বামুন্দি বাজার থেকে কেনাকাটা ও টমেটোর চারা কেনার অনুভূতি
হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি বামুন্দি বাজার থেকে বাজার করা এবং টমেটো গাছের চারা কেনার অনুভূতি শেয়ার করব। আশা করবো আমার এই অনুভূতিমূলক পোস্ট করার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানতে পারবেন।
Infinix Hot 11s
এখন শীতের সময় চলে আসছে। এজন্য শীতকালীন শাকসবজি গাছ লাগানোর কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে গ্রাম বাংলার প্রতিটা কৃষকের পরিবারে। তবে গতবারের চেয়ে এবার মানুষের শাকসবজি গাছ লাগানোর প্রবণতা একটু বেশি। এর প্রধান কারণ শাকসবজির দাম ব্যাপক পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিনে খাওয়া হয়ে গেছে বেশ কঠিন। বিশেষ করে দরিদ্র মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো বেশ হিমশিম খেয়েছে শাকসবজি কিনে খেতে গিয়ে। এজন্য শীতকাল না আসতেই শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদন করার জন্য প্রচুর মানুষ ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমি গত বছর তার আগে তারও আগে থেকে শাকসবজি উৎপাদন করে চলেছি আমার পুকুর পাড়ের সবজি বাগানের মধ্যে। কিন্তু কোন বার এভাবে লক্ষ্য করি নাই শাক-সবজি চারা কিনতে গিয়ে প্রচুর মানুষের ভিড়। এটা আবার কার্তিক মাসেই। হ্যাঁ বন্ধুরা কিছুদিন আগে বামুন্দি বাজারে উপস্থিত হয়েছিলাম বাজার করার জন্য এবং টমেটোর চারা ও অন্যান্য শাকসবজির বীজ কেনার জন্য। তবে আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল টমেটোর চারা কিনতে হবে। আর প্রথমে বাজারে ঢুকে চলে গেছি যেই জায়গায় টমেটো ঝাল বেগুনের চারা বিক্রয় করে সেই জায়গায়। দূর থেকে দেখে তো আমি অবাক হয়ে গেছি। কোনবার এত মানুষের ভিড় দেখি নাই গাছের চারা কেনার জন্য। আর এবার যেন মানুষের উপস্থিতি অনেক বেশি, তাই প্রতিটি টমেটো চারার পিসের মূল্য তিন টাকা।
টমেটো গাছের চারা দাম অনেক বেশি হওয়ায় ভাবলাম আগে বাজার করে নেই, তারপরে লাস্টের দিকে চারার দাম কমে কি দেখে যা হয় কিনে নিয়ে যাব। এরপর বাজারের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম। যে জিনিসের দাম জিজ্ঞেস করে সেই জিনিসের দাম অধিক পরিমাণ। এক দিকের দাম জিজ্ঞেস করতে থাকলাম আর একদিকে নিজেরাও অগ্রসর হতে থাকলাম সাথে ছিল আমার বন্ধু মারুক। দুইজন শুধু শাক সবজির দাম জানতে থাকলাম। যেতে পথের মাঝখানে রয়েছে চালপট্টি, চাল ডাল সহ বিভিন্ন জিনিসের দোকান। সেখান থেকে ৬০ টাকা কেজি চিড়া কিনে নিলাম। প্রতিদিন সকালে চিড়িয়া খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাই। এরপর আরো সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে বন্ধু পেয়ারা কিনলো। সাইডে স্যান্ডেলের বিশাল বড় বাজার ছিল,সেখান থেকে দুই বন্ধুই জাম ৪২ স্যান্ডেল কিনলাম। এরপর ছোট ছোট দেশীয় কমলা লেবু ১০০ টাকা দিয়ে কিনেট ঠোঁগে গেলাম। আমার বন্ধু আরেক জায়গা থেকে ৭০ টাকা কেজি ধরে কিনলো। আর এখন তো ভালো কমলা লেবুর দাম সাড়ে ৩০০/৪০০ টাকা কেজি। ঠকে যাওয়ার পরেও নিজেকে নিজেই সান্ত্বনা দিলাম তবুও তো এই কমলা লেবু পাওয়া যাচ্ছে কমে। এছাড়াও সিদ্ধ করে খাওয়ার জন্য জলপাই নেয়া হলো 40 টাকা কেজি। তবে আশ্চর্য হলাম মাত্র কয়েকটা লাল শাকের আটি কুড়ি টাকা করে দাম। মুলার দাম জিজ্ঞেস করেছিলাম বলেছিল ৪০ টাকা কেজি আর ষাট টাকা কেজি। তবে মুলা কেনার প্রয়োজন হলো না কয়েক দিনের মধ্যে আমার সবজি বাগান থেকে মূলা উত্তোলন করা সম্ভব হবে। তাই ঐদিন শুধু বীজ কিনে নিলাম। আবারো যেন মুলার বীজ বপন করতে পারি।
সমস্ত কিছু কেনাকাটা শেষে আবারো এসে উপস্থিত হলাম টমেটো চারা বিক্রয়ের জায়গায়। তখন এসে দেখে টমেটোর চারা দুই টাকা পিস করে বিক্রয় করছে। তখন দুই বন্ধু বসে পড়লাম এবার টমেটোর চারা নিতে হবে। ততক্ষণে মাগরিবের আজান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। বেশ কথা কাটাকাটির পর বললাম ১০০ টাকায় 70 পিস যদি চারা দেয় তাহলে নিব নাই নিব না। তখন তিনি রাজি হয়ে গেলেন। হাইব্রিড যারা ৫০ পিস এবং দেশীয় টমেটো ছাড়া কুড়ি পিস ১০০ টাকা দিয়ে নিয়েই অন্যান্য কেনাকাটা শেষ করে দ্রুত বাড়িতে চলে আসলাম। ততক্ষণে বাড়িতে এসে এশার আজান। সে মুহূর্তে চলে গেলাম মাঠে পুকুর পাড়ে সবজি বাগানের মধ্যে। বাড়ি থেকে পরিবার যেতে দিতে চাচ্ছিলেন না সাপ পোকার ভয়ে। তবুও গাছগুলো লাগিয়ে এসেছিলাম যেন রাতের মধ্যে শিকড় গজিয়ে যেতে পারে বা বিস্তার করতে পারে। এরপর সকাল বেলায় গাছগুলো দেখতে যাওয়া আর পানি দিতে যাওয়া। আর এভাবেই বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে আমরা যখন তখন বামুন্দী বাজারে উপস্থিত হয়। যেকোনো জিনিস কেনাকাটার উদ্দেশ্যে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | বামুন্দি বাজার |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
টমেটো চারা কিনে এনে রাতে আবার সুন্দর করে লাগিয়ে ফেলেছেন। আমি দেখি বেশিরভাগ মানুষই যেকোনো ধরনের জিনিস কিনতে গেলে গাংনীতে থেকে বামুন্দি বেশি যায়। বামুন্দিতে সব জিনিসের দাম খুব বেশি হলে আবার খুব কমও না মোটামুটি ঠিক আছে। আমার কাছে বামুন্দি বাজার বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর অনুভূতি আপনার সাথে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ
আপনি দেখছি চারা কিনেই রাতারাতি গাছ লাগিয়ে ফেলেছেন। এবার দেখবেন রাতারাতি টমেটো ধরে গেছে। এরপর রাতারাতি রান্না করা হয়ে যাবে। যাইহোক ভাইয়া তবুও তো কম দামে চারা কিনতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
বেশ ভালো লাগলো আপনার মতো দেখে
শীতকাল মানে নতুন নতুন শাকসবজি লাগানোর উপযুক্ত সময়। বন্দিবাজার থেকে আপনি টমেটো গাছের চারা কিনেছেন নিজে লাগাবেন বলে। আমাদের এলাকায় বামুন্দি বাজার অনেক বড় একটি বাজার সেখানে সবকিছুই পাওয়া যায় এবং তা স্বল্পমূল্যে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই ধন্যবাদ।
এরপর আবারও এনেছি।