কি একটা অবস্থা
সবকিছু ঠিক ঠাকই চলছিলো, মাঝরাতে হঠাৎ করে রহিম সাহেব ঘুমের ঘোরে ঝাঁপ দিয়ে উঠে বিছানায় বসে আছে । যদিওবা রহিম সাহেবের এর আগে কখনো এরকম হয়নি, তবে এই সমস্যাটা এখন মাঝে মাঝেই হয়। কারণ এর মূল কারণ হচ্ছে রহিম সাহেবের স্ত্রী। রহিম সাহেব এখন মানসিক যন্ত্রণায় ভোগে, বছর তিনেক আগেও তার এই সমস্যাগুলো ছিলনা। যে সমস্যাগুলো এখন তার দিনদিন তীব্রতর হয়েছে । তার মেজাজ খিটমিট করে। তার সারাদিন কর্মস্থলে থাকার পরে এসে যখন রাত্রিবেলা শান্তির ঘুমাবে তখন মাঝরাতে তার এলোমেলো অবস্থা হয়ে যায় ।
রহিম সাহেব তার ডাক্তার বন্ধুর সঙ্গে বেশ কয়েকবার মাঝরাতেও ফোন কল করে কথা বলার চেষ্টা করে, সে নিজেকে স্থির করে, সে নিজেকে মানসিকভাবে সান্তনা দেয়, সে চেষ্টা করে তার স্ত্রীর অবস্থা বুঝে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। গতকাল রাতে রহিম সাহেবের যে ঘটনাটা ঘটেছিল তা অনেকটা একদম অগ্রহণযোগ্য ছিল রহিম সাহেবের কাছে ।কারণ এই রকম সমস্যা সে এইবার প্রথম গতরাতে ভুগে ছিল।
সারাদিন একটানা পরিশ্রম করে গতকাল যখন সন্ধ্যার পরে রহিম সাহেব যখন বাড়ি ফিরেছিল,বাড়ি ফিরেই খাওয়া-দাওয়া করেই সে ঘুমিয়ে গিয়েছে। কারণ তার শরীর ভীষণ ক্লান্ত। এখন দুশ্চিন্তা বিহীন ঘুমের দরকার । মাঝরাতে হঠাৎ করে তার ঘুম ভাঙে কান্নার শব্দে । যদিও প্রথমে সে গুরুত্ব দেয়নি , পরে যখন দেখছে কান্নার শব্দ আরো তীব্রতর হচ্ছে। তখন সে লাফ দিয়ে উঠে বিছানার মধ্যে এবং পাশে থাকা তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে খোঁজার চেষ্টা করেছে । সে দেখে তার প্রিয়তমা স্ত্রী মাঝরাতে বসে কান্না করছে । তার প্রিয়তমা স্ত্রী তাকে জানানোর চেষ্টা করেনি, কারণ তার প্রিয়তমা স্ত্রী দেখছে রহিম সাহেব একদম নির্বিঘ্নে ঘুমাচ্ছে। তাই সে তাকে বিরক্ত করতে চায়নি। কিন্তু এদিকে তার প্রিয়তমা স্ত্রী নিজের কষ্ট সহ্য করতে পারছেনা, কাসতে কাসতে তার গত কয়েকদিন থেকে গলাব্যথা হয়ে গিয়েছে, যার কারনে সে খুব কষ্টে আছে এবং নিদ্রাহীন ভাবে তার সময় কাটছে।
সকাল আটটায় অফিস, এদিকে রাত দুইটার দিকে প্রিয়তমা স্ত্রী কান্নাকাটি করছে নিজের শারীরিক কষ্টে ।এবং রহিম সাহেব চিন্তায় আছে, সে ফোন দিচ্ছে তার ডাক্তার বন্ধুকে। ডাক্তার ফোন ধরছেনা। সবমিলিয়ে রহিম সাহেবের জীবন হয়ে গিয়েছে এলোমেলো। রহিম সাহেব অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গিয়েছে । সে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না, তার চলছে কি একটা অবস্থা । রহিম সাহেব চরিত্রটি কাল্পনিক হলেও,এমন ঘটনা আশেপাশে প্রতিনিয়তই ঘটছে । যাইহোক সব মানুষ সুস্থ থাকুক, অজানা ভয় কেটে যাক এই কামনা করি। ধন্যবাদ।
গল্পটি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। পড়ে বেশ ভালো লাগলো গল্পটি।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাইয়া।
ভাইয়া চরিত্রটি কাল্পনিক হলেও ঘটনাটা যে একান্ত সত্য আপনার ক্ষেত্রে এটা আমি বেশ বুঝেছি।তাই সাবধানে থাকবেন এবং আপনার স্ত্রীর প্রতি খেয়াল রাখবেন। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাই কি গল্প বলেছেন? নাকি নিজের জীবনের বিষয়বস্তু গুলি গল্পের মধ্যে তুলে ধরেছেন? এটা বুঝতে বাকিনেই। নিজের ও পরিবারের একটু যত্ন নিয়েন ভাই।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সমাজ নিয়ে সুন্দর উপস্থাপনা। বাচন ভঙ্গিও অনেকটা সাবলীল ছিল। চমৎকার ---
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।