ক্যাম্পাসে গিয়ে হুট করে পিকনিক খাওয়া
আসসালামুআলাইকুম/আদাব🤝
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জে অবস্থান করছি ।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটা সুন্দর পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।কিছুদিন আগে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে প্রায় প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা পায় এবং সামান্য একটু ফেটে যায়। আমার পায়ে ব্যথা পাওয়ার পর অনেকদিন ক্লাস করতে পারিনি। এক সপ্তাহের মতো ছুটি নিয়ে এই ভাঙ্গা পা নিয়ে আবার অমনি ক্লাস শুরু করি। তবে প্রথমদিন ক্লাসে গিয়ে একটা ক্লাস না থাকায় লাইব্রেরিতে বসে ছিলাম সেখান থেকে হুট করে শুনি বড় ভাইয়েরা পিকনিক করবে সেই পিকনিকে আমরা জুনিয়ারদের একটিভ থাকতে হবে প্রথমে আমি নিষেধ করলেও স্যারেরা আমাকে নিয়ে যায় ।পিকনিকের কাহিনী আপনাদের সাথে তুলে ধরবো এবং আপনাদের সাথে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাহলে চলেন আমার সাথে দেখে আসি।
ফটোগ্রাফি🖼️ -১👇
প্রথমে আমি তিনটা ক্লাস করার পরে শেষের ক্লাসটার হয় না পরে আমি আমার বান্ধবী মিলে লাইব্রেরীতে গেলাম। সেখানে গিয়ে আমাদের বই গুলো একটু নেড়েচেড়ে দেখছিলাম কেমন কি পড়াশোনা সব কিছু। এমন সময় একটা বড় ভাইয়া এসে বলল তোমরা কি ১৯ ব্যাচের স্টুডেন্ট। তোমাদের যেতে হবে। পরে নিচে গিয়ে সব কাহিনী শুনলাম পিকনিক। আমাদের যেতে হবে স্যারেরাও যাবে। ওইভাবেই আমি আমার বান্ধবী গেলাম, স্যারেরা নিজে আমাকে ভ্যানে তুলে দিলেন। আমাদের ভার্সিটির পাশের একটা একটা নদীর ঘাট আছে সেখানেই নাকি যাওয়া হবে।
ফটোগ্রাফি🖼️ -২👇
তারপর আর কি লাগবে তো গুছিয়ে চলে গেলাম পিকনিক স্পটে। ভার্সিটিতে নতুন নতুন এরকম পিকনিক ভালই লাগে আসলে। পরে আমি এক জায়গায় বসেছিলাম। সবাই মিলেমিশে রান্না করছিল সেগুলো আমি দেখলাম। আমার বেশ ভালই লাগছিল পায়ের ব্যথা ভুলে গিয়েছিলাম।
ফটোগ্রাফি🖼️ -৩👇
চলে গেলাম সেই বাঁধে । নদীর তীরে পিকনিকের আয়োজনটা হয় বেশ মনোরম পরিবেশ। চার ওদিকে ঠান্ডা ঠান্ডা শীতল হাওয়া বইছিল। সব মিলিয়ে আমার বেশ ভালো লাগছিল যেহেতু আমি একটা কোনায় চেয়ারে বসে সবকিছু উপভোগ করছিলাম। আমার বান্ধবীকে বলেছি কয়েকটা ছবি তুলে আমার হাঁটাচলা করতে খুব কষ্ট হয়।
ফটোগ্রাফি🖼️-৪👇
নদীর তীরে দেখলাম কয়েকটা নৌকা বাধা।তীরে অনেক বড় বড় সিমেন্টের ব্লক রাখা দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। আমার তো ওই জায়গা থেকে চলে আসতে ইচ্ছে করছিল না। এইদিকে বড় ভাইয়ার কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না করছিলেন সাথে আপুরাও হেল্প করছিল আর স্যারেরা মজার মজার কথা বলছিলেন সাথে পড়াশোনারও কিছু ডিসকাশন করে দিলেন আমাদের গাইডলাইন দিলেন। আসলে অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা থেকে এরকম কো কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস এর সবার পরামর্শটা বেশি কাজে লাগে বলে আমি মনে করি । এরকম পিকনিক গুলোতে সবার সাথে সবার আন্তরিকতা বন্ডিংটা আরো বেশ ভালো হয় যার জন্য পড়াশোনার কাজে অনেক উপকৃত হয়।
ফটোগ্রাফি🖼️ -৫👇
এত সুন্দর জায়গাটি হওয়ায় আমার ক্যামেরাতে অনেক বন্দী করার ইচ্ছে ছিল কিন্তু যেহেতু আমি নিজের ভুলিনি ছবিগুলো তাই আর বেশি কিছু বলতে পারেনি যতগুলো তুলেছে ততগুলোই আছে। ভালোই তুলেছে তবে আমার মন মতো আমি তুলতে পারিনি।
ফটোগ্রাফি🖼️ -৬👇
তারপর আমরা সবাই খাওয়া দাওয়া করলাম খাওয়া-দাওয়া শেষে স্যারদের কথা শুনলাম। ম্যামরা আমাদের খাওয়ার পরিবেশন করে দিলেন। সবাই বেশ ভালো মুহূর্তটা কাটিয়েছিলাম। তারপরে একটা কুলফি ওয়ালা কে দেখে আমার কুলফি খাওয়ার ইচ্ছা হল। ছোটবেলায় স্কুল থেকে বের হওয়ার পথে এরকম কুলফি খেতাম এখন তো সচরাচর আর দেখাই যায় না। কুলফি খেয়ে ক্যাম্পাসে ফিরলাম আবার ভ্যানে করে স্যারদের সাথে। সবাই আমার সাথে সহানুভূতিশীল আচরণ করল আমার ব্যাপারটা বেশ ভালো লেগেছে। তারপরে যথারীতি বাস ধরে বাসায় এসে রেস্ট নিলাম। আজকাল অসুস্থ থাকায় খুব ভালোভাবে কিছুই করতে পারছি না। যাই হোক আজকে এই পর্যন্তই।
এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ এখানেই শেষ করছি আবার অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi note 9 |
---|---|
ক্যামেরা.মডেল | note9 |
ধরন | ফটোগ্রাফি 💫। |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ। |
আমার পরিচয়
আমি শেলি। আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই তে অধ্যায়নরত আছি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে ভালোলাগে।ঘুরতে আর খেতে খুব ভালোবাসি।অবসর সময় পেলেই ছবি আঁকি। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে। 🌼💖🌼 |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
ক্যাম্পাসে গিয়ে হুট করে পিকনিক খেয়েছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে পিকনিক খেতে সবার অনেক বেশি ভালো লাগে।আর সেটা যদি হয় ঠান্ডার দিনে এ রকম মনোরম পরিবেশে তাহলে তো কথাই নেই। আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো আপনি অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন।
জি ভাইয়া অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি।
পায়ের ব্যথা নিয়েই পিকনিকটা উপভোগ করলেন। কিছু সময়ের জন্য ব্যথাটাও ভুলে গেলেন। হুটহাট এমন পিক, সেটাও আবার নদীর তীর! এমন হলে কিন্তু মন্দ হয় না। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সেই সাথে নদীর মনোরম পরিবেশ উপভোগ করা যায়। সবমিলিয়ে আপনার ভালো সময় কেটেছিল সেখানে।
জি ভাইয়া অনেক ভালো সময় কাটিয়েছে।
বাহ্ আপনি দেখছি ক্যাম্পাসের ক্লাস শেষে হুট করে পিকনিক খাওয়া মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজকে আপনি ক্যাম্পাস ও নদীর তীরের বেশ কিছু দৃশ্যর চমৎকার ফটোগ্রাফি উপস্থাপনা করেছেন।প্রকৃতির মাঝে হাস্যজ্জ্বল মুহূর্তগুলো উপভোগ করা সত্যিই এক নতুন ধরনের মুক্তি। এমন ছোট্ট পালানোর মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় অমূল্য শান্তি আর আনন্দ কর ।
গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
নদীর পাড়ে পিকনিক করতে আসলেই খুব ভালো লাগে। আপনাদের ইউনিভার্সিটি থেকে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে, জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। বিশেষ করে তৃতীয় এবং চতুর্থ ফটোগ্রাফি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।