বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী চুন্নুর চাপ||খাওয়দাওয়া ঘোরাঘুরি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবার দিনকাল ভাল কাটছে।পুজার কয়েকদিন প্রচুর আনন্দে কাটল।আজ থেকে আবার সেই আগের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হল।
পুজায় আমার কাজিন দীপ,শিক্ত,রাঙ্গা এসেছিল।এরা ছাড়া আমার পুজা অসম্পূর্ণ। কারন পুজো ভাই-ব্রাদার ছাড়া অন্যান্য দিনের মতই। কাল বিজয়া দশমির পর আজ সবার বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু আমি তাদের বললাম আজ তাদের স্পেশাল একটি জিনিস খাওয়াবো।
আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন বগুড়া শহরের অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার হল চুন্নুর চাপ।এখানে এত ভিড় হয় যে আপনি গিয়েই জায়গা পাবেন না।কমপক্ষে ১ঘন্টা সিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।আগে যখন ছোট পরিসরে ছিল তখন সবাই রাস্তায় বসেই খেত।মাত্র কয়েকজন লোক বসার সুযোগ পেত।
এখন অনেক বড় একটি জায়গা নিয়ে রেস্টুরেন্ট টি বানানো হয়েছে। একসাথে প্রায় ১০০+ লোক বসতে পারে।কিন্তু এখনো আপনি গিয়েই ফাকা টেবিল পাবেন না।এখনো আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে কখন একদল উঠবে।অনেক টা বিয়ে বাড়ির খাওয়াদাওয়ার মত।
তো ভাইদের নিয়ে গেলাম চাপ খাইতে।এখানে একটা কথা বলে নিই।এখানে দুই ধরনের চাপ পাওয়া যায় ১.বিফ ২.চিকেন। দুইটা রান্না করা হয় আলাদা জায়গায়।আর বানানোর মানুষ পাত্র সবই আলাদা।
গিয়ে দেখি বরাবরের মতই সব টেবিল ভরা।চার ভাই ভাগ হয়ে গিয়ে চারটি টেবিলে গিয়ে দাড়ালাম আর প্রতীক্ষা করলাম কখন একটি দল উঠবে।যাই হোক আমাদের অবস্থা দেখে একটি দলের মায়া হল।তারা একটু জলদি খেয়েই উঠে গেল।ফলে আমরা মোটামুটি ১৫মিনিট এর মাথায় জায়গা পেয়ে গেলাম।
আমরাও একটু আরাম করে বসলাম তারপর ওয়েটার মামা এসে বলল মামা আগে পে করে স্লিপ নিতে হবে তারপর সেটা জমা দিলে তখন তারা আমাদের টা বানানো শুরু করবে।চার ভাইয়ের জন্য ১টি পুরো মুরগী অর্ডার করলাম।আর সাথে ৮টি লুচি ও চারটি টমেটো সস।এরপর আমি একটু ঘুরে দেখলাম আর ব্লগের জন্য ছবি তুলতে থাকলাম।
এরপর ২০মিনিট অপেক্ষার পর চলে এল আমাদের কাঙ্ক্ষিত খাবার।এরপর ভগবানের নামে কোন মতে একটি ছবি তুলে খাওয়া শুরু করে দিলাম।
যদিও আমার শেষ করতে দেরি হচ্ছিল।ফলাফল আমার বাকিগুলো ভাইয়েরা নিজদায়িত্বে শেষ করার পর বলল,"তুই কষ্ট করে খাবি,আর আমরা ছোট ভাই হয়ে দেখব?তাই তোর পরিশ্রম কমিয়ে দিলাম।"কি আর বলার।বললাম,"বড়ই উপকার হল।"
আমি মাঝে মাঝেই আসি এখানে খেতে।চাপ বরাবরই জোস হয়।তবে আজকের চাপ কেন জানি অত মজা লাগল না।এত বেশি ভেজেছিল যে মাংস গুলো শুকনা শুকনা লাগছিল।আপনারা বগুড়া আসলে অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে পারেন।
অনেক আগে চুন্নুর চপ এর নাম শুনেছিলাম ভাই।অনেক দারুন রিভিউ দিয়েছেন ভাই।বগুরা গেলে আপনার থেকে এটা ট্রিট নিব কিন্তু😁😁দারুন ছিলো পুরোটা
অবশ্যই ভাই।এসে শুধু একবার জানাবেন।
জন্য চাপ কাবাব ধরে খুবই সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে মজাদার খাবার খেয়েছেন আমার তো দেখেই অনেক লোভ হচ্ছে।।
চারজনে মাত্র আটটা লুচি খেতে হয় এ ধরনের খাবার খেতে গেলে আমার একাই তো সাত আটটা লাগে।।
রেস্টুরেন্টের পরিবেশ দেখে খুবই ভালো লাগলো অনেক ভিড় দেখলাম খাবার উন্নতমানের হলে কাস্টমারের ভিড় থাকবেই এটাই স্বাভাবিক।।
ভাই মুরগী পেলে কে আর লুচি নিয়ে টানাটানি করে? আর তাছাড়া পরে একটা দাওয়াত ছিল তাই বেশি করে খায়নি কেউ😂😂
এভাবে ই ভাইদের সাথে একসাথে বসে হোটেলে গিয়ে বিভিন্ন জিনিস খাওয়ার মজাটাই আলাদা। দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই মজা করে খেয়েছেন সকলে একসাথে। যারা বিফ খায় তারা আলাদাভাবে চাইতে পারবে। আর যারা চিকেন খায় তারা ও আলাদাভাবে চেয়ে খেয়ে নিতে পারবে। একা একা খেতে কারোই ভালো লাগেনা। প্রিয় ভাই অথবা বন্ধুর সাথে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে আড্ডা দিয়ে।
হ্যা আসলেই।রেস্টুরেন্ট এ একা খেতে মজা নেই।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এমন পরিস্থিতি হলে আসলেই খুব খারাপ লাগে। আপনি খাচ্ছেন আর আপনার টেবিলে বসার জন্য আরও কিছু লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। এরকম দাঁড়িয়ে থেকে টেবিলে বসতে হলে খুবই কষ্টকর । তারপরও ভাল খাবার খাওয়ার জন্য একটু তো কষ্ট করাই যায়। কিন্তু আপনি প্রতিদিন খান জন্যই মনে হয় আজকে আপনার কাছে ততটা ভালো লাগেনি। দেখে তো মনে হচ্ছে বেশ মজাদার ছিল।
হ্যা আপু প্রায়ই খাওয়া হয় তাই একটু কমবেশি হলে ধরা যায়।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আহারে অসহায়ের মত চারজন চার টেবিলে সামনে দাড়িয়ে 🤪🤪।তখন একটা ছবি তোললে ভালো হত।যাই হোক চুন্নুর চাপ নামটা বেশ ইন্টারেস্টিং নাম।যাই হোক এই টাইপের খাবার খেতে আমার খুব ভালো লাগে।ভালো ছিলো ধন্যবাদ
টেবিল দখল করার চক্করে এত ব্যস্ত ছিলাম যে ছবি তুলতে ভুলে গেছিলাম।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বিফ এবং চিকেন আলাদা আলাদা ভাবে করলেও যারা বিফ খায় না তাদের জন্য এরকম জায়গায় গিয়ে খাওয়া একটু কষ্টকর হয়ে পড়ে। চারজনের জন্য মাত্র আটটা লুচি একটু কম হয়ে গেল না?
দাদা কম হয়না।কারন সবাই চিকেনের দিকে কনসেন্ট্রেট করে তাই লুচি অত লাগে না।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
চিকেনের দেখা পেলে লুচির কথা আর কার মনে থাকে। 🤓😂🤓😂
এইত বুঝতে পেরেছেন দাদা।হাহাহা
না বোঝার উপায় আছে বুঝতে তো হবেই।
এই ভিড় দেখে আমাদের ব্যারাকপুর দাদাবৌদির রেস্তোরাঁর কথা মনে পড়ছে। ওখানে যতই লোক বসার ব্যবস্থা করুক, লাইন থাকবেই। ওদের পাশাপাশি ৩ টে রেস্টুরেন্ট। তিনটে তেই লম্বা লাইন থাকে। খাওয়ার লাইন আবার পার্সেলের লাইন। তবে প্রকৃত চাপ কিন্তু এটা নয়। বাংলাদেশে হয়তো এটা কে চাপ বলে। কিন্তু মুঘলদের চাপ কিন্তু আলাদা। ইউটিউবে চিকেন চাপ লিখলে রেসিপি পাবে। কোনদিন বানিয়ে খেও। তবে তুমি যেটা শেয়ার করেছো সেটাও অপুর্ব খেতে হয়। এটা অনেকটা তন্দুরি কাবাবের মত দেখতে। লোভনীয়।
হ্যা দিদি এটাকে চাপ বলে না।দোকানের নাম চাপ দেওয়া হয়েছে কারন বিফ চাপের কারনে।এটা মেইনলি মুরগী ভাজি।ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ও ভাল একটি রেসিপি সাজেস্ট করার জন্য।
দিপ, শিক্ত আর রাঙ্গাকে নিয়ে আপনার চিকেন চপ খাওয়ার গল্পটি বেশ ভাল লাগলো। আমারও ইচ্ছে হচ্ছে বগুরার চন্নুর চপ খেতে।
বগুড়া চলে আসুন আপু।আমি ট্রিট দেব।
প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষা কারর পর আপনার সিট পেয়েছেন বাবা ৷ তাহলে তো বোঝাই যাচ্ছে কতটা ভিড় মানুষের ৷ যাই হোক আপনি আপনার ভাই ব্রাদার পুজোয় এসেছে শুনে ভালো লাগলো ৷ আর মনে তো বেশ চমৎকার সময় ও আনন্দ করেছেন ৷
তবে দাদা আপনার কথা গুলো বেশ অবাক হলাম যে ১০০ জন মানুষ লেগেই থাকে ৷ তাহলে তো দোকানের কর্মচারীগন ব্যবস্থার মধ্যে থাকে ৷
অর্ডার করার ২০ মিনিট পর খাবার এসেছে ৷ আমার তো বিরক্তি লেগে যাবে ৷
যা হোক কোনো একদিন যদি যাই বগুড়া শহরে তাহলে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী চুন্নুর চাপ খেতে যাবো ৷
ভাই এক লুচি বেলার কাজেই ৫জন কর্মচারি আছে।অন্যান্য কাজের কথা বাদই দিলাম।যদি কখনো আসো তাইলে জানিও।একসাথে যাওয়া যাবে।
ঠিক আছে অবশ্যই জানাবো