অতিরিক্ত পরিশ্রম কখনোই আমাদের সুফল বয়ে আনতে পারে না
আসসালামু আলাইকুম। হ্যালো সহযোগী আমার বাংলা ব্লগ ও স্টিমিয়ান বন্ধুরা। আশা করছি আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অপরূপ দয়ায় আমিও বেশ ভালো আছি। আমরা যেন সব সময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সেই কারণে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি এবং এই দোয়া কামনা করছি সকলের প্রতি।
জীবন একটি যুদ্ধ ক্ষেত্রের নাম। আপনি যদি জীবনে বেঁচে থাকতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য কঠোর পরিশ্রমের কোন শেষ নাই।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে কোনরকম নাস্তা শেষ করে আপনাকে কাজে বের হতে হবে এবং অবশ্যই জীবিকা নির্বাহ করার জন্য কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা দিনে প্রায় 16-17 ঘন্টা পরিশ্রম করে এবং বাকি ৬ ঘন্টা মাত্র আরাম আয়েশ এবং ঘুমের জন্য।
যদিও আমাদের জীবনের জন্য পরিশ্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তবে তারপরেও এই পরিশ্রম করার ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।
আমরা জানি যে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য প্রতিনিয়ত অনেক পরিশ্রম করতে হবে আমাদেরকে। তবে মাঝে মাঝে এই পরিশ্রমের মাত্রা এতটাই বেশি হয়ে যায় যে আমরা অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে গিয়ে আমাদের জীবন টুকু পর্যন্ত শেষ করে ফেলি।
জীবনে এমন যোদ্ধা রয়েছে যারা আজীবন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শুধুমাত্র পরিবারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আপনাদের মাঝে জীবনের প্রতি পরিশ্রমের প্রভাব চমৎকার এই কনটেন্ট লিখতে গিয়ে আমার হঠাৎ করেই একজন দুবাই প্রবাসী ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেল।
চঞ্চল ভাই নামের আমার একটি প্রবাসী ভাই দুবাইয়ে থাকেন। তিনি সেখানে প্রায় ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কনস্ট্রাকশন এর কাজ করেন এবং প্রতিনিয়ত তাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়।
যদিও চঞ্চল একটি পরিবারের একটি সন্তান এবং তারপরে তাকে কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
২০১৮ সালে আমরা একসঙ্গে চাকরি করেছিলাম এবং অবশেষে ২০২২ সালের শেষের দিকে চঞ্চল ভাই দুবাই চলে গিয়েছিল তার ইনকামের বৃদ্ধির জন্য। তবে সেখানে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় এবং প্রচন্ড রোদের ভিতর তাকে কাজ করতে হয়।
মানুষের দ্বীনের পরিবর্তে ইনকামের পরিবর্তন ঘটাতে স্বাভাবিক। তবে বেশ এক সপ্তাহ পূর্বে চঞ্চল ভাই আমাকে হঠাৎ ফোন করেই তার কষ্টের কথা বলতে গিয়ে প্রায় কেঁদে ফেলেছিল।
৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল সেদিন। কঠোর এই রোদ্রের ভেতরে কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ করেই তার মাথা ঘুরে যায় এবং সে জমিনে পড়ে গিয়েছিল। পাকিস্তানি কন্টাকটার তাকে খুব দ্রুত রুমের ভিতর নিয়ে মাথায় পানি দিয়েছিল এবং এসি রুমের ভেতরে প্রায় ৪ ঘন্টা তাকে বিশ্রাম করতে দিয়েছিল। অবশেষে চঞ্চল ভাই সুস্থ হয়েছিল এবং ওই দিন ছুটি দেওয়ার পর পরবর্তী দিন থেকে আবারও তাকে সেই কঠোর পরিশ্রমী কাজে যোগদান করতে হয়েছিল।
এখন আমাদের মূল কথায় আসি। আমাদের জীবনের জন্য পরিশ্রম অত্যন্ত কার্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে মাত্রার অতিরিক্ত পরিশ্রম কখনো আমাদের জীবনের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে না।
আমি জানি আপনি একজন আত্মবিশ্বাসী এবং কঠোর পরিশ্রমী মানুষ। তবে খুব কঠোর পরিশ্রম করতে গিয়ে যেন আপনার জীবনটা চলে না যায় সেদিকে নজর রাখাটাও জরুরি একটা বিষয়। পরিশ্রম করুন যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই। তবে শরীরের ওপর খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করে সেখান থেকে বেশি অর্থ ইনকাম করতে গিয়ে যদি নিজের জীবনটাই চলে যায় তাহলে কেমন হয়??
সত্যিই কেউ কখনো কারো নিজের জীবনটা খুব সহজে দিতে চাই না।
সুতরাং উপরের গল্প থেকে কি বুঝতে পারলেন? হা বন্ধুরা একদম ঠিক ধরেছেন. অতিরিক্ত কোন কিছুই আমাদের জীবনের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে না। হোক সেটা পরিশ্রম কিংবা ভালো খাবার।
আপনার শরীরের ধারণক্ষমতা বাহিরে যদি আপনি পরিশ্রম করতে যান তাহলে হয়তো আপনার সেই কঠোর পরিশ্রমের কারণে প্রাণটা চলে যেতে পারে এবং আপনি মৃত্যুবরণ করতে পারেন। ঠিক যেমনটি ঘটনা ঘটেছে আমার প্রিয় চঞ্চল ভাইয়ের সঙ্গে।
অপরপক্ষে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না তার দৃষ্টান্ত উদাহরণ হল খাবার। যতটুকু খাবার খেয়ে আপনি স্বস্তিতে থাকতে পারেন ততটুকুই খাদ্য গ্রহণ করুন। অতিরিক্ত খাবার খেয়ে পেটে সমস্যা সৃষ্টি এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করার কোন প্রশ্নই আসে না।
সুতরাং আমি মনে করি জীবনে যদিও অর্থের প্রয়োজন অনেক তবে অতিরিক্ত পরিশ্রম কখনোই আমাদের শরীরের জন্য এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। পরিশ্রম করুন তবে অবশ্যই নিজের শরীরকে ঠিক রেখে।
https://twitter.com/Akash02671928/status/1691891764028911716?t=CrRRieU21qXaujkvGIy-pw&s=19
প্রবাদে আছে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। আপনি পরিশ্রম না করে কখনোই উন্নতি করতে পারবেন না। পরিশ্রম ধারায় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব। আপনি যেমন পরিশ্রম করবেন তেমন আপনার শরীরের দিকেও আপনার লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের কর্মক্ষমতা থেকে যদি আমাদের শরীরে বেশি কাজ করার হয়ে থাকে তাহলে অবশেষে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের দেশে এমন মানুষ আছে যারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা পরিশ্রম করে থাকেন। এই পরিশ্রমের ফলে হয়তো বা সে বেশি ইনকাম করেন কিন্তুু তার শরীরে উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে যা খুবই ক্ষতিকর। তাই মানতেই হবে অধিক পরিশ্রম কখনোই সফল হতে পারেনা। তাই মানতেই হবে অধিক পরিশ্রম কখনো সফল ভয়ে আনতে পারে না।
প্রথমেই গুণগতমান বজায় রেখে চমৎকার মন্তব্য এবং সহমত প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ বলছি। আসলে শুধুমাত্র অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে আমরা কখনোই নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারব না। আমরা যদি নিজেকে উন্নত করতে চাই তাহলে আমাদের প্রথমে স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখতে হবে এবং এরপর সঠিক জায়গায় সময় অনুযায়ী পরিশ্রম করতে হবে। তবে আমরা এই কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারি।
শুভকামনা রইল আপনার প্রতি চমৎকার মন্তব্য দেওয়ার জন্য।
আপনার চঞ্চল ভাইয়ের মত অনেক প্রবাসী ভাইয়েরা নিজের ইনকাম বৃদ্ধি করার জন্য এরকম অন্য দেশে পাড়ি জমায়। শ্বেত কঠোর পরিশ্রমী ছিল যার কারণে আবার খুব দ্রুতই কাজে যোগদান করেছিল এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে জীবনে বড় হতে গেলে পরিশ্রম করতে হবে। তবে সেটা নিজের শরীরের ওপরে ডিপেন্ড করে যে আপনি কতটা সহ্য করতে পারবেন। সুন্দর টপিক নিয়ে লিখেছেন শুভকামনা রইল ভাইয়া।
অবশ্যই আমাদের উচিত প্রথমে আমাদের শরীরের চিন্তা করা। কারণ আমাদের শরীর হচ্ছে বড় সম্পদ। স্বাস্থ্য যদি ভালো হয় তাহলে আমাদের সবকিছুই ভালো লাগে। সুতরাং শরীরের কথা বিবেচনা করে আমাদের পরিশ্রমের ভার গ্রহণ করতে হবে।
পরিশ্রম করলে মানুষের কল্যাণ হবে এটা ঠিক। কোথায় আছে বেশি বেশি ভালো না। খাবার বলেন কাজ বলেন যেটাই হোক না কেন অতিরিক্ত হলে সেটি আরো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে।
আগে নিজেকে বাঁচতে হবে নিজেকে বাঁচাতে হবে সুস্থ থাকতে হবে সবল থাকতে হবে তারপরে পরিশ্রম করতে হবে।
বেশি লাভ করে বেশি পরিশ্রম করে কাজ করতে গেলে সুফল কখনোই ভালোবাসে না।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য। কৃতজ্ঞ
পরিশ্রম করা ভালো এবং পরিশ্রমে সুফল বয়ে আনে। তবে সেটি অতিরিক্ত মাত্রায় করলে সেটা কুফল ই বয়ে আনবে। কারণ কথায় আছে না অতিরিক্ত কোন কিছুই ঠিক নয়।ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তবে একটি বিষয়ে তুলে ধরার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে চমৎকারভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্য। আপনাদের এই চমৎকার অনুপ্রেরণা গুলো আমাকে পরবর্তীতে আরো ভালো মানের ব্লগ লিখতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত যে কোন কিছুই খারাপ। আমাদের সুস্থ ভাবে বেচে থাকার জন্য যতটা পরিশ্রম ঠিক ততটাই বিশ্রাম দরকার। এই দুইটির মাঝে ব্যালেন্স নষ্ট হলেই শরীর খারাপ করবে।চঞ্চল ভাইয়ের জন্য অনেক খারাপ লাগতেছে ঈশ্বর তাকে সুস্থ রাখুক। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটির জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই চমৎকার ফিডব্যাক এবং আমার চঞ্চল ভাইয়ের জন্য দোয়া করার জন্য
। তবে আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব রাখাটা জরুরি একটা বিষয়। কারন আমাদের স্বাস্থ্যই বড় সম্পদ।
পরিশ্রম করা ভালো তবে সেটা নিয়মমাফিক করতে হবে। অতিরিক্ত পরিশ্রম উন্নতির অন্তরায়। আমাদের প্রতিনিয়তই পরিশ্রম করতে হয় তবে সেটি নিজের অবস্থা বুঝে করা উচিত। কেননা পরিশ্রম বেশি করলে শরীর এবং মন দুটোই অনেক ক্ষতি হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমারে ব্লগ আপনাদেরকে বিন্দুমাত্র হলেও উপকৃত করতে সক্ষম হয়েছে। সার্থকতা পেয়েছে আমার লেখা
বাস্তব জীবনের গল্প গুলো সত্যিই জীবনকে নিয়ে অনেকবার ভাবায় । যেমনটা প্রবাসী ভাইয়ের কথা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরলেন। আসলে প্রবাস জীবন কতটা কঠিন সেটা প্রবাসী ভালোভাবে সেই বিষয়টি অনুভব করতে পারে। হয়তো আমরা কখনো সেই পরিবেশটা সম্পর্কে জানিনা মনে হয় সেখানে অনেক ভালো অবস্থায় থাকে কিন্তু অতিরিক্ত পরিশ্রম নিজের জন্য ক্ষতি জীবনের শেষটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই। প্রতিটি প্রবাসীকে অনেক পরিশ্রম করতে হয় তাদের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য এবং পরিবারের জন্য।
গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।