চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখা।পর্ব -১ । //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভাল আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোর কিছু বিখ্যাত পুজো মণ্ডপ এবং প্রতিমার ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
দুর্গাপুজোর পরেই বাঙালির আরেক বড় উৎসব হলো জগদ্ধাত্রী পূজা। জগদ্ধাত্রী হল চন্দননগর কৃষ্ণনগরের প্রাণাত্মিকা। ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি,চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পূজার জন্য খুবই বিখ্যাত। কখনো আমার সেখানে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। কিন্তু ইচ্ছেটা প্রত্যেক বছরের ছিল। এই বছরও আমার কোনো পরিকল্পনা ছিল না যাওয়ার।একটাই কারণ যে আমার এখন পরীক্ষা চলছে 😒।কথায় আছে হঠাৎ করে প্ল্যান করলে সেটা ভীষণ আনন্দের হয়। তেমনি হলো রবিবারের সকাল টা। ঘুম থেকে উঠতেই ভাবলাম দুদিন ছুটি আছে চন্দননগর ঘুরে আসি। যেই ভাবা সেই কাজ।আর এ বছর কেন জানি না মনটা খুব টানছিল চন্দননগর যাওয়ার জন্য।তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলাম চন্দননগর যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
তিনটের সময় হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে চারটের মধ্যে পৌঁছে গেলাম চন্দননগর 😍।ওখানে আমার খুব প্রিয় একটা বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে উঠলাম। সেখানে দুপুরে খাবার খেয়ে,একটু রেস্ট নিয়ে রাত আটটার সময় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে গেলাম।
প্রথমেই যে ঠাকুর দেখলাম এখানকার চন্দননগরের বিখ্যাত চাউলপট্টির " আদি মা "।
এই চাউলপট্টি জগদ্ধাত্রী পুজো ৩০০ বছরের ও প্রাচীন বলে শোনা যায়। এখানকার জগদ্ধাত্রী হলেন চন্দননগরের "আদি মা"। এই পুজো প্রচলন করেছিলেন ফরাসি দেওয়ান ইন্দ্রনারায়ন চৌধুরী। এই পুজো চন্দননগরের 'আদি পূজা' নামে পরিচিত। এখন ও পর্যন্ত পুরুষানুক্রমে চৌধুরীদের উত্তরপুরুষের নামে পূজার সংকল্প করা হয়।এখানে ঠাকুরের একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা হলো সনাতন রীতির প্রতিমায় সাদা সিংহ দেখা যায়। স্থানীয় বিশ্বাসে এই দেবী হলেন খুবই জাগ্রত।
ভদ্রেশ্বর তেঁতুলতলার পুজো
এরপরে যে ঠাকুর দেখলাম তা হল এক অভিনব পুজো। "ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলার গৌরহাটি "।
নবমীর দিন এখানে মূল পুজো হয়ে থাকে। এখানে জগদ্ধাত্রী মায়ের এক অপরূপ রূপ।এখানে ১০০ টি বেনারসি লাগে মায়ের বস্ত্র তৈরি করতে। এখানে মায়ের এটাই বিশেষত্ব। এই পুজো এখানে পুরুষেরা করে থাকে।এখানে মাকে বরণের সময় পুরুষেরা শাঁখা সিঁদুর পড়েই পূজা করেন।এখানকার মানুষ এই কাজকে পরম্পরা বলে মনে করেছেন।এখানে দেবী সকল মানুষের মনষ্কামনা পূর্ণ করেন বলেই প্রচলিত আছে।এবং এখানে দেবী খুবই জাগ্রত।
বোড়ো কালীতলা সর্বজনীন
এরপর যে ঠাকুর দেখলাম তা হল বোড়ো কালিতলা সর্বজনীন।
এখানে ডাকের সাজে জগদ্ধাত্রীর ঠাকুরকে ভীষণ সুন্দর লাগছে।এবং এখানে সিংহের রং সাদা। লাইটিং খুব সুন্দর হয়েছে এখানে। এই পুজো এবছর ৫২তম বর্ষে পড়েছে। এখানে মায়ের গয়না সোনা ও রুপোর দিয়ে সাজানো হয়েছে।
এরপর আসার পথে চন্দননগর স্ট্র্যান্ড ঘাট ঘুরে আসলাম। এটি হলো চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী স্ট্যান্ড।
আমি যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন ছিল দশমী। ভালো রকমই তখন বৃষ্টি পড়ছিল এখানে।এই বৃষ্টির মধ্যে চন্দননগর স্ট্রান্ড এর শোভা যেন আরো বেড়ে উঠেছিল।
এই হচ্ছে রানিকুঠি ঘাট যেখান থেকে লঞ্চ ছাড়ে। এবং ওই পাড়ে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল। রাতের বেলা বৃষ্টির মধ্যে রানাঘাটের সৌন্দর্য যেন দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছিল।
আজ এখানেই শেষ করলাম। আরো অনেক ঠাকুর দেখেছি। আবার পরের পর্বে নতুন প্রতিমা এবং প্যান্ডেল নিয়ে পোস্ট করবো।কেমন লাগলো অবশ্যই আমাকে জানাবেন।
প্রতিমা গুলো অনেক সুন্দর ছিল , আপনার দিনের বিশেষ বিশেষ মুহূর্তগুলো আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক সুন্দর দিন কাটিয়েছেন দিদি শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ সত্যিই খুব সুন্দর ভাবে দিনটা কাটিয়ে ছিলাম। আর প্রতিমা গুলোর থেকে তো চোখই ফেরাতে পারছিলাম না।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি প্রতিমা গুলো অনেক সুন্দর ছিল। জগধাত্রী পূজা আমাদের এখানে তেমন হয় না। আমার খুব ইচ্ছা আছে চন্দননগর এ পূজা দেখার। আমি বাড়ি বসে ইউটিউব এ চন্দননগরের ঠাকুর দেখছিলাম।আর আজ আপনার মাধ্যমে ঠাকুর দেখতে পারলাম।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত পোস্ট শেয়ার করার জন্য দিদি।
দিদি জগদ্ধাত্রী পুজো আমাদের কলকাতাতেও সেভাবে হয় না। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর কথা এত শুনেছি কিন্তু কোনো বার যাওয়া হয়ে ওঠেনি,এই বছরও ঠিক ছিলনা কিন্তু হঠাৎ ঠিক হয়ে গেছে।আর চন্দননগর না গেলে বুঝতেই পারতাম না যে এত সুন্দর ঠাকুর প্রতিমা। আপনিও অবশ্যই একবার চন্দননগর দেখে আসবেন। আমার খুব ভালো লাগছে যে আপনি আমার ছবিগুলোর মাধ্যমে প্রতিমা দর্শন করলেন।অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
আপনার তোলা ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর দিন কাটিয়েছেন। বিশেষ করে ছবি গুলো বেশ ভাল ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ খুব সুন্দর দিনটা কাটিয়ে ছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মাশাল্লাহ দিদি প্রতিমাগুলা খুব সুন্দর
খুব সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন
শুভকামনা দিদি
সত্যিই প্রতিমা গুলো খুব সুন্দর ছিল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।