আয়েশার জন্মদিনে কাটানো মুহূর্ত
হাকিম ভাইকে নিয়ে সম্ভবত বহুদিন আগে একবার লিখেছিলাম । তাকে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছুই নেই । আমি যে বাসাটাতে থাকি , সে আসলে সেই বাসার সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে আছেন ।ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচয় তো তাও কম করে হলেও বছরখানেকের বেশি সময় ধরে হচ্ছে । মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমার বাবুর থেকে তার মেয়ের বয়স, দু মাসের কম ।
এ বাসায় আসার পর থেকে যতগুলো অনুষ্ঠান হয়েছে, কমবেশি সবগুলো অনুষ্ঠানেই আমি যাওয়ার চেষ্টা করেছি । আর আমার নিজের ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও হাকিম ভাইকে নিজের ভাই মনে করেই দাওয়াত দিয়েছিলাম । আমি আসলে বিগত সময়েও একটা কথা বলেছি সেটা হচ্ছে , আমি মানুষের ভিতরে কোনরকম ভেদাভেদ রাখতে পছন্দ করি না ।
এই তো দুদিন আগেই হাকিম ভাইয়ের স্ত্রী, আমাদের বাসায় এসে দাওয়াত দিয়ে গিয়েছে । যেহেতু এই পুরো বাসাটাতে কমপক্ষে আঠারোটা পরিবারের মতো থাকে এবং অনেক বড় একটা ভবন , তাই এতগুলো মানুষের সকলের নিরাপত্তার মতো গুরু দায়িত্ব সে পালন করে । তাছাড়াও মোটামুটি সকলের সব টুকটাক কাজ করে দেয় সেই ভদ্রলোক। তাই তার দাওয়াতটা আমার কাছে বেশ ভালোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল ।
আজ তার মেয়ের প্রথম জন্মদিন । আমি নিজেও একজন বাবা । আমি একটু হলেও তার মনের অনুভূতির ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছি । সে আজ এই বাসার সকলকে দাওয়াত দিয়েছে । ঠিক সন্ধ্যে বেলাতেই আমরা পুরো পরিবার নিয়ে নিচতলাতে গিয়ে হাজির । বেশ ঘটা করেই অনুষ্ঠানটা করা হয়েছে তা দেখেই বুঝতে পেরেছি । ভদ্রলোক বেশ ভালোই পয়সা খরচ করেছে , তার একমাত্র মেয়ের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ।
আরো বেশি খুশি হয়েছি , একটা ব্যাপার দেখে । সেটা হচ্ছে, এ বাসার সকলেই খুবই স্বাচ্ছন্দেই তার দাওয়াত গ্রহণ করেছে এবং তারা সকলেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত এবং সকলেই খুবই সুন্দর সাজুগুজু করেছে এবং খুবই আন্তরিকভাবে নিজেদের মতো করে সেই সময়টা কাটানোর চেষ্টা করেছে । এটা একদিক থেকে সত্যিই মনমুগ্ধকর । আমার কাছে তো , অনেকটাই পিকনিকের মতো লেগেছে ।
এই বাসাতেই থাকি অথচ এত মানুষ যে এই বাসাতে থাকে, তা হয়তো কখনো একত্রে দেখা হয়নি । সকলেই আসলে বিভিন্ন কর্মের সঙ্গে জড়িত , যার কারণে কখনও কারো সঙ্গে সেভাবে খুব একটা বেশি আলাপচারিতা হয় নি। শুধুমাত্র হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া । তবে আজকে যখন এত মানুষকে একসঙ্গে একত্রে দেখলাম, তখন বেশ ভালই লাগলো ।
আমি তো চেষ্টা করেছি, সকলের সঙ্গেই কম বেশি কথা বলার জন্য । আমি মানুষের সঙ্গে কথা বলতে ভীষণ পছন্দ করি , এটা আসলে নতুন কিছু না । তারপরেও যখন একই ছাদের নিচে এতগুলো মানুষ থাকে, তাদের সঙ্গে যদি পরিচিত না হওয়া যায় , তাহলে ব্যাপারটা একটু কেমন যেন লাগে ।
আমি আসলে এদিক থেকে হাকিম ভাইকে ধন্যবাদ দেব, যে এতগুলো মানুষের সঙ্গে আমাকে পরিচিত হওয়ার মত একটা সুযোগ তিনি করে দিয়েছেন । আর যেহেতু তার মেয়ের আজ জন্মদিন, তাই আমিও চেষ্টা করেছি আমার জায়গা থেকে ভীষণ আন্তরিকভাবে সেই সময়টা উপভোগ করার জন্য।
বেশ ভালই লেগেছে তার আপ্যায়ন । আমি আসলে ভালোই খুশি হয়েছি । সর্বোপরি সেই কেক কাটা থেকে শুরু করে একদম খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত, পুরোটা সময় যে কিভাবে কেটে গিয়েছে তা বুঝে উঠতেই পারিনি ।
তারপরেও মন থেকেই আশীর্বাদ করছি , তার ছোট্ট সোনামণির জন্য । সে ভালো মানুষ হয়ে বেড়ে উঠুক এই সুন্দর পৃথিবীতে । তার আগামী দিনগুলো আরও সুন্দর হোক এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
দারুন কিছু সময় কাটিয়েছেন দেখছি,আসলে এমন মুহূর্ত গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে, আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে সবার মধ্যে আন্তরিকতা অনেক বেশি যেটা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার এই ব্যাপার টা অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া আপনি মানুষের ভেদাভেদ করেনা।হাকিম ভাইয়ের মেয়ে আপনার ছেলের চেয়ে ২মাসের ছোট।হাকিম ভাইয়ের মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আপনার বাসার ১৮ টি পরিবারের সকলের সাথেই প্রায় পরিচিত হয়েছেন। আসলে কোন অনুষ্ঠান ছাড়া সবার সথে দেখা করা সম্ভব না কারণ সবাই বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত থাকেন।তার মেয়ের জন্মদিন টা বেশ ঘটা করেই করেছিলেন অ্যাপায়ন টাও ভালো ছিল ।সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনার বাসার নিরাপত্তা প্রদানকারী হাকিম ভাইয়ের বাসায়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ এইটা সত্য যে গতরাতে হাকিম ভাইয়ের বাসায় আমরা বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছি আপু ।
আয়েশার জন্মদিনে আপনারা খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। হ্যাঁ ভাই আপনার ব্যাপারটি আমার কাছে খুব ভালো লাগে সেটি হল আপনি ছোট বড় কারো মাঝে কোন ভেদাভেদ রাখেন না। আপনি সবার সাথে খুব ভালোভাবে মিলেমিশে থাকতে চান। ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে যে হাকিম ভাই তার মেয়ের জন্মদিনের আয়োজনে কোন কমতি রাখেনি। আসলে পৃথিবীর সকল বাবা একই। এবং তাদের অনুভূতি ও এক। আয়েশার জন্য আমার পক্ষ থেকেও জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
ভাইয়া আপনার বিভিন্ন পোস্টে হাকিম ভাইয়ের কথা আমরা শুনেছি। তিনি আপনাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে রাত দিন পরিশ্রম করেন। আর সেই মানুষটির মেয়ের জন্মদিনে আপনারা সবাই সেখানে উপস্থিত হয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে অনেক সময় একই বিল্ডিংয়ে থেকেও অনেকের সাথে পরিচিত হওয়া যায় না। সবাই একত্রিত হয়ে সত্যি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। দেখতে অনেকটা মনে হচ্ছে পিকনিকের মত। যাই হোক উনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আমিও একমত শুভ দা যে মানুষ তো মানুষ এখানে ভেদাভেদের কি বুঝি না ৷ মানলাম সে ধনী ব্যক্তি আর অন্য জন একজন দিনমজুর তাই বলে কি সে মানুষ না ৷
আসলে আমরা এটা ভুলে যাই যে মানুষ তো মানুষের জন্য ৷ এখানে মানুষের সাথে মিশতে না পারি আমি মনে করি মানুষ হয়ে পৃথিবীতে আসাটা মোটেও ঠিক হয় নি ৷
যা হোক আপনার বাসার হাকিম ভাইয়ের মেয়ের জন্মদিনে অনুষ্ঠানে গিয়েছেন খুব ভালো করছেন ৷ শুভ দা একটা কথা বলি আপনার প্রতিটি লেখা পোস্ট সত্যি আমাকে অনেক গম্ভীর করে ৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই তার সাথে আপনার গোভ টা আমার অনেক ভালো লাগে ৷ আমিও চেষ্টা করছি গোভ রাখার জন্য ৷
পাঠকের সন্তুষ্টি লেখকের আত্মতৃপ্তির বহিঃপ্রকাশ। ধন্যবাদ আমার অনুভূতি বুঝে নেওয়ার জন্য ভাই ।
ভাই আপনার কিছু বিষয় উপস্থাপন আমার কাছে দারুন লাগে। কত সুন্দর ভাবে দারোয়ান শব্দটি ব্যবহার না করে নিরাপত্তার দায়িত্ব শব্দটি ব্যবহার করলেন। আসলে মানুষকে সম্মান দিলে নিজের সম্মান কমেনা বরং বাড়ে এই জিনিসটা আমরা খুব কমই অনুধাবন করি।
কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি ভাই , আপনার কাছে । মানুষ হওয়ার চেষ্টা করছি ভাই । ভালোবাসা নিরন্তর।
সবার কর্মব্যস্ততার কারণে একই বিল্ডিং এ থাকার পরও অনেকের সঙ্গে দেখাই হয় না। এই দিকটা থেকে আমি যখন রাজশাহীতে ছিলাম খুব ভালো ছিলাম । বিভিন্ন সময়ে আমাদের পুরো বিল্ডিং এ একটা গেট টুগেদার করা হতো। ঈদ, পূজা, নববর্ষ। সেই সুযোগে সবার সঙ্গে খুব ভালো আড্ডা হয়ে যেত। হাকিম ভাইয়ের মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে বিল্ডিং এর সকলের সঙ্গে পরিচিত হয়ে গেলেন। সবাই মিলে ভালো একটা গেট টুগেদার হয়ে গেল। খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনার হাসি মুখ দেখেই বোঝাই যাচ্ছে।
হ্যাঁ আপু গতকালের সন্ধ্যাটা ছিল অনেকটাই পুরো বাসার গেট টুগেদারের মতোই আপু ।
এই ভেদাভেদটা নেই দেখে বেশ ভালোই লাগলো আমার কাছে। আসলে এই ভেদাভেদ এর জন্যেই আমাদের পৃথিবীতে এতো সব সমস্যা।দোয়া করি বাচ্চাটার জন্যে।
সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপর নেই । তবে মানুষ হওয়া সহজ নয় ।
প্রথমে হাকিম ভাইয়ার মেয়ের জন্মদিনের মিষ্টি শুভেচ্ছা রইল। শুনে ভাল লাগলো ভাইয়া,আপনি সব প্রোগ্রামে থাকার চেষ্টা করেন।সত্যি কথা বলতে কোন প্রোগ্রামে গেলেই সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়।আর এতে ভালো ও লাগে।আপনি সবার সাথে মিশে যেতে পারেন,আমিও তেমন।আর এতে করে পুরো আনন্দটা আসলে পাওয়া যায়।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।আপনাদের সবাইকে এজন্যই খুব প্রানবন্ত লাগছে।😍💕