শৈশব এর বর্ষা||স্বরচিত কবিতা

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার নিজের লেখা একটি কবিতা।

pexels-tehmasip-khan-13355828.jpg

সোর্স

ঈদের ছুটি চলছে।সারাদিন ফ্রি, তাই ভেবেছিলাম আজ অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমাব।কিন্তু বিধিবাম।আপনি যা ভাববেন তা কখনোই হবে না।আজ ঘুম ভেঙ্গেছে ভোর ৫টায়। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছিলাম কারন আরো একটু ঘুমানোর ইচ্ছা ছিল।কিন্তু আজ যেন ঘুম প্রতিজ্ঞা করেছে আমার কাছে আসবেই না।ভাবলাম যাই হেটে আসি।তখনই হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল।ফলে হাটতে যাওয়া ও বন্ধ।তখন বৃষ্টির শব্দের টানে অতীতে ফিরে গিয়েছিলাম।সেই অতীত নিয়েই কবিতাটি লিখেছি

শৈশব এর বর্ষা

এই আষাঢ় বাদল দিনে
কত কথা জাগে মনে,
কত মধুর স্মৃতি গাথা
ভেসে ওঠে মনের কোনে

ফিরে চলে যাই শৈশবে,
বয়স তখন কত হবে?
বৃষ্টি নামলে মুষলধারে
মনে খুশির জোয়ার জাগে।

ফুটবল নিয়ে মাঠে
সবাই মিলে যেতাম ছুটে,
কাদার মাঝে একে একে
আছাড় খেয়ে পড়ত সবে

খেলার শেষে কাদা মেখে
ভুত হয়ে বাড়ি ফিরে
মায়ের বকা আর শাসন
তবুও মনে ছিল খুশির নাচন

স্নান শেষে, গা মুছেই
মাদুর পেতে মাটির পরে
খিচুড়ি আর পাপড় ভাজা
খেতাম সবাই পেট পুরে।

মায়ের হাতের সুস্বাদু খাবার
এখনো আছে জীভে লেগে
হায় পেতাম যদি একটা সুযোগ
ফিরে যেতাম সেই শৈশবে।

আমার কথা:

আমাদের প্রত্যেকের কাছেই শৈশব জীবন ছিল স্পেশাল।তখন না ছিল পড়াশোনার চাপ না ছিল সংসারের চাপ।তখন শুধু খাও,দাও আর ঘুমাও।অবশ্য স্কুলে যেতে হত।তখন পড়াশুনার এত চাপ না থাকায় স্কুলও ছিল মজার জায়গা।কিন্তু এই রুটিন পালটে দিত বৃষ্টি।সকাল সকাল বৃষ্টি মানে আজ স্কুল যেতে হবে না।তখন মায়ের চোখ ফাকি দিয়ে ছুটতাম মাঠে,সেখানে বন্ধুরা আগে থেকেই ফুটবল নিয়ে প্রস্তুত।শুরু হত খেলা,খেলা তো নয় যেন আছাড় খাবার প্রতিযোগীতা।কাদা মেখে ভূত হয়ে যেত এক একজন।তারপর বাড়ি গিয়ে সেই বকা। তখন সেই বকা গুলো খারাপ মনে হলেও এখন বোঝা যায় আমাদের ভালর জন্যই বকা দেওয়া হত। খুব করে মনে পড়ে সেই দিন গুলো।মনে হয় যদি ফিরে পেতাম সেই শৈশব,সে চিন্তামুক্ত,চাপ মুক্ত নির্মল স্নিগ্ধ শৈশব,সব কিছুর বিনিময়ে চলে যেতাম সেখানে।

আজকের কবিতা এপর্যন্তই।কেমন লাগল অবশ্যই জানাবেন।সম্পুর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।ভুল ত্রুটি মার্জনীয়

Sort:  
 last year (edited)

শৈশবের বর্ষার স্মৃতি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।কবিতাটি বেশ ভালো হয়েছে। অতীতে ফিরিয়ে নিয়েছে।আর ঠিক বলেছেন তখন বৃষ্টি মানেই রুটিন পালটে দিত।বৃষ্টি কাদায় গড়াগড়ি=মায়ের বকুনি কত স্মৃতি ! শৈশব এর বর্ষা কবিতাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

ইচ্ছে করে শৈশবের সেই দিনগুলোতে ফিরে যেতে। কতইনা আনন্দের ছিল সেই দিনগুলো। সবাই মিলে সত্যি অনেক বেশি মজা করা হতো, বিশেষ করে বর্ষার সময় একটু বেশি আনন্দ হতো। আপনি শৈশবের সেই স্মৃতিগুলোকে নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আজকের এই কবিতাটি লিখেছেন। আপনার লেখা এই কবিতাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। অনেক সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণটা লিখেছেন বলতে হচ্ছে।

 last year 

শৈশবের বর্ষা সবার থেকে অন্যরকম ছিল। যখন সকাল বেলায় বৃষ্টি হত স্কুলে না যাওয়ার বাহানা দিয়ে বসে থাকতাম। তারপরে বন্ধুদের সাথে খেলতে চলে যেতাম এবং কয়েক ঘণ্টা পরে বাড়িতে আসা হতো। আম্মু যেইনা বকা দিত তখনই গোসল করার জন্য চলে যেতাম এবং সেখানেও খুব মজা হত। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে আজও ইচ্ছে করে সেই শৈশবে ফিরে যেতে। আপনার লেখা কবিতাটা উপভোগ করলাম খুব সুন্দর ভাবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56325.56
ETH 2374.82
USDT 1.00
SBD 2.33