দীর্ঘদিন পর মুড়ির স্বাদ গ্রহণ, সাথে একটি রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। দীর্ঘদিন পর প্রায় এক বছর পর আজকে মুড়ি খাওয়ার স্বাদ গ্রহণ করলাম। এক বছর আগে যখন বাংলাদেশে গিয়েছিলাম তখন মুড়ি মসলা খেয়েছিলাম, এরপর আর খাওয়া হয়নি। হাসব্যান্ড হঠাৎ করে গতকাল মুড়ি কিনে এনেছিল। এই মুড়ি দেখে ছোটবেলার মুড়ি খাওয়ার অনেক কথা মনে পড়ে গেল। মুড়ি আমার খুবই পছন্দের ছিল। গরম গরম ভাজা মুড়ি খাওয়ার স্বাদই ছিল আলাদা। ছোটবেলায় মুড়ি খেয়েছি চা দিয়ে ভিজিয়ে, টাটকা খেঁজুরের রসের মধ্যে দিয়ে, নারিকেল ও চিনি দিয়ে, কতভাবেই না খেয়েছি। আর রোজা হলে তো কথাই নেই, মুড়ি মাস্ট থাকবে।ভোনা ছোলার সাথে মুড়ি খাওয়ার মজাই ছিল আলাদা। কিন্তু লন্ডনে আসার পর আর কখনো রোজার সময় মুড়ি খাওয়া হয়নি।কারন এখানে কেউ ইফতারের সময় মুড়ি খায়না।অবশ্য আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ঝাল মুড়ি যা চোখের সামনে পড়লে অবশ্যই খেতে হবে। কিন্তু এদেশে কোথাও ঝালমুড়ি বিক্রি হয়না, তাই ভেবেছি একদিন ঝাল মুড়ি বানিয়ে মজা করে খাব আর আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যাই হোক আজকে আপনাদের সাথে একটি মুড়ি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি হয়তো অনেকেই আপনারা জানেন, যারা জানেন না তাদের জন্য আমার এই রেসিপিটি। রেসিপিটি আমার আম্মার কাছ থেকে শিখে ছিলাম।আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মুড়ি | ৪০০ গ্রাম |
রসুন কুচি | ১ কাপ |
মরিচ কুচি | হাফ কাপ |
লবন | স্বাদমতো |
সয়াবিন তেল | ৩টেবিল চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
![]() | ![]() |
---|
প্রথমেই মুড়িগুলো চেলে নিয়েছি কারণ এতে অনেক বালু থাকে।
![]() | ![]() |
---|
এরপর রসুন ও কাঁচামরিচ কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।এরপর একটি হাঁড়িতে তেল গরম নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর রসুন কাঁচা মরিচ ও লবণ দিয়ে হালকা বাদামী বর্ণের করে ভেজে নিয়েছি।এরপর মুড়িগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর মসলার মধ্যে মুড়ি গুলো দিয়ে অল্প আঁচে ৭/৮ মিনিট ভালোভাবে নেড়ে নিয়েছি।এরপর যখন ক্রিস্পি হবে তখন নামিয়ে নিতে হবে।
অবসর সময়ে বসে বসে খেতে দারুন মজা।
এরপর খাওয়ার পর বাকিগুলো একটি এয়ারটাইট বক্সে রেখে দিয়েছি।এভাবে প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন রেখে দেওয়া যাবে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
গত পর্শু রাতে আমরা তিনজন ফ্রেন্ড মিলে অবশ্য এভাবে মুড়ি মাখা খেয়েছিলাম।আড্ডা জমাতে মুড়ি মাখার বিকল্প নেই।
সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন, শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু মুড়ি প্রতিদিনের নাস্তা ৷ আর গ্রামে তো নিজের হাত ভাজা দেশী মুড়ি কি যে স্বাদ ৷ আর শীতের দিনে তো খেজুরের রস দিয়ে খাওয়া আহা!!! এছাড়া তেল গুড় পিয়াজ দিয়ে মাখা দারুন দারুন ৷
যা হোক আপনি এক বছর পর মুড়ি খাচ্ছেন যা শুনেই ভালো লাগলো ৷ মুড়ি মাখার ধাপ গুলো অনেক ভালো ছিল ৷ তবে ঝালমুড়ি অনেক টেষ্টি হয়৷
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
বাংলাদেশে তো রোজার সময় মুড়ি ছাড়া চলেই না,প্রতিদিন ইফতারিতে মুড়ি লাগবেই। আমার কাছেও ঝাল মুড়ি বেশ ভালো লাগে।আমাদের বাংলাদেশে প্রায় সব ঘরে কম বেশি মুড়ি থাকেই, যাই হোক এভাবে শুধু রসুন কুঁচি আর পেয়াজ কুঁচি দিয়ে গরম মুড়ি খাওয়া হয়নি তবে সাথে মাংসের ঝোল দিয়ে খাওয়া হয়েছে। যদিও সংরক্ষণ করা যায় না।
ভালো লাগলো আপু।ধন্যবাদ
এভাবে একদিন বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আপু, আসলেই অনেক মজা, ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছে তো রমজান মাসে ইফতারের আগে মুড়ি খাওয়া সবচেয়ে বেশি মজা লাগে। লন্ডনে হয়তো ইফতারের সময় ফল বেশি খাওয়া হয়।যাই রসুন, মরিচ কেটে গরম তেলে ভাজি করে খেতে অনেক মজা লাগে। আমাদের বাসায় মুড়ি অনেক দিন ঘরে রাখার পরে যখন নরম হয়ে যায় তখন সেটা দিয়ে এই রেসিপি তৈরি করা হয়। সত্যি খেতে অনেক মজা লাগে।
শুধু ফল না, ফলের সাথে অনেক ভারি ভারি খাবার থাকে।কারণ রাতের বেলা আর খাওয়া হয়না, একসঙ্গে সেহরির সময় খাওয়া হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপনি যেভাবে মুড়ি বানিয়েছেন এভাবে আমাদের ফ্যামিলিতে ও বানায়।যদিও আগে কখনো জানতাম না এভাবে মুড়ি বানানো যায়।তবে আমার স্ত্রী আমাদের বাড়িতে আসার পর থেকেই, এই রকম মুড়ি বানানো খেয়েছি,যেটি খুবই সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আমার হাজবেন্ডের মত, সেও আগে কোনদিন এভাবে খায়নি। আমার কাছ থেকেই প্রথম খেয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আপু গরম গরম মুড়ির স্বাদ অন্যরকম ৷ আর ঝাল মুড়ি স্বাদ তো আরো অন্যরকম ৷ যাই হোক এক বছর পর আজ মুড়ি মাখা খেলেন জেনে ভালো লাগলো ৷ আসলে আমরা প্রায় এমন ভাবে মুড়ি মাখা তৈরি করি ৷ খেতে ভালোই লাগে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মুড়ি মাখা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
শীতের বেলায় সকালে মুড়ি না খেলে তো চলেই না। মুড়ি কতভাবে খাওয়া যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের গণমানুষের প্রসিদ্ধ খাবার বলা চলে মুড়ি! রোযা আসলে মাস্ট ইফতারে থাকতে হবে মুড়ি! যাক দীর্ঘ এক বছর পর মুড়ি খাওয়ার স্বাদ নিলেন আপু। সাথে একটা মুড়ির রেসিপি দেখতে পেলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
খেজুরের রস দিয়েছে মুড়ি খাওয়া যায় এটা আজকে আপনার মাধ্যমে প্রথম জানতে পারলাম। আর হ্যাঁ রোজার সময় সবাই তো ভুনা ছোলা আর মুড়ি পছন্দ করে। আমার আমার কাছেও ভুনা ছোলা দিয়ে মুড়ি মাখা খেতে অনেক ভালো লাগে। যাইহোক আপনি অনেকদিন পরে হলেও মুড়ির স্বাদ নিতে পেরেছে যেন ভালো লাগলো। আপনার মুড়ি মাখানোর রেসিপিটি আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন মনে হয়েছে। কারণ আমি কখনো কাউকে এভাবে মুড়ি মাখাতে দেখিনি। তবে অন্যভাবে মুড়ি মাখিয়ে খেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর মুড়ি মাখার রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একবার মাখিয়ে খেয়ে দেখবেন, সত্যিই অনেক মজার, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু কেমন আছেন আপনি?? আপনার মত আমিও মুড়ি খুব পছন্দ করি। তাই মুড়ি আপনার বলার সব রকমেরই খাওয়ার চেষ্টা করেছি। রোজায় তো মুড়ি, ছোলা ভুনা নামাজ পড়ে খাওয়া হয়। আর আপনার এই রেসিপিটিও আমি করি। এই মুড়ি ভাজা বেশ মচমচে হয়।যখন বৃষ্টি নামে তখন এই মুড়ি ভাজা দারুন লাগে। আপনার রেসিপিটি খুব লোভনীয় হয়েছে।আর ঠিক বন্ধ করে বক্সে রাখলে ১৫/২০ দিন রেখে খাওয়া যাবে।ধন্যবাদ আপু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু বৃষ্টির সময় আরও বেশি মজা লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই আপু ঝালমুড়ি দেখলে আমারও খুব খেতে ইচ্ছে করে এবং আমি প্রায় সময়ই খেয়ে থাকি। আমি যখন দক্ষিণ কোরিয়াতে ছিলাম, তখন ঝালমুড়ি খেতে ইচ্ছে করলে মাঝেমধ্যে বাসায় বানিয়ে খেতাম। কারণ সেখানেও ঝালমুড়ি পাওয়া যেত না। তখন আমাদের দেশের স্ট্রিট ফুডগুলো খুব মিস করতাম। যাইহোক আপনার রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। যখন ঝালমুড়ি খেতে ইচ্ছে করবে, তখন এই রেসিপিটা তৈরি করে খেতে পারবেন।