নেমেসিস ||ক্রাইম থ্রিলার পর্ব-২

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই বরাবরের মতই ভাল আছেন।আমিও সবসময় ভালর দলে।প্রায় সব সময়ই ভাল থাকি।গত সপ্তাহে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম নেমেসিস এর প্রথম পর্ব।আজ সেটারই দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করব।

pexels-vijay-putra-64699.jpg
সোর্স

গত পর্বেঃ

আর কিডন্যাপিং এ বেজায় হ্যাপা।প্রথমে গাড়ি ম্যানেজ করো,তারপর পিছু করো,তারপর তাকে কায়দা করা আরো কত কিছু। ও আপনার জেনে কাজ নেই।আমি যখন বলেছি ঝামেলা তার মানে ধরে নিন ঝামেলা আছে।তবে ক্লাইন্ট টাকা দিতে কোন কার্পন্য করে নি।আর তার এই আবদারের পেছনে কাহিনীটাও বেশ মর্মান্তিক।আমি আবার সব ধরনের শিকারের পিছে যাই না।আগেই তো বলেছি মানুষের মত নিকৃষ্ট জীবকে মেরে হাত নোংরা করতে চাইনা।আমি শুধু সেই কেস গুলোই নেই.............
গত পর্বে লিংকঃপ্রথম পর্ব

গত পর্বের পরঃ

যে কেস গুলোর একটি ভাল ব্যাকস্টোরি আছে।যেখানে একজন নির্যাতিত, অপরজন নির্যাতন কারী।এই কেস গুলো হ্যান্ডেল করে মজা পাই।নিজেরে বেশ সুপার হিরো মনে হয়।

যাই হোক এখন টার্গেট এর পিছে যেতে হবে।এক কাজ নিয়ে পড়ে থাকলে তো চলবে না।আর কাজ করতে দেরি হলে সুনাম ক্ষুন্ন হয়।যা ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর।কয়েকদিন খোজ খবর নিয়ে জানলাম টার্গেট কোটিপতির একমাত্র ছেলে।বাপের প্রচুর টাকা।আর বাংলাদেশে টাকা থাকা মানেই তো সাতখুন মাফ।তাই এর পাপের কোন সীমা নাই।

যাই হোক এর অভ্যাস প্রতিদিন রাতে বারে যাবে, প্রচুর মদ গিলবে তারপর উল্টাপালটা ড্রাইভ করে বাড়ি ফিরবে।সেই সেম রুটিন প্রতিদিনের।এদের লাইফস্টাইল দেখে মাঝে মাঝে হিংসা হয়।খাও দাও ঘুমাও।কোন কিছুর অভাব নেই।টাকা কই থেকে আসবে সে চিন্তা নেই।আর আমাদের এই জীবন, সস আনতে বার্গার ফুরায়।

একটা খসড়া প্ল্যান করে ফেলেছি।আজকেই কাজ ফাইনাল করে ফেলব। তার আগে বারে গিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি জানতে হবে।বারে গিয়ে দেখলাম বেচারা টার্গেট প্রচুর খেয়েছে।মনে মনে খুশি হয়ে উঠলাম।মন চাইল আরো দুই-এক বোতল কিনে দেই।ও যত কন্ট্রোলের বাইরে যাবে, আমার ততই সুবিধা।কব্জা করতে সহজ হবে,বেশি প্রতিরোধ করবে না।

ঘন্টার পর ঘন্টা যেতে থাকল।আমি টার্গেট রে চোখে চোখে রাখতে লাগলাম।কিন্তু সাবধানতা অবলম্বন করলাম যাতে চোখাচোখি না হয়।এরপর গভীর রাতে বের হল টার্গেট।দিন দুনিয়ার কোন সেন্স নাই।আস্তে আস্তে পার্কিং এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।আমিও পিছু নিলাম।যা করার পার্কিংয়েই করতে হবে।এর থেকে উপযুক্ত জায়গা পাওয়া যাবে না।

প্রথমত জায়গাটি আলো অধারি।তারপর যারা এখান থেকে বের হয় অধিকাংশই থাকে মঙ্গলে।তাই কি হচ্ছে সেদিকে কেউ খেয়াল করবে না।তারপর গার্ড ব্যাটা এত অলস যে চোখ তুলে তাকায় না পর্যন্ত।

যাই হোক টার্গেট টলতে টলতে গাড়ির দিকে এগোচ্ছে।আমিও অভিনয় করছি যেন আমিও মাতাল।এরপর টার্গেট যখন গাড়ির দরজা খুলবে তখন তার সামনে গিয়ে হাজির হলাম।এমন ভাব করলাম যেন আমি তার কত ঘনিষ্ঠ বন্ধু, অনেকদিন পর দেখা তাই কোলাকুলি করছি।সে তখন অত চিন্তাভাবনার অবস্থায় ছিলনা।আমার সাথে তালে তাল দিয়ে যাচ্ছিল।এই ফাকে আমি ক্লোরফর্ম দেওয়া রুমাল টা তার নাকে চেপে ধরলাম।একটু পরেই সে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল।

তার হাত থেকে পড়ে যাওয়া চাবিটা কোনমতে তুলে নিয়ে পেছনের দরজা খুলে সিটে বসিয়ে দিলাম।তারপর আমি বসলাম ড্রাইভিং সিটে।এতক্ষণ কাজ মাখনের মত এগিয়েছে।কোন ঝামেলা হয়নি।আশা করতেছি ঝামেলা ছাড়াই কাজ সুন্দরভাবে কমপ্লিট হবে।হল ও তাই।

বের হলাম পার্কিং থেকে।বের হয়ে ক্লাইন্ট কে ফোন দিলাম।সে একটি ঠিকানা দিল।ঠিকানা দেখে বুঝলাম ৩০মিনিট সময় লাগবে,কিন্তু একঘন্টার কথা বলে দিলাম।।আমি আর গাড়ি পরিবর্তনের ঝুকি নিলাম না।কেউ আটকালে ড্রাইভার পরিচয় দেব। ব্যাস ঝামেলা মিটে যাবে।

এরপর রওনা দিলাম ক্লাইন্টের দেওয়া ঠিকানার দিকে।ঠিকানাটি দেখে একটু অবাকই হয়েছিলাম।এটি নির্জন একটি জায়গা।মনে মনে বাজে সিচুয়েশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে নিলাম।বলা তো যায় না,হয়ত সাক্ষী না রাখার জন্য আমার উপরেই হামলা করবে।মানুষের তো বিশ্বাস নাই।
পিস্তল দুটিকে লোড করে নিলাম,সেফটি অফ করে রাখলাম।এরপর সেখানে ৪০মিনিট এর মাথায় গিয়ে পৌছাইলাম।চারদিকে অন্ধকার।একটা ইটভাটায় চলে এসেছি।গাড়ি থেকে নেমে চারদিক টা ভাল করে দেখে নিলাম।ক্লাইন্ট এখনো এসে পৌঁছায়নি।

গাড়ির হেডলাইট নিভিয়ে দিয়ে গাড়িতে বসে থাকার কথা ভাবছি।তখনি.................

বাকি অংশ পরের পর্বে।গল্পে বানান ভুল থাকলে সেটা অবশ্যই জানাবেন।মূল্যবান সময় নষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।কেমন লাগল তা মন্তব্য করে জানাবেন।

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

banner-NEW.png
break2.jpg
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
break2.jpg

Sort:  
 2 years ago 
ক্রাইম থ্রিলার কাহিনী লেখা সহজ ব্যাপার না। আপনি অনেক সুন্দরভাবে নেমেসিস গল্পটি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পিস্তল রেডি করে রেখেছে ভালো করেছে কারণ ক্লায়েন্ট কে আমার সন্দেহ হচ্ছে। এই ইটভাটাগুলোতে অনেক অপকর্ম হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর গঠণমূলক ও উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

 2 years ago 

ভাই আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ক্রাইম সিরিজের গল্পটি লিখেছেন। আমার মনে হয় এটা আপনার অনেক কষ্ট হলেও সবগুলো লাভ করবেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝখানে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 67778.49
ETH 3811.60
USDT 1.00
SBD 3.53