বামুন্দি বাজার থেকে শীতকালীন সবজির বীজ কেনার অনুভূতি
আজ - বৃহস্পতিবার
হাই! বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নিকটস্থ বামুন্দি বাজার থেকে সবজির বীজ কেনার অনুভূতি নিয়ে। আশা করবো আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে আমার এই পোস্ট।
বেশ কিছুদিন আগে কেনাকাটার জন্য বামুন্দি বাজারে উপস্থিত হয়েছিলাম। এই বাজারটা আমাদের গাংনী মেহেরপুরের অন্যতম একটি বাজার। প্রত্যেক সোম আর শুক্রবারে এখানে হাট বসে। হাটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকমের জিনিস এখানে বেচাকেনা হয়ে থাকে। আর এজন্য বেশি দূর দুরান্ত থেকে আমাদের মতো অনেক মানুষ ছুটে যায় কেনার জন্য বা বিক্রয়ের জন্য। ঠিক তেমনি আমি আর আমার বন্ধু মারুক দুইজন কেনাকাটার উদ্দেশ্যে বামুন্দিবাজারে উপস্থিত হলাম। মামনি বাজারে উপস্থিত হওয়া মাত্রই প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হল। আর এই বৃষ্টির জন্য আমাদের অনেকক্ষণ থেমে থাকতে হলো একটি হার্ডওয়ারের দোকানে। কারণ আমার বন্ধুর বেশ কিছু হার্ডওয়ারের জিনিস প্রয়োজন ছিল। যাই হোক বৃষ্টি বন্ধ হতে হতে প্রায় মাগরিব হয়ে গেল। এদিকে আমার ও বেশ কিছু ঔষধ কেনার প্রয়োজন ছিল ফার্মেসি থেকে। ফার্মেসী হতে ঔষধ কেনা শেষ করে সোজা বীজ ভান্ডারের দিকে যেতে হবে। মূলত বন্ধুর সাথে আমার উপস্থিতির প্রধান লক্ষ্য ছিল শীতকালীন শাকসবজির বীজ কেনা।
আপনারা অনেকেই জানেন আমি প্রত্যেক বছর কম বেশি শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদন করে থাকি আমার পুকুরপাড়ের বাগানের মধ্যে। ঠিক তেমনি শীতকালীন শাকসবজি অ্যাডভান্স উৎপাদন করার জন্যই বীজ সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে বাজারে আসা। বৃষ্টির শেষ হলো, ফার্মেসি থেকে ঔষধ নেওয়া সম্পূর্ণ করলাম। এদিকে আমার বন্ধু তার কেনাকাটা শেষ করে আমাকে ফোন করে ডাকছেন। আমি তাকে বললাম যেখানে মোটরসাইকেল রাখা হয়েছে সে যেন সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং আমি এদিকে বীজ ভান্ডার থেকে বীজ কিনেই জায়গামতো উপস্থিত হব। এরপর বাজারের দিকে অগ্রসর হলাম। রাস্তার উপর খেয়াল করে দেখলাম প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে হাঁটাচলার মত সুবিধা নাই। তবুও মানুষের ভিড় অতিক্রম করে চলতে থাকলাম।
কিছুটা পথ হাঁটতে হাঁটতে বীজ ভান্ডারের দিকে পৌঁছে গেলাম। বীজ ভান্ডারে উপস্থিত হয়ে দেখলাম সেখানে তেমন মানুষের ভিড় নেই। কারণ প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে মাগরিব হয়ে আসছে আর লোকজন সবজি বাজারের দিকে বেশি ছিল। জয় হোক বেশি একটা ঘিরে না থাকায় দ্রুত উপস্থিত হয়ে পরিচিত দোকানে উঠলাম। এরপর বীজ ভান্ডারের সে আঙ্কেলকে বললাম আঙ্কেল এমন শীতকালীন কিছু শাক সবজির বীজ লাগবে আমার। আঙ্কেল আমার কথা শুনে মুলা লাল শাক পালং শাক গাজরের বীজ বের করে দিলেন। যেহেতু আমার জায়গা তেমন প্রস্তুত নেই আর এখন তো বেশ বৃষ্টি হচ্ছে তাই বেশি বীজের প্রয়োজন মনে করলাম না। শুধুমাত্র আংকেল কে বললাম সবকিছু বীজ অল্প অল্প করে দিন। বর্ষার সময় বীজ বপন করলে হয়তো নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই আগে থেকেই শুরু করি একটু একটু করে।
দেখলাম উনাদের বীজ ভান্ডারে বিভিন্ন রকমের বীজ রয়েছে। আমি জানতে চাইলাম আঙ্কেল এইগুলো ছাড়া আর কি কি এই মুহূর্তে বপন করা যাবে শীতকালীন সবজি হিসেবে। তিনি বিভিন্ন কিছুর নাম উল্লেখ করতে থাকলেন। আমি তাকে বললাম আমি শাকসবজি গুলো পুকুরপাড়ের বাগানে চাষ করতে চাই। তবে তিনি তখন তার মতো করে বিভিন্ন শাক সবজির বীজ নেওয়ার কথা বললেন। তবে তখন আমি আর বেশি কথা না বাড়িয়ে বললাম আমি এখনকার মতো এই ব্রিজগুলোর প্রয়োজন মনে করছি যেহেতু আমার জায়গা সেভাবে প্রস্তুত করা নেই। তখন উনি বললেন তাহলে একটা কাজ করেন খুব শীঘ্রই নতুন বীজ আসবে, আপনি কিছুদিন পর এসে দেখা করেন। কারণ আমি মনে করেছিলাম পেঁয়াজের বীজ নেব। পুরাতন পেঁয়াজের বীজ বেশিরভাগ নষ্ট থাকে। কথায় আছে না টাকা দিয়ে নেবতে পুরাতন জিনিস বা নষ্ট জিনিস নেবো কেন ভালো জিনিস নেবে। ঠিক তেমনটাই মনে করলাম যেহেতু প্রায় বাজারে উপস্থিত হয়ে আমরা। যাই হোক এরই মধ্যে আঙ্কেল খুব সুন্দর প্যাকেট করে বিভিন্ন শাক সবজির বীজ আমার কাছে রাখালেন। এরপর বেশ কিছু বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে টাকা পরিশোধ করে এর প্যাকেট হাতে নিয়ে বের হয়ে পড়লাম বাড়ির রওনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে।
ইতিমধ্যে আমার বন্ধু মারুফ একাধিকবার ফোন দিয়েছে আমার কাছে। যেহেতু তার কেনাকাটা হয়ে গেছে। আমি বাইরের দিকে এসেই লক্ষ্য করে দেখি আকাশের অবস্থা ভালো নয়। মাগরিবের আজান হয়ে গেছে এদিকে আকাশের ভয়ঙ্কর রূপ যে কোন মুহূর্তে আবার বৃষ্টি আসবে আসবে ভাব। তাই দ্রুত আমি আমার বন্ধু মারুফ এর কাছে উপস্থিত হলাম। সে মোটরসাইকেলটা দ্রুত বের করে নিল এরপর আমরা হাইরোডের দিকে উঠে পড়লাম। এরপরে মুদি দোকানে বেশকিছু কেনাকাটার প্রয়োজন ছিল কিন্তু আকাশের অবস্থা দেখে আর থেমে থাকলাম না। দ্রুত নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
Location
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | বামুন্দি বাজারে কেনাকাটা |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | বামুন্দি, গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুব শীঘ্রই কিন্তু শীতকাল আমাদের মাঝে চলে আসবে। তাই আগে থেকে শীতকালীন শাকসবজির বীজ ম্যানেজ করা এবং এডভান্স ভাবে কাজ শুরু করা বুদ্ধিমানের পরিচয়। বেশ অনেক কিছু ধারণা পেলাম বাজার করতে যাওয়ার মুহূর্তের। প্রচন্ড বৃষ্টির সম্মুখীন হয়েছিলেন দেখছি।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার বামুন্দি বাজার থেকে শীতকালীন সবজির বীজ কেনার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আমি জানি আপনি একজন প্রকৃতি প্রেমী মানুষ। আপনি শাক সবজি চাষ করতে পছন্দ করেন। যেটা আমার কাছেও ভালো লাগে। এটা আমারও শখ। ধন্যবাদ।
আমার কথা হচ্ছে নিজে হাতে কোন কিছু করতে পারার মধ্যে সার্থকতা রয়েছে আর সেখানে ফরমালিনমুক্ত শাকসবজি খাওয়াটা আমি বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করি