ছোট ভাইয়ের জীবন বাঁচানোর যুদ্ধ || হাসপাতাল || ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য
হ্যালো, বন্ধুরা
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আমার ভাইকে নিয়ে একটা ঘটনা শেয়ার করবো। আশা করি পুরোটা পড়বেন। তো চলেন শুরু করি,
আজ ২৬ নভেম্বর, ২০২১.
শুক্রবার।
আমি যাকে নিয়ে লিখবো সে আমার আপন ছোট ভাই আমার বন্ধুও বলতে পারেন। আমার ভাইয়ের নাম জাহিদ। আমরা ক্লাশ ১ থেকেই এক সাথে পড়াশোনা করি। আসলে আমাদের বয়সের পার্থক্য ১.৫ বছর। তাই দুইজন এক সাথেই স্কুলে ভর্তি হই।
ক্লাশ ১-১২ পপর্যন্ত আমরা এক সাথেই ছিলাম একই গ্রুপ এ। এমনকি আমাদের ২ জনের রোল নাম্বারও কাছা কাছি থাকতো। JSC, SSC, HSC এই তিনটি ধাপে আমাদের রোল পাশাপাশি ছিল। রেজাল্টও আল্লাহর রহমতে ভালোই ছিল।
যাইহোক, চলে আসে এডমিশন টেস্ট, জাহিদ অনেক পাবলিক ভার্সিটিতে পরিক্ষা দেয়। কিন্তু চান্স পায় নাই। আমি কোনো পাবলিক ভার্সিটিতে পরিক্ষা দেই নাই।(পারসোনাল প্রোবলেম)
তার পর দুইজন এক সাথে ঢাকা ভার্সিটির আন্ডারে ৭ কলেজের পরিক্ষা দেই। দুইজনেরই চান্স হয় পুরান ঢাকার ২ টি কলেজে।
আমার 'কবি নজরুল সরকারি কলেজ' আর জাহিদের 'সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে'
যেহেতু দুইজনের কলেজ পাশাপাশি, তাই ভাবলাম দুইজনতো এক সাথেই থাকতে পারবো। তাই ২ রোমের একটা ফ্যাল্ট ভাড়া নেই।
ভালোই চলছিল সব কিছু। আমি ফ্রিল্যান্সিং এবং আমার ছোট ভাই জাহিদ টিউশনি করতো। সব কিছু ঠিকঠাক ছিল। এর মধ্যে চলে এলো করোনা। স্কুল কলেজ সব বন্ধ সারা দিন বাসার থাকি কম্পিউটারের সামনে, অন্য দিকে জাহিদও প্রায় ১০ জন স্টুডেন্ট পড়াতো ভালোই ইনকাম।
দিনটা ছিল শনিবার, জাহিদ হঠাৎ করে দুপুরে বাসায় আসে, আসলে ওর আসার কথা ছিল সন্ধ্যায় সব স্টুডেন্টকে পড়ানো শেষ করে। যাইহোক এসেই বিছানায় শুয়ে পড়লো। আমি তখন কম্পিউটারে গেমস খেলতে ছিলাম। দেখি ও কান্না করতেছে, আমি বললাম কি হইছে? ও বললো পেট ব্যথা। আমি মনে করলাম পেট ব্যথা হয়তো কমে যাবে। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে গেম খেলতে ছিলাম। কিছুখন পর হঠাত করে ও বলে উঠলো কিছু একটা কর আমি থাকতে পারতেছি না। তখন ভাবলাম তাহলে মেডিসিন এনে দেই তাহলেই কমে যাবে। তাই কিছু মেডিসিন এনে দিলাম। মেডিসিন খাওয়ার পরও কমতেছিল না। আমাদের পাশের রোমে থাকতো আমাদের রান্না করে দেয় যে, খালা। সে তেল মালিশ করে দিতে বললো তেলও মালিশ করলাম কিন্তু কিছুতেই কোনো কাজ হলো না। আস্তে আস্তে ব্যথা বাড়তেই লাগলো।
পরে ভাবলাম এই ভাবে বসে থাকলে হবে না। তাই জাহিদকে আমার বাসার কাছেই একটা ক্লিনিকে নিয়ে গেলাম। সেখানে ডাক্তার সব কিছু দেখে বললো, একটা ইঞ্জেকশন দিলেই ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তো ইঞ্জেকশন দেওয়া হলো কিন্তু ১০ মিনিট হয়ে গেলো কোনো কিছুই হলো না ব্যথা বাড়তেই লাগলো। ডাক্তার বলো ইঞ্জেকশন কাজ করতে ২০ মিনিট সময় লাগে একটু অপেক্ষা করেন ঠিক হয়ে যাবে। তারপরও কিছুই হলো না। ডাক্তার বললো রোগীকে বাসায় নিয়ে যান রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে।
জাহিদ বললো ওর ব্যথা একটুও কমে নাই। আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম এতো সিরিয়াস অবস্থা কেমনে হলো! আমি ডাক্তারকে তার পাওনা পরিশোধ করে বললাম, স্যার আমরা কোথায় গেলে এখন ভালো হবে? সে বললো আপনারা ন্যাশনাল অথবা মিডফোর্ড হাস্পাতালে যেতে পারেন। তো আমি একটা সি এন জি ভাড়া করলাম। ব্যথার যে অবস্থা রিকশায় যাওয়া সম্ভব না। তার পর নিয়ে গেলাম ন্যাশনাল হাস্পাতালে দেখলাম অনেক ভিড় তাই সেই রেফার করা ডাক্তারকে কল করলাম। সে তখন বললো আসলে বলাটাও ঠিক না তাও বলি আপনারা মিডফোর্ড হাস্পাতালে যান। ন্যাশনালে কিন্তু অপারেশন এর কথা বলবে। আর অনেক টাকা খেয়ে দিবে।
তার কথা মতো গেলাম মিডফোর্ড হাসপাতালে। যাওয়ার পর ইমারজেন্সির সামনে থেকে একটা টিকিট কাটলাম। গেলাম ভেতরে যাওয়ার পর বিস্তারিত শুনে আবার দেওয়া হলো ইঞ্জেকশন। ডাক্তারকে বললাম এক ক্লিনিকে প্রথমে নিয়ে গেছিলাম একটা ইঞ্জেকশন দিছে। সে বললো সমস্যা নেই কিছুক্ষনের মধ্যেই ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু আস্তে আস্তে ৩০ মিনিট হয়ে গেলো কমলো না। ডাক্তার কিছু টেস্ট লিখে দিলো, সেই কাগজে এক জনের নাম্বার ছিলো তাকে কল দিতেই লোকটা আসলো আর রক্ত নিয়ে গেলো পরিক্ষা করার জন্য।
তখন আমার মনে হলো এখন ঘটনাটা বাসায় জানানো উচিত। এর আগ পর্যন্ত না জানানোর কারণ হলো আম্মা অনেক চিন্তা করবে। কিন্তু যখন দেখলাম পরিস্থিতি তেমন ভালো না তাই আম্মাকে কল দিলাম আর সব ঘটনা বল্লাম। বলার সময় নিজেকে শক্ত রাখতে চেয়েও পারি নাই আমিও কান্না করে দেই। কারন সেই সময়ে জাহিদ আমার সামনেই ছিল। ব্যথার কষ্টে মুখ অনেকটা কালো লাগছিল। আমার সেই সময় ভেতর থেকে অনেক কষ্ট হচ্ছিলো তাই কান্না করে দেই। আম্মাও অনেক কান্না কাটি শুরু করে। আমি বলি চিন্তা করোনা আমি আছি কোনো সমস্যা হবে না। তুমি শুধু দোয়া করো।
আমার গ্রামের বাড়ি টাংগাইলে। আর সেই সময় কঠোর লক ডাউন ছিল। তাই চাইলেই সাথে সাথে আসার ও উপায় ছিল না।
তো প্রায় ৪০ মিনিট পর পরিক্ষার রিপোর্ট আসলো ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখালাম। বললাম স্যার সব ঠিক আছে? সে বললো না প্রোবলেম আছে। রোগীকে নিয়ে লিফটের ৩ তালাতে যান সার্জারী ইউনিট ১
ডাক্তারের কথা মতো গেলাম সার্জারী ইউনিট ১ এর সামনে তখন রাত ১২ টার কাছাকাছি। ডাক্তার ও টেস্টের রিপোর্ট দেখে আবার ইঞ্জেকশন দিলো আর ওর নাকে এবং প্রস্রাবের রাস্তায় নল পড়ালো। আর কিছু ব্লাড টেস্ট লিখে দিলো আর দিলো এক্সরে করাতে। আর এটাও বলে দিলো ব্লাড টেস্ট কালও করাতে পারবেন এক্সরে টা এখনি করতে হবে। এটাও বললো আপনার রোগীকে ভর্তি করাতে হবে। আপনি টেস্ট গুলো করান আর নিচের ইমারজেন্সি কক্ষ থেকে ভর্তি কনফার্ম করে আসেন।
আসলে আমি ভাবছিলাম যখন নল পড়ালো এটাতেই হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। ভর্তি হতে হবে না। যাই হোক ছিলাম একা কিছুই ঠিক মতো চিনি না। জিজ্ঞেস করে করে জায়গা খুঁজে বের করে এক্সরে করার টাকা জমা দিয়ে আসলাম। আর ভর্তিটাও কনফার্ম করলাম। তার পর এক্সরে করালাম, তখন প্রায় রাত ১ টার কাছাকাছি বাজে।
ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখালাম। সে সব কিছু দেখে বললো, আমার ভাইয়ের অগ্নাশয়ের কিছু অংশ জ্বলে গেছে। বললো কাল আবার দেখবো এখন আস্তে আস্তে ব্যথা কমবে।
নিয়ে গেলাম সার্জারী ইউনিট ১ এর রোগী কেবিনে। কিন্তু সেখানে এতো রুগী যে কোনো বেড ফাঁকা ছিলো না। তাই সেই রাতে ফ্লোরে বেড রেডি করে দেয় এক ওয়ার্ড বয়।
ভালো কথা এর মধ্যে আমার ফোনে অসংখ্য ফোন আসলেও আমি কারো ফোনই রিসিভ করতে পারি নাই। এতো বিজি ছিলাম। শুধু আম্মার সাতে ২ বার কথা বলি।
সেই সকালে খেয়ে বাসা থেকে বের হইছি, এতো খুধা লাগছে তাও খাওয়ার কোনো মুড ছিল না। তাও ভাবলাম আমিও যদি না খেয়ে অসুস্থ হয়ে যাই তাহলে তো সমস্যা। আর দেখলাম জাহিদও একটু ঘুম ঘুম মানে ব্যথা কিছুটা কমছে। তাই আমি নিচে গিয়ে খেয়ে আসি। তখন রাত ২ টা।
আম্মাকে কল দিলাম সে বললো কালই সে ঢাকা আসবে। আমিও বললাম আসো, একা আমি সত্যি হাপিয়ে গেছিলাম। সত্যি বলতে সেই সময় টাংগাইল থেকে ঢাকা আসাও অনেক প্রোবলেম কারণ কঠোর লক ডাউন।
সেই রাতে আমি আর ঘুমাই না। সারা রাতই জেগে ছিলাম। কারন নাকের নল যাতে না খুলে যায় সে জন্য আমাকে ডাক্তার দেখতে বলছিল। আর ঘুমের মধ্যে যদি ও নাকের নল ধরে টান দেয় তাহলেই বড় প্রোবলেম হবে। তাই আর ঘুম হলো না।
সকাল হয়ে গেলো জাহিদ ও ঘুম থেকে জেগে উঠলো, সকালে বাকি টেস্টগুলো করালাম এবং ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখালাম। রিপোর্ট দেখে ডাক্তার নিশ্চিত হলো জাহিদের "একিউট প্যানক্রেটাইটিস" হইছে। এটা অনেক ক্রিটিকাল একটা রোগ খুব কমই দেখা যায় এসব রোগী।
এ রোগের প্রধান কারণ হলো নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহন করা। যেমনঃ মদ, গাজা, সিগারেট এবং এলকোহোল জাতীয় পানীয়। তাছাড়াও বংশগত কারনেও হতে পারে। আর ৫% লোকের এই রোগ হতে পারে কোনো রকম কারণ ছাড়াই। জাহিদ এই ৫% লোকের মধ্যে পড়েছে। কারন আমরা ২ ভাই কখনো এই সব দ্রব্য খাই নাই।
যাইহোক তার পরের দিন আম্মা আমার ছোট ভাই, আমার কাকা চলে আসে গ্রাম থেকে। এভাবে অনেক দিন কেটে যায় ঠিক হচ্ছিলো না। প্রায় ১ মাস হাসপাতালে ছিলাম। লাস্টের দিকে অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায় পেট ফুলে যায়। তখন ডাক্তার অপারেশন এর কথা বলে। আসলে "একিউট প্যানক্রিয়েটাইটিস" এর রোগীদের অপারেশন লাগে না। এমনিতেই ঠিক হয়ে যায় কিন্তু জাহিদের ক্ষেত্রে জটিলতা হয়, পেট ফুলে যায়। ডাক্তার এই কথাও বলে অপারেশন করলেও বাচার চান্স ৫০-৫০। কিছুই করার ছিলো না আমরা অপারেশন করতে রাজি হই।
আল্লাহর অশেষ রহমতে অপারেশন সাক্সেসফুল হয়। কিন্তু এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয় নাই। পেটের ভেতর এখনো একটা ড্রেন বের করা আছে। সেই ড্রেন দিয়ে এক প্রকার লিকুয়েড আসে। এটা আসা বন্ধ হলেই ড্রেন খুলে দিবে।
নোটঃ হাসপাতালে থাকা সময়টাতে ফিল করতে পারছি সুস্থ্যতা কত বড় নিয়ামত যা কেবল অসুস্থ থাকলেই বুঝা যায়।
বি.দ্র- এটা কোনো সাজানো গল্প নয়। আমার সাতে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা। তাই যা যা ঘটেছে তাই তাই বর্ননা করার চেষ্টা করেছি। জানি লেখাটা অনেক বড় হয়ে গেছে। আসলে আরও অনেক কিছু বলার ছিল সব কিছু লিখা সম্ভব না।
যাই হোক, সর্বশেষ এই কথাই বলবো সবাই আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমার ভাই আবার আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন।
আমি খুব মনোযোগ দিয়ে আপনার লেখাটি পড়লাম ।আপনি আপনার ভাইয়ের জন্য যেভাবে লড়াই করেছেন যেভাবে পাশে থেকে সাপোর্ট দিয়েছেন তা সত্যিই অকল্পনীয়। আমি বুঝতে পেরেছি আপনার উপর দিয়ে সেই দিনগুলো কেমন গিয়েছে ।আসলে হুট করে এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে আমরা দিকবিদিক হয়ে যাই ।তবু আপনাকে ধন্যবাদ আপনি যথাসময়ে ডাক্তারের কাছে গেছেন এবং আপনার ভাইয়ের জন্য সঠিক সময়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছেন। এটা অত্যন্ত জরুরি ছিল। আশাকরি আপনার ভাই এখন সুস্থ আছে ।তার সুস্থতা কামনা করছি সব সময়।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মূল্যবান মতামতের জন্য।
দোয়া করবেন।
আপনি খুবই হৃদয় বিদারক একটি ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলে যখন পরিবারের কারো কোন বিপদ হয় তখন নিজেকেই লড়াই করতে হয়। আপনার পোস্ট এ কিছু টাইপিং ভুল আছে। সেগুল সংশোধন করুন।আপনার ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। অবশ্যই বানান সব ঠিক করে দিচ্ছি। আসলে লিখছিতো অনেক কিছু কিছু বানান হইতো ভুল হয়ে গেছে। টাইপিং মিস্টেক।
এরপর থেকে পোস্ট করার আগে বানান রিভিশন দিয়ে দিবো।
মহান আল্লাহতায়ালা যেন ভাইয়াকে খুব দ্রুত সুস্থতা দান করেন এই দোয়াই করি।আপনার শেষের একটি কথার সাথে আমি সহমত পোষণ করছি সুস্থতা কত বড় নিয়ামত সেটা অসুস্থ হলেই বোঝা যায়।তাই আমাদের প্রত্যেকেরই স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা অতীব জরুরী।
♥♥
আসলেই ভাই সুস্থতা যে কত বড় নিয়ামত সেটা আমরা হসপিটালে বেডে শুয়ে থাকা রোগীদের দেখলেই বুঝতে পারি। আমরা হতাশ হয়ে যায় যে আমরা কষ্টে আছি আমরা অভাবে আছি। কিন্তু সুস্থতা খুবই বড় একটা নেয়ামত সেটা আমরা হসপিটালে গেলে অনুভব করতে পারি। আপনার ভাইয়ের জন্য সুস্থতা কামনা করছি। আপনি খুবই মতৎ একজন মানুষ। আপনার ভাইয়ের জন্য অনেক কষ্ট করছেন, আপনার প্রতি সালাম জানাই এবং আপনার ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করি।
ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
❣️❣️
ভাইয়া আমি আপনার পোস্টটি খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। ভাইয়া আপনি আপনার ভাইয়ের সুস্থতার জন্য দারুণভাবে লড়াই করেছেন। আপনি যত সময় আপনার ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছে। আমি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি আপনার ভাই যেন দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন। এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই 💜
আমি আপনার পুরো গল্পটা পড়েছি । মনটা খারাপ হয়ে গেল । আপনার ভাইয়ের জন্য দোয়া রইল । সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয় ।
জ্বি, আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।
ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো। আসলেই আপনি অনেক কঠিন সময়পার করেছেন ।একদমই ঠিক কথা বলেছেন অসুস্থ হলে বুঝা যায় সুস্থতা কত বড় নিয়ামত। কিন্তু সেটা আসলে আমরা মনে রাখার চেষ্টা করি না ।দোয়া করি আপনার ভাই যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।
ধন্যবাদ আপু
আমি ভাই এবং বোনদের জন্য আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করি আমিন, এবং তার জন্য ভাইয়ের সংগ্রাম অত্যন্ত বিশুদ্ধ এবং আন্তরিক, আপনার গল্পটি পড়লে আমার মন খারাপ হয়, সমস্ত আত্মাকে রাখুন
আপনি হয়তো বাংলা ঠিকমতো লিখতে পারেন না। অন্য ভাষাকে বাংলাতে রুপান্তর করছেন। যাইহোক কমেন্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার জন্য দোয়া করবেন।
ভালো থাকবেন।
দুঃখিত আমি শুধু বাংলা লিখতে শিখছি, পরে ভবিষ্যতে ঠিক করে দেব
আপনার বাংলাটা একেবারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লাম। আসলে এরকম পরিস্থিতি গুলো আমাদের জীবনে যখন আসে তখন আমরা সুস্থ তার মর্ম বুঝতে পারি। যখন আমাদের খুব কাছের বন্ধু কিংবা প্রিয় মানুষগুলো অসুস্থ হয় তখন আমরা সত্যিই খুব ব্যথিত হয়ে এবং তাদেরকে সুস্থ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠি। দোয়া রইল তিনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার আপনার সাথে আবার সেই আনন্দঘন সময় কাটাতে পারেন। শুভ কামনা রইল। অনেক চমৎকার লিখেছেন এবং পুরো পোস্টে মাত্র তিনটি বানান আমার কাছে ভুল চোখে পড়েছে। অসাধারণ লিখেন আপনি। এগিয়ে যান। আবারো দোয়া ও শুভকামনা।
ভাই, আপনাকে প্রথমে ধন্যবাদ দিতে চাই অনেক কষ্ট করে আমার পুরো লেখা পড়ার জন্য। আবারো ধন্যবাদ আমাকে আমার ভুলত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
আমি বানানগুলো ঠিক করে নেবো। আমার জন্য এবং আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।
ভালো থাকবেন 💞
আপনার লেখা পুরো পোস্ট টা পড়লাম,খুবই হৃদয়বিদারক একটি ঘটনা।তাও আপনি বাহবা পাওয়ার দাবি রাখেন,ওতো রাতে আপনি একা যেভাবে পুরো ঘটনাটি হ্যান্ডেল করেছেন তা খুব কম লোকই পারে।
সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আপনার ভাই যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।