ইতিবাচক চিন্তা সবকিছু বদলে দিতে পারে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে নিজের সাথে কাটানো কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
কখনো কখনো মন খারাপ হলে কোনো বিষয়ে মন খারাপ করে সময় অপচয় করার কোনো যৌতিকতা নেই বরং সেই সময়টাতে কিছু সৃজনশীল ও গঠনমূলক কাজ করলে আমরা সব দিক থেকে লাভবান হবো। যেমন বই পড়া ,গান শোনা ,আঁকা,কারো সাথে গল্প করা ইত্যাদি ইত্যাদি। কোনো কিছু হলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কোনো না কোনো কিছুতে নিজেকে ব্যস্ত রেখে দিলে তার প্রভাব খুব একটা মনের মধ্যে পড়ে না । আমার মনে হয় অনেক মানুষ আছে যাদের খুব অল্পতেই খারাপ লেগে যায় ,আবার অনেক মানুষ আছে কোনো ঘটনা ঘটলে খুব সহজেই সেটা মনের মধ্যে থেকে সরিয়ে ফেলতে পারে ।আমি আমার কথাই বলছি আমার সাথে কোনো ঘটনা ঘটলে সেটা আমি খুব সহজে মন থেকে সরাতে পারি না অনেকটাই সময় লাগে সেখান থেকে বেরোতে। যখন ছোটো ছিলাম তখন খুবই প্রভাব পড়তো। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে মানসিকতা কিছুটা পরিবর্তনের সাথে সাথে এখন আর কোনো কিছু হলে সেটাকে যত তাড়াতাড়ি পারি ভুলে যাওয়ারই চেষ্টা করি ।একটা কথা সব সময় মাথায় রাখা উচিত সময় কিন্তু সময়ের মতনই চলবে আমাদের কোন কিছুর জন্য সময় কিন্তু থেমে যাবে না সময় যখন পরিবর্তনশীল তাই আমাদেরও সময়ের সাথে সাথে যতটা পারা যায় পরিবর্তন হতেই হবে ।কারণ আমি মনে করি কোনো কিছু না ভুললে কখনোই এগিয়ে যাওয়া যায়না। যাই হোক অনেকগুলো কথা বলে দিলাম। কিন্তু এগুলো আমার একদম মনের কথা ।
বেশ কিছুদিন আগে যে কোনো না কারণেই হোক মনটা ঠিক ছিল না কোনো কাজে ঠিক করে মন বসাতে পাচ্ছিলাম না তাই একটু বেরিয়েছিলাম ।প্রথমে বেলগাছিয়া থেকে মেট্রো ধরে দক্ষিণেশ্বর গিয়েছিলাম ।ভেবেছিলাম ওখানে বালি ব্রিজে কিছুটা সময় কাটাবো। কিন্তু অনেকটা দেরি হয়ে যাওয়াতে সেখানে যেতে পারিনি । দক্ষিণেশ্বর মেট্রোয় বহুবার এসেছিলাম কিন্তু সেদিন যখন এই মেট্রো স্টেশনে পৌঁছেছিলাম তখন মনে হচ্ছিল আবার নতুন ভাবে দেখছি আসলেই এত সুন্দর ভাবে মেট্রো স্টেশনটিকে সাজানো হয়েছে । স্টেশনে ঢুকতেই শ্রী রামকৃষ্ণ, সারদা দেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের বড় মূর্তি। রয়েছে রানি রাসমণির মূর্তিও। আর সবার ওপরে রয়েছে দক্ষিণেশ্বরের কালীমূর্তির প্রতিকৃতি।শিল্প আর ভাস্কর্যের ছোঁওয়া স্টেশন চত্বরের সর্বত্র। স্টেশনে দক্ষিণেশ্বর কালীতীর্থকে যেমন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, ঠিক তেমনই বাংলার গ্রামীণ শিল্প, গ্রামীণ জীবন সংস্কৃতি, টেরাকোটা থেকে শিশুদের আকর্ষণের সব কিছুই রয়েছে।
দক্ষিণেশ্বরের কাছাকাছি একটি জায়গায় কিছুটা সময় সময় কাটিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম ।এই রেষ্টুরেন্টে আগেও এসেছি । এখানকার প্রত্যেকটা খাবার আমার কাছে খুবই ভালো লাগে । তাই সেদিন মোমো আর সুপ নিয়েছিলাম । খেতেও খুবই টেস্টি ছিল । খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি আসলাম । সত্যি বলছি বাড়ি আসার পর মন একবারে ভালো ও হয়ে গেল। তাই আমার কাছে মনে হয় মন খারাপ হলে সেটাকে নিয়ে বেশি চিন্তা না করে নিজের যেটা ভালো লাগে তখন সেটা করাই উচিত ।তাতে কোনো খারাপ চিন্তাও আসে না আবার ওই সময়টাকে যদি ভালো কোনো কাজে লাগানো যায় তাহলেও অনেকটা নেগেটিভ প্রভাব থেকে নিজের মনকে স্থির করা যায় । হয়তো এটা ঠিক যে সেই সময়টাতে মন খারাপ করাটাকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিই তবুও বলছি সেই সময়টাকে ইউটিলাইজ করলে প্রত্যেক মানুষ নিজের কাছে জিতে যাবে এবং নেগেটিভ প্রভাব থেকে অনেকটা সরে গিয়ে পজেটিভিটি আসবে ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ঠিক বলেছেন দিদি। পজেটিভ চিন্তা মানুষকে বাচার নতুন পথ দেখায়। নেগেটিভ চিন্তা মানুষকে ধবংস করে । অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
This post was selected for Curación Manual (Manual Curation)
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 6/7) Get profit votes with @tipU :)
আপু আপনি একদমই ঠিক বলেছেন আপনার মত আমারও কোন কিছু ঘটলে তা সহজে বলতে পারি না। কিন্তু অনেক মানুষ রয়েছে যারা খুব সহজেই ঘটনাগুলো ভুলে যেতে পারে। আমার নিজের তো আরো বড় একটি বাজে অভ্যাস রয়েছে, যে কারো উপরে একদম মনে কষ্ট হলে তার সাথে আজীবনের জন্য কথা বলি না। এই অভ্যাসটা কোনভাবেই দূর করতে পারতেছি না আমি। আর আপনার তো ঘুরে আসার পর মনটা ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু যার উপরে রাগ হয় আমার সহজেই মন ভালো হয় না।
এই কথাটা একদম চিরন্তন সত্যি দিদি। ভালো লেগেছে কথাটা।
মেট্রো স্টেশনটি আসলেই বেশ নান্দনিকভাবে সাজিয়ে তুলেছে।
আমি আপনার সঙ্গে একদম একমত দিদি,সময় সবসময় নিজ ধারায় চলবে।কখন কার দিকে সময়ের মোড় ঘুরবে তা কেউ বলতে পারে না।তবে আমরা নিজেদেরকে আগে থেকেই পরিবর্তন করতে পারি।যাইহোক খুবই সুন্দরভাবে মেট্রো স্টেশনটিকে সাজানো হয়েছে দিদি,ভালো লাগলো দেখে।ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি আপনার মত আমিও আগে এমন ছিলাম, কিছু হলে মন থেকে মুছতে পারতাম না। অনেক বেশি প্রভাব পরে মনে। কিন্তু এখন তা অনেকটাই কমাতে পেরেছি। অনেক ভাল লাগলো ব্লগটি। দিদি আপনাকে অনেক কিউট লাগছে। 🥰 অনেক শুভকামনা রইল দিদি আপনার জন্য।
আমার খুব বাজে একটা অভ্যেস আছে, কোন কিছু মাথায় ঢুকলে সেটা নিয়েই পড়ে থাকি সব সময়। সব কাজের ক্ষতি একের পর এক নিজের অজান্তেই করে ফেলি। অনেক চেষ্টা করি দিদি। কিন্তু বেরিয়ে আসতে পারি না সহজে। চারদিক থেকে গ্রাস করে ফেলে আমাকে নানান বাজে চিন্তা। যাই হোক, কদিন আগেই তো গিয়েছিলাম দক্ষিণেশ্বর এই মেট্রো স্টেশনে। নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। এত চমৎকার লাগছিল চারপাশ টা। আপনি যে ছবি গুলো তুলেছেন ঠিক এমন ভাবে আমিও চারপাশ ঘুরে ঘুরে সব ছবি তুলে এনেছিলাম। দারুন লেগেছিল এক কথায়।
সত্যি, মন যখন বিচলিত থাকে তখন মনে হয় কিছুই ভালো লাগছে না। একটু শান্তির খোঁজে আমরা কত কিনা করি। আর তুমি যেখানে গেছ সেটা তো শান্তির উৎস স্থল। ঠাকুর,মা এবং স্বামীজিকে আমি অনেক ছোটবেলা থেকে মেনে চলি।স্বামীজীর প্রত্যেকটা বাণী ঠাকুর এবং মায়ের প্রত্যেকটা বাণী আমি মাথায় রাখার চেষ্টা করি। এই পরিবেশে গেলে কেউ বিচলিত অবস্থায় থাকতে পারবে না। দারুণ একটা জায়গায় গিয়েছো।আশা করি তোমার মনে যদি অচল অবস্থা তৈরি হয়ে থাকে, তা নিশ্চয়ই কেটে গেছিল। সবকিছুর পরে খাওয়া-দাওয়া টাও ভালোই হয়েছে।
সময়ের সাথে পরিবর্তনশীলতা এই জগতেরই নিয়ম।
সময়ের সাথে আমাদের নিজেদেরকেও পরিবর্তন করতে হবে কিন্তু সেটা পজেটিভ ভাবে। পজিটিভ ভাবে সবকিছু চিন্তা করলে জীবনের হাজার প্রবলেমর সল্যুশন পাওয়া যায়। নেগেটিভ ভাবে চিন্তাভাবনা করা মানুষগুলো যেমন নিজেদের জন্য কষ্ট ডেকে আনে তেমনি তা আমাদের সমাজের জন্যও ভালো না। দক্ষিণেশ্বরের মেট্রো স্টেশন টি খুব সুন্দর করে সাজানো আমিও কিছুদিন আগে সেখানে গিয়ে এগুলো ঘুরে ঘুরে দেখে এসেছিলাম দিদি ।