেগেছে। অনেক কিছু দেখা হলো আবার জানা ও হলো। আপনি আজ সমুদ্র বিচের ১০ ম পর্ব শেয়ার করলেন।এই পর্বে বিচের ওপর বাচ্চাদের খেলার জায়গাটি শেয়ার করলেন। সত্যি এতো সুন্দর আয়োজন থাকলে ছোটরা কেন বড়রাও খেলতে আগ্রহী হয়।চমৎকার লাগলো আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো। সুন্দর বর্ননায় আরো বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। পরের পর্বে লন্ডন জু দেখতে পাবো।অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপু।
বাচ্চাদের স্কুলের ছুটির দিন তাই বেড়ানোর জন্য বেশ সুন্দর স্থানে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানকার বেশ কিছু পর্ব তুলে ধরতে ধরতে আজকে দশম পর্বে উপস্থিত হয়েছেন। আর এভাবেই আজকে উপস্থিত হয়ে সুন্দর কিছু আমাদের মাঝে তুলে ধরতে চেয়েছেন যেখানে বাচ্চাদের খেলনার বিষয় আর মেয়েদের খেলার সেই মন মাতানো সমুদ্রের পাড়ের জায়গা। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন সকলের ভাষায় আর এই থেকে বেশ কিছু জানার সৌভাগ্য হলো।
বাচ্চাদের হলিডের ভ্রমণ পর্বের আজ আপনি শেষ পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করলেন আপু। আগের কয়েকটি পর্ব হয়তো আমার পড়ার সুযোগ হয়েছিল। আজকের পর্বটি বেশ ভালো লেগেছে। তবে এখন আমাদের দেশেও বেশ কিছু জায়গায় বাচ্চাদের খেলার জন্য এরকম জায়গা করা হয়েছে। আজকের পর্বটি বেশ সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের পর্বগুলো দেখেছি খুব ভালো লেগেছিল। আজকে বাচ্চাদের নিয়ে খেলার জায়গাটিতে বেশ সুন্দর উপভোগ করেছেন। কাকড়ার মত জিনিসটি দিয়ে পুতুল ধরার সিস্টেমটি অনেক জায়গায় দেখেছি। কেউ যদি পুতুল উঠাতেই না পারে তাহলে এরকম খেলার ব্যবস্থা করে লাভ কি। আসলেই টাকা নেওয়ার ধান্দা। যাই হোক বাচ্চাদের মজা দেখে বেশ ভালো লাগলো।
খেলাধুলার এমন জোন গুলো আমার খুব ভালো লাগে। কারণ বড় থেকে শুরু করে বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতে পারে। আসলে আমার জানামতে এসব মেশিনের সেন্সরের পাওয়ার কম থাকলে পুতুল উঠবে না,যদি সেন্সরের পাওয়ার ঠিক থাকে তাহলে পুতুল উঠার কথা। কারণ আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে যখন ছিলাম, অনেকটা এমন টাইপের মেশিন থেকে হাত ঘড়ি,নেইল কাটারের বক্স সহ আরও অনেক কিছু বের করেছিলাম। তবে সব মেশিন থেকে সম্ভব হতো না। কিছু কিছু মেশিনের সেন্সরের পাওয়ার খুবই কম থাকে। যাইহোক এই খেলা খেলতে দারুণ লাগতো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো আপু। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সাগরের উপর তৈরি করা বাচ্চাদের খেলার স্থানটি দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। আর ছুটির দিনে বাচ্চারা ঘুরতে যেতে সত্যি অনেক পছন্দ করে। তবে পুতুল তোলার সিস্টেমটি হয়তো অনেক চালাকির সাথে করা হয়েছে। তাই তো কেউ পুতুল তুলতে পারে না। আর অন্যদিকে তারাও লাভবান হয়ে যায়। আসলে তারা বেশ লাভবান হওয়ার জন্যই এই আকর্ষণীয় সব পুতুলগুলো রেখেছে। যাতে করে একবার মিস হয়ে গেলে বাচ্চারা আরো দুই একবার খেলাটি খেলে এবং তারাও সেই সুযোগে কিছু কয়েন নিতে পারে। আপু আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো।