টমেটো আর জলপাই দিয়ে মাছের টক
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একেবারে আনকমন একটি রেসিপি নিয়ে। এই রেসিপিটি সিলেট অঞ্চলের একটি অন্যতম প্রধান খাবার। খাবারটি একটু টকজাতীয় কিন্তু এই খাবারটি ক্লোস্ট্রল যাদের বেশি আছে তাদের জন্য খুবই কার্যকরী। যদিও এই খাবারটি সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না সিলেটে আসার পরে জেনেছি। এই খাবারটি যেকোনো টকজাতীয় ফল যেমন জলপাই, আমড়া এবং বড়ই ইত্যাদি এবং যেকোন মাছের সাথে রান্না করা যায়, তবে বেশি ভালো হয় ছোট মাছ, রুই অথবা মৃগেল মাছ ।আজকে আমি মৃগেল মাছ দিয়ে এই টক খাবারটি আপনাদেরকে রান্না করে দেখাবো। চলুন চলে যাওয়া যাক মূল পর্বে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ।
চলুন দেখা যাক খাবারটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ লাগবে?
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মাছ | ৮/৯ পিস |
টমেটো | বড় সাইজের ৪ টি |
জলপাই | ৪টি |
পেঁয়াজ কুচি | দেড় কাপ |
রসুন কুচি | চা কাপ এর এক চতুর্থাংশ |
টমেটো কুচি | হাফ কাপ |
হলুদ গুড়া | ১ চাঃচাঃ |
কারিপাউডার | ২ চাঃচাঃ |
লবণ | স্বাদমতো |
তেল | তিন টেবিল চামচ |
ধনে পাতা কুচি | হাফ কাপ |
কার্যপ্রণালী : ধাপ ১
প্রথমেই পেঁয়াজ ,টমেটো ,কাঁচা মরিচ , রসুন এবং ধনেপাতা কেটে নিয়েছি । এরপর বড় সাইজের টমেটো গুলোকে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিয়েছি এবং জলপাই গুলো কেটে নিয়েছি।এরপর মাছগুলোর বরফ ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি । এই মধ্যে দুই পিছ মাছ বড় ছিল তা কেটে ছোট ছোট করে নিয়েছি।
ধাপগুলো নিম্নে দেখানো হলো:
শেষ ধাপ: ২
প্রথমে একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে রসুন দিয়েছি , এটি বাদামি বর্ণের হলে পিঁয়াজ ও টমেটো কুচি দিয়ে হালকা আঁচে রেখে দিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য। সিদ্ধ হয়ে গেলে হলুদ ও কারি পাউডার দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ২/৩ মিনিট কষিয়ে নয়য়েছি। এরপর মাছ গুলো দিয়ে ভালোভাবে মসলা দিয়ে মাখিয়ে আরও দু-তিন মিনিট রেখে দিয়েছি। তারপর টমেটোগুলো দিয়ে ৪/৫ কাপ পানি দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে ৭/৮ মিনিট রেখে দিয়েছি। এরপর চুলার আঁচ কমিয়ে আরো দুই-তিন মিনিট রেখে দিতে হবে। ২/৩ মিনিট পরে ধনেপাতা দিয়ে রান্না শেষ করতে হবে ।হয়ে গেল আমার মজাদার টমেটো আর জলপাই দিয়ে মাছের টক।
ধাপগুলো নিম্নে দেখানো হলো:
পরিবেশনের জন্য এনেছি, এই খাবারটি আমার বাচ্চারা খুব পছন্দ করে।
ডিভাইস | আইফোন টেন এক্স ম্যাক্স |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @tangera |
আশা করি আমার এই আজকের আয়োজন আপনাদের ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ,
@tangera
আমি তানজিরা, ব্রিটিশ-বাংলাদেশী , বিবাহিতা, দুই সন্তানের জননী। বর্তমানে ইংল্যান্ডে বসবাস করছি।বাংলা আমার মাতৃভাষা, বাংলাকে ভালোবাসি , ভালোবাসি আমার জন্মভূমিকে ,ভালোবাসি মাটি ও মানুষকে ।বাগান করতে ভালোবাসি যা আমার একমাত্র প্রধান সখ,ভালোবাসি ভ্রমণ করতে ও রান্না করতে।
অনেক সুন্দর ভাবে আপনার রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন।রেসিপিটি দেখেই মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। টকের কথা শুনে জিভে পানি চলে এসেছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে।শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য.
খুবই সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি আপু।মাঝে মাঝে মুখে রুচি আনার জন্য টক জাতীয় রেসিপি খাওয়া উচিত।ধন্যবাদ আপনাকে।
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আমার কাছে একদম ইউনিক। খুব স্বাদের হয়েছিলো রেসিপিটি দেখে বুঝতে পারছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।আপনার রেসিপি সবসময় ই খুব ভালো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি বরাবরই নতুন নতুন রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করে থাকেন।টমেটোর টক আমার খুব পছন্দের একটা খাবার।কিন্তু টমেটো আর জলপাইর টক আমার কাছে একদম নতুন।আপনার রেসিপির ফটোগ্রাফির সাথে বর্ণনাটাও খুব ভালো ছিলো।আমাদের বোঝার সুবিধার্থে এতো সুন্দর করে পোস্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই রান্না করতে মাছ ভাজার প্রয়োজন নেই, কাঁচা মাছ দিলেই হবে। আমি ইলিশ মাছ ভাজা ছাড়াই কাঁচা মাছের ঝোল খেয়েছি তবে রুই/কাতলার খাইনি।
একটু টক টক খেতে হলেও প্রচুর ভিটামিন সি পাওয়া যাবে।
জি দাদা, টক রান্নায় মাছ না ভেজে রান্না করা যায় কারণ কাঁচা মাছ গুলোকে আমি ভালোভাবে মসলা দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
টমেটো আর জলপাই দিয়ে মাছের টক অসাধারণ রেসিপি। এটা আগে কখনো খাওয়া হয়নি। রেসিপি টা খুবই ইউনিক মনে হচ্ছে। ভাজা বাদে মাছ রান্না এই বিষয়টি কেমন যেন।। খুব সুন্দর রেসিপি। আপনার জন্য শুভকামনা।।
অনেক মাছ আছে যা না ভেজে রান্না করা যায় ,আর এই মাছ আমি ভালোভাবে মসলায় কষিয়ে নিয়েছি। এ কারনে আর ভাজার দরকার হয়নি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
টমেটো আর জল পাই দিয়ে মাছ রান্নার রেসিপিটা, আমি প্রথমবারের মতো দেখলাম। বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে। একদিন বাসায় চেষ্টটা করতে হবে। আপনার রেসিপিগুলো এমনিতেও খুব সুন্দর হয় । এভাবেই প্রতিনিয়ত আমাদেরকে সুন্দর সুন্দর রেসিপি উপহার দিয়ে যান, শুভ কামনা রইল।
জি ভাইয়া একদম চেষ্টা করে দেখবেন, অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার রেসেপি টি দেখে জিভে পানি চলে এলো ৷টক দিয়ে ব়ান্না করা মাছ খেতে মনে হয় অনেক সুন্দর হয়েছে৷ ধন্যবাদ আপু৷
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এরকম পোস্ট আমি এই প্রথম দেখলাম, যা দেখে আমার ইচ্ছা জাগল বাসায় একবার ট্রাই করবো। ধন্যবাদ এইরকম একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া ট্রাই করে দেখবেন, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।