চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয়
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে চন্দননগরে ঠাকুর দেখার কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ কথাতেই আছে। আর তার মধ্যে বাঙ্গালীদের প্রধান উৎসব হলো দুর্গাপূজো ।এই পুজোর জন্য কিন্তু প্রত্যেক বাঙালি একটা বছর অপেক্ষা করে থাকে ।আর যখনই দুর্গাপূজা শেষ হয় তার সাথে লক্ষ্মীপূজো শুরু হয়, লক্ষীপূজোর ঠিক ১৪ দিন পরেই শুরু হয় কালী পুজো আর কালী পুজোর কিছুদিন পরেই হয় জগদ্ধাত্রী পুজো ।জগদ্ধাত্রী পূজার জন্য চন্দননগর খুবই বিখ্যাত এটা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন, তার সাথে সুন্দর সুন্দর লাইটিং দেখার জন্যও চন্দননগরে বহু মানুষ ভিড় করে ।ঠিক যেমনটা কলকাতায় দুর্গাপুজোর জন্য ভিড় হয় ঠিক তেমনভাবে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর তার সাথে লাইটিং দেখার জন্য ভিড় হয় ।এই বছর আমি চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে গিয়েছিলাম কিন্তু সেটা খুব আচমকাই যাওয়া এই কথাটা বললাম এই কারণেই কোনো প্ল্যান প্রোগ্রাম ছিলই না সেখানে যাওয়ার, কিন্তু একটা ইচ্ছে ছিল মনে মনে যদি যেতে পারতাম তাহলে খুব ভালো লাগতো।ভাবতেই পারিনি যে ওখানে এ বছর আমি যেতে পারবো। হঠাৎ করেই যেদিন ঠাকুর দেখতে যাব তার আগের দিন তনুজাদির সাথে কথা হচ্ছিল , কথায় কথায় আমার চন্দননগর যাওয়ার ইচ্ছের কথাটা বলতেই , কথাটা রাখার জন্য দাদার সাথে কথা বলে তারপরের দিনই ঠিক করে যে চন্দননগর যাব আমি যে তাতে কি খুশি হয়েছি ,তা আমি সত্যি সত্যি বলে বোঝাতে পারবো না।
আগের সপ্তাহে মঙ্গলবার অর্থাৎ জগদ্ধাত্রী পূজা অষ্টমীর দিন আমরা চন্দননগর গেছিলাম,ভেবেছিলাম দুটোর সময় বেরোবো কিন্তু বেরোতে বেরোতে তিনটে বেজে গেল যথারীতি আমরা পাঁচটার মধ্যে চন্দননগর পৌছালাম। অলরেডি তখন ভিড় হতে সবে শুরু করেছে ,তার মধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি ভালো ভালো মণ্ডপে গেছিলাম ।সত্যি কথা বলতে চন্দননগরের প্রত্যেকটি ঠাকুর খুব সুন্দর হয় আমার কাছে তো প্রত্যেকটি মায়ের রুপ ভীষণ ভালো লাগে।
প্রথমেই আমরা গেলাম মানকুন্ডু সার্বজনীনে এ বছর ৫৬ তম বর্ষে পা দিল আর এবারে থিম হয়েছিল বোধোদয় অর্থাৎ পুরো প্যান্ডেলটি বর্তমান সময়ে মানুষ যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে তার থেকে বোধোদয় ঘটানোর প্রয়াস। সেই থিমকে ফুটিয়ে তোলার জন্য একটি ধাতুর তৈরি বিশাল আকৃতির মানুষের মুখ রাখা হয়েছে মন্ডপের সামনে। একইসঙ্গে একটি বিশাল আকৃতির ঘড়ি রাখা হয়েছে যার মধ্যে ফেসবুক, টুইটার ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এর মতন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলিকেও তুলে ধরা হয়েছে । মানুষ তার জীবনের কতটা সময় ব্যয় করছে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলিতে তারই প্রতিরূপ স্বরূপ এ বছরের মণ্ডপসজ্জা দেখানো হয়েছে ।
তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে হালকা কিছু খেয়ে আবার ঠাকুর দেখতে শুরু করলাম কারন আমাদের খুব তাড়াতাড়ি ফিরতে হতো। এরপর ওই মণ্ডপের কাছাকাছি কয়েকটি ঠাকুর দেখলাম সেটি বিশেষত ছোটো একটা প্যান্ডেলের মধ্যে খুব সুন্দর একটি থিম করেছে যেটা হলো বিখ্যাত গায়ক শিল্পীদের নিয়ে পুরো প্যান্ডেলটি সাজানো হয়েছে ।তাছাড়া এখানকার এই মণ্ডপে ঢোকার আগে যে সকল লাইটিং গুলো দিয়ে সাজানো হয়েছে তা এক কথায় দারুন এবং দেখার মতো।
এরপরে আরো অনেকগুলো ঠাকুর দেখেছি তা আমি আপনাদের সাথে পরের পর্বে ভাগ করে নেবো।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ কথাটি একদম ঠিক বলেছেন দিদি, একের পর এক উৎসব লেগেই থাকে তাই মন খারাপ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। জগদ্ধাত্রী পুজো আমাদের এখানে খুব একটা হয়না,হাতে গোনা কয়েকটা পুজো হয়, একবার পুজো দেখতে গেছিলাম তারপর আর কখনো যাওয়া হয়নি। তনুজা বৌদিকে মনের কথা বলার সাথে সাথে বৌদি আপনার মনের ইচ্ছে পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিলো এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো।দিদি আপনাদের সম্পর্ক গুলো সারাজীবন যেনো এইরকমই থাকে সেই প্রার্থনা করি। চন্দননগরের পুজো যে অনেক নাম করা তা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে, মণ্ডপের সামনে মানুষের মুখের আকৃতি ভাস্কর্য টি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে সেই সাথে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট গুলো তুলে ধরা হয়েছে,সবমিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দিদি,তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দিদি।
আশা করি দিদি, ভালো আছেন? আজকে আপনি চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় কিছু চমৎকার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে রংবেরং এর বিভিন্ন আলোকসজ্জার সৌন্দর্য চোখে পড়ার মতোন। প্রতিমা গুলো দেখতে অনেক অসাধারণ লাগছে। অনেক সুন্দর করে নিখুঁতভাবে কারুকাজের সাহায্যে প্রতিমা গুলো তৈরি করা হয়েছে। দিদি নিশ্চয় পূজাতে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন দিদি।
আসলেই দিদি বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ ৷ তবে তনুজা বৌদিকে আপনার মনের কথা বলার সাথে সাথে জগদ্ধাত্রী পূজার যেতে রাজি হয়েছে জেনে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো ৷ আসলে হঠাৎ করে কোনো ইচ্ছে পূরন হলে অনেক ভালো লাগে ৷ আপনার জগদ্ধাত্রী পূজার জন্য চন্দননগর যাওয়ার ইচ্ছে আচমকাই পূরণ হলো জেনে বেশ ভালো লাগলো ৷ তবে চন্দননগরের পুজো যে অনেক নাম করা তা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে ৷ বেশ আলোকসজ্জার সাজানো পরিবেশটা দেখে বেশ ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে দুরুণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য দিদি ৷
বেশ কয়েক বছর ধরে যাব যাব করছি কিন্তু এখন অব্দি চন্দননগরের পুজো দেখার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি। তবে তোমার তো ভাগ্য ভালো, তুমি আচমকা হলেও, দেখে তো এসেছো পূজা। যাইহোক তোমার মাধ্যমে দেখে নিলাম কিছু ঠাকুর।আর ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।
এবার বুঝলাম চন্দননগর যাওয়ার বিষটি অর্থাৎ মূল কারণ।ভালোই হলো কিন্তু,আপনার ইচ্ছের কারণেই সবার ঘুরাও হয়ে গেলো বেশ মজা করে।
দিদি নমস্কার
জি দিদি আমাদের হিন্দু ধর্মীয় বারো মাসে তেরো পার্বন ৷ অর্থাৎ প্রতি মাসে একটি করে হলেও পুজো হয় ৷ তবে ইন্ডিয়া সব পুজো বেশ আনন্দের সাথে পালিত হলেও ৷ বাংলাদেশ শুধু দূর্গাপুজো ছাড়া বাকি পুজো গুলোতে খুব একটা আমেজ নেই ৷ যা হোক বৌদি সহ সবাই মিলে গিয়েছেন তার সাথে প্রতিটি ছবি ছিল মনের মতো ৷ আর একটা বিষয় কি ঠাকুর গুলোর ছবির চেয়ে তার সাথে ব্যাক রাউন্ড ছবি গুলো অসাধারণ ৷
ধন্যবাদ দিদি ৷
মানকুন্ডু সার্বজনীনের ঠাকুর এবং পুজোর কনসেপ্ট টা আমআর খুব ভালো লেগেছে। মানুষের উদ্বেগ নিয়ে এত ভালো একটা থিম, ভাবাবে সকলকে। তোমার পরবর্তী পোস্টগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
ঐ দিন দুপুরে যখন মডারেটর প্যানেলে কথা হচ্ছিল, বড় দাদা তখনি জানিয়েছিলেন চন্দননগড়ে যাওয়ার কথা, তবে এতো জমকালো ভাবে পুজা অনুষ্ঠানটি যে উপভোগ করেছেন দিদি, তা কিন্তু আজকের আপনার লেখা না পড়লে, অজানাই থেকে যেত।
প্রতিটা পূজোয় এত ধুমধাম করে উদযাপন করা হয় এই ব্যাপার গুলো দেখেই যেন অদ্ভুত একটা শান্তি পাই দিদি। যাক সবাই মিলে বেশ ঘোরাঘুরি হয়েছে দেখছি। আর সত্যি বলতে মায়ের মুখ সব প্যান্ডেলেই এত অপূর্ব লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না 🙏। আমার তো অনেক দিনের যাওয়ার ইচ্ছে মায়ের পুজোতে মায়ের কাছে যাওয়ার। দেখি মা কবে নিয়ে যান। 🙏🙏। খুব ভালো লাগলো পোস্ট টা দেখে।