মায়ের অপারেশনের জন্য জাহাঙ্গীরনগর থেকে প্রথমবার ঢাকা পান্থপথে যাত্রা || প্রথম পর্ব
হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ঢাকা জাহাঙ্গীরনগরে অবস্থান করে আম্মার অপারেশনের জন্য ঢাকা পান্থপথের হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে যাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য।
Infinix Hot 11s
কুড়ি মে ২০২৪, ঢাকা সাভার ২০ মাইল পানধোয়া বাজার নোয়া খালাম্মার বাসাথেকে ঢাকা পান্থপথের উদ্দেশ্যে বের হব। বিষয় আমার অপারেশনের বিষয়টা এবং আমার সেটআপ পড়ানোর বিষয়টা ঠিকঠাক করতে হবে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর সুযোগ বুঝে কিছুটা কাজে এগিয়ে নিলাম পোস্ট কমেন্টের। ইতোমধ্যে রান্নাবাড়া সম্পন্ন করে খাবার রেডি করে আমি যে রুমে অবস্থান করেছিলাম সেখানে এনে দিল, আমার কলিজার টুকরা ছোট্ট বোন বা খালাতো মেজ ভাইয়ের বউ @sumiya23, আমি এদিকে দ্রুত খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। ওদিকে সুমাইয়া শিমু আমার আম্মাকেও খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ক যত্ন নিয়ে দ্রুত রেডি করে দিলেন। তার সুন্দর ব্যবহার কষ্টের মাঝখানেও যেন সাহস যুগিয়ে ছিল এবং মন সন্তুষ্ট রেখেছিল আমাদের। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে টাকা এবং মায়ের বিভিন্ন ডাক্তারের দেখানো প্রেসক্রিপশন গুলো রেডি করে নিলাম। ক্যাশ হিসেবে আমার কাছে ৫০ হাজার এর কিছু বেশি ছিল। আর এদিকে মোবাইল একাউন্টে 20 হাজার রেখেছিলাম। তাই ৫০০০০ এর মধ্যে থেকে দশ হাজার টাকা সাথে নিলাম। বাকি ৪০ হাজার টাকা খালাম্মার বাক্সের মধ্যে রেখে দিলাম। এরপর রেডি হয়ে দ্রুত বের হয়ে পড়লাম যেহেতু সেখান থেকে ঢাকার পান্থপথ যেতে ট্রাফিক জ্যামের জন্য ২ ঘন্টা লেগে যাবে। তবে এদিকে হসপিটালে আমরা মোবাইলে কথা বলেছিলাম বলেছিল ডাক্তার আসবে তিনটার পর। তার আগে যে সমস্ত চেকাপের কাজগুলো রয়েছে সেরে নিতে হবে তাই একটা সময় যেন আমরা পৌঁছে যায়। আরো বলে দিয়েছেন আমার আম্মা যেন কোন কিছু না খেয়ে যান। আমার আসে এভাবেই রেডি হয়ে পথে বের হয়ে পড়লাম।
Infinix Hot 11s
খালাম্মার বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় কোন গাড়ি পাচ্ছিলাম না। এখানে অটোরিকশা প্রতিনিয়ত চলাচল করে। কিন্তু ওই মুহূর্তে যেন কোনো গাড়ি চোখের সামনে বাদছে না। প্রচন্ড গরমের দিন ছিল সেদিন। রাস্তায় হাঁটতে যেমন বিরক্তি ফিল করছিলাম কেমন মনের মধ্যে প্রচন্ড টেনশন কাজ করছিল, জীবনে এভাবে কখনো হসপিটালে উপস্থিত হয়নি। আর সেখানে নিজের মায়ের অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে অপারেশনের জন্য যেতে হচ্ছে। মানসিক টেনশন আর প্রচন্ড গরমের অতিষ্ঠ তা আমাকে বেশ নার্ভাস করতে লাগলো। তবে সাথে খালাম্মা থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তি মনের মধ্যে ছিল সাহস ছিল। তবে রাস্তাঘাটে কেমন মানুষের দেখায় মিলছে না প্রচন্ড গরমের কারণে। এদিকে গুগল সব সময় লোকেশন আমি দেখে চলছি। কারণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওদিকে আর কোনদিন যাওয়া হয়নি আমার এই প্রথম যেতে চলেছি। কিছুটা পথ এগিয়ে যেতে দাঁড়িয়ে থাকতেই পেয়ে গেলাম একটি গাড়ি। এরপর আমরা গাড়িতে উঠে পরলাম উদ্দেশ্য পান ধোয়া বাজার অতিক্রম করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ মাইল গেট।
Infinix Hot 11s
গাড়িতে উঠে অগ্রসর হলাম পান ধোয়া বাজারের দিকে। আমি যেদিন ঢাকাতে উপস্থিত হলাম ঐ সন্ধ্যা রাতেই বাজারে এসেছিলাম শসা সহ বিভিন্ন কিছু কেনার জন্য। কারণ এই বাজারটা আমার এর আগেই পরিচিত। এর আগে একবার এসেছিলাম এবং এই বাজারে বেশ চলাচল করেছিলাম। যে কয়দিন থেকে ছিলাম সেই কয়দিন বেশ ঘোরাঘুরি করেছিলাম এই বাজারে। তাই প্রথম রাত টাই কিছুটা সময়ের জন্য এই বাজারে চলাফেরা করে কেনাকাটা করে অন্যরকম ভালোলাগা মনের মধ্যে ছিল। গাড়িটাও ঠিক সে বাজারের দিকে অগ্রসর হতে থাকলো ধীরে ধীরে। কিন্তু রাস্তার অবস্থা তেমন ভালো নয়। হেয়ারিং পার হয়ে পিস ঢালা রাস্তা। আমার জায়গায় জায়গায় হেয়ারিং। আবার জায়গায় জায়গায় এতটাই ভাঙ্গা চলতেউ বেশ কষ্ট। এভাবে একটি মুহূর্তে বাজারটা অতিক্রম করে চলে আসলাম বাজারের অপোজিট পাশে। কারণ বাজারের উপর রাস্তা এতটাই ভাঙ্গা, গাড়ির মধ্য থেকে মোবাইল ধরে ফটো ধারন করা সম্ভব নয়।
Infinix Hot 11s
এরপর ধীরে ধীরে আমরা অগ্রসর হতে থাকলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহির প্রান্তে রাঙ্গামাটি প্লেগ্রাউন্ড ও বিশমাইল স্তম্ভ এর দিকে। এই জায়গাটা আমার কাছে বেশ ভালোলাগার। যতদিন অবস্থান করেছিলাম তার মধ্যে বেশিরভাগ বাজারে এদিক সেদিকে ভ্রমণ করতে গিয়ে এসে সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে এখানে রেস্ট নিয়েছি। তাই কঠিন মুহূর্তের দিনগুলো কিছুটা সময়ের জন্য প্রশান্তির খোঁজ মিলিয়ে ছিল এই জায়গা। কিছুটা নির্জনতায় উপস্থিত হয়েছি এখানে। আশেপাশে মানুষজনের খেলাধুলা বসে থাকা আকাশের চাঁদ তারা উপভোগ করেছি শীতল বাতাস গ্রহণ করার পাশাপাশি। আগামী পর্বে এই স্থানের চিত্রগুলো শেয়ার করব, আর এখান থেকে বিশ মাইল ফ্লাইওভার পর্যন্ত সুন্দরভাবে প্রেজেন্ট করব আপনাদের মাঝে।
Infinix Hot 11s
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন গাংনী | What3words |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আমার অপারেশনের জন্য আপনি অনেক পরিশ্রম করেছেন এবং খালাম্মাদের বাসা থেকে হসপিটাল পর্যন্ত বেশ যাওয়া আসা করেছেন। তারমধ্যে আমরাও বেশ টেনশনে ছিলাম বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে। হয়তো আপনার পোস্টগুলোর মধ্য দিয়ে আমার বিস্তারিত জানতে পারবো।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খালাতো মেজ ভাইয়ের বউ কি এখানে কাজ করে। নাম দেখে মনে হচ্ছে এখানে কাজ করে তবে জানা ছিল না আগে। কিছুদিন আগে শুনেছিলাম আপনার মাকে নিয়ে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে গিয়েছেন। তবে আগের থেকে এখন আপনার মা একটু সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যাঁ, লেভেল দুই পাশ করেছে।
আন্টির অপারেশনের জন্য জাহাঙ্গীরনগর থেকে প্রথমবার ঢাকা পান্থপথে যাওয়ার অনুভূতি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আসলে এমনিতে ছিলেন বিপদে। তার মধ্যে প্রচন্ড গরম আর অচেনা পথ অস্বস্তি লাগারি কথা। সাথে খালাম্মা ছিল বলে একটু সাহস পেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু খালাম্মা আজকে আমাদের বাসায় এসেছে
ভাইয়া প্রথমে আপনার মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। মহান রাব্বুল আলামিন যেন খুব দ্রুতই আপনার মাকে সুস্থতা দান করেন আমিন। তাছাড়া মায়ের অপারেশনের জন্য আপনার এই ছোটাছুটি সত্যিই প্রশংসনীয়। তাছাড়া আমি অনেক আগে থেকেই দেখছি আপনি আপনার মায়ের সাথে এখানে ওখানে নিয়ে যাচ্ছেন মায়ের সুস্থতার জন্য। আশা করছি ইনশাআল্লাহ অপারেশন ভালোভাবে হলে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। সব সময় দোয়া রইল। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।