মুগ ডাল দিয়ে ঝিঙে ঘণ্ট রেসিপি//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁককে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।মুগ ডাল দিয়ে ঝিঙে ঘণ্ট, খুবই সুস্বাদু একটি ভেজ রেসিপি।পুষ্টিতে ভরপুর খাদ্যের মধ্যে অন্যতম হল মুগ ডাল। এর মধ্যে থাকা প্রোটিন যেমন ওজন কমায় তেমনই শরীরে রক্ত সঞ্চালনের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে।এছাড়া নিরামিষের সুপার ফুড বলা হয় মুগডালকে।তাই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে মুগ ডাল দিয়ে ঝিঙে ঘণ্ট রেসিপি ভাগ করে দেখালাম।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক রেসিপিটি।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১. মুগ ডাল | হাফ কাপ |
২. ঝিঙে,কুমড়ো | ২ টো |
৩.সাদা তেল | পরিমাণ মতো |
৪. তেজ পাতা | ২টা |
৫. হলুদ গুঁড়ো | ১ চামচ |
৬. জিরে ফোড়ন | ১ চামচ |
৭. কাঁচা লঙ্কা | ২টা |
৮. লবণ | ১ চামচ |
৯. চিনি | ১ চামচ |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথম ধাপ
• প্রথমে ঝিঙে ও কুমড়ো টুকরো টুকরো করে কেটে নিলাম। কাটার পর কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
• এরপর এক কাপ মতো মুগ ডাল নিয়ে নিলাম একটি পাত্রে।এবং সেই মুগ ডাল হালকা করে ভেজে নিয়েছিলাম।
তৃতীয় ধাপ
• এরপর একটি কড়াইতে সাদা তেল গরম করে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• এরপর হালকা গরম হয়ে এলে জিরে ও তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ
• এরপর ভেজে রাখা মুগডাল দিয়ে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
• তারপর সেই কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে দিলাম।
সপ্তম ধাপ
• এরপর দুটো কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিলাম।
অষ্টম ধাপ
• এরপর পরিমাণমতো নুন ও হলুদ দিয়ে দিলাম।
নবম ধাপ
• এরপর কিছুক্ষণ একটি পাত্র দিয়ে ঢাকা দিয়ে রেখে দিলাম ।
দশম ধাপ
• তারপর এক চামচ মত চিনি দিয়ে দিলাম । এরপর বেশ কিছুক্ষণ শুকনো হওয়ার জন্য রেখে দিলাম।
একাদশ ধাপ
• ব্যস এই ভাবে তৈরি হয়ে গেল মুগ ডাল দিয়ে ঝিঙে ঘণ্ট ।
ধন্যবাদ
মুগ ডাল খেলে যে ওজন কমে জানা ছিল না। ভালো একটি বিষয় জানলাম দিদি আজকে। মুগ ডাল দিয়ে ঝিঙ্গে এবং কুমড়ার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনি মুগডাল একটু কষিয়েই সবজি গুলো দিয়ে দিয়েছেন। তারপরও খুব ভালো সিদ্ধ হয়েছে দেখা যাচ্ছে। একবার বাসায় এভাবে রান্না করে দেখতে হবে। খেতে মনে হয় ভালই লাগবে।
দিদি একদম ঠিক বলেছেন মুগ ডাল দিয়ে ঝিঙ্গে ঘন্ট যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। নিরামিষ ভোজীদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই মুগ ডাল থাকে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেকগুলো তথ্য জানতে পারলাম। যাইহোক আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে আপনার আজকের রেসিপি। সত্যি বলতে এইসব সবজি দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। সুস্বাদু এই রেসিপি নিশ্চয়ই একদিন ট্রাই করে দেখব।
ধন্যবাদ আপনাকে
এই ধরণের ভাজি আমার সবসময় ই ভালো লাগে।ঝোল আমার খুব একটা পছন্দ নয় তাই মা এভাবে রাঁধলে সেদিন একটু শান্তিতেই লাঞ্চ/ডিনার করি আমি।
সত্যি দিদি আপনার মুগ ডাল দিয়ে ঝিঙে রান্নার রেসিপি চমৎকার হয়েছে। সবজি দিয়ে এধরণের রেসিপি অনেক মজা লাগে। আপনি ঠিক বলেছেন এতে রয়েছে প্রোটিন যেমন ওজন কমায় তেমনই শরীরে রক্ত সঞ্চালনের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে।আপনি তেলে জিরে ও তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে দেওয়াতে স্বাদ আরো দ্বিগুণ বেড়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার ঝিঙ্গে খন্ডগুলোর কালার দেখে মনে হচ্ছে কোন রেস্টুরেন্টের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। মুগ ডাল এত চমৎকার একটি রেসিপি যা সবারই ভালো লাগে। তবে ওজন কমাতে একটি সহায়ক এটা জানতাম না আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। খুব চমৎকারভাবে রেসিপিটি রান্না করেছেন। এভাবে ঘন্ট তৈরি করলে আমার মনে হয় পরিবারের সবাই পছন্দ করবে।
ডালের মধ্যে মুগডাল একটু স্পেশাল, কারন এই ডালের সুগন্ধি অন্য সব ডালের থেকে আমার কাছে বেশি ভাল লাগে। এই রেসিপিতে ব্যবহৃত দুটি সবজি ঝিঙে আর কুমড়ো খেতেও খুব ভাল লাগে। আপনি মুগডাল, ঝিঙে আর কুমড়ো দিয়ে অনেক সুন্দর একটি ঘন্ট রান্না করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মুগডাল ভেজে নিলে সুন্দর গন্ধ ছড়ায়। আপনি মুগডাল ভেজে বিভিন্ন রকমের মসলা ব্যবহার করে তার মধ্যে ঝিঙে আর কুমড়ো দিয়ে রান্না করেছেন। রান্নার প্রনালী ছবি এবং বর্ননার মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ দিদি।
মুগ ডাল দিয়ে ঝিঙে ঘণ্ট রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি পরিবেশন আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অন্যান্য ডালের মধ্যে আমার কাছে সবচাইতে পছন্দের হলো এই মুগডাল। তবে এটাতে যে এতো পুষ্টি এতো গুণ সেটা জানতাম না। তবে ঝিঙে দিয়ে মুগডাল ঘন্ট রেসিপি কখনো খাইনি। বেশ চমৎকার তৈরি করেছেন দিদি। আপনার তো রেসিপি পোস্ট করতে খুব একটা দেখাই যায় না।।
আসলে দিদি মাঝে মাঝে আমিষের চেয়েও নিরামিষ সবজি বা তরকারি বেশি ভালো লাগে ৷ আর নিরামিষ তরকারি তে একসাথে অনেক কিছু সবজি একসাথে দিয়ে বেশ ভালো লাগে এই নিরামিষ তরকারি গুলো ৷
আপনি তো খুব সুন্দর করে মুগ ডাল দিয়ে ঝিঙে ঘণ্ট করেছেন ৷ মুগ ডাল শরীরে জন্য অনেক প্রোটিন থাকে ৷
যা হোক ভালো লাগলো আপনার তৈরি রেসেপি দেখে ৷
ধন্যবাদ দিদি সবসময় ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ৷