চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ দিয়ে মজাদার কচু শাকের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ দিয়ে মজাদার কচু শাকের রেসিপি নিয়ে। কচু শাক আমার অনেক পছন্দের। দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া হয়না, কবে লাস্ট খেয়েছি তাও জানিনা।হঠাৎ করে খুব খেতে মন চাচ্ছিল। কিন্তু আমরা যেখানে থাকি সেখানে পাওয়া যায়না। আমার হাজব্যান্ড যখন বাংলাদেশে ছিল তখন হঠাৎ করে এই আইডিয়া মাথায় আসে, আসার সময় তাকে কচুশাক নিয়ে আসতে বলেছিলাম। অবশেষে কচুশাক বাংলাদেশ থেকে চলে এলো। আমি বাংলাদেশে যখন ছিলাম তখন ইলিশ মাছের কাটা ও মাথা দিয়ে এগুলো খেয়ে ছিলাম। সেই স্বাধ আমার মুখে এখনো লেগে আছে। কিন্তু আমি আজকে ইলিশ মাছ না দিয়ে চিংড়ি আর শুটকি মাছ দিয়ে রান্না করেছি। এভাবে সিলেট অঞ্চলের লোকেরা খেয়ে থাকে, এতে নাকি খুব স্বাদ। তাই আমিও ট্রাই করে দেখলাম।এই প্রথম রান্না করেছি সত্যিই খুবই মজার ছিল। আমি এখানে শীদল শুঁটকি ব্যবহার করেছি, সাথে নাগা মরিচ দিয়েছি। নাগা মরিচ আর এই শুঁটকি মাছের দারুন একটা ফ্লেভার থাকে যা এই রেসিপি কে আরও সুস্বাদু করে তুলে। আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কচু শাক | প্রায় ৫০০ গ্রাম |
চিংড়ি মাছ | ৩০০ গ্রাম |
শুঁটকি | ৪/৫ পিচ |
পিঁয়াজ | এক কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৪/৫ টি |
রসুন কুচি | ২ টেবিল চামচ |
নাগা মরিচ | ৩/৪ টি |
সয়াবিন তেল | ভাঁজার জন্য |
ধনেপাতা কুচি | হাফ কাপ |
কার্যপদ্ধতিঃ
![]() | ![]() |
---|
প্রথমেই কচুশাক গুলো ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রেখে দিয়েছি। এরপর পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, রসুন কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর শাকগুলো কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি এবং চিংড়ি মাছ গুলো ভালোভাবে বেছে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর শুটকি মাছ গুলো ভালোভাবে ধুয়ে বেছে পরিষ্কার করে নিয়েছি।এরপর একটি কড়াইতে তেল গরম করে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর রসুন গুলো দিয়ে দিয়েছি। রসুন গুলো হাল্কা ব্রাউন কালারের হলে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ দিয়ে কয়েক মিনিট অল্প আঁচে রেখে গলিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে সব মশলা গুলো দিয়ে মাখিয়ে শুটকি মাছ দিয়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর শাকগুলো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে মিডিয়াম আঁচে ৭/৮ মিনিট রেখে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর নাগা মরিচ (বোম্বাই মরিচ) দিয়ে আরো ৫/৬ মিনিট মিডিয়াম আঁচে রেখে দিয়েছি।
এরপর ধনেপাতা যোগ করে আমার রান্না শেষ করেছি। হয়ে গেল আমার চিংড়ি ও শুটকি মাছ দিয়ে মজাদার কচু শাকের রেসিপি।
পরিবেশনের জন্য এনেছি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR

বাংলাদেশের কচু শাক সুদূর লন্ডনের নিয়ে রেসিপি তৈরি করেছেন চিংড়ি এবং শুটকি মাছ দিয়ে। পরম যত্ন সহকারে রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে সেটাই মনে হচ্ছে। চিংড়ি মাছ দিয়ে কচু শাক খেয়েছি কিন্তু চিংড়ি এবং শুটকি একসাথে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে বেশ উৎসাহ পেলাম, বাসায় একদিন করে খাওয়া যাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আশা করি আপু ভালো আছেন? আজকে আপনি অত্যন্ত দুর্দান্ত রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে আমার আম্মা প্রায় সময় কচু শাক রান্না করা থাকে। কচু শাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে চোখের সমস্যা সমাধান কচুশাক বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া অত্যন্ত অসাধারণ হয়েছে আপু। আপনি খুব চমৎকারভাবে ধাপে ধাপে চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ দিয়ে মজাদার কচু শাকের রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুটকি দেওয়াতে মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার হয়েছে। এত দুর্দান্ত রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
মাঝে মাঝে কচুশাক খেতে মজা লাগে।আপনি বাংলাদেশ থেকে কচু শাক নিয়ে গেছেন।কচু শাক গুলো নষ্ট হয়নি।দেখতে তাজাই লাগছে।কচুশাক অনেকভাবে রান্না করে খেয়েছি।কিন্তু চিংড়ি ও শুটকি দিয়ে কখনোই খাওয়া হয় নি।আপনার রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুন হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মানুষ বাংলাদেশ থেকে কত কি নিয়ে যায় আর আপনি নিয়ে গিয়েছেন কচু শাক। খেতে ইচ্ছা করেছে বলে কথা । কচু শাক সব সময় ইলিশ মাছের মাথা এবং কাটা দিয়ে রান্না খেয়েছি। চিংড়ি দিয়ে কখনো রান্না খাইনি। আপনি চিংড়ির সঙ্গে আবার শুটকিও দিয়েছেন । আবার কচু শাকগুলোকে একবারে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছেন। সব মিলিয়ে রান্নার পুরো পদ্ধতি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
আসলে বাংলাদেশ থেকে কচু শাক নিয়ে গিয়ে রান্না করেছেন ব্যপারটা সত্যিই দারুণ ৷ কচু শাক এর প্রতি আপনার এমন টান দেখে বেশ অবাক লাগলো ৷ সাধারণত মানুষ অন্য সব জিনিস এক দেশ থেকে অন্য দেশে নিয়ে যায় ৷ আর আপনি কচু শাক , বেশ ভালো লাগলো ৷ আসলে কচু শাক আমারও বেশ পছন্দের একটি খাবার ৷ তবে চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ দিয়ে কচু শাক রান্না করলে এর স্বাদ আরো বেড়ে যায় ৷ ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
আপনার কচু শাকের রেসিপি দেখে আমারও খেতে ইচ্ছে করছে। তবে চাংড়ি দিয়ে খেয়েছি। কিন্তু শুটকি এবং মাছের সমন্বয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে দারুন মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে কচু শাক নিয়ে শুধুর লন্ডনে খেয়েছেন এটাই তো অনেক বড় সাধ। আমাদের সাথে এত সুন্দর চেংড়ি ও শুটকি দিয়ে কচু শাকের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
এইতো গত সপ্তাহে আমি কচু শাক খেয়েছিলাম। তবে সেটাতে চিংড়ির পরিমান অনেক কম ছিলো। বলতে গেলে আমার ভাগ্যে একটা চিংড়িও জোটেনি। আপনাদের ওখানেও কচু শাক পাওয়া যায়। অভাবনীয় ব্যাপার। এগুলো কি ওখানেই চাষ করে? নাকি ইম্পোর্ট করে আপু? রেসিপিটি মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে কারণ অনেক অনেক চিংড়ি সেখানে।
চিংড়ি মাছ ও শুটকি দিয়ে কচু শাকের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মধ্যে শেয়ার করলেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো।