কমিউনিটিতে আজ বড় শোকের একটি দিন
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
কিছু কিছু বিদায় মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়, কিন্তু তারপরও মেনে নিতে হয়।হ্যাঁ বন্ধুরা আপনারা ইতিমধ্যেই জেনেছেন আজ আমাদের কমিউনিটির প্রিয় দাদা তার প্রিয় কাছের একজন মানুষকে হারিয়েছেন।বাবা নামক মাথার সেই ছাতাটা আজ ভেঁঙ্গে গেল।আজ আর কেও তারমত এভাবে বিপদ-আপদে আগলে রাখতে পারবে না।এ যে কত কষ্ট যে বাবা হারিয়েছে শুধু সেই জানে।দাদার বাবার শরীর কিন্তু বেশ ভালই ছিলেন, অসুস্থ ছিলেন না। আগে কখনও দাদার মুখে শুনিনি তার বাবা অসুস্থ।তবে মাঝে মাঝে মায়ের অসুস্থতার কথা শুনেছি।গতকাল রাতে দাদার সাথে আমার কথা হয়েছিল। দাদা বললেন তার বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন হসপিটালে নিতে হবে। তো আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম কি হয়েছে? তখন বলেছিলেন সুগার লেভেল কমে গিয়েছে।তখন দাদা খুব টেনশনে ছিলেন। আমি তখন দাদাকে বললাম টেনশন করবেন না, ইনশাল্লাহ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন উনি।আমি ভেবেছিলাম সকালবেলায় উনি ঠিকই সুস্থ হয়ে উঠবেন।সুস্থ তিনি প্রায় হয়েই উঠেছিলেন, কিন্তু হঠাৎ করে হার্টের অ্যাটাক হয়। আর সেখানেই ঘটেছে অঘটন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এ ধরনের একটি খবর পাবো তা আমি কল্পনাও করিনি।
ঘুম থেকে উঠে সকালে মডারেশন প্যানেলে দাদার ওই কথাটি শুনে যেন কেঁপে উঠলাম। দাদা লিখেছিলেন তার সব শেষ, বাবা আর নেই😭।এই কথাটি শুনেই বুকের মধ্যে কেমন যেন একটি মোচড় দিয়ে উঠলো।কারণ এক বছর আগে আমি এভাবে মডারেশন প্যানেল থেকে আমার বাবার মৃত্যুর সংবাদটি প্রথমে পেয়েছিলাম।বাবা মারা যাওয়ার সাথে সাথেই সিয়াম ভাই মডারেশন প্যানেলে সকলকে বাবার মৃত্যুর খবরটি জানিয়েছিল।খবরটি জেনে আমার অবস্থা কেমন হয়েছিল তা শুধু আমিই জানি।এখনো আমার চোখে ভেসে উঠে ওই মেসেজটি।যখনই মনে পড়ে তখনই ওই মুহূর্তের কষ্টটি অনুভব করতে পারি।এই কষ্ট কখনোই ভোলার নয়।হয়তো সবকিছুই ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায় কিন্তু বুকের ভিতর যে একটি ক্ষত সৃষ্টি হয় তা আর কখনোই চলে যায় না।
মানুষ যখন দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকে, চলাফেরা করতে পারে না এবং বেঁচে থাকতেও যদি তার খুব কষ্ট হয় ওই মুহূর্তেও যদি কেও মারা যায় তখনও তার জন্য আমাদের খুব কষ্ট হয়, যদি সে আমাদের খুব কাছের একজন মানুষ হয়। কিন্তু যে মানুষ ভালো, কোন অসুখ বিসুখ কিচ্ছু নেই, সেই মানুষটা যদি হঠাৎ করে এভাবে চলে যায় তাহলে তা মেনে নেওয়া সবচেয়ে বেশি কষ্টকর একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।দাদার পরিবারেও ঘটেছে সেই ব্যাপারটি।ভালো মানুষটি গতকালও হাসিখুশি সকলের সাথে মিলেমিশে ছিলেন কিন্তু আজ চলে গেলেন ওপারে।এ ধরনের মৃত্যু গুলো আসলেই মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়, কিন্তু তারপরও মেনে নিতে হয়, কারণ এটিই জীবনের নিয়ম।জন্ম নিলেই মৃত্যু অবধারিত, এই চূড়ান্ত সত্যটি আমাদেরকে অবশ্যই মেনে নিতে হয়।
দাদার পোস্টগুলোতে তার বাবা সম্পর্কে আমরা সকলেই ইতিমধ্যে জেনেছি যিনি ছিলেন মহান উদার প্রকৃতির একজন মানুষ।অনেক সৎ ও ভালো মনের একজন মানুষ ছিলেন তিনি।দাদার মুখে শুনেছি মানুষটি নিজের ক্ষতি করে হলেও সব সময় অন্যের উপকার করার চেষ্টা করেছেন।এমন মানুষ কয়জন পাওয়া যায় এখনকার সমাজে? আর এই ভালো মানুষটির জন্য অবশ্যই মন থেকে অনেক অনেক দোয়া রইল যেন ওপারে তিনি ভালো থাকেন। সকলেই দাদার বাবার জন্য দোয়া করবেন।আর এই কঠিন মুহূর্তে আল্লাহর কাছে একটি মাত্র চাওয়া, যেন আল্লাহপাক দাদা ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করেন।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
আসলে মৃত্যু নিশ্চিত, তবুও মৃত্যু কে আমরা ভয় পাই।যাই হোক বাবা হচ্ছে বটবৃক্ষের মত,যার বাবা নাই তারাই বুঝে মাথার উপর থেকে ছাদ সরে যাওয়া কত কষ্ট। দাদার বাবার কথা এখানে সবাই কম বেশি জানি তিনি কত উদার মনের মানুষ ছিলেন।তিনি যেখানেই থাকুক খুব ভালো থাকুক।
মৃত্যু কখনো বলে আসে না।তবুও কিছু মৃত্যু এমন হঠাৎ করেই ঘটে তা মন থেকে মেনে নেওয়া যায় না।আসলেই দাদার বাবা খুবই ভালো মানুষ ছিলেন।কয়েক বছর আগে আমরা একসঙ্গে বসে কথা বলেছি তবুও মনে হচ্ছে এইতো সেদিন।মন কিছুতেই মানছে না যেন,তবুও এটাই হয়তো নিয়ম।আঙ্কেলের আত্মার শান্তি কামনা করছি মন থেকে।ঈশ্বর দাদার ও দাদার পরিবারকে ধৈর্য্য দান করুন এটাই কামনা করি।ধন্যবাদ আপু।
আসলে প্রতিটি জীব কেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তবে সেটা কিছু দিন বা পরে।আর এই মৃত্যু গুলো মেনে নিতে কেন জানি অনেক টা কষ্ট হয়ে পড়ে। আসলে দাদা আমাদের সকল কে অনেক হাসি খুশির মধ্যে রেখেছিল সবসময়, কিন্তু গতকাল আমরা দাদার এই শোকে একটু ও মুছে দিতে পারিনি। আমি মন থেকে দাদা এবং দাদার পরিবারের সকল সদস্যের জন্য দোয়া করি, তাদের কে যেন মহান সৃষ্টিকর্তা ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন।
আসলেই আপু সুস্থ একজন মানুষ যদি হঠাৎ করেই ছেড়ে চলে যায়, তাহলে তার থেকে বেশি কষ্ট আর কিছুতেই হতে পারে না। আর সেই মানুষটা এত কাছের হলে আরো বেশি কষ্ট হয়। দাদার বাবার মৃত্যুর খবরটা যখন পেয়েছিলাম সত্যি চোখে জল চলে এসেছিল। নিমিষেই শরীর স্থির হয়ে গিয়েছিল। দাদার বাবার সাথে কখনো কথা হয়নি দেখা হয়নি। কিন্তু মনে হচ্ছে তিনি আমাদের কতই না আপন এবং কাছের একজন মানুষ। হয়তো উনার সাথে অনেক দেখা হয়েছে এরকম মনে হচ্ছে। দাদার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করছি। আর এটাও কামনা করি যেন, সৃষ্টিকর্তা দাদার ফ্যামিলিকে ধৈর্য ধরার ক্ষমতা দেয়।
আসলেই, ভালো মানুষগুলো এভাবেই হঠাৎ করে চলে যায়, আর তাদের চলে যাওয়াটা মেনে নিতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। ওনার স্বর্গীয় আত্মার শান্তি কামনা করছি আমরা।
মৃত্যু চিরন্তন, চির সত্য। তবুও কিছু মৃত্যু কে মেনে নেওয়া যায় না। যায় না সেই কষ্ট গুলো সহ্য করা। আমিও পারিনি আমার বাবার মৃত্যু টাকে মেনে নিতে। তাই বেশ কাছ থেকেই দাদার কষ্টটুকু অনুভব করতে পারছি। আমরা সত্যি কমিউনিটির পুরো পরিবার ভারাক্রান্ত। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে মানুষের কখন মৃত্যু হবে সেটা কেউ বলতে পারে না। হ্যাঁ একটা অসুস্থ মানুষ যদি মৃত্যুবরণ করেন সেক্ষেত্রে নিজের মনকে সান্তনা দেওয়া যায় তবে যদি স্বাভাবিক একজন সুস্থ মানুষ হঠাৎ করে মৃত্যুবরণ করে তাহলে সেটা বেশি বেদনা দেয় যাই হোক তার জন্য দোয়া রইল।
গতকাল কমিউনিটির জন্য আসলেই একটি দুঃখের দিন ছিল।দুপুরের দিকে নিউজটি দেখতে পেয়ে অনেক খারাপ লাগলো।দাদা তার নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষ হারিয়ে ফেললেন।যতই শান্তনা দেওয়া হোক না কেন যার হারাই সেই আসলে বুঝে আপনজন হারানোর দুঃখ।দাদার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু এরকম মৃত্যু গুলো মেনে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে বাবা নামক মানুষটি যখন জীবন থেকে হারিয়ে যায় তখন জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। মাথার উপর বাবা আছেন বলে এখনো বাবা নামক বট বৃক্ষের ছায়া খুঁজে পাই। আপনার কষ্টটা বুঝতে পারছি আপু। আপু আপনি নিজের বাবাকে হারিয়েছেন বলে দাদার কষ্টটা আরো বেশি বুঝতে পারছেন। সব সময় চাই আমাদের কাছের মানুষগুলো যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক।
ভালো মানুষগুলো হঠাৎ করেই চলে যায়। আর এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। যখনই শুনেছিলাম দাদার আব্বুর কথাটা তখন নিমিষেই শরীর ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। সবকিছু যেন অন্যরকম লাগছিল। মনে হচ্ছিল সবকিছুই ভুল। কিন্তু বাস্তবতা তো এটাই। আর এটি আমাদেরকে মেনে নিতেই হবে। মানুষ এই পৃথিবীতে সারা জীবন বেঁচে থাকে না। দাদার বাবার স্বর্গীয় আত্মার শান্তি কামনা করি। এই সময় দাদার পুরো ফ্যামিলির অবস্থা কি রকম এগুলো ভাবতেই খারাপ লাগতেছে অনেক বেশি। উনাদেরকে ধৈর্য ধরার ক্ষমতা যেন সৃষ্টি করতে দেয়।