নাটক রিভিউ || হাড় কিপটে || ৫১ তম পর্ব
আজ - সোমবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৫১ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
নাম | হাড় কিপটে |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৫১ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম (গোল্লা)
- আমিরুল হক চৌধুরীর (নজর আলী)
- চঞ্চল চৌধুরী (বহর আলী)
- বৃন্দাবন দাস (ভূপেন) সহ আরো অনেকে
হাড় কিপটে নাটকের ৫১ তম পর্বের লক্ষ্য করা যায় নজর আলী কৃপণ তার দাওয়াই বসে রয়েছেন হঠাৎ করে ছোট ছেলে এসে বাবার সাথে রাগারাগি শুরু করল। নজর আলী রিপন কেন জব্বর কাকাকে অপমান করেছে সে কি জানে না তার ছোট ছেলে তার মেয়ের সাথে প্রেম করে। বিষয়টা এমন ভাবে নজর আলী ছেলে বলতে থাকলো সে বিয়ে না হতেই মন থেকে মেনে নিয়েছে জাব্বার তার শ্বশুর। সে তার আব্বার কাছে বলতে থাকলো কেন সে তার শ্বশুর আব্বাকে অপমান করেছে। নজর আলী কৃপণ তার এমন কথা শুনে প্রচন্ড রেগে যায়। এক পর্যায়ে দেখা যায় বাবা তার ছেলেকে ত্যাজ্য পুত্র করলো এবং হাতের পাশে থাকা একটি লাঠি দিয়ে ছেলেকে মারার জন্য ধাওয়া করল। আর তার বাবার মাইরের ভয়ে সে দৌড়ে পালিয়ে গেল চলে আসলো মজনুর ভাইয়ের দোকানে। কিন্তু দেখা গেল মজনুর ভাই তাকে দোকানের মাচায় বসতে দিল না। সে জানে কারা দোকান থেকে জিনিস কিনে খাবে আর কারা কিনে খাবে না। মজনুর ভাই এমনটাই নিয়ত করেছে যারা তার দোকান থেকে কোন কিছু কিনে খাবে তাদেরকে মূলত বসতে দিবে। ঠিক এখানেও নহরের সাথে মজনুর ভাইয়ের রাগারাগি হয়ে গেল তাই না হওয়ার তার দোকানের বসার বেঞ্চগুলো লাথি মেরে উল্টে ফেলে দেয়। তার এমন আচরণগুলো নজর আলীকে জানানোর জন্য মজনুর ভাই তাদের বাড়িতে এসেছে কিন্তু নজর আলী বিষয়গুলো আমলে নিচ্ছে না। উল্টা বলছে সে তার ছেলেকে তেজ্যপুত্র করেছে, তার যা ইচ্ছা তাই করে নিক ছেলের সাথে।
এদিকে মজনু হঠাৎ করে বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরল। এরপর ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে নতুন জামা কাপড় গায়ে দেয়। তার এমন তাড়াহুড়ো মুহূর্ত ভাবির লক্ষ্য করে দেখছেন। তার ভাবি প্রশ্ন করলেন, সে কোথায় যাচ্ছে সেজেগুজে। সে বললো পাত্রী দেখার জন্য বাইরে যাচ্ছে। তখন ভাবি বলল শুভ কাজের জন্য যখন বাইরে যাচ্ছে কিছুটা খেয়ে যা। কিন্তু সে উত্তর দিল ভাবীর হাতে খাওয়ার পর ভাই যদি তার সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে তাদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি করার দরকার কি তাই সে না খেয়েই বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন তার ভাবি আরো জানতে চাই যেহেতু পাত্রী দেখতে যাচ্ছে কাউকে সাথে নিয়ে যাচ্ছে না। তখন সে উত্তর দেয় তার আর এই দুনিয়ায় কে আছে যে তাকে সাথে নিয়ে যাবে তাই নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিচ্ছে। কারণ ভবঘুরে আর কত দিন সে থাকবে, তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্রুত পাত্রী দেখে বিয়ে করার। আর এভাবে সে এক মুহূর্তে বাড়ি ছেড়ে চলে গেল আর ভাবি মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে থাকলো।
এদিকে হারাধন দত্তের দুই কুট কোথা হতে জানো বাড়ির দিকে ফিরছেন। পথের মধ্যে গোল্লার সাথে দেখা হল। এতদিন গোল্লা তাদের অনেক বুদ্ধি দিত এখন যেন বুদ্ধি আর দেয় না। তাই তারা একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়েছে। আগামীতে কি করতে হবে না হবে এই বিষয়ে যখন জানতে চাইলো গোল্লার কাছে, গোল্লা বলল পরবর্তীতে কথা বলবে আর এখন এই মুহূর্তে এসে পুজো করবে একজনের তাই তারা উপস্থিত থাকলে পুজো হালকা হয়ে যেতে পারে। তাই দ্রুত গোল্লা তার এ মামা দুইটাকে বাড়িতে যেতে বলল। কিন্তু সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখল শিবানির খালাতো ভাই মিলন এসে উপস্থিত হয়েছে সে আর বাড়িতে যাইনি। মিলন তার মামা দুইটাকে অপমান করে বলল মৃত বোনের জন্য এত দরদ উঠলে যাচ্ছে তারা দুই মামা এখানে এসে উপস্থিত হয়েছে কিন্তু জীবিত বোনকে তো দেখতে যায় না। তারমানে শিবানী আর মিলন খালাতো ভাই বোন। এদিকে শিবানী তার ভাই ভূপেনের দেখাশোনা করে না,মিলনের বেশ খাতির করে। এমন বিষয়টা দুই মামা দেখে বেশ কষ্ট পেল। কারণ মামা দুইটার সাথেও খারাপ আচরণ করে সব সময়। কিন্তু মিলনের সাথে এত ভালোবাসা প্রেম পিরিতি কিসের বাপ মেয়ের।
এদিকে মিলন বাইরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিল। শিবানী তাকে বারবার বারণ করে যেন গোল্লার সাথে কোন কথা না কাটাকাটি করে। কারণ ইতোমধ্যে গোল্লাকে অনেক অপমান অপদস্থ করেছে। না জানি গোল্লা তার সাথে কি আচরণ করে। কিন্তু ঠিকই দেখা গেল গোল্লা রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে মিলনকে মারার আশায়। গোল্লা খুঁজে একটা লাঠি পেল সেটা হাতে ধরে রাখল কখন মিলন বের হবে। এরপর মিলন গান গাইতে গাইতে পথ চলতে লক্ষ্য করে দেখে গোল্লা দাঁড়িয়ে আছে তার মার আশায়। তবে মিলন তার সুচ চালাকি বুদ্ধি দিয়ে গোল্লার হাতের লাঠি ফেলায়। এরপর পাঁচ আঙ্গুলের চড় বসানোর চিন্তা গোল্লার। মিলন কৌশল করে আবার বলে জনসম্মুখে যদি তাকে না মারে তাহলে মানুষের জানবে কি করে যে গোল্লার রাগ কমানো হচ্ছে মিলনকে মেরে। নির্জন একাকী সে একটার জায়গায় ১০০ টা থাপড়ালেও কেউ জানবে না। তখন তারা জায়গা বেছে নিল মজনুর দোকান। দুজন সেখানেই চলছিল। হঠাৎ মিলন পিছু টান দিয়ে দৌড়ে পালায়। অতঃপর দূর থেকে গোল্লাতে শালা সুমন্দি বলে গালিগালাজ করে, গোল্লা একটু তার দিকে এগিয়ে যেতেই মিলন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
হাড় কিপটে নাটকের একান্নতম পর্বে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি, নজর আলীর ছেলের সাথে গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি, এদিকে মিলনের সাথে গোল্লার গ্যাঞ্জাম, এছাড়াও শিবানীর মামাদের প্রতি অবহেলা। তাই বলতে গেলে আমরা লক্ষ্য করে দেখি এই পর্বে শুধু গ্যাঞ্জাম লেগে রয়েছে এমন একটা পর্যায়। আর তারি মাঝখানে মজনুর মনে নতুন একটা আশা আকাঙ্ক্ষা বিয়ে করার। আর এই সমস্ত মিলে ছিল ৫১ তম পর্বের সুন্দর অভিনয়। পূর্বের মতো এ পর্বে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি, নিজ নিজ অবস্থান থেকে নজর আলী,নজর আলী ছেলে নহর আলী অনেক সুন্দর অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি দোকানদারের অভিনয়টাও অসাধারণ ছিল। যেন নতুন মাথায় কৃপণতা যুক্ত হয়েছে এই মজনুকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর। তাই বলতে পারি এই পর্বের অভিনয় গুলো বেশ অসাধারণ ছিল নজর আলী, নহর আলী, গোল্লা এবং মজনুর ভাইয়ের।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই নাটকটা আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় একটা নাটক। হারকিপটে নাটক দেখে নাই এমন মানুষ হয়তোবা খুঁজে পাওয়া যাবে না।
অনেক জনপ্রিয় নাটক
বাংলাদেশের নির্মিত ভালো মানের নাটকের ভেতর হাড় কিপটে নাটক আমি মনে করি অন্যতম। নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে দীর্ঘদিন আগে আমি এই নাটকটি দেখেছিলাম। আর আপনার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত এই নাটকের রিভিউ দেখতে পারছি। নাটকের রিভিউ পড়ে এই নাটক সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়েছি। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি নাটক প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে রিভিউ নিয়ে আসার জন্য।
আশা করব এবার সব দেখে নিবে
জ্বি ভাই সময় করে অল্প অল্প করে দেখার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
হাড় কিপটে নাটকের ৫১ তম পর্বের রিভিউ পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে একে একে এই নাটকের পর্ব গুলোর রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছেন। এই নাটকের অনেকগুলো পর্বের রিভিউ আমার পড়া হয়েছে।
আশায় আছিসষ সব রিভিউ করব
এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলোর রিভিউ যত পড়ি ততই খুব ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা এই নাটকটির রিভিউ পোস্ট পড়তে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। নাটক রিভিউর মাধ্যমে সহজে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী জেনে নেওয়া যায়, এই বিষয়টা আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এই কাহিনীটাকে আপনি আজকে এত সুন্দর করে সবার মাঝে উপস্থাপন করেছেন, সবাই রিভিউ পড়লে আর নাটকটা দেখা লাগবেনা। সুন্দর ছিল নাটকটি।
ভালো লাগে জেনে খুশি হয়েছি