স্টিমইট ছাড়া একদিন।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন? নতুন ধরনের একটি অভিজ্ঞতা হল কাল।আজ সে সম্পর্কেই বলব।
আমি প্রায় সারাদিনই দৌড়ের উপর থাকি। সকাল থেকে টিউশন,তারপর ভার্সিটি,তারপর আবার নিজের টিউশন আবার পড়াশোনা।এই সব কিছুর মাঝখানে প্রিয় প্লাটফর্ম স্টিমিট কে সময় দেওয়া।অর্থাৎ সারাদিনই কিছু না কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়।
যতদিন যাচ্ছে স্টিমিটে প্রতিযোগীতা বাড়ছে।সুপার এক্টিভ লিস্টে টিকে থাকার জন্য রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে।প্রথম যখন প্লাটফর্মে যোগ দেই তখন প্রথম সমস্যা ছিল কনটেন্ট খুজে বের করা। প্রতিদিন একটি করে কনটেন্ট বের করা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছিল,এরপর আস্তে আস্তে এবিবি স্কুল থেকে পাওয়া শিক্ষা আর ভেরিফাইড মেম্বার দের উপদেশে আস্তে আস্তে সেই সমস্যা কাটতে থাকে।
এরপর একদিন ভেরিফাইড হয়ে গেলাম।তখন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ শুরু হল।এক বিশাল যুদ্ধক্ষেত্রে নামলাম যেন।সেই যুদ্ধক্ষেত্রের নাম সুপার একটিভ লিস্ট।অভিজ্ঞব্লগার দের সাথে তুমুল লড়াই করে সুপার একটিভ লিস্টে জায়গা করে নিতে হবে,ভাবতেই কেমন জানি ভয় ভয় লাগছিল।তারপরেও পিছুপা হইনি।চেষ্টা করে যাচ্ছি নিয়মিত।
এছাড়া কনটেস্ট,হ্যাংআউট তো আছেই।এর মাঝে দিয়ে কবে যে এই প্লাটফর্ম জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে গেছে তা বুঝতেই পারি নি। কথায় বলে না "বিচ্ছেদ ছাড়া ভালবাসা টের পাওয়া যায়না।" আমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।
আমার মা বলে ফোনটা নাকি আমার রক্ষাকবচ।কারন আমি ফোনটি কখনো হাতছাড়া করি না।অনেক সময় রাতে ঘুম থেকে উঠেও স্টিমের নোটিফিকেশন চেক করি।পোস্টের জন্য কবিতা বা কনটেন্ট লিখি।কোথাও গেলেও এখন মাথায় থাকে কনটেন্ট এর খোজ।
তো গতকাল ঘুম থেকে উঠেই স্টিমে ঢুকলাম নোটিফিকেশন চেক করে পোস্ট পড়ার জন্য।নোটিফিকেশন থেকে কয়েকটি রিপ্লাই দিলাম।এরপর হঠাৎ সেখানে লেখা উঠতে থাকে অ্যাকাউন্ট কুড নট ফাউন্ড।আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম।সদ্য ঘুম থেকে উঠেছি তাই মাথা কাজ করছিল না অতটা।আমি প্রথমে ভেবেছিলাম আমার অ্যাকাউন্ট বুঝি হ্যাক হয়েছে।পরে বুঝতে পারলাম হ্যাক হলে তো অ্যাক্সেস ই করতে পারব না।তারপর চোখে মুখে জল দিয়ে আবার ঢুকলাম।
তখন আবার কাজ করতে পারলাম।ভোট দিতে পারছিলাম,কয়েকটি পোস্ট পড়ে মন্তব্যও করলাম।কিন্তু তারপর আবার একই সমস্যা।বার বার রিফ্রেশ করেও যখন কাজ হচ্ছিল না,তখন আন্দাজ করলাম সার্ভার এর সমস্যা।ডিস্কর্ডে মেসেজ দিলাম তখন মির আতিক ভাই বলল সার্ভার এর সমস্যা এবং সাথে সাথে আবার নুসরা আপু অন্যাউন্সমেন্টে জানিয়ে দিল।তখন কিছুটা নিশ্চিত বোধ করলাম।
এরপর সারা দিনই স্টিমিটে ঢুকেছি এবং চেক করেছি সার্ভার ঠিক হচ্ছে কিনা।আর প্রার্থনা করছিলাম খুব তারাতারি যেন সার্ভার ঠিক হয়।তখন বুঝতে পারলাম এই প্ল্যাটফর্ম কতটা জড়িয়ে গেছে আমার দৈনিন্দিন জীবনের সাথে।আর আমি এটাকে ভাল চোখেই দেখছি কারন এটি আমার কর্মক্ষেত্র, এটিকে আমি যত ভালভাবে নিজের সাথে জড়িয়ে নিতে পারব তত ভালভাবে মানিয়ে নিতে পারব এখানকার পরিবেশের সাথে।
অবশেষে আজ সার্ভার ঠিক হয়েছে।অজান্তেই একটি স্বস্তির নিঃশ্বাস বেড়িয়ে এল বুক থেকে। আবার ফিরে পেলাম প্রিয় প্লাটফর্ম। প্রার্থনা করি এমন যেন আর কখনো না হয়। আরো উন্নতি হোক এই প্লাটফর্মের।কাল সারাদিন যে অশান্তিতে কাটিয়েছি তা যেন আর কখনো ভোগ করা না লাগে।আর ধন্যবাদ আমার বাংলাব্লগকে,প্রত্যেকজন ব্লগার কে দক্ষ ও স্টিমিট প্লাটফর্ম এর অনুগত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য।
আপনার মা জ্ঞানী মানুষ তাইত এখনকার প্রেক্ষাপটে বাস্তব কথা বলেছেন ফোন হচ্ছে আপনার রক্ষাকবচ। আসলে এই কথাটা এখন বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যাই হোক স্টিমিটে ঢুকতে গিয়ে আপনার মত একই সমস্যায় আমিও গতকাল পড়েছিলাম। সারাদিন না ঢুকতে পেরে চিন্তা হচ্ছিল কাজগুলো জমে যাচ্ছে। কারন এই একটি দিনই (শুক্রবার) বেশি সময় দেই স্টিমিট তথা আমার বাংলা ব্লগকে। আমি ত রীতিমত ডিস্করডে টিকেট কেটেছিলাম কি হচ্ছে, কখন সার্ভার কাজ করবে এসব জানার জন্য। অবশেষে সস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছি আজ সকালে যখন শুনেছি সার্ভার কাজ করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ঠিকই বলেছেন ফোন হচ্ছে আমাদের রক্ষা কবজ ফোন ছাড়া যেন আপনার মত আমারও একটা সেকেন্ডও চলে না।।
একটু সময় ফোন হাতে না থাকলে মনে হয় ডিস করে কি যেন একটি নোটিফিকেশন আসলো সেটা থেকে আমি পিছিয়ে পড়লাম আমাকে এখন কি যেন করতে হবে কি যেন কথা চলছে আমি সেটা শুনতে পারলাম না।
স্টিম ছাড়া একটা দিন মোটেও ভালো কাটেনি বারবার করে চেষ্টা করেছি সবার পোস্টগুলো দেখে মন্তব্য করার জন্য এবং কিছু হলেও শেখার জন্য আনন্দটা উপভোগ করার জন্য কিন্তু বারবারই ব্যর্থ হয়েছি।।
যাহোক এখন সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে খুবই ভালো লাগছে।।
হুম আসলেই মনে হয় পিছিয়ে পড়ালাম।সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
এটা আসলে একটি রক্ষাকবজ এখনকার দিনে ফোন ছাড়া সময় কাটানোর একেবারে অসম্ভব। আপনার মত আমিও রাত জেগে অনেক সময় স্টিমিটের নোটিফিকেশন চেক করি। এখন মনে হয় যেন স্টিমিট ছাড়া সময় কাটে না। সার্ভারের সমস্যার কারণে আমি বেশ বিরক্ত ছিলাম কাল। কিন্তু ঠিক হওয়ার পর থেকে আবার নতুন করে কাজ শুরু করতে পেরে আমার কাছেও খুব ভালো লাগছে।
হ্যা স্টিমিট ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে আমাদের সাথে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার লেখা গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই ৷ আসলেই সারাদিন ব্যস্ততা থাকার পরেও স্টিমিটে না আসলে অন্য রকম লাগে ৷ তবে আসলেই গতকাল বলতে গেলে কোনো কাজ করি নি শুধু ঢুকছি আর দেখছি এর চেয়ে বেশি করার ছিল না ৷ তবে আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে যে অনুভুতি টা সত্যি অসাধারণ ছিল ৷
আপনি এভাবেই এগিয়ে যান এমনটাই প্রত্যাশা করি ভাই ৷
ধন্যবাদ দাদা।আপনার জন্যেও শুভ কামনা রইল।
অনেক ভাল লাগলো ভাইয়া পড়ে। সত্যি ই কালকের দিনটি কারোই ভালো কাটেনি দেখলাম।"আমার বাংলা ব্লগ " ছাড়া আসলে একদিন ও থাকতে পারব না তা কাল সুন্দরভাবেই অনুধাবন করেছি।😥 পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সফলতা এমনি এমনি আসেনা। আপনার পোাষ্টটি পড়তে পড়তে আমারো শুরুর দিকের কথাগুলো মনে পড়ে গেল। প্রতিযোগিতার এই বাজারে টায়ারে টিকে থাকতে হলে আসলে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। আপনি যে এই প্লাটফর্মকে ভালোবেসে ফেলেছেন তা আপনার পোষ্টটি পড়লেই বোঝা যায়। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল।
সত্যি বলতে ভাই আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমারও সেই প্রথম দিনের কথা মনে পড়ে গেল। প্রথম প্রথম তো অনেক রাত জেগে কাজ করতাম এরপর সকালে আবার ঘুম থেকে উঠেই আগে নোটিফিকেশন চেক করতাম, তারপরে উঠে হাত মুখ ধুতাম। এবার স্টিমিটে অনেক সময় নিয়ে সার্ভার ডাউন ছিল এরকম ভাবে কখনো দেখিনি মাঝে মধ্যে হয়েছে আবার ঠিক হয়ে যেত।
সার্ভার মাঝে মাঝে ডাউন হয় এটা কিন্তু জানতাম না।আমার কাজ করার চার মাসে কখনো এমন হয়নি।ধন্যবাদ ভাইয়া তথ্যটির জন্য।
প্রথম দিকে এই কনটেন্ট খুঁজে পাওয়ার ঝামেলায় আমি নিজেও পড়েছিলাম। তবে সময়ের পরিক্রমায় এখন সেটার সমাধান হয়েছে। সুপার একটিভ লিস্টে থাকতে হলে বেশ ঘাম ঝড়াতে হয় সেটা আমি জানি। সত্যি বলতে এতো দীর্ঘ সময় স্টিমিট এর সার্ভার ডাউন আমি আগে দেখিনি। বেশ অস্বস্তিকর ছিল সময় টা। আপনার অনূভুতি শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।।
এমন সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদমই ঠিক বলেছো ভাই। কাল সারাদিন আমিও খুব বোর হয়েছি। সারাটা দিন কি করব, কি করব ভেবে গেছি। কাল রিয়েলাইজ করতে পেরেছি যে স্টিমিট আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। আমি তো নতুন,আমারই এই হাল। তাহলে পুরোনো যারা, তাদের আরো কত কষ্ট হয়েছে।