চুয়াডাঙ্গা শহর ভ্রমণ
হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। তাই সুযোগ পেলে আমারও ভ্রমণ করতে যেতে ইচ্ছে জাগে দেশের যে কোন প্রান্তে। ঠিক তেমনি ভ্রমণ কাহিনী আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।
Infinix Hot 11s
চুয়াডাঙ্গা বাংলাদেশের অন্যতম একটি জেলা। এই জেলাটি দেশের কিছুটা দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত। আমাদের মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া ত্রিভুজ আকৃতিতে পাশাপাশি অবস্থিত। একসময় কুষ্টিয়া তিনটা ভাগে বিভক্ত হয়ে তিনটা জেলায় পরিণত হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এই তিনটি জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো। তাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন প্রয়োজনে এই তিনটি জেলার মধ্যে আমার চলাচল করতে হয়। আজকে আমি আমার বিশেষ প্রয়োজনে চুয়াডাঙ্গা শহরে উপস্থিত হওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করতে এসেছি। প্রথমে পশ্চিম থেকে কিছুটা দক্ষিন পূর্ব দিকে অগ্রসর হলাম চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে। আপনারা জানেন আমাদের মেহেরপুর আরো পশ্চিম। এ মুহূর্তে ফটোতে যে স্থান দেখতে পাচ্ছেন এটা ভালাইপুর নামক স্থান। মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গার মধ্যবর্তী গ্রামীণ সড়ক পথ। আর এই গ্রামীন সড়ক পথ হয়ে চলে আসলাম চুয়াডাঙ্গা শহরে মৎস্যআড়তের দিকে।
আমাদের মেহেরপুর সড়ক পথ হয়ে চুয়াডাঙ্গায় প্রবেশ করতেই প্রথমে রয়েছে একটা সুন্দর বড় উঁচু ব্রিজ। ব্রিজের নিচ দিয়ে বয়ে গেছে মাথাভাঙ্গা নদী। যে নদীটা আমাদের নিকটস্থ হাট বোয়ালিয়া বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। আর এই ব্রিজটা অতিক্রম করলেই চুয়াডাঙ্গা বাজারের চার রাস্তার মোড়। তবে ব্রিজের একপাশে অনেক সুন্দর বাজার ও ঘনবসতি ঘরবাড়ি গড়ে উঠেছে। যে বাড়িগুলো টিন দিয়ে তৈরি। আর এখান থেকেই বিভিন্ন রকমের বাজারের সূত্রপাত চুয়াডাঙ্গাতে। এ শহরটা আমার কাছে মোটামুটি ভালো লাগে তবে বিভিন্ন প্রয়োজনে উপস্থিত হওয়াই বেশি একটা চলাচল করা হয় না বা থামা হয় না। তবে মাঝেমধ্যে এটা সেটা কেনার জন্য বাজারের মধ্যে প্রবেশ করতে হয়।
ব্রিজ পার হয়ে চার রাস্তার মোড়ে রয়েছে অনেক সুন্দর একটি পাখির মূর্তি। মূলত এখানেই পুলিশ ভাইয়েরা দাঁড়িয়ে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। যাকে আমরা ওয়াবদা অথবা বাসস্ট্যান্ড নামে জেনে থাকি। এর দক্ষিণ রাস্তায় চলে গেল দামোড়হুদা জীবননগর মহেশপুর সড়ক পথ। আবার এ পথ ধরে কিছুটা পশ্চিমে কার্পাস-ডাঙ্গা হয়ে মুজিবনগরে যাওয়া যায়। এদিকে সামনে যে রাস্তা রয়েছে সেটা সোজা পূর্বে চলে গেল ঝিনাইদহ রাস্তা। ঝিনাইদহের পূর্বে রয়েছে সরোজগঞ্জ। যেখানে যুগীরহোদা নামক একটি গ্রাম রয়েছে। সেখানে আমার এক নানার বাসা। একরাত সেখানে থেকেছিলাম। যাহোক চুয়াডাঙ্গা বাজারের এখান থেকে শুরু বাঁ হাতে যে রাস্তাটা বয়ে গেছে সেখানে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহ কাঁচামালের দোকানগুলো। এছাড়া এ রাস্তা দিয়ে আলমডাঙ্গা হয়ে কুষ্টিয়াতে যাওয়া যায় অর্থাৎ উত্তরবঙ্গের দিকে যাওয়ার রাস্তা রয়েছে। আর পিছনে অর্থাৎ পশ্চিমে মেহেরপুর থেকে তো আমি আসলাম এই শহরে। কিছুটা বাদ এগিয়ে গেলেই ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি অফিস। বর্তমান সে অফিসটা আর সে ভাবে নেই। আন্দোলনের পর অফিসের পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।
এরপর কিছুটা রেলস্টেশনের দিকে এগিয়ে যেতেই রয়েছে স্কুল এন্ড কলেজ গোরস্থান ময়দান ঈদগাহ ময়দান সহ আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সরোজগঞ্জ ঝিনাইদহের দিকে এগিয়ে গেলেই ডান হাতে চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশন। এ রেল স্টেশনে অনেকবার এসেছি। বিশেষ করে যশোর সাতক্ষীরা তে যাওয়ার সময় এই রেলস্টেশন হয়ে চলাচল করেছি অনেকবার। আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছি তবে মাঝে মধ্যে যেন আমার কাছে এই শহরটাকে একটু শান্ত শহর মনে হয়। কারণ আমরা খেয়াল করে দেখেছি বিভিন্ন শহরকে কেন্দ্র করে রাস্তার পাশে যানজট লেগেই থাকে, মানুষের উপস্থিতি বেশি থাকে। তবে এই শহরের সড়কপথে এগুলো একটু কম চোখে বাদে আমার। বিশেষ করে ট্র্যাফিক জ্যাম যানজট এই রাস্তাটাতে নেই। কিছুটা মৎস্য আরতের দিকে আবার কিছুটা দামুরহোদার দিকে হয়ে থাকে মাঝেমধ্যে। তবে বেশি যানজট দেখা যায় স্কুল কলেজ গুলোর দিকে। তবে কুষ্টিয়া শহরের মতো অতটা নয়।
ফটোগ্রাফিতে আপনারা যেমন সুন্দর ফাঁকা রাস্তা লক্ষ্য করছেন। দিনের বেশিরভাগ সময় এই শহরটা এমন ফাঁকা থাকে। লোকজন গাড়ি করার চলাচল রয়েছে সব সময় তবে ট্রাফিক জ্যাম বা হট্টগোল লেগে থাকে না। তাই আমার দেখা বিভিন্ন শহরের তুলনায় এ শহরটাকে একটু শান্ত শহর মনে হয়। আর এভাবেই শহরের অলিগলি অতিক্রম করে একটু ফাঁকা রাস্তার দিকে গেলেই আরো শান্ত ফাঁকা রাস্তা দেখতে পাওয়া যায়। আমি খেয়াল করে দেখেছি চুয়াডাঙ্গা শহরের চারিপাশে শহর অতিক্রম করে একটু গ্রামের সাইডে গেলেই ঘনবসতি খুব কম। হয়তো গ্রাম গুলোর মধ্যে ঘনবসতি একটু বেশি থাকতে পারে কিন্তু অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেক কম। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশন এরিয়া আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ভ্রমণ স্থান | চুয়াডাঙ্গা |
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | What3words |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এইতো কিছুদিন আগেও চুয়াডাঙ্গা শহরের মধ্যে দিয়ে ঝিনাইদহ গিয়েছিলাম। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিস্তারিত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভালোই লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
x-promotion
আপনার চুয়াডাঙ্গা ভ্রমণ দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। চুয়াডাঙ্গা শহরে তেমন বেশি একটা আমার যাওয়া হয়নি। শুধু কুষ্টিয়া শহরে লেখাপড়া করেছি তাই কুষ্টিয়া শহর টা বেশি চিনি। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি চুয়াডাঙ্গা সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছেন। মাথাভাঙ্গা নদীর ব্রীজটা দেখে ভালো লাগলো।
আপনি আজকের ডেইলি টাস্ক কমপ্লিট করেননি। নমিনেশন চালু রাখতে ডেইলি টাস্ক গুলো কমপ্লিট করুন এবং কমেন্ট সেকশনে লিঙ্ক বা স্ক্রিনশট শেয়ার করুন।
বিস্তারিত: https://steemit.com/hive-129948/@rex-sumon/very-important
টাস্ক: https://hackmd.io/@rex-sumon/H1bnltPMye
হ্যাঁ ভাইয়া আমি সুযোগ করে কাজ কমপ্লিট করে দিব।