,🇹🇷গ্রামের বাড়িতে ভ্রমণ 🚉এবং আখ মাড়াইয়ের প্রক্রিয়া ১০% 🦊 @shy-fox কে 🦊
আসসালামু আলাইকুম।
আশাকরি সকলেই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে আমিও অনেক অনেক ভালো সুস্থ এবং সুন্দর আছি। প্রতিনিয়তঃ সবাই সুস্থ এবং সুন্দর থাকুন সেই কামনা করি সব সময় এবং সকল সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকি। আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করে শুরু করতে যাচ্ছি আমি আজকের আমার ব্লগিং।
বিশেষ করে এক হচ্ছে এমন একটি ফসল যার মাধ্যমে সর্বপ্রথম এটি মাড়াই করা হয় এবং মাড়াই করার প্রক্রিয়া শেষ হলে এখান থেকে গুড় তৈরি করা হয়। গুড তৈরি করার প্রক্রিয়া শেষ হলে সেগুলো আবার প্রক্রিয়াজাত করে ভালো কোন চিনীর মিলে টান্সফার করা হয়।
সেখান থেকে বেশ কয়েকটি পর্যায়ে পর তিনি উৎপন্ন করা হয় এই আখ মাড়াই থেকে। তবে আমি আজকে আপনাদের সামনে কিভাবে আখ মাড়াই করা হয় এবং সেখান থেকে কিভাবে প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে গুড় তৈরি করা হয় সে বিষয়টি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। আশাকরি সকলেই আমার পুরো বিষয়টি উপভোগ করবেন এবং দেখতে সক্ষম হবেন কিভাবে আখ থেকে গুরমাড়াই এর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া করা হয়। তো চলো বন্ধুরা দেরী না করে শুরু করা যাক আমার আজকের টপিক
আখ থেকে গুড় তৈরি করার প্রক্রিয়া।।
আমি প্রকৃতপক্ষে আজকে আপনাদের সামনে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার বিশেষ একটি ঘটনা। আমি যখন ষোলই ডিসেম্বরে দেশের বাড়িতে গিয়েছিলাম বিজয় উদযাপন করতে তখন সেই সময় আমি বাড়িতে গিয়ে আমার গ্রামের বাড়ির পাশেই যে একটি আখ মাড়াই করার কারখানা ছিল সেখানে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে আমি আজ থেকে কিভাবে গুর তৈরি করা হয় সেই সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। সমস্ত বিষয় গুলো আমার সম্পূর্ণ নিজের সংগ্রহ করা এবং সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো একদম অরজিনাল।
সর্বপ্রথম কৃষিজমিতে আখ উৎপন্ন করা হয়। আখ গুলো যখন পরিপক্কতা অর্জন করে তখন সে গুলোকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাটা হয় এবং এর গায়ে থেকে অবিচ্ছেদ্য পাতাগুলো ফেলে দেওয়া হয় এবং শুধুমাত্র আঁখ গুলো সংগ্রহ করা হয়। আখ গুলো সংগ্রহ করা হলে সে গুলোকে যেকোনো পরিবহন দাঁড়া আখ মাড়াই করার নির্দিষ্ট স্থানে আনা হয়।
নির্দিষ্ট স্থানে আনার পর এক গুলোকে বিশেষ একটি কল দ্বারা মাড়াই করা হয়। আখ মাড়াই করা হলে এগুলো পানির মত রস বের হয়ে যায় এবং অন্য শোভা অংশ গুলো বাইরে চলে যায় যেগুলো শুকিয়ে আখ মাড়াই করার জন্য লাকড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
যখন আখ মাড়াই করা শেষ হয়ে যায় তখন সে গুলোকে সজন নিয়ে আসা হয় একটি বড় ড্রাম এর সামনে।
এবার সেই আখের রস গুলোকে একটি বড় চুলার উপর ড্রাম রাখা হয় গ্রামের ভিতরে আখের রস গুলোকে রাখা হয়। আখের রস গুলোকে রাখার পর চুলায় আগুন দেওয়া হয় এবং তখন চুলা জ্বলতে থাকে।
যখন রস গুলো হাল্কা গরম হয়ে যায় তখন সাকোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্ত রস গুলোকে পরিষ্কার করা হয়। বিশেষ এক ধরনের পাতলা কাপড় ব্যবহার করে সমস্ত রস গুলোকে পরিষ্কার করা হয় এবং আবর্জনা মুক্ত করা হয়।।
আখ মাড়াইয়ের পর যখন রস গুলোকে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য যখন চুলায় আগুন দেওয়া হয় তখন চুলা অনেক বড় হওয়ার কারণে চুলায় যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। সুতরাং ছোট টেবিল ফ্যান এর সাহায্যে সোলার ভিতরে অক্সিজেন এর ব্যবস্থা করা হয়।।
এবারে একজন মানুষ চলার মুখে লাকড়ি দিয়ে চুলার মুখ এ আগুন লাগায় এবং তখন এই রস গুলো ফুটতে থাকে। প্রায়ই এভাবে দুই থেকে তিন ঘণ্টা রস গুলো গরম হওয়ার পর আকার উপরে ফুটতে থাকে এবং জাল হতে থাকে।
এই রস গুলো প্রায় অনেকক্ষণ সময় আকার উপরে জড়িত থাকার পরেও যখন লাল হয়ে আসে তখন টেস্ট করা হয় কিভাবে গতি সম্পন্ন করা যায়।
কিছুক্ষণ পর যখন গুর হয়ে যায় তখন এগুলো পরের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এবার এই বড় পাত্র দুই থেকে তিনজন ধরে আগুনের কাছ থেকে দূরে নিয়ে যাওয়া হয় । আগুনের কাছ থেকে দূরে মন ভেঙে যাওয়ার পর এই গোরগুলো অনেকক্ষণ সময় ঠান্ডা করতে রাখা হবে। এবং বেশ কিছুক্ষণ সময় বিশেষে প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে পরবর্তী পর্যায়ে গুলো সুন্দর করে সংঘটিত করা হয়।
বিষয়টি সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কাঠের তৈরি বিশেষ একটি আসবাবপত্র দ্বারা একটি অনেকক্ষণ ঘোটানো হয়। বিষয়টি হানডেট পারসেন শিওর হওয়ার জন্য।
বিশেষ করে বড় চুলার একটা সুবিধা আছে। আপনি কিন্তু এই চুলায় রান্না সহ করতে পারবেন এবং আপনার খাবারের জিনিসপত্র এখানে তৈরি করা যেতে পারে।।
পুরো বিষয়টি সম্পর্কে কিছু তথ্য
আমি যখন দেশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম আমি কিন্তু এ বিষয়টি খুবই অনেক আনন্দ উপভোগ করেছিলাম। বিশেষ করে গ্রামের প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিটি পর্যায়ে আমার খুব ভালো লাগে। তাছাড়াও গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রার মান আমার কাছে অনেক প্রিয় একটি বিষয়বস্তু।
পুরো বিষয়টি এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আন্তরিক ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি কে ভালবেসে আমার বাংলা ব্লগ কম্মুনিটি সাথে থাকার জন্য। আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়ে আজকে এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট তৈরিতে ব্যবহৃত কমিউনিটি
@amarbanglablog
@heroism
সর্বস্তর 90 পার্সেন্ট পর্যন্ত কিউরেশন রেওয়ার্ড পেতে স্টিমিট পাওয়ার ডেলিগেট করুন @heroism এ
আমার w3w লোকেশন কোড
https://w3w.co/bullion.rocked.devotion
©©®
প্রিয় রেগার্ডস
@steem-for-future
আখ এবং আখের গুড় আমার পছন্দের জিনিস। গরম গুড়ের স্বাদ তো বলে বুঝানো যাবে না অনেকদিন খাওয়া হয়নি। এইরকম আখ মাড়াই এবং গুড় তৈরির জায়গাকে আমাদের এলাকায় খোলা বলা হয়। এবং এগুলো শীতকালে গড়ে উঠে। বেশ ভালো লিখেছেন ভাই। এবং ছবিগুলি ভালো ছিল।।
আপনার পোস্ট পড়ে অদ্ভুত এক অনুভুতি পেলাম।আমি পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম যা আমার অজানা ছিল।গুড় তৈরির প্রক্রিয়া টি আমার অজানা ছিল। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এরি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনি গ্রামবাংলার অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করেছেন ভাই। আমি কিছুদিন আগে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য আমার দাদার বাড়িতে গিয়েছিলাম যিনি খেজুরের রস কাটেন, সেখানে গিয়ে অনেক টাটকা খেজুরের রস খেলাম রাখে বেশ ভালো লাগছিল। খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরি করার প্রক্রিয়া দেখলাম সেদিন , ঠিক এই বিষয়ে আপনি পোস্টটি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ।
ছোট সময় গ্রামের বাড়িতে এ ধরনের আখ মাড়াইয়ের দৃশ্য অনেক দেখেছি কিন্তু এখন আর আখের চাষ হয় না তাই এই দৃশ্যগুলোও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আপনার পোস্টটি দেখে আগের স্মৃতি আবার মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার খুব ইচ্ছে এই প্রক্রিয়াটি চোখের সামনে সরাসরি দেখা। আসলে আমি চিন্তা করি এটা কিভাবে তৈরি করা হয়। সামান্য রস থেকে কিভাবে গুড় তৈরি করা সম্ভব। আমি শুনেছি আমার এক বান্ধবীর কাছে কিন্তু আমি কখনো দেখিনি। অনেক ধন্যবাদ ভাই আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই আপু। অনেক সহজ উপায় আখ থেকে রস বের করে সেটা আগুনে গরম করে গুড় তৈরি করা সম্ভব। তৈরি করা গুড় কিন্তু কিন্তু অনেক মজা
তবে আপনি চাইলে আমার এলাকায় ইনভাইট নিতে পারেন। চোখের সামনে দেখতে পাবেন কিভাবে আখ কৃষিজমি থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং সেগুলো মাড়াই করে গুড় তৈরি করা হয়।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে আমার ব্লগ টি ঘুরে দেখার জন্য
আখ মাড়াই করে গুড় তৈরি। এটি কখনো সামনাসামনি দেখিনি। তবে আপনার পোস্টে আখ মাড়াইয়ের ছবিটি খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে গেছি। সবগুলো ছবি গুড় তৈরীর প্রক্রিয়া মনে হল। ধন্যবাদ।
যেখানে গুড় তৈরি করেছে তার বিপরীত পাশে দেখুন। গুড় তৈরি করার স্থান এর পেছনে আখ মাড়াই প্রক্রিয়া চলছে।
এবার যদি দেশের বাড়িতে বেড়াতে যায় তাহলেই আবারো আপনার জন্য একটি পোস্ট তৈরি করব ইনশাল্লাহ। সেখানে আখ মাড়াই এর দৃশ্যটি প্রধান ফটোগ্রাফি হিসেবে ব্যবহার করব।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য