সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শুঁটকি শিরার মজার রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মজাদার শুঁটকি শিরা রেসিপি নিয়ে। এই রেসিপিটি সিলেটে অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার। আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছিলাম কিন্তু কখনো বানানো হয়নি।এটি বানাতে লাউ শাক দরকার হয়।এছাড়া লাগে শুঁটকি মাছ , কিছু ভেজিটেবলস ও কিছু মাছ। যেহেতু আমার বাগানের লাউ শাক ছিল তাই একটু ইজি হলো। যখন খালা শাশুড়িরা বাসায় ছিলেন তখন এই রেসিপিটি বানিয়েছিলাম। যেহেতু আমি কখনো বানাইনি, তাই আমার খালা শাশুড়ির সাহায্যে এই রেসিপিটি করেছিলাম। তিনি আমাকে ইন্সট্রাকশন দিয়েছিলেন কিভাবে তৈরি করতে হয়। আমি কখনো লাউ শাক দিয়ে কোন রেসিপি বানাইনি এবং এই শাক কিভাবে বাঁছতে হয় তাও জানতাম না। খালা শাশুড়ি খুবই চমৎকার ভাবে বসে বসে শাকগুলো বেছে দিয়েছিলেন। আমি এখানে মৃগেল মাছ ব্যবহার করেছি। আপনারা চাইলে বড় সাইজের যে কোন মাছই ব্যবহার করতে পারেন। যাইহোক আমার রেসিপি কিন্তু খেতে দারুন স্বাদের ছিল। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মাছ | ৬/৭ পিস |
শীদল শুঁটকি | ১০/১২ টি |
শাক | ১ কেজি |
টমেটো | মিডিয়াম সাইজের ১ টি |
পিঁয়াজ কুচি | ২ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৬/৭ টি |
নাগা মরিচ | ৩/৪ টি |
রসুন কুচি | ২ টেবিল চামচ |
আলু | ছোট সাইজের ৯/১০টি |
গোল বেগুন | বড় সাইজের ১ টি |
কচুর মুখি | ৪০০ গ্রাম |
ধনিয়া পাতা | হাফ কাপ |
লবন | স্বাদমত |
হলুদ গুঁড়া | দেড় চা চামচ |
কারিপাউডার | ২ টেবিল চামচ |
সয়াবিন তেল | ৪ টেবিল চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
![]() | ![]() |
---|
প্রথমেই খালা শাশুড়ি শাকগুলো ভালোভাবে বেছে, ধুয়ে, পরিষ্কার করে দিয়েছে আমাকে। এরপর পেঁয়াজ, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ, টমেটো ও রসুন কেটে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর আলু ও বেগুন এভাবে পিস পিস করে কেটে নিয়েছি এবং মাছগুলো ছোট ছোট করে পিস করে কেটে, বেছে, ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর কচুর মুখিগুলি পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি বরফ গলানোর জন্য। এরপর একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে রসুন কুচি গুলো দিয়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, টমেটো ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিয়েছি সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর শুঁটকি মাছ গুলো রেডি করেছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর শুটকি মাছগুলো ধুয়ে বেছে পরিষ্কার করে অন্য একটি হাঁড়িতে তে গরম পানিতে ছেড়ে দিয়েছি। এরপর ওই পানি ভালোভাবে ছেঁকে নিয়েছি। এরপর যে হাঁড়িতে পেঁয়াজ,কাঁচামরিচ দিয়েছিলাম সিদ্ধ হওয়ার জন্য সেগুলো গলে গেলে তাতে বাকি মসলাগুলো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দুই তিন মিনিট কষিয়ে শুটকি মাছের সেই ছেঁকে নেওয়া পানি ছেড়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর আলু, বেগুন ও মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নাগা মরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি। এরপর শাকগুলো দিয়ে দিয়েছি। এরপর সব কিছু ভালোভাবে মাখিয়ে ৮/১০ কাপ পানি দিয়ে ফুল আঁচে রেখে দিয়েছি নয় দশ মিনিটের জন্য।
![]() | ![]() |
---|
হয়ে গেল আমার মজাদার শুঁটকি শিরার রেসিপি।
পরিবশনের জন্য রেডি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার রেসিপি দেখে তোর লোভ আর সামলাতে পারছিনা। আসলে পরে এই ছবিটি দারুন ছিল এত সুন্দর একটা ছবি আমাদের ঢাকা থেকে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার খালা শাশুড়ি কি আপনাদের ওইখানে বেড়াতে গিয়েছে, নাকি দেশে থাকা অবস্থার কথা বলছেন?
যাইহোক কখনো রেসিপিতে মাছ এবং শুটকি একসাথে ব্যবহার করিনি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খারাপ হবে না আমিও একবার টেস্ট করে দেখব।
শুটকি শিরার নাকী সিলেটের অনেক জনপ্রিয় খাবার। অথচ আমি এটা আজকেই প্রথম দেখলাম আফসোস। লাউ শাক বেশ সুস্বাদু একটি খাবার। আমার অনেক পছন্দের। এই এই শুটকি শিরার রেসিপি টা খুবই ইউনিক। আপনি প্রথমবার তৈরি করেছেন কিন্তু দেখে মনে না। অসাধারণ লাগছে রেসিপি টা। বেশ দারুণ উপস্থাপনা এবং পরিবেশনা ছিল আপু। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপু।।
আপু আপনার খালা শ্বাশুড়ির কাছ থেকে তাহলে খুবই মজাদার রেসিপি শিখতে পেরেছেন। আমি এই প্রথম আপনার কাছ থেকে এই রেসিপির নাম শুনতে পেলাম। আপনার উপস্থাপনা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু যদিও এই অঞ্চলে তেমন শুঁটকি মাছ পাওয়া যায় না। আর তাই শুঁটকি মাছ সম্পর্কে আমার তেমন অভিজ্ঞতা নেই। আপনি আজকে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শুঁটকির শিরার রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপির মধ্যে আপনি শুঁটকি শিরা নিজের বাগানের সবজি এবং আলু একত্রে রান্না করেছে। রান্নার ধাপ গুলো সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার খালা শ্বাশুড়ি এসেছিল আপনার বাসায়। তখন এই রেসিপিটির কথা বলেছিলেন।আমার জানার খুব ইচ্ছে ছিল রেসিপিটি আসলে কি বা কেমন করে করতে হয়।আজ রেসিপিটি দেখলাম।আমি আসলে এই মাছ আর শুঁটকি একসাথে রান্না করিনি।এটা নোয়াখালীর ও একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার একটা ব্লগে দেখেছি।আপনার রেসিপিটি প্রায় একই রকম লেগেছে।যেহেতু নিজের গাছের লাউ শাক তাই মজাটা একটু রেশিই হয়েছে, তাই না আপু।নতুন রেসিপিটি ধাপে ধাপে শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী একটি খাবারের রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। যদিও এই খাবার কখনো খাওয়া হয়নি। তবে মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। আপনি প্রথমবারই কিন্তু বেশ ভালোভাবে এই রেসিপি তৈরি করতে পেরেছেন আপু। আপনার খালা শাশুড়ির সাহায্য নিয়ে বেশ মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। নতুন একটি রেসিপি শিখে অনেক ভালো লাগলো।
সিদল শুটকি আমার ফ্রিজে বেশ কয়েকটি রয়েছে কিভাবে রান্না করবো সেজন্য খাওয়ার হচ্ছে না। আপনার আজকের শুটকি শিরা রেসিপিটি বেশ ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। মাছের সঙ্গে শাক দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। তার সঙ্গে তো আবার বেশ কিছু সবজিও দিয়েছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। খালা শাশুড়ি শাক বেছে দেওয়ার কারণে রান্না করতে সুবিধা হয়েছে আপনার।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শুঁটকি শিরার মজার রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। রেসিপিটা দেখে অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে। আপনার খালা শাশুড়ির সাহায্য নিয়ে বেশ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুব লোভনীয় একটি শুটকি রেসিপি শেয়ার করেছেন।শুটকি আমার কখনো খাওয়া হয়নি,তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।