নন্দনে কাটানো কিছুটা সময় পর্ব -২।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে নন্দনে ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
কিছুদিন আগে আমি নন্দনে কাটানো কিছুটা সময় আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম যে আরো কিছু ছবি আছে যেটা পরের পর্বে ভাগ করে নেব ।আজ তারই ভিতর কাটানো কিছু মুহূর্ত আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। যখন আমরা নন্দনের এই অনুষ্ঠান হল থেকে বেরোলাম ।তার বাইরে একটি হস্তশিল্প মেলা হচ্ছিল ।আপনারা বুঝতে পারছেন যে প্রত্যেকটি কাজ হাতে তৈরি করা ।সেখানে নিজেদের হাতে তৈরি করা শাড়ি থেকে শুরু করে কানের দুল, ছেলেদের জামা থেকে শুরু করে হাতে আঁকা ছবিও বিক্রি হচ্ছিল ।এখানের প্রত্যেকটি কাজ খুব সুন্দর এবং নিখুত ।অনেক মানুষ এখান থেকে অনেক কিছু কেনাকাটি করছিল।
এই মেলার বৈশিষ্ট্যের উৎস হচ্ছে একটি অঞ্চল বা দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বা কারুশিল্পীদের বিশেষ উৎপাদন কৌশল।আদি ও মধ্যযুগীয় বাংলার গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ছিল হস্তশিল্প ও কুটির শিল্প। বয়ন, ধাতব পদার্থের কাজ, জুয়েলারি, বিশেষ করে রুপার তৈরি অলঙ্কার, কাঠের কাজ, বেত এবং বাঁশের কাজ, মাটি ও মৃৎপাত্র হস্তশিল্প হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিল।
শীতল পাটি এক ধরনের পাটি (মাদুর), বাংলাদেশের একপ্রকার হস্তশিল্প। মুর্তা বা বেত বা মোস্তাক নামক গাছের ছাল থেকে এগুলো তৈরি হয়ে থাকে। হস্তশিল্প হিসাবে এগুলোর যথেষ্ট কদর রয়েছে। শহরে শো-পিস এবং গ্রামে এটি চাদরের পরিবর্তে ব্যাপক ব্যবহৃত হয়। সাজসজ্জা দ্বারা সজ্জিত মাদুরকে নকশি পাটিও বলা হয়।
এছাড়াও এর পাশাপাশি আলাদা একটি মঞ্চ করে গানের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ছিল। এখানে অনেক লোক বসে গান শুনছিল। সত্যি কথা বলতে এত সুন্দর রবীন্দ্রসংগীত হচ্ছিল যে পুরো হলটাই ভর্তি ছিল এতোটুকু বসার জায়গা ও ছিল না ।আমিও সেখানে কিছুক্ষণ বসে গান শুনেছিলাম।
এই সকল হাতের কাজ দেখতে দেখতে অনেকটা সময় চলে গিয়েছিল। আসলে খুবই ভালো লাগছিল এখানে থাকতে তার সাথে এখানে প্রত্যেকটি কাজ দেখতে ।আর আমার এ ধরনের হস্তশিল্পের মেলা খুব ভালো লাগে। তো এখান থেকে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর আমরা ফেরার পথে আমাদের চেনা একটি ক্যাফেতে ঢুকলাম। সেখানে গিয়ে কিছু খাবার খেলাম এবং খেয়ে বেরিয়ে গেলাম। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করলাম নন্দনে।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 3/7) Get profit votes with @tipU :)
বিগত পর্বটা আমি পড়েছিলাম দিদি , এই পর্বে বেশি ভালো লেগেছে গাছের কারুকার্য ও হাতে বানানো বিভিন্ন পন্যের জিনিস। কি নিখুঁত কারুকার্য। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
নন্দিনে কাটানো কিছু সময়, এবং সেইসাথে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করে,, আমাদের সময়টাকে ও মুখরিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় দিদিমনি♥♥
আপু আপনার নন্দনে কাটানো কিছু কোয়ালিটি টাইম আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। পাশাপাশি কতগুলো ফটোগ্রাফ শেয়ার করেছেন সেগুলো দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে গেল। সর্বশেষ হাতের তৈরি আর বিভিন্ন কারুকার্য গুলো আমার নিকট অনেক ভালো লেগেছে।