ঘুরে এলাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালি মন্দির থেকে।@shy-fox ১০%বেনিফিশিয়ারী।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই নিশ্চয়ই ভালো এসব আমিও ভালো আছি।
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো আমার নেশা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন সেদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম রমনা কালী মন্দিরের। মন্দিরটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত, ছিমছাম গোছানো মন্দির দেখে খুব ভালো লেগেছিল। সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছিল মন্দিরের ভেতরের শাপলা আর পদ্ম ফুলের পুকুর।
লোকেশন লিঙ্কঃ
https://w3w.co/interacts.testing.flops
রমনা কালী মন্দির উপমহাদেশে মন্দির গুলোর মধ্যে অন্যতম।এই মন্দিরটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। প্রচলিত আছে এই মন্দিরটি ১০০০ বছরের পুরোনো তবে ইংরেজ আমলে মন্দিরটি আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়।
আমরা মন্দিরে গিয়েছিলাম সকাল বেলায়। মন্দিরে তখন
পূজা চলছিলো। মন্দিরের ঘন্টার ধ্বনি, লোকসমাগম, পূজারীদের ভীড় অন্যরকম এক পরিবেশ।
মন্দিরে গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই হাতের ডান পাশে চোখে পড়বে শান বাঁধানো ঘাট। ঘাট পেরিয়ে শাপলা আর পদ্ম ফোটা পুকুর। লাল রঙের সিঁড়ি জুড়ে যে আলপনা সত্যি মুগ্ধ করবে আপনাকে।
আমি সোনিয়া বাংলাদেশি। বাংলায় লিখি গান-কবিতা। ভালোবাসি ঘুরে বেড়াতে। অবসর কাটে গান শুনে বই পড়ে।আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে বিশেষভাবে জড়িয়ে আছে রমনা কালী মন্দিরটি।১৯৭১ সালের ২৬ ও ২৭ মার্চ পাকিস্তানি সেনারা কালী মন্দির বিভীষিকার রাজত্ব চালায়।সেদিন পাকিস্তানি সেনারা রমনা কালীমন্দিরর অধ্যক্ষ স্বামী পরমানন্দ গিরিসহ সেখানে উপস্থিত প্রায় একশো নারী পুরুষকে নির্মম ভাবে হত্যা করে।পবিত্র এই তীর্থভূমি রাতারাতি পরিনত হয় বধ্যভূমিতে। সেদিন যারা মৃত্যু বরণ করেছিলেন তাদের মধ্যে যাদের নাম জানা গিয়েছিল তার নাম সম্বলিত একটি স্মৃতি ফলক আছে মন্দিরটিতে
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি এরকম একটি পূণ্যভূমি দর্শনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য। মন্দির সব সময় একটি পবিত্র জায়গা। মনকে পবিত্র রাখা এবং সুস্থ রাখতে মন্দির দর্শন এর কোন বিকল্প নেই। মন্দিরের ভেতরের প্রতিটি দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম। আপনার ছবিগুলোর মাধ্যমে দারুণভাবে উপভোগ করলাম।
আমি কিছুদিন আগে টেলিভিশনে দেখেছি ভারতীয় রাষ্ট্রপতি মন্দিরটি উদ্বোধন করলেন নতুন করে সংস্কার করার পর। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, বাংলাদেশের এত ঐতিহ্যের সাক্ষী যে মন্দিরটি, হাজার বছরের পুরনো, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা ধ্বংস করে দেয়ার পর আজ এত বছর হতে চলল তার পরেও কেন সংস্কার হয়েছিল না সেটি !! কেনইবা ভারতীয় সরকারের অর্থায়নে সেই সংস্কারটি করতে হলো! বাংলাদেশ সরকার এতদিন কি করলো তাহলে!!!!
আপনি হয়তো ঠিকমতো জানেন না বাংলাদেশ সরকার
যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সংস্কার করেছিলো। আর ৫০ বছরে
সংস্কার হয়নি সেটা কিভাবে ভাবলেন? এই ধরনের মন্তব্য
দুই দেশের যে সুন্দর সম্পর্ক তার বিপরীতে যায়।
দিদি আপনি হয়তো আমার মন্তব্য কে একটু নেগেটিভ ভাবে নিয়েছেন, আমি কোনো দেশের বিরোধিতা করিনি, আমার মত প্রকাশ করেছি। আর দুই দেশের সুস্থ অবস্থার বিপরীতে কথা বলার মত মানসিকতা নেই আমার, কারণ ইন্ডিয়া যেমন আমার নিজের দেশ, বাংলাদেশ ও আমার নিজের , আমার ভালবাসার মানুষ টা যে ওখানে থাকে , সেটা এই কমিউনিটির বেশির ভাগ মানুষ জানে।
তাই আমার মন্তব্য টি কে পজিটিভ ভাবে গ্রহণ করুন। আমি কোনো অ্যাব নরমাল অবস্থার সৃষ্টি করতে চাইনা, আশা করি আপনিও চাইছেন না।
তবুও আমার কথার ভাঁজ যদি আপনার খারাপ লাগে, আমি দুঃখিত।
আসলে যে কোন দেশের রাষ্ট্র প্রধান যেখানে যান, সেই বিষয়টি নিয়ে সেই দেশের সংবাদমাধ্যম এবং খবরের কাগজ গুলো খুব ভালো ভাবে খুঁটিনাটি তুলে ধরে খবর প্রকাশ করে। আর সেই ভাবেই বিষয়টি নিয়ে আমিও জানতে পারি।
আমি অনেক ভাবেই তথ্য টা পেয়েছিলাম, তাই নিজের মত প্রকাশ করেছি। প্রয়োজনে আপনিও
লিংকটি থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
আমি গণমাধ্যম কর্মী তাই জানি যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মন্দিরটি সংস্কার হয়েছে। তবে হ্যা নতুন করে এবারের সংস্কারে ভারত সরকার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালী মন্দির টি আমারও পরিচিত। ্্ সময় স্বল্পতার কারণে সেখানে কখনো যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তবে আপনার আজকের এই পোস্ট থেকে সেই দৃশ্যটি দেখে নিলাম আপু। এই মন্দিরের সাথে জড়িয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব চেতনা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে এই মন্দিরের পরিচিতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ছবিগুলো অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে।
সাথে আপনি সুন্দর ভাবে জায়গাটি সম্পর্কে বর্ণনা ও দিয়েছেন সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও তুলে ধরেছেন।
সবকিছুই অসাধারণ।
শুভ কামনা রইলো আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্দিরটি বাংলাদেশের খুবই পুরনো এবং ঐতিহাসিক একটি মন্দির। আপনার পোস্টটি পড়ে এবং আপনার পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনি খুবই আনন্দের সাথে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভ্রমণ করেছেন এবং সেখানে খুবই উপভোগ করেছেন। সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।