মায়ের অপারেশনের জন্য প্রথমবার ঢাকা পান্থপথের উদ্দেশ্যে যাত্রা || চতুর্থ পর্ব
হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মায়ের অপারেশন করার জন্য ঢাকা পান্থপথ এর দিকে যাত্রার চতুর্থ পর্ব নিয়ে। আশা করব এই পর্ব দেখার মধ্য দিয়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং আমাদের যাত্রা কেমন ছিল সেটাও বুঝতে পারবেন।
Infinix Hot 11s
ঢাকা সাভার বাস স্ট্যান্ড থেকে লোকাল বাস টা আবার রানিং হলো। ততক্ষণে আমি আমার সিট থেকে উঠে আম্মার কাছে উপস্থিত হলাম এবং জানতে চাইলাম কোন সমস্যা ফিল করছে কিনা। আমার তখন মোটামুটি সুস্থ ছিলেন এবং তেমন কোন সমস্যা বোধ করছিলেন না। এরপর খালাম্মাকে বললাম যেন আম্মুকে ভালোভাবে দেখতে থাকে। কারণ প্রচন্ড গরমে অতিরিক্ত মানুষ বোঝায় গাড়ির মধ্যে। এদিকে আমার আম্মা অসুস্থ রোগী। না জানি কখন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যাইহোক এরপর আবারও বাইরের দিকে ফটো ধারণ করা শুরু করলাম। দেখলাম ঢাকা সাভার পাকিজা মোড়, এখানে অনেক সুন্দর একটি মসজিদ রয়েছে। তার পাশে রয়েছে কোন এক ইন্ডাস্ট্রি। অনেক শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ এ পাশ থেকে ওপাশ থেকে বের হয়ে আসছে। আরেকটু সামনে এগিয়ে যেতে লক্ষ্য করলাম বিভিন্ন রকম পশুপাখির মূর্তি রাস্তার পাশে। সম্ভবত এখানে এগুলো তৈরি করার কোন দোকান রয়েছে এবং রাস্তার পাশে রেখে দেওয়া হয়েছে যে এখানে এগুলো বিক্রয় করা হয়। যাইহোক নতুন নতুন জিনিস দেখতে থাকলাম এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে থাকলাম ঢাকা শহর সম্পর্কে। এদিকে বাস রানিং যাত্রীরা গাড়ির মধ্য থেকে যে যার মত কথা বলছে।
Infinix Hot 11s
দেখতে থাকলাম ঢাকা শহরের সৌন্দর্য। বিল্ডিং এর পর বিল্ডিং। যেদিকেই তাকাই শুধু বড় বড় দালান কোটা। ভাবতে থাকলাম গ্রামে কত সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ সবুজের প্রান্তর, এখানে সেগুলো নাই। যেন ব্যস্ত নগরী গ্রামে মাচায় মাচায় মানুষজন বসে থাকে, এখানে সেই সমস্ত দৃশ্য দেখার মত নাই। রয়েছে বড় বড় বিল্ডিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইন্ডাস্ট্রি, কোয়াটার, ফ্ল্যাট ইত্যাদি। তবে কিছু কিছু বিল্ডিংয়ের লক্ষ্য করে দেখলাম উপরে বিভিন্ন ফুলের গাছ ফলের গাছ। আবার কিছু কিছু পাতাবাহার গাছ দিয়ে সুন্দরভাবে সাজানো। আমাদের মেহেরপুর শহরে দীর্ঘদিন চলাচল করেছি কিন্তু ঢাকা শহরে অনেকটা ব্যতিক্রম লক্ষ্য করলাম। যেন নিজেদের এলাকার শহর থেকে এখানে ভিন্নতা প্রকাশ পাচ্ছে বেশি।
Infinix Hot 11s
বিভিন্ন কিছু দেখতে দেখতে এবং ভাবতে ভাবতে আমাদের গাড়ি এসে থামলো ঢাকা সাভার পার হয়ে হেমায়েতপুর নামক স্থানে। এখানে আমার ছোট মামার নিজস্ব ফ্লাট রয়েছে। দীর্ঘদিন আবুল খায়ের কোম্পানির চাকরিতে রয়েছেন তিনি, ভালো পর্যায়ের চাকরি করেন। এই জায়গায় জমি কিনেছেন বেশ কয়েকজন একসাথে বিল্ডিং করেছেন। তবে খুব ইচ্ছা ছিল মামার বাসাটা দেখার জন্য। কিন্তু এই প্রথম এই এলাকায় তাও আবার আম্মুকে ডাক্তারের কাছে নিতে হচ্ছে। যদি সুযোগ হয় পরবর্তীতে যাবো এমন মানসিকতা স্থির করলাম। এদিকে আম্মুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছি ছোটমামা আমাকে ফোন করে জানালেন তিনি পান্থপথের বিআরবি এলাকায় থাকবেন। স্কয়ার হসপিটাল পার হয়ে কোন এক স্থানে থাকবেন, আমরা যেন পান্থপথে উপস্থিত হয়ে মামাকে ফোন দেই। এরপর হেমায়েতপুর শহর টা দেখতে থাকলাম। বেশ কিছুটা সময়ের জন্য বাস থেমেছিল যাত্রী উত্তোলনের জন্য। আবারো খেয়াল করে দেখলাম আম্মা ঠিক আছে কিনা।
Infinix Hot 11s
হেমায়েতপুর থেকে সামনের দিকে অর্থাৎ গাবতলীর দিকে অগ্রসর হতেই লক্ষ্য করে দেখলাম জায়গায় জায়গায় ময়লার স্তুপ। এমন ময়লার স্তূপ আগে কখনো কোন জায়গায় দেখেনি। দীর্ঘ পথ বাসের মধ্য থেকেও নাক ধরে রাখতে হলো রুমাল দিয়ে। এদিকে আম্মুকে বললাম নাক ধরে রাখতে। এরপর সেখানে গাবতলী পৌঁছাতে একটা ব্রিজ পার হলাম। দীর্ঘ পথ কি ময়লা আবর্জনা। আবার শুনতে পারলাম এখানেই নাকি গরুর বাজার বসে ঈদ উপলক্ষে। অর্থাৎ এটাই সেই গাবতলীর গরুর হাট অতিক্রম করতে চলেছি। দীর্ঘদিন শুনে আসছিলাম গাবতলীর গরুর হাটের কথা আজকে সেই এলাকায় উপস্থিত হয়েছি যেন কেমন একটু আশ্চর্য ফিল করছিলাম। তবে সামনে এগিয়ে যেতে যেন ট্রাফিক জামের সম্মুখীন হলাম। তাই এদিকে ওদিকে দেখার সুযোগ মিললো। আরো লক্ষ্য করতে খেয়াল করে দেখলাম কাজী অফিস পাশাপাশি আওয়ামী লীগের একটা অফিস। তবে কাজী অফিসের দেয়ালে লেখা "বাল্যবিবাহ দণ্ডনীয় অপরাধ" এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। কিন্তু বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ তো রয়েছেই। কাগজ কলমে থেকে কি হবে যদি কার্যকর না হয়। যাইহোক ট্রাফিক জামের কথা শুনেছি মিডিয়ার মাধ্যমে কিন্তু এই প্রথম ট্রাফিক জামের সম্মুখীন হলাম দীর্ঘ সময়ের জন্য।
Infinix Hot 11s
এরপর আমাদের গাড়ি গাবতলী পার হয়ে আসলো। এদিকে ট্রাফিক জ্যাম একটু কম ছিল। তবুও জায়গায় জায়গায় জমে আটকা পড়ছিল গাড়ি। এদিকে মিরপুর শাহী মসজিদ এলাকার আশেপাশের লক্ষ্য করে দেখলাম। অনেকেই বলতে থাকলো এটা গাবতলী বাস স্ট্যান্ড। এরপর আমার পাশে থাকা একজন দেখালো এদিকে মমতাজের বাড়ি। আবার একজন বলল ওই পাশের ডিপজলের বাড়ি। আর এভাবেই বাংলাদেশের বেশ কিছু স্বনামধন্য শিল্পী তারকাদের কোথায় কমলে বাড়িঘর রয়েছে জানতে পারলাম পাশের এক ব্যক্তির কাছ থেকে। তবে পাশের এক ব্যক্তি আমাকে বারবার সতর্ক করছিল ভাই এখানে ছিনতাইকারীরা মোবাইল ছো দিয়ে নিয়ে চলে যায়, আপনি ফটো ধারণ করা বন্ধ রাখেন। তোকে দেখার দেখতে থাকেন মোবাইলটা হাতের মধ্যে রাখেন। অনেক সময় জানালা দিয়ে হাতে থাকা মোবাইল নিয়ে চলে যায়,আর আপনি তো জানালার পাশে মোবাইল ধরছেন আপনার মোবাইল নিতে সময় লাগবে না তাদের। তবুও তাদের আমি বারণ করলাম আপনারা বারবার এ কথা বলবেন না আমি সজাগ রয়েছি আমার কিছু ফটো ধারণ করতে হবে। আর এভাবেই আমাদের গাড়ি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলো। (চলবে)
Infinix Hot 11s
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন গাংনী | What3words |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকে আপনি আমাদের মাঝে আম্মুর অপারেশনের জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন সেই বিষয়ে আরেকটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ঢাকা সাভার থেকে গাবতলী মিরপুর পর্যন্ত অনেক কিছু দেখেছেন এবং ফটো ধারণ করেছেন। আর সেই সমস্ত বিষয়ে খুব সুন্দর ভাবে পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
হ্যাঁ এখনো অনেক শেয়ার করতে বাকি আছে
তুমি একটা যেন কেমন হয়ে গেছে রোগ মানুষের লেগেই রয়েছে। তবে যাই হোক মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি আপনার আম্মু যেন খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে যায়। সেদিন যদিও আন্টিকে দেখে আসলাম তবে আশা করি খুব দ্রুত আরো বেশি সুস্থতা পাবেন আপনার আম্মু ধন্যবাদ।
আশা করি দোয়া করবেন