সরিষার ফুলের বড়া||রেসিপি
শীতের দিন।ফেসবুক,ইন্সটা যেখানেই যাবেন সেখানেই দেখবেন পোলাপান সরিষার জমিতে সরিষার ফুলের সাথে ছবি দিচ্ছে।কেউ তো একা একা দিচ্ছে আবার কেউ তো সিঙ্গেল দের জ্বলানোর জন্য কাপল পিক দিচ্ছে।যাই হোক আমি ছবি তুলতে যাই নি,আর আপনাদের সাথে ছবিও শেয়ার করতে আসি নি। আপনাদের সাথে শেয়ার করব সরিষার ফুলের বড়ার রেসিপি। আমার বেশ প্রিয় একটি বড়া।বিকেলের নাস্তায় মুচমুচে বড়া বেশ লাগে,আবার ডাল ভাতের সাথেও সুন্দর লাগে।তো চলুন শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
সরিষার ফুল | প্রয়োজন মত |
---|---|
খেসারির ডাল | প্রয়োজন মত |
লবণ | স্বাদ মত |
মরিচের গুড়া | স্বাদমত |
হলুদ | স্বাদমত |
চালের গুড়া | স্বাদমত |
কার্যপ্রণালী
প্রথমে ডালগুলো কে মিনিমাম ৮ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
এরপর ডাল গুলো বেটে নিতে হবে। আপনি ইচ্ছা। করলে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন।
ফুল গুলো থেকে পাতা আলাদা করতে হবে,তারপর ফুলগুলো ধুয়ে নিতে হবে।
ডাল বাটা পেস্টের মাঝে পরিমাণ মত চালের গুড়া,মরিচের গুড়া,আর হলুদের গুড়া নিই।
এরপর এই মিশ্রণের মাঝে পরিমাণ মত পানি দিয়ে পেস্ট টাকে আরো নরম করে নিই এবং ভালভাবে মিশিয়ে নিই।
এরপর এই মিশ্রণের সাথে অল্প একটু করে ফুল নিয়ে আগে থেকে গরম করে রাখা তেলের মাঝে ছেড়ে দিই।
ভালভাবে ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করি।ঠান্ডা হয়ে গেল একটু তেতো লাগবে।তাই গরম গরম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
আজকে প্রথম দেখলাম সরিষা ফুল দিয়ে বড়া তৈরি করা যায়। আসলে অনেক রকমের বড়াই খেয়েছি। আর শীতকালে বিভিন্ন রকম বড়া খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে। কিন্তু সরিষা ফুল দিয়ে আর খেসারির ডাল দিয়ে যে এভাবে বড়া করা যায় তা সত্যিই জানা ছিল না। আপনার আজকের রেসিপিটি দেখে অবাক হয়ে গেলাম ভাইয়া। আশেপাশে কোন সরিষা ক্ষেত নেই, আর ফুলও নেই। যদি থাকতো তাহলে অবশ্যই তৈরি করে দেখতাম। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
আপনার কোন ডাল দিয়ে বড়া বানান আপু? কৌতুহল থেকে প্রশ্ন করলাম।
শীতকালে তো শীত পড়বে। আমরাও দেখি তাপমাত্রা আর কত নিচে নামতে পারে।
যাইহোক সরিষা খেতে কখনো ছবি তোলা হয়নি। আর কাপল পিক? আমাদের সিঙ্গেলদের জন্য এটা অসম্ভব। আমরা না হয় সরিষা ফুলের বড়া-ই খাই। বেশ ভালো রেসিপি শেয়ার করেছেন।
ভাইয়া এই রেসিপি শেয়ার করে খিদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে কিভাবে খাবো বলেন। আমি সরিষা ফুলের বড়া খেতে অনেক পছন্দ করি। কিন্তু এই বছর আমি খেতে পারিনি। গ্রাম থেকে কেউ আসেনি আর আমারও এই বড়া খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সিঙ্গেলদের জ্বলানোর জন্য কাপল পিক দিচ্ছে তাতে কি হয়েছে আপনিও চোখ বন্ধ করে এড়িয়ে যাবেন😅😅। যাই হোক ভাইয়া সবাই তো সরিষা ফুলের ছবি তুলতে ব্যস্ত আর আপনি তো দেখছি দারুন ভাবে বড়া তৈরি করেছেন। এভাবে কখনো বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। একদিন অবশ্যই ট্রাই করে দেখব।
ট্রাই করে কেমন লাগল জানাতে ভুলবেন না।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। সরিষা ফুলের বড়া ভাবলেই যেন কেমন লাগছে। আপনার দেখানো এই ধাপগুলো অবলম্বন করে আমিও এই বড়া তৈরি করব বলে চিন্তা করছি।
করে ফেলুন ভাইয়া।তারপর কেমন লাগল জানাবেন।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সরিষা ফুল দিয়ে সুস্বাদু বড়া তৈরি করা যায় তা আমার জানা ছিল না আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে । বিকেলবেলা গরম গরম এরকম বড়া খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
একবার ট্রাই করে দেখিয়েন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যি ভাইয়া অনেকেই সরিষা খেতে ছবি তুলতে যায়, আসলে সরিষা ফুল গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।তবে আমার কখনো সরিষা ফুলের বড়া খাওয়া হয়নি। আপনার বড়া গুলো দেখে লোভ লেগে গেল। একদিন অবশ্যই তৈরি করবো।তবে ভাইয়া খেসারি ডাল কেনো ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। আমি তো কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে ব্লেড করে নিই। ধন্যবাদ
আপু আপনি ব্লেন্ড করেন তাই অল্প ভিজালে হয়। আমাদের বাটতে হয়।তাই বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখা।
আপনার আইডিয়াটা কিন্তু খারাপ না। সরষা ক্ষেতে ঘুরতে না যেয়ে সরষা ফুল দিয়ে বড়াই বানিয়ে ফেললেন। ছোটবেলায় মায়ের হাতে অনেক খেতাম। কিন্তু এখন তো আর খাওয়ার মত কেউ নেই। আপনার আজকে রেসিপিটি দেখে সেই ছেলেবেলায় চলে গিয়েছিলাম।
এই বছর এখনো সরিষার ফুলের বড়া খাওয়া হয়নি। তবে আর কয়দিন পরে আমাদের ক্ষেতের সরিষা ফুল দিয়ে বড়া তৈরি করা হবে।বড়া তৈরি করার প্রক্রিয়া খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। গরম গরম পেয়াজু খেতে খুবই ভালো লাগে। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।এটা কিন্তু পেয়াজু না।কারন পেয়াজ দেওয়া নেই।