নর্থ সিকিম ভ্রমণ পর্ব -৩

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আগের পর্বে আমি গ্যাংটক এ ঘোরার কিছু ছবি এবং মুহুর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম ।আজকে গ্যাংটক থেকে লাচেন এ যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নেবো আপনাদের সাথে।


আমরা ২৮ তারিখ গ্যাংটক এই থেকে ছিলাম । পরের দিন সকাল সকাল বেরিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু সেই দিনটা সকাল থেকেই ভালো বৃষ্টি হচ্ছিল তাই একটু লেট করে বেরোতে হয়েছিল আমাদের ,বেরোতে বেরোতে এগারোটা বেজে গিয়ে ছিল। গ্যাংটক থেকে লাচেনের দূরত্ব ৭ ঘণ্টা মতো। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতটা দূরত্ব আর যত উপর দিকে উঠছিলাম তত যেন ঠান্ডা ক্রমশ বাড়ছিল। লাচেন যাওয়ার সময় কয়েকটি জায়গায় থেমে ছিলাম, যে জায়গাগুলোতে থেমেছিলাম সেখানে কিছু জলপ্রপাত মত ছিল সেটা দেখার জন্যই নেমেছিলাম। আর থেমেছিলাম লাঞ্চ করার জন্য । যেখানে আমরা লাঞ্চ করেছিলাম সেই জায়গার ভিউটা এতটাই সুন্দর বলে বোঝাতে পারবো না ।আর তার সাথে এখানকার খাবার ব্যবস্থা ভীষণ ভালো। এখানে মোটামুটি আমরা লাঞ্চ করে বেরিয়ে গিয়েছিলাম ।


WhatsApp Image 2023-04-02 at 11.51.33 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2023-04-02 at 11.51.35 PM.jpeg

WhatsApp Image 2023-04-02 at 11.55.24 PM.jpeg

আমাদের হোটেল পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে সাতটা মত বেজে গিয়েছিল। যখন আমরা হোটেল পৌঁছেছিলাম তখন ওখানে টেম্পারেচার হচ্ছে -৪°। আমি বলে বোঝাতে পারবো না যে কি পরিমাণ ঠাণ্ডা ওখানে ছিল ।আর আমি তো এমনিই শীতকাতুরে, মানে মারাত্মক রকম কষ্ট হচ্ছিল। ভেবেছিলাম রুমে গিয়ে রুম হিটার থাকবে কিন্তু সেটাও ছিল না। সব মিলিয়ে অবস্থা একেবারে কাহিল হয়ে গিয়েছিল ।সেই রাতটা মোটামুটি আমি জেগেই কাটিয়ে দিয়েছিলাম। কারণ তার পরের দিন লাচেনের পাশাপাশি জায়গা যেমন কালাপাত্থার , গুরু ডংমারলেক জায়গাগুলো আমাদের দেখার ছিল। তাই সেই রাতটা মোটামুটি ঠান্ডার মধ্যে জেগে কাটিয়ে দিলাম।

WhatsApp Image 2023-04-02 at 11.51.34 PM.jpeg


পরের দিন ভোর চারটের সময় আমাদের হোটেল থেকে বেরোনোর কথা ছিল ।আর আমরা চারটের সময় ঘুম থেকে উঠে এই জায়গা গুলো দেখতে গিয়েছিলাম। প্রথমেই গিয়েছিলাম কালাপাত্থার। এই জায়গাটি অসম্ভব সুন্দর জায়গা তার সাথে এখানকার পাহাড়ের রং কালো বলে জায়গাটির নাম কালা পাথর। চারিদিকটা পুরো বরফে ঢেকেছিল ,তা ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছিল ও না অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য যা এই ভাবে মুখে বলে বোঝাতে পারবো না। কিন্তু তার সাথে সেই লেভেলের ঠান্ডা ছিল। ঠাণ্ডা থাকলেও এমন দৃশ্য দেখার মজাই আলাদা,আর একটা আলাদাই অনুভূতি ও কাজ করছিল। যেহেতু প্রথমবার বরফ দেখা সব মিলিয়ে ভীষণ ভালো লেগেছিল ।

WhatsApp Image 2023-04-02 at 11.55.23 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2023-04-02 at 11.55.23 PM.jpeg

WhatsApp Image 2023-04-02 at 11.55.22 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2023-04-02 at 11.55.22 PM.jpeg

WhatsApp Image 2023-04-02 at 11.55.21 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2023-04-02 at 11.55.21 PM.jpeg


এরপর দেখতে গিয়েছিলাম গুরুদংমার লেক যে জায়গাটা আরো মারাত্মক সে জায়গাটি আমি পরের পর্বে আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।আজ এইটুকুই থাকলো ।আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আজকের পোস্টটি ভালো লাগবে।


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


Sort:  
 2 years ago 

আপু, এরকম বরফ ঠান্ডার মধ্যে আপনি দাঁড়িয়ে ছিলেন কি করে? কালা পাথর জায়গাটিসহ সকল স্থানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। আর শীতের মৌসুমে এরকম সুন্দর সুন্দর স্থান ভ্রমন করার মজাই আলাদা। আপু,গুরুদংমার লেক জায়গাটির ফটোগ্রাফি এবং জায়গাটি সম্পর্কে জানার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

আপনি -৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কিভাবে ছিলেন তাই ভাবছি। আমার এমন মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে ইচ্ছে করে। যাইহোক আপনাকে দেখতে বেশি মিষ্টি লাগছে আপু।গুরুদংমার লেক যে জায়গাটা মারাত্মক সেই কাহিনী শুনতে আগ্রহ প্রকাশ করছি। পরবর্তী অপেক্ষায় রইলাম আপু।

 2 years ago 

ওয়াও দিদি নর্থ সিকিম ভ্রমণ পর্ব -৩ অনেক কিছু দেখতে পেলাম ৷ সেই জায়গা গুলোতে যেতে পারবো কি না জানি না ৷ তবে দুর থেকে হলেও বেশ অনুভুতি পাচ্ছি ৷ প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে ইচ্ছে আমিও যদি যেতে পারতাম ৷ জলপ্রপাত,ঝড়না দারুন ৷ আবার বরফে ভরা আপনাকে সোয়েটার পরে দারুন লাগছে দিদি ৷
সর্বোপরি ৪ডিগ্রি শুনে অবাক হলাম ৷

যা হোক পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা ৷

 2 years ago 

পাহাড় এবং পাহাড়ি জনপদ ভ্রমণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে।
আমিও পাহাড় ভ্রমণ করেছি তবে বাংলাদেশের সবুজ শ্যামলের মোড়ানো।।
এরকম বরফে ঢাকা এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় কখনোই যাওয়া হয়নি আপনার ফটোগ্রাফি গুলা দেখে খুবই ভালো লাগলো সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন এতে কোন সন্দেহ নেই।।।

 2 years ago 

বরফের ভিতরে দাঁড়িয়ে থাকা ছবিটা দেখতে ভালোই লাগছিল দিদি ভাই। তবে আপনার লেখা পড়ে ভাবছিলাম -৪° আবহাওয়ার ভিতরে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে, সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে, তার উপর নির্ভর করে অভিজ্ঞতা লেখা, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য 🙏

 2 years ago 

-৪° ভাবতেই তো ভয় লাগছে।
তবে এতকিছুর মাঝেও প্রকৃতি দেখার ব্যাপারটাই আলাদা। তবে কালাপাথর জায়গাটি সত্যিই সুন্দর।🙏

 2 years ago 

-৪°সেলসিয়াস তাপমাত্রা ভাবতেই অবাক লাগছে দিদি। ঠান্ডাটা অনেক বেশি ছিল। আর রুম হিটার না থাকার কারণে কষ্ট অনেক বেশি হয়েছে। আসলে এরকম পরিস্থিতিতে না ঘুমিয়ে রাত কাটিয়েছেন এটা সত্যি অনেক কঠিন ছিল। যাই হোক এই সুন্দর জায়গায় গিয়ে নিশ্চয়ই সব কষ্ট দূর হয়ে গেছে। প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে দিদি।

 2 years ago 

বরফে ঢাকা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে দিদি। তবে -৪° সেলসিয়াস ছিল যেহেতু রুম হিটার না থাকলে অবশ্যই কষ্ট হওয়ার ই কথা। আর সেজন্য রাতে ঘুমাতেও পারেননি। বেশি শীত লাগলে এমনিতেও ঘুম আসে না। আমি যখন দক্ষিণ কোরিয়াতে ছিলাম একদিন রুম হিটার নষ্ট হওয়ার কারণে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রচুর শীত পড়ে। সর্বনিম্ন -২৬° সেলসিয়াসও ছিল ২০২১ সালের জানুয়ারি /ফেব্রুয়ারিতে। নর্থ সিকিমের এতো সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখে শীত লাগার কষ্ট থাকার কথা না দিদি। খুব ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে এবং এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আমি এইতো পূর্বে আপনার সিকিম ভ্রমণের দৃশ্য দেখেছি। সেখানে যেয়ে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করেছিলেন। আজকে ঠিক সেভাবে অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন পাশাপাশি বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন সেই স্থানের। তাই ভালো লাগলো সবকিছু জানার পর।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60546.41
ETH 2355.40
USDT 1.00
SBD 2.53