হঠাৎ করে মেয়ের স্কুল থেকে ফোন এবং নিজেও একটু অসুস্থ
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।দুদিন ধরে শরীরটা একটু খারাপ, প্রচন্ড মাথা ব্যথা হচ্ছে মোবাইল ধরলেই। প্রচুর ঘুম হচ্ছে, তারপরও মাথা ব্যথা কমছে না। মাঝে মাঝে এমন হয় তখন ঘুম একটু বেশি হলে ঠিক হয়ে যায় কিন্তু এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের পরও মাথা ব্যথা কমছে না।দিনের বেলায় ঠিক থাকে কারন দিনের বেলায় মোবাইল খুব কম ইউজ হয়, রাত হলে বেড়ে যায়।কারন স্টিমিটের সকল কাজ রাতের বেলায় করি, দিনের বেলায় কোন সময় হয়না।শরীর ও মন কোনটিও ভালো নয় কারন হঠাৎ করে আবার বড় মেয়েটিরও শরীর খারাপ।
সকালে ফজরের নামাজ পড়ে আর ঘুমাই না, বাচ্চাদেরকে স্কুলের জন্য রেডি করে দিয়ে আবার ঘুমিয়ে যাই। ওয়েদার চেঞ্জ হয়েছে তাই বাচ্চা দুটির সর্দি সর্দি ভাব এসেছে,একটু অশান্তিও করছিল। আসলে সর্দি লাগলে বড়দেরই খারাপ লাগে, ওরা তো বাচ্চা খারাপ তো ওদের লাগবেই। যাইহোক ঘুম থেকে উঠে যখন নাস্তা বানাতে যাই তখন হঠাৎ করে স্কুল থেকে ফোন আসে।মোবাইলে স্কুলের নাম দেখেই আমার একটু ভয় লেগে গিয়েছিল,কারণ স্কুলে কোন প্রবলেম না হলে বাসায় ফোন আসে না। দ্রুত ফোন রিসিভ করি।এরপর বলে আমার বড় মেয়ের শরীর খারাপ, পেটে খুব ব্যথা করছে। আমরা তাকে স্কুল থেকে এখন পিক আপ করতে পারব কিনা? এরপর তাকে বললাম আধাঘন্টার মধ্যেই আমরা আসছি পিক আপ করতে। এরপর নাস্তা করেই মেয়ের বাবাকে পাঠিয়ে দিলাম মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে আসার জন্য।
বড় মেয়ের একটু এলার্জির ভাব রয়েছে তাই একটু সর্দি লাগলেই পেটে ব্যথা আর বমি হয়, সাথে কাশি ও থাকে। এ কারণে তাকে সবসময়ই ওষুধ খেতে হয় এলার্জির। এরপর ওর বাবা স্কুল থেকে ওকে নিয়ে আসে।এসেই বলছে অনেক পেটে ব্যথা।এরপর ধীরে ধীরে ব্যথা কমতে থাকে। এখন আল্লাহর অশেষ রহমতে মোটামুটি ভালই আছে, আর পেটে ব্যথা হয়নি, আশা করি কালকে স্কুলে যেতে পারবে।
আর আমার এখন বড় প্রবলেম হচ্ছে মোবাইল, কারণ বেশি মোবাইল ব্যবহার করলে মাথায় ব্যথা শুরু হয়। আপনারা হয়তো ভাবছেন কেন ডক্টরের কাছে যাই না। ডক্টরের কাছে গিয়েছিলাম, এই প্রবলেমটা আমার অনেক আগের। ইংল্যান্ডে আসার পরপরই ডাক্তার দেখিয়েছিলাম।ডক্টর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর রেজাল্ট দিয়েছিল রেডিয়েশন এর প্রব্লেম। প্রতি 1000 জনের মধ্যে একজন করে এই রোগে ভোগে, আমিও সেই দলে। এই রোগ হলে মাথায় ব্যথা সহ কানে ও গলায় ব্যথা হয়। আর আমি কখনোই কোন ফোন কানে ব্যবহার করতে পারি না, সব সময় স্পিকার অন করে কথা বলি যত দরকারিই হোক না কেন। কারন একবার কানে দিলেই ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। শুধু টেলিফোনই নয়, যে কোন ডিভাইস যেগুলো রেডিয়েশন ছড়ায় সেগুলোও অনেক ক্ষতি করে। এই রোগের কোন ওষুধও নেই, শুধু এসব ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। তাই অনেক চিন্তায় পড়ে গিয়েছি হয়তো স্টিমিট এ আর দীর্ঘদিন কাজ করতে পারবনা। সত্যি আমার বাংলা ব্লগে এতদিন কাজ করার পর এখন যদি হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কিভাবে আমার দিন কাটবে সেই চিন্তা করেই অস্থির। আমার বাংলা ব্লগ আমার একটি পরিবার,এই পরিবারের সাথে একান্তই মিশে গিয়েছি।😭 এখন ডক্টরের কাছে গিয়ে কোন লাভ নেই, ডক্টরের কাছে গেলেই বলবে ডিভাইস থেকে দূরে থাকতে। এতদিন মাঝে মাঝে অল্প অল্প হতো, কিন্তু এই দুইদিন খুব বেশি প্রবলেম করছে। গতকাল রাতে এত ব্যথা হয়েছিল মনে হচ্ছিল যে সেন্সলেস হয়ে যাব। তাই সাথে সাথে দুটি প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলি, এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
যাই হোক এখন থেকে চেষ্টা করবো মোবাইলের ব্যবহারটা অনেক কমিয়ে নিয়ে আসতে।এরপরও যদি ঠিক না হয় তাহলে কি আর করা সবাইকে ছেড়ে তখন বিদায় নিতে হবে।সবাই দোয়া করবেন যেন এই রোগ থেকে শীঘ্রই মুক্তি লাভ করি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার ব্লগের শিরোনামটা দেখে চমকে উঠেছিলাম। কারণ বাচ্চারা যখন স্কুলে আছে তখন যে কোন সমস্যা হতেই পারে। অসুস্থ হলে বুঝা যায় কষ্টটা কেমন। আমারও বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর সর্দি লেগেই আছে। তবে আপনার অসুস্থতার কথা শুনে বেশি খারাপ লাগছে। মোবাইল ফোনে রেডিশনের কারণে আপনার যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং আমাদেরকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন খুবই খারাপ লাগছে। দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে তাড়াতাড়ি সুস্থতা দান করুক।
পুরনো প্রবলেমটা আবারো শুরু হয়েছে। আপনার কানের সমস্যা তো ছিল এখন চোখেরও সমস্যা হয়ে যাচ্ছে এই মোবাইল দেখতে দেখতে। আমারও মোবাইলে কাজ করতে করতে চোখের পওয়ার অনেক বেড়ে গিয়েছে মাথাব্যথা বেশি সমস্যা করলে কিছুদিন ছুটি নিতে পারেন। আশা করি ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা এই ব্লগ ছেড়ে বেশিক্ষণ দূরে থাকা যায় না। ঘুরে ফিরে কোন না কোন ভাবে মোবাইল হাতে চলেই আসে। ব্লগে কি হচ্ছে দেখার জন্য। মানহার শরীর এখন ভালো জেনে ভালো লাগলো। দোয়া রইল আপনাদের জন্য।
হ্যাঁ আপু সবাই খুব অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে ওয়াদার চেঞ্জ হওয়ার কারণে।আমারও আপনার মত একই সমস্যা। দিনের বেলায় কাজ করতে পারি না রাতে হাতে মোবাইল নিলে মাথা ব্যাথা চোখ ব্যাথা শুরু হয়ে যায়।আমাদের বাসায়ও সবাই অসুস্থ পেট ব্যাথা,বমি,জ্বর সব একসাথে। কি অবস্থা একটা শুরু হয়ে গেল দেশের মধ্যে বুঝতেছিনা।ভালো থাকবেন আপু। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। শরীরের যত্ন নিবেন।
আপু আপনার মত আমিও মাথা ব্যাথার সমস্যায় ভুগছি। যেদিন মোবাইল একটু বেশি টিপা হয় সেদিন আমার মাথা ব্যথা বেড়ে যায়। আমার মাথা ব্যথার সাথে ডান পাশ গলা হাত ঘাড় সব ব্যথা করে। আমাকেও ডাক্তার বলেছে এই ধরনের ডিভাইস থেকে দূরে থাকতে। তবে আমার থেকে আপনার সমস্যাটা মনে হচ্ছে একটু বেশি মারাত্মক। আপু যেহেতু আপনি আমাদের সাথে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তাই হঠাৎ করে ছেড়ে যেতে খারাপ লাগবে। কিন্তু সবার আগে আপনার সুস্থতা কারণ নিজের শরীরে যদি সুস্থ না থাকে তাহলে কোন কিছুই ঠিক থাকবে না। তাই আমি মনে করি আপনার শরীরের জন্য যেটা ভালো হবে সেটা করাই উচিত।
আমি নিজেও হেড ফোন ব্যবহার করতে পারিনা। সমস্যা হয়+বিরক্ত লাগে। আপনার এবং বাচ্চাদের সুস্থতা কামনা করছি।
প্রথমে আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করছি আপু, আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন। তবে রেডিয়েশনের বিষয়টা আমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়। কমিউনিটির অনেক কাজ থাকে এছাড়াও আমাদের বেশির ভাগ ক্লাস অনলাইনে হয়ে থাকে তাই মোবাইল ফোন ছাড়তে পারি না। এর জন্য আমার মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা হয় এবং অনেক সমস্যা হয়। চোখের সমস্যা হয়ে গিয়েছে তাই তো গ্লাস পরতে হয়। গ্লাস না থাকলেই মাথাব্যথা শুরু করে, চোখ দিয়ে পানি পড়া শুরু করে। সত্যি বলতে জীবনটা কেন জানি এ রকমই হয়ে গেছে। তারপর ও আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করছি আপু।।।
প্রথমে আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করি। আসলে এ সময় সিজন পরিবর্তন তাই, বেশির ভাগ বাচ্চাদের সর্দি ও কাশি লেগেই আছে। সত্যিই তো হঠাৎ করে স্কুল থেকে ফোন আসলে ভয়টা বেশি কাজ করে। আপনি ও আপাতত একটু রেস্টে থাকুন ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। যাইহোক আপনার মেয়ে এখন ভালো আছে, স্কুলে যেতে পারবে জেনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।তবে আপনার অসুস্থতার কারন অন্য জেনে বেশ খারাপ লাগলো আপু।আমি এই রোগ সম্পর্কে প্রথম জানলাম ফলে কোনো ধারণা নেই।তবে এই রোগের চিকিৎসা নেই কোনো এটা জেনে বিস্মিত হলাম।আমার মনে হয় ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখাই বড়ো চিকিৎসা আপু।আগে নিজের জীবন বাঁচানো,পরে কাজ।শুভকামনা রইলো আপনার পরিবারের জন্য।
সিজন পরিবর্তনের জন্য আমি নিজেও ভীষণ পরিমাণে ভুগছি ঠান্ডা কাশিতে। আজকে তো রীতিমতো কথাই বলতে পারছি না গলা এতটাই ভেঙে গেছে। প্রার্থনা করি আপনারা সবাই যেন সুস্থ থাকেন এবং ভালো থাকেন। আর সত্যি বলতে আপু মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে কিছুদিন আগে আমি নিজেও অনেক ধরনের প্রবলেমে ভুগছিলাম। রাতে ঠিকমত ঘুম হতো না। চোখে ভীষণ জ্বালাতন করতো। আমি নিজেও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আস্তে আস্তে একটু দূরে সরে যাব। ইদানিং একটু আরামে আছি। তাই কন্টিনিউ করছি। তবে আপু সত্যি বলতে এই পরিবার ছেড়ে দূরে যাওয়া একদমই সম্ভব নয়। তাই বলবো একদম পুরোপুরি ছেড়ে যাওয়ার কথা না ভেবে কিভাবে বিকল্প উপায়ে কাজের প্রেসার গুলো কমানো যায় সেটা একবার ভেবে দেখবেন।
বিষয়টা জেনে খুব খারাপ লাগলো আপু,দোয়া করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
কিছুদিন নাহয় রেস্ট নিন,তারপর ইনশাল্লাহ সেরে যাবেন।
দোয়া ও ভালোবাসা অফুরান।