✳️শীত আগমনের উৎসব✳️ শীতের রাতে খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি🍧 ১০% বেনিফিশিয়ারি 🦊 @shy-fox 🦊 কে
সবাইকে স্বাগতম #amarbanglablog এ আমার পক্ষ থেকে আমি @steem-for-future . 10% বেনিফিসিয়ারি @shy-fox 🦊 কে
আসসালামু আলাইকুম
আশা করছি সকলে সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় এবং সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আমিও অনেক অনেক সুস্থ এবং সুন্দর আছি। সকলের সুস্থ এবং সুন্দর থাকুন সেই কামনা নিয়ে আমি @steem-for-future আপনাদের মাঝে আজকে আবারো উপস্থিত হয়েছি আমার কিছু এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করার জন্য
ইতিপূর্বে আমি আপনাদের মাঝে অবগত করেছে যে 16 ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি আমার দেশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। দেশের বাড়িতে পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য প্রায় ছয় মাস পরে আমি আমার দেশের বাড়িতে বেড়াতে যাই।
কিন্তু এই দেশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আমি বেশ কিছু আনন্দ এবং মজা উপভোগ করেছিলাম। যেগুলো হয়তো সময়ের অভাবে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারিনি। যদিও কর্মজীবনে আমরা সকলেই অনেক ব্যস্ততার পরেও এই ব্যস্ত শহর টাকে একটু কাজের ফাঁকে কিছু শেয়ার করার নামই হলো ভালোবাসা।
তাই আমি আজকে আপনাদের সামনে শীতকালীন উৎসব পালন হিসেবে খেজুরের রস খাওয়ার গল্প শোনাতে চাই। তো চলো বন্ধুরা @amarbanglablog কমিউনিটির মাধ্যম দ্বারা #steemit প্ল্যাটফর্ম থেকে তোমাদের সামনে তুলে ধরতে চাই বিশেষ মজার একটি রাতের গল্প। যা সত্যিই আমার জীবনে একটি অনুসরণীয় গল্প হিসেবে মর্যাদা পাবে।।
সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। বাড়িতে যাবার পর আমার দুলাভাই ফুফু ফুবু সহ অনেক আত্মীয় স্বজনদেরকে আমাদের বাড়িতে পিঠা খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।
আত্মীয়-স্বজনরা আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল এবং আমার খুবই ভালো লাগছিল। পিঠার উৎসব পালন করা ছাড়াও আমরা বিজয় দিবসের বেশ কয়েকটি কনসার্ট এর অনুষ্ঠান উপভোগ করেছিলাম।
তারপর যখন রাত হল তখন আমরা সকল আত্মীয় স্বজনরা এক জায়গায় মিলে রাতের খাবার শেষ করলাম এবং সকলকে সকলের বাড়িতে বিদায় করে দিলাম।
কিন্তু এমন সময় আমার চাচাতো ভাই হৃদয় আমাকে বলল চল ভাই আজকে খেজুরের রস খাওয়া।
যেহেতু আমি অনেকদিন যাবত ঢাকায় থাকি সে কারণে গ্রামের পরিবেশ আমাকে খুবই মনমুগ্ধকর করে তুলছিল প্রতিনিয়ত। এবং অনেকদিন যাবত আমি খেজুরের রস খাইনা।
সুতরাং আমার চাচাতো ভাইয়ের কথায় উৎসাহিত হলাম এবং আমি এবং সাথে দুইটা চাচাতো ভাই মিলে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে প্রায় 500 মিটার দূরে খেজুরের বাগান গেলাম।।
প্রচন্ড শীত ছিল। সেকারণে আমার চাচাতো ভাইকে আমি গাছে তুলে দিয়েছিলাম। আমার চাচাতো ভাই পায়ে জুতা পড়ে যাছে উঠেছিল রস পারার জন্য।।
রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে | |
আমার চাচাতো ভাই বড় বড় খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেছিল। কনকনে ঠান্ডার ভিতর গাছে ওঠা একটু কষ্ট হলেও এর ভেতরে আসলে লুকায়িত আছে অনেক বড় ধরনের মজা।
তারপরেও আমি বেশ কয়েকদিন পর বাড়ীতে গিয়েছি সেজন্য আমাকে আমন্ত্রণ এবং খেদমত করার জন্য আমার চাচাতো ভাই এসকল কষ্টগুলো করছিল।
গাছ থেকে রস নামানো হচ্ছে |
অনেক কষ্ট করে আমার চাচাতো ভাই এই শীতের ভেতর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেছিল।
এটা সত্যিই অনেক কষ্টসাধ্য একটা কাজ ছিল। কনকনে ঠান্ডা শীতের ভেতরে বড় বড় খেজুর গাছে ওঠা সত্যিই রিক্স। তারপরেও আমার চাচাতো ভাই আমার প্রতি ভালোবাসা দেখে যে এত কষ্ট করল আমার জন্য সত্যিই আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ।
আমার চাচাতো ভাই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করলো এবং আমরা একটি পাত্রে রস গুলো সংগ্রহ করলাম।।
অনেক সুন্দর রস। দেখতে টকটকে লাল এবং দেখে খেতে মনে চাইছিল। রসগুলো গাছ থেকে সংগ্রহ করার পর আমরা একটি পাত্রে নিলাম এবং সেখানে নেওয়ার পর আরো বেশি আনন্দ ঘটে গেল আমাদের জীবনে।
তারপর আমরা যথারীতি রস গুলো সংগ্রহ করার পর একটি ছোট্ট বাসায় গেলাম।
খেজুর বাগানের পাশেই বড় একটি পুকুর ছিল এবং সেই পুকুর দেখাশুনা করার জন্য একটি বৃদ্ধ লোককে রাখা হয়েছিল। সেই বৃদ্ধ লোক যে একটি রুম এ বসবাস করত সে রুমের আমরা গেলাম এবং সেখানে গিয়ে সকলে মিলে খেজুরের রস আনন্দ করে খেতে লাগলাম।
প্রথমেই একলাছ রস পরিষ্কার কাপড় দ্বারা থেকে আমার সাথে তো ভাই আমার হাতে তুলে দিলো এবং আমি প্রথমে খেজুরের রস খেলাম।
রস খেতে আমার বেশ ভালো লাগছিলো। যেহেতু রাতের খাবার খাবার পর আমরা রস খেয়ে ছিলাম সে কারণে পেট ভর্তি থাকার কারণে ভালো করে রস খেতে পারিনি।
যাই হোক তারপরেও আমরা পর্যায়ক্রমে সকলে মিলে একের পর এক গেলাস খেজুরের রস খেয়ে নিলাম।
বেশ আনন্দঘন ছিল আমাদের সম্পূর্ণ রস খাওয়ার কার্যক্রমগুলো।
সাবধানতা
আসলে খেজুরের রস একটি শীতকালীন উৎসব হিসেবে আমার দেশ পরিচিতি পায়। তবে সব সময় কিন্তু এই খেজুরের রস আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না। যদিও এই রস খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মিষ্টি তার পরেও আমাদের এই রস খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে
খেজুরের রস যদি আপনি খেতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম যে পাত্রে রস সংগ্রহ করবেন সেই পাত্র অবশ্যই পুড়বে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে এবং পরিষ্কার করার জন্য চুন ব্যবহার করতে হবে।
এবং আপনাকে অবশ্যই পাত্র থেকে রস গ্রহণ করতে হবে। জানো এখান থেকে কোনপ্রকার বাদুর অথবা কাক রস খেতে না পারে এবং অথবা আপনার রস নষ্ট করতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে।।
আসলে রস খাবার এই পুরো বিষয়টি আমি অনেক আনন্দ করেছি। এবং যারা আমার সাথে থেকে আমার ব্লগটি ভিজিট করলেন তাদের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ এবং অভিনন্দন জানাই। ধন্যবাদ জানাই সকলকে
ফটোগ্রাফি | অরিজিনাল ফটোগ্রাফ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @steem-for-future |
Device | Samsung f22 |
Location | BD |
পোস্ট তৈরিতে ব্যবহৃত কমিউনিটি
@amarnanglablog
@rme দাদার প্রিয় উপহার আমাদের এই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। যেখানে বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষা স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। সুতরাং বাঙ্গালীদের জন্য এক দুর্দান্ত সুযোগ আমার বাংলা ব্লগ।।
আমার w3w লোকেশন কোড
https://w3w.co/bullion.rocked.devotion
বিশেষ দ্রষ্টব্য
১০০% অরিজিনাল এবং ইউনিক পোস্ট।।
#heroism
Delegate করুন আপনার স্টিম পাওয়ার গুলো @heroism এ সাপ্তাহিক লিকুইড স্টিম পেতে ৭০-৮০% পর্যন্ত
খেজুরের রস আমি তেমন একটা খাইনি। তবে খেজুরের গুড় বেশি খাওয়া হয়েছে। পোস্টটি পড়ে বেশ আনন্দ পেলাম ☺️।
তবে গাছে ওঠা লোকটিকে পুরষ্কার দেয়া উচিত কি সুন্দর গাছে ওঠে ☺️ ভাবা যায়।
যাক সবমিলিয়ে খুব ভালো উপভোগ করলাম সবকিছু 🥀
শুভ কামনা সবসময়ই রয়েছে ❣️
সন্ধ্যার দিকে খেজুরের রস খেয়ে দেখবেন। খেজুরের রস কিন্তু খেতে অনেক মজা লাগে। খেজুরের গাছ কত বড় হবে রসের রং লাল হলে।
এবং রসের রং যত লাল তত মিষ্টি এবং খেতে অনেক মজা। সাথে আপনি মুড়ি দিয়ে এই খেজুরের রস খেতে পারেন।
গাছে উঠতে ভাই অনেক পরিশ্রম হয়েছে। আর এটি ছিল আমার চাচাতো ভাই।
আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং অভিনন্দন গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
দারুন দারুন ♥️
খেজুরের রস খেয়ে দেখবো ভাই😋
অবশ্যই ট্রাই করে দেখেন। অনেক মজা পাবেন। তবে সাথে কিন্তু মুড়ি থাকলে অনেক ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ
ভাই আপনি শীতের উৎসব আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এবং সত্যিই আপনি খেজুরের রস খাওয়ার গল্প শোনা মানেই সেটাকে ভালো করে উপভোগ করেছেন। আপনি অসাধারণ একটা সময় কাটিয়েছেন এবং আপনার চাচাতো ভাইদের সাথে খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন যা সত্যিই খুবই ভালো লেগেছে ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। যদিও আমাদের গ্রামে খেজুরের রস পাওয়া দুর্লভ ব্যাপার একটা এখন নাই বললেই চলে বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গেছে তবু খুজলে হয়তো পাওয়া যেত। কিন্তু আমি তেমন একটা চেষ্টা করিনি। কারণ প্রচন্ড ঠান্ডা ছিল আর এই ঠান্ডার ভিতর মা বাইরে যেতে নিষেধ করেছিল। অতএব বুঝতেই পারছেন মায়ের কথার অবাধ্য হওয়া সম্ভব না। যাই হোক আপনি অনেক সুন্দর করে পোস্ট টি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য ভালোবাসা অবিরাম।
জি ভাই অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি। তবে আপনাদের এলাকায় যদি বিলুপ্ত হয়ে যায় তবে সেটা সত্যি চরম একটা দুঃখের বিষয়।
বিশেষ করে শীতকালে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। যাকে ঠান্ডা না লাগে। আর বাবা-মায়ের কথা শোনা তো আমাদের জন্য ফরয একটি কাজ। সিটি না শুনলেই নয়।
তবে চাইলে আপনি কিন্তু ইনভাইট নিতে পারেন।
সুশ্রী সুন্দর এবং অনেক বড় গঠনমূলক মন্তব্য দেওয়ার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন। অভিনন্দন আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকার জন্য
শীতের রাতে খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার খেজুরের রস খাওয়া দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
যদি রস খেতে ইচ্ছে করে তাহলে আপনি ইচ্ছে করলে এটি খেতে পারেন। তবে আমি যদি এবার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাই তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য ইনভাইটেশন পাঠাবো।
ব্লগ টি পড়ে ভাল লেগেছে জেনে আমারও অনেক ভালো লাগছে। ধন্যবাদ ভাই সাথে থাকার জন্য।
ঠিকই বলেছেন ভাই বড় খেজুর গাছে ওঠা আসলে অনেক রিক্সের কাজ। শীতের সময় খেজুরের রস খেতে আসলেই অনেক মজা লাগে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটি খেতে অনেক ভালোবাসি। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের সাথে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনি ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একদম ঠিক কথা। আমারও খেজুরের রস খেতে অনেক মজা লাগে। এবং গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আমি অনেক আনন্দ এবং উপভোগ করেছি।
আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং অনেক অনেক অভিনন্দন
শীত মানেই খাওয়ার মজা। শীতে খেজুরে রস এবং গুড়ের তো কোনো তুলনা হবে না। যদিও এইবার আমি এখন পযর্ন্ত খেজুরের রস খায়নি। তবে আপনার পোস্ট দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। শীতের রাতে এইভাবে গাছ থেকে নামিয়ে কখনো রস খাওয়া হয়নি। বোঝায় যাচ্ছে বেশ দারুণ একটি অনূভুতি। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই। শীত মানেই বিভিন্ন উৎসব। খেজুরের রস এবং খেজুরের গুড় সবথেকে বড় আকর্ষণ শীতকালের।
তবে চাইলে আপনিও খুব সহজেই গাছ থেকে রস নামিয়ে খেতে পারেন। একদম ঠিক কথা বলেছেন অনেক অসাধারণ অনুভূতি পার করেছি।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর করে ব্লগ টি ঘুরে দেখার জন্য
ওয়াও ভাইয়া শীতের সময় খেজুরের রস খেতে অনেক ভালো লাগে। খেজুরের রস খাওয়ার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লাগলো। খেজুর গাছে ওঠে রস পেড়ে খাওয়ার আনন্দই আলাদা। আর ফটোগ্রাফিতে মনে হচ্ছে আপনি কানে হেডফোন লাগিয়ে খেজুরের রস পান করছেন বড়ই আনন্দের বিষয়।
আসলে শীতকালে খেজুরের রস খাওয়ার আনন্দটাই অনেক। আমি আসলে চিল মুডে ছিলাম ভাই। তাই গান শুনছিলাম এবং খেজুরের রস কাটছে না। সত্যিই অনেক ভালো শুনে কেঁটেছিল পুরো সময়টা