[স্ট্রীটফুড রিভিউ প্রতিযোগিতা ]"বর্ধমানের জনপ্রিয় লস্যি" 10% beneficiary to @shy-fox
প্ৰথমেই সকলকে নমস্কার জানাই
আমি আমার স্ট্রিট ফুড রিভিউ নিয়ে লেখার আগে যে স্ট্রিট ফুড দোকানের এতো জনপ্রিয়তা তার স্বাদ গন্ধ মানুষের মনকে কেড়ে নিয়েছে সেই দোকানটির অবস্থান সম্পর্কে আজ কিছু বলবো।ওই দোকানের অবস্থান দোকানের জনপ্রিয়তাকে শীর্ষে নিয়ে গেছে। তাঁর প্রধান কারণ ভারতের ঐতিহাসিক গেট -লর্ড কার্জন গেট । যা পৃথিবী খ্যাত হয়ে বর্ধমান শহরের নান্দনিক শ্রীবৃদ্ধি তে অপরিসীম ভূমিকা রেখেছে।
কার্জন গেটের ইতিহাস অতি সংক্ষেপে
■1903 সালের 10 মার্চ বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চাঁদ মহাতাপের রাজ্য অভিষেক হয়। 1904 সালে লর্ড কার্জন বর্ধমান পরিদর্শন করতে আসেন। লর্ড কার্জনের আগমন হেতু মহারাজ বিজয়চাঁদ মহাতাপ এই সুন্দর গেটটি নির্মাণ করেন। তখন সেই গেটটির নাম ছিলো"স্টার অফ ইন্ডিয়া"। পরবর্তীতে নির্মাতার নাম অনুসারে গেটটির নাম হয়"বিজয়তোরণ"।ইতালিও ভাস্কর্য দিয়ে এই গেটের নকশা তৈরি করা হয়।অনবদ্য এই স্থাপত্যর মাথার উপর তিনটি পরীর মূর্তি। মুর্তিগুলি ফ্রান্স থেকে নিয়ে আসার পর গেটের উপরে সংযুক্ত করা হয়। হাজার হাজার মানুষ বর্ধমানের কার্জন গেট পরিদর্শন করতে আসে । তারপর তাঁরা বিখ্যাত রামপ্রসাদ বাবুর লস্যি খেয়ে তাদের প্রাণ টা জুড়িয়া নেই। লস্যি ছাড়াও কফি শরবতের স্বাদ ও খুব মনোমুগ্ধকর। তবে
লস্যির চাহিদা যেমন বেশি তেমন স্বাদ ও অতুলনীয়।
💝রামপ্রসাদের দোকানের বিশেষত্ব💝
■ভারতের স্বাধীনতা সূর্যকে ছিনিয়ে আনার প্রাককালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই রামপ্রসাদ বাবুর শরবত লস্যির দোকান তৈরি করেন। এই দোকান ঐতিহাসিক কার্জন গেট সংলগ্ন জিটি রোডের পাশে অবস্থিত রয়েছে।80 বছর ধরে খুব সুনামের সাথে এই দোকান খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই লস্যির বিশেষত্ব হলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক কেশর কাজু ও পেস্তা দিয়ে তৈরি লস্যি । দামও খুবই নাগালের হাতে। প্রতি গ্লাস মাত্র 10 টাকা। তবে একটু বড় সাইজের গ্লাস 20 টাকা। বর্ধমানের ঐতিহাসিক স্থান কার্জন গেটে মানুষ যখন ঘুরতে আসে এমনকি প্রতিদিন নানা মানুষের শহরের ভিড় এর মধ্যে রামপ্রসাদের দোকানের ভিড় ও চোখে পড়ার মত। স্বাদে গন্ধে লস্যির মজা না খেলে কল্পনা করা যাবে না ।
কলকাতার লস্যির সাথে বর্ধমানের
লস্যির তুলনা
লস্যির তুলনা
■সত্যি বলতে আমি অনেক বছর কলকাতা শহরে বসবাস করেছি । কলকাতার বহু জায়গায় ঘুরেছি। কিন্তু বর্ধমানের মত এত স্বাদের স্ট্রিট ফুড হিসাবে যে লস্যি আর কোথাও পাই নি। কলকাতার দমদমে মেট্রো রেল স্টেশনের কাছাকাছি রাস্তায় সারিবদ্ধ ভাবে দোকানের লস্যি খেয়েছি সেটা ভালো ছিলো সেটার বিশেষত্ব ছিল
কলকাতার লস্যির উপকরণ
●টক দই
●বরফ
●চিনি
●বিট লবন
■এক সাথে ব্লেন্ড করে লস্যি তৈরী করতো কিন্তু স্বাদে গন্ধে বর্ধমানের লস্যির কাছে সে পরাজিত। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক কাজু ও পেস্তা দিয়ে বানানো লস্যি খেলে মনে হয় স্বর্গের অমৃত পান করছি । একবার আসবেন এখানে। খেলে বুঝতে পারবেন এটি স্বাদে গন্ধে কতটা অতুলনীয়।
রামপ্রসাদের দোকানের লস্যির উপকরণ
●টক দই
●বরফ
●চিনি
●প্রাকৃতিক কেশর কাজু
●পেস্তা
◆উপরোক্ত টক দই বরফ চিনি এক সাথে ভালোভাবে ব্লেন্ডিং করে । মাঝে মাঝে ব্লেন্ডিং হাতে করে। আবার মেশিন দিয়ে ব্লেন্ডিং করে। কিভাবে করে আমার ছবি দেখলে স্পষ্ট বুঝতে পারবেন। ব্লেন্ডিং করার পর প্রতিটি গ্লাসে ঠেলে দিয়ে তারপর কাজু ও পেস্তার মিশ্রিত গুঁড়া প্রতিটি গ্লাসে দেয়া হয়। তারপর অগ্রিম টাকা নিয়ে লস্যি পরিবেশন করা হয়।
■প্রথমে আমি 10 টাকার 2 গ্লাস কিনেছিলাম আমার ও আমার বাবার জন্য। তারপর আবার 20 টাকার গ্লাস 2 গ্লাস কিনেছিলাম। তখন আমি নিজের লস্যি খাওয়ার মুহূর্তে সেলফি ও তুলেছিলাম। এ ছাড়াও রামপ্রসাদ বাবুর দোকানের ছবি এবং কার্জন গেটের ও কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম। যেগুলি আমার পোস্টের উপস্থাপনার স্বার্থে আমি আগে পরে ছবিগুলি সাজিয়েছি।
★★★সত্যিই বলতে যখনই বর্ধমানে যাই আগেই মনে পড়ে স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় এই লস্যির কথা। আগেই কার্জন গেটে উপস্থিত হয়ে জিটি রোডের পাশে দাঁড়িয়ে লস্যি পান করে যেনো ওই মুহূর্তে অমৃত পান করার স্বাদ অনুভব করি।
ডিভাইস | রেডমি নোট 10 প্র ম্যাক্স |
---|
লোকেশন | বর্ধমান- কার্জন গেট |
---|
ছবিগুলি তোলার তারিখ | 20-08-2021 |
---|
ফটোগ্রাফার | @simaroy |
---|
সকলকে বর্ধমানের রামপ্রসাদের লস্যি খাওয়ার আমন্ত্রণ রইলো
সকলকে ধন্যবাদ
@rme দাদাকে এবং সকল মডারেটর দাদাদের এবং বন্ধুদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই, এত সুন্দর প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য। বিশেষ করে @rex-sumon দাদা এই প্রতিযোগিতার প্রধান আয়োজক হিসাবে থাকার জন্য তাকে ও আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অনেক ধন্যবাদ।
রেগার্ডস | @simaroy |
---|
আমি অবশ্য এই লস্যি খাই নাই। তবে দেখতে বেশ সুন্দর। আপনে যে জায়গায় খাবারটা খেতে গিয়েছিলেন জায়গাটা অনেক সুন্দর। আপনার তোলা।ছবিতেই তা ফুটে উঠেছে। শুভ কামনা রইল।
@rasel72 ভাই , জায়গা টি সুন্দর হওয়া স্বাভাবিক কেনো বলবো। যেহুতু কার্জন গেট সংলগ্ন লস্যির দোকান। কার্জন গেট যেমন ভারতের একটা ঐতিহাসিক গেট । সেটি ভারতে জনপ্রিয়তার সাথে সাথেই ভারতের বাইরের দেশ গুলি তেও এই গেটের পরিচিতি রয়েছে দেশ বিদেশে। এই গেটের ঐতিহাসিক মূল্য অনেক। তাঁর সাথে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের আগে থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই সময়কালীন এ রামপ্রসাদ বাবুর লস্যির দোকান 80 বছর ধরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আপনার সুন্দর মন্তব্য আমি অনেক উৎসাহ পেলাম। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ ভাই।
অনেক সুন্দর লাগল ভাইয়া বিষয়টা জানতে পেরে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হা ভাই। আমিও খুশি হয়েছি।
ঢাকায় যখন থাকতাম তখন প্রতিনিয়ত লস্যি খাওয়া হতো। তবে নীলফামারীতে লাভ নেই তেমন একটা ভাবে পাওয়া যায় না। আপনি খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আশা করি ইন্ডিয়া গেলে আপনার সাথে দেখা করে ইন্ডিয়া লাভ খাবো।
@alsarzilsiam vaiya -একদম ভাইয়া। আপনার সুন্দর মন্তব্যর সাথে সুন্দর আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
শুভ কামনা।
বাহ আমি কখনো দেখিনি, খুব সুস্বাদু হতে হবে।
বিজয়ী হওয়ার আশা করি
@steem-muksal বন্ধু। একদম ঠিক বলেছেন। খেতে খুবই সুস্বাদু। অনেক সুন্দর মন্তব্য জন্য অনেক উৎসাহ পেলাম। শুভেচ্ছা অবিরাম। ধন্যবাদ বন্ধু।
আপনাকে স্বাগতম
🥰🥰
আপনার পোষ্ট টা খুবই সুন্দর হইছে, শুভ কামনা আপনার জন্য
@jibon47ভাইয়া অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ ।
অনেক সুন্দর লিখেছেন
@rjnasim001 ভাইয়া । অনেক ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ আপনাকে কমিউনিটির প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
@hiramoni ভাবি।আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ। আপনার সুন্দর মন্তব্য আমি উৎসাহ পাই।
লাচ্চি খেতে আমারও খুব ভালো লাগে আমার খুব প্রিয় একটি খাবার লাচ্ছি।
আপনার উপস্থাপনা টা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে শুভকামনা আপনার জন্য♥
আমারও অনেক প্রিয় আপনার মত এই খাবারটি। @selinasathi1 আপুকে ধন্যবাদ অনেক অনেক ।
দাদা,আমি মিস করলাম।দেখেই তো খেতে মন চাইছে।ধন্যবাদ দাদা।
@green015 বোন। একদিন নিয়ে যাবো। চিন্তা করার কিছুই নেই, একদমঘরের কাছেই তো। ধন্যবাদ।
অনেক তথ্যবহুল রামপ্রসাদের দোকান। আসলে এসব ঐতিহ্যবাহী দোকান গুলো অনেক অনন্য স্বাদ দিয়ে থাকে। আর এসব কারণেই দোকানগুলো খুব বিখ্যাত এবং ঐতিহ্য ধারণ করে দীর্ঘদিন ধরে টিকে থাকে। যেমন আমাদের বাংলাদেশে আমার শহরে কুমিল্লায় রসমালাই হয় একটি দোকানে যেটি কিনা সারা বাংলাদেশ জুড়ে বিখ্যাত। অনেক ভালো লাগলো আপনার স্ট্রিটফুড দেখে এবং কখনও কলকাতায় গেলে আপনার সেই বর্ধমানের স্ট্রীট ফুডে স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করব।
কমিউনিটির এডমিন ও মডারেটর দেরকে মেনশন দেয়ার দরকার নেই। কন্টেস্ট পোস্ট হিসেবে ট্যাগ দিয়ে এমনিতেই দেখে নিতে পারবেন আপনার পোস্টটি। অযথা মেনশন দেওয়া কমিউনিটি নিয়ম বহির্ভূত। পরবর্তীতে বিষয়টি খেয়াল করবেন। ধন্যবাদ। দাদা।
@engrsayful ভাইয়া , আপনি একদম ঠিক বলেছেন।ঐতিহ্যবাহী দোকান গুলো অনেক অনন্য স্বাদ দিয়ে থাকে ।একদমই তাই। তাদের স্বাদ ও গন্ধের কারণেই তাঁরা জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে যায়। তাঁরা ঐতিহাসিক জায়গার সুনাম ধরে রাখে তাদের কোয়ালিটি দ্বারা । সত্যি প্রথম যেদিন আমি বর্ধমানের রামপ্রসাদ বাবুর দোকানের লস্যির খেয়ে ছিলাম আমার মনে হয়েছিলো এতো সুন্দর স্বাদ হয় লস্যির। আসলে ওরা প্রাকৃতিক কেশর কাজু ,পেস্তা দিয়ে বানাই তো এই জন্য স্বাদ হয় অতুলনীয়। আপনি আপনার কুমিল্লার রসমালাই এর কথা বললেন। যেটা বাংলাদেশ বিখ্যাত ।সত্যিই আমি আপনার দ্বারা বাংলাদেশ এর বিখ্যাত রসমালাই সম্পর্কে জানতে পারলাম। অবশ্যই লস্যির খাওয়ার আমন্ত্রণ রইলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
জি, পশ্চিম বংে গেলে আপনার সাথে যোগাযোগ করব। ধন্যবাদ
উপস্থাপনা বেশ ভালো হয়েছে। আপনার ছবিগুলো দেখে সেখানে ঘুরতে যেতে ইচ্ছা করছে। আর আপনার সাথে লস্যি খেতেও যেতাম। সেই সময় হয়তো খুব শীঘ্রই আসবে ভাই।
এই পোষ্টটি করতে অনেক সময় ও শ্রম দিয়েছেন দেখা বুঝা যাচ্ছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
@sagor1233 ভাইয়া , অবশ্যই ঘুরতে আসার আমন্ত্রণ রইলো।অবশ্যই ইন্ডিয়া আসলে বর্ধমানের লস্যির চেকে দেখবেন। কেমন সুস্বাদু লাগে।পান করে ভীষণ তৃপ্তি পাবেন। ভাই ঠিকই বলেছেন। আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ,যতদুর কোয়ালিটি কন্টেন্ট করা যায়। আপনাদের উৎসাহে আরো বেশি কাজে আগ্রহ ও উদ্দীপনা পাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ।