রোজার মজাদার বেগুনি ও আলুনির রেসিপি, 10% beneficiary to @shy-fox
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রোজার মজাদার বেগুনি ও আলুনির রেসিপি নিয়ে। রোজার সময় আমরা সকলেই বেগুনি বানিয়ে থাকি, আমি দেখেছি অনেকের বেগুনি সুন্দরভাবে ফুলে ওঠে না। আমি মনে করি শুধু খেলেই হবেনা দেখারও একটি সৌন্দর্য রয়েছে, আর দেখতে সুন্দর হলে খেতেও অনেক টেস্টি হয়। আজকে আমি আপনাদেরকে করে দেখাবো কিভাবে ফুলকোও মুচমুচে বেগুনি তৈরি করতে হয়, যার পুরোটাই নির্ভর করে সস এর উপর, সস যদি পারফেক্ট হয় তাহলে বেগুনিও পারফেক্ট হবে। বেগুনির সাথে আমি আরো একটি রেসিপি আপনাদেরকে দেখাবো, তা হচ্ছে আলু কে পাতলা পাতলা করে কেটে ওই একই সস এ ডুবিয়ে ভাজা, যার নাম দিয়েছি আমি আলুনি। জানিনা আর কোন নাম আছে কিনা ? আমার বাসার সকলেই এই রেসিপিটি অনেক পছন্দ করে, আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূলপর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটা তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবে।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ময়দা | তিন টেবিল চামচ |
বেসন | দেড় টেবিল চামচ |
ডিম | একটি |
বেকিংপাউডার | এক চা চামচ |
আদা রসুন পেষ্ট | দেড় চা চামচ |
সয়াবিন তেল | ভাজার জন্য |
ধনে পাতা কুচি | চা কাপ এর এক চতুর্থাংশ |
হলুদ গুঁড়া | এক চা চামচ |
মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
কারিপাউডার | দুই চা চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
ধাপঃ ১
প্রথমেই একটি বাটিতে ময়দা ও বেসন দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
এরপর লবণ সহ সব মশলা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর ভালোভাবে মাখিয়ে ডিম ও আদা রসুন দিয়ে দিয়েছি। এরপর ধীরে ধীরে পানি অ্যাড করতে হবে, এমনভাবে পানি অ্যাড করতে হবে যেন সস টি আঠালো হয়, মোটামুটি চা কাপের এক কাপ মত পানি লাগবে।
এরপর ধনেপাতা যোগ করেছি।
সস রেডি।
শেষ ধাপঃ
এরপর বেগুন ও আলু গুলো পাতলা পাতলা করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি। আর চুলায় তেল গরম করে নিয়েছি।
এরপর বেগুন ও আলু গুলো সসের মধ্যে একে একে ডুবিয়ে তেলে ভেজে নিয়েছি।
হয়ে গেল আমার মজাদার বেগুনি ও আলুনি এর রেসিপি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
ইফতারিতে এই ধরনের বেগুনি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে বাড়িতে বেগুনি এবং আলুর চপ তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটি দেখেই আমার লোভ হয়ে যাচ্ছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ভাজাপোড়া জিনিস খেতে কার না ভালো লাগে আমারও অনেক প্রিয় এই আলুর চপ বেগুনি চপ। আমি আদা বাটা আর ডিম দিয়ে কখনো চপ তৈরি করিনি। একবার এই নিয়মেও তৈরি করে দেখবো।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ও আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল 🤗
এই নিয়মে করে দেখবেন আপু, আসলেই অনেক মজার' ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের বাসায় আলুর চপ বলে।ইফতারের সময় এগুলো না হলে চলেই না।আপু লোভনীয় রেসিপি রেসিপি। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু এগুলো না হলে যেন ইফতারি হয় না, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ইফতারির সময় বেগুনির চপ আলুর চপ না থাকলে ইফতারির স্বাদেই হয় না, তবে আপু আপনার বেগুনি এবং আলুর চপ গুলো এতো সুন্দর হয়েছে যেটা বলে বুঝানোর মত না, চপ গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে আপু, অনেক সুন্দর করে আপনি চপ তৈরি করেছেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য আপু।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু ফুলে ওঠা বেগুনি দেখলে খাওয়ার আগ্রহ যেন আরও অনেক গুণে বেড়ে যায়। বেগুনি এবং আলুর চপ ফুলে উঠলে দেখতেও খুবই লোভনীয় লাগে।
যাইহোক আপু আপনার বেগুনি ও আলুনির রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। অবশ্যই বাসায় কখনো এভাবে ট্রাই করে দেখব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ট্রাই করে দেখবেন ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
বেগুনী আর আলুনি দুটোই আমার ভীষণ প্রিয়।মাত্রই খেয়ে উঠলাম আমি।
এ দুটি ছাড়া কি ইফতারি হয় আপু?
মজাদার বেগুনি ও আলুনির রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করলেন। আপনার উপস্থাপন দেখে আমিও তৈরি করা শিখতে পারলাম। পরবর্তীতে আমিও তৈরি করবো। শুভকামনা রইল।
অপেক্ষায় রইলাম আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখার জন্য, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রমজানের ইফতারিতে বেগুনি এবং আলুর চপ বা আলুনি এগুলো খুবই জনপ্রিয় খাবার। সবার ঘরে ঘরে এই খাবারগুলো বিদ্যমান। তবে আপনি যেভাবে রেসিপিটি বানিয়েছেন খুব লোভনীয় এবং মন চাচ্ছে এখনই নিয়ে খাই। কেননা অনেকেই এগুলো ভাজি করলে কালো হয়ে যায়, কিন্তু আপনারটা খুব সুন্দর কালার এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এ দুটি খাবার সবার কাছেই অনেক পছন্দের, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বেগুনি ও আলুনি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার ৷ আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ৷ প্রতিটি ধাপ ধাপে ধাপে সাজিয়ে লিখেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি সুন্দর ভাবো আমাদের মাঝে প্রকাশ করার জন্য ৷অনেক অনেক শুভ কমনা রইল আপনার জন্য ৷
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার রেসিপির ধাপ এবং উপস্থাপনা খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে। আমরা এভাবেই তৈরি করি। আর বেগুনি ফুলকো না হলে ভালোই লাগে না। তেলের মধ্যে দিলে যখন ধীরে ধীরে ফুলে উঠে দেখতে দারুন লাগে। তবে আলুনী তৈরি বেশ মজাই লাগলো। কারন আমি এক্ষেত্রে পেঁয়াজ, গাজর এবং মরিচ দিয়ে তৈরি করে থাকি এগুলো খুব সুস্বাদু হয়।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।