চল্লিশ বছর পর || @shy-fox 10% beneficiary

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

সাহেরা কে চিনি আমি অন্যভাবে । কিভাবে চিনি সেটা হয়তো গল্পের মধ্যেই বুঝে যাবেন । তবে আপাতত শুনুন সাহেরার সঙ্গে কেন আমার পরিচয় হলো আর কেনইবা তার ঘটনা আমি লিখতে যাচ্ছি । যাইহোক এখন থেকে চল্লিশ বছর আগের কথা । চল্লিশ বছর আগেই সাহেরা আমাদের এলাকায় এসেছিল এবং এখনো আছে । সাহেরা আর অন্য কেউ না । সাহেরা হচ্ছে আমার জ্যাঠা শ্বশুরের সহধর্মিনী । মানে আমার জ্যাঠা শ্বাশুড়ি ।

20220313_130423-01.jpeg

সেই বার মাইল দূরের পথ সেখানে ছোট্ট একটি গ্রাম । সেখানেই সাহেরার বাড়ি ছিল । সেই সময়তো মোবাইল ফোন ছিল না । তবে পরিচয়ের একমাত্র বাহক ছিল ঘটক । হয়তো তারই সুবাদে সাহেরা এসেছিল এই বাড়িতে । আর আজ যখন গল্পগুলো আমি জানার চেষ্টা করছিলাম । তখন আমি মিলিয়ে দেখছিলাম বর্তমান সময় আর সেই সময়কার দিনের কথা । তখন দেখি হিসেবের খাতায় শুধু পরিবর্তন আর পরিবর্তন ।

কেইবা জানত এই গ্রামেই সাহেরার বিয়ে হবে । কেইবা জানত আঠার বছরের টগবগে তরুণ খালেক মিয়ার সঙ্গে সেই বার মাইল দূরের গ্রামের সাহেরার ঘর হবে এই গ্রামে । ব্যাপারটা বেশ জটিলতা সম্পন্ন তাই না । যে সময়ে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল শুধুমাত্র গরুর গাড়ি । ঠিক সেই সময়ে কেমনে কেমনে যেন মিলে গিয়েছিল দুটি প্রাণ এবং তারা ঘর বেঁধে ছিল এবং সেই ঘর এখনো টিকে আছে বরং দিন দিন সেই ঘর আরও উন্নত হয়েছে ।

20220313_130403-01.jpeg

বর্তমান মানুষের জীবনে আমি তেমন কোনো টুইস্ট পাইনা । তবে আগেকার মানুষগুলোর জীবনের কথা গুলো আমার জানতে ইচ্ছে হয় । কারণ সেটার সঙ্গে আমি অভ্যস্ত নই । তাই হয়তো সেই জানার আগ্রহ থেকে তাদের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছি এবং এই লেখার প্রয়াস ঘটিয়েছি । আজ জ্যাঠা শ্বশুরকে কর্মস্থলে বলেই ফেললাম । আমি তোমার অতীত জানতে চাই । যেহেতু ভদ্রলোক জানে যে আমি লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত । তাই সে সাবলীল ভাবে কথাগুলো বলে ছিল আমার কাছে। আর তাছাড়াও যেহেতু সে আমার কর্মস্থলে সহকর্মী, তাই অনেক রকম কথাবার্তাই হয় আমাদের মাঝে ।

তার বিয়ে বাবদ ঘটকের পিছনে সেই সময় বিশ টাকা খরচ হয়েছিল । বার মাইল দূরের পথ গরুর গাড়িতে করে পাড়ি দিয়ে সেই সময় প্রথম দেখা করতে গিয়েছিল সাহেরা বানুর সঙ্গে । সেই প্রথম খালেক মিয়া সাহেরার বাড়িতে গিয়েছিল । সেকি অন্যরকম একটা অনুভূতি । কেউ কাউকে কখনো দেখেনি । যদিও ঘটক মশাই আগে থেকেই বলে রেখেছিলো বিবরণ দুজনার কাছে । তবে স্বচক্ষে দেখার পরে খালেক মিয়ার যেন অনুভূতিটা ছিল অন্যরকম । যাক বার মাইল দূরের পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে এবং সঙ্গে হাট থেকে সেই সময়কার ছোট ছোট রসগোল্লাগুলো নিয়ে এসেছিল হাঁড়িতে করে, সেটা বৃথা যায়নি । প্রথম দর্শনেই ভালো লেগে গিয়েছিল খালেক মিয়ার সাহেরাকে ।

20220313_130255-01.jpeg

খালেক মিয়া অতঃপর বাড়িতে চলে আসে । তারপর সম্ভবত মাস দুয়েক পরে ঘটকের মাধ্যমে আবারও প্রস্তাব পাঠিয়ে দেয় । তার একটা বাইসাইকেল হলেই চলবে আর সঙ্গে রেডিও, এর বেশি তেমন আর তার চাওয়া নেই । আর তার ঘর করতে যে সমস্ত জিনিস লাগে মানে সেই পাতিল হাঁড়ি থেকে শুরু করে , ঘরে থাকার দুটো চৌকি হলেই তাতেই সন্তুষ্ট । এই ছিল মোটামুটি খালেক মিয়ার আবদার । অপরপক্ষ থেকে সাহেরার পরিবার সবকিছুই যেন মেনে নিয়েছিল । তবে শুধু দুটো চৌকির ব্যাপারে একটু আপোষ করেছিল । বলেছিল একটা চৌকি দেবে । তবে পরবর্তীতে খালেক মিয়া তেমন কিছু আর বলেনি । বলেছে ঠিক আছে তাতেই হবে ।

সাহেরার পরিবার অবশ্য খালেক মিয়াকে পছন্দ করার পিছনে আরও একটা কারণ ছিল । দৈনিক পনের টাকা বেতনের চাকরি করে খালেক মিয়া, এই গ্রামের মাতাব্বরের বাড়িতে । এটাই ছিল মূলত প্রথম কারণ । সেই সময় তো মাতাব্বরের বাড়িতে কাজ পাওয়া, অনেকটাই কঠিন ব্যাপার ছিল । যেহেতু শারীরিক গঠনে বেশ কর্মঠ ছিল খালেক মিয়া । তাই সে নিজেই মোটামুটি সুনিশ্চিত ছিল যে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করবে । আসলে শারীরিক ও মানসিকভাবে কর্মঠ থাকলে, যেকোনো মানুষের রুজি রোজগারের ব্যবস্থা অনেকটাই সুনিশ্চিত থাকে ।

20220313_130140-01.jpeg

অতঃপর দিনক্ষণ ঠিক । গ্রাম থেকে পাঁচটা গরুর গাড়ি ঠিক করা হলো । সেই গ্রামের মেঠো পথ ধরে গরুর গাড়িতে করে মোটামুটি এলাকার লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে খালেক মিয়া চলে গেল সেই বার মাইল দূরে সাহেরাদের গ্রামে । ঐদিকে সেই সময় যেন সাহেরার বাড়িতে সবাই প্রহর গুনছিল, কখন জামাই বাবাজি আসবে । আগে থেকেই তারা পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল । খাবার হিসেবে ছিল । সাদাভাত, আলুঘাঁটির সঙ্গে ডিম আর মাংস । যাক সবাই পেটভরে খেয়েছিল ।

20220313_130138-01.jpeg

সন্ধ্যার আগেই ফিরতে হবে । কারণ এলাকার রাস্তা খুব একটা ভালো না । দিনের বেলা সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও রাতের বেলার পরিবেশে এই এলাকায় সম্পূর্ণ উল্টো । কারণ এই মেঠো পথ গুলো যেন অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ । খোলা রাস্তায় বউ ডাকাতি হয় । খালেক মিয়ার ভয় যেন ওখানেই। অবশেষে সব ভয় কে জয় করে , খালেক মিয়া ঘরে বউ নিয়ে এসেছে । এটাতেই তার যেন আসল সফলতা ।

গুনে গুনে তার পনেরশো টাকা খরচ হয়েছিল পুরো বিয়ে বাবদ। এভাবে যখন ব্যাপারটা আজকে আমি শুনছিলাম, তখন বেশ মজা পাচ্ছিলাম । মজা পাচ্ছিলাম অন্য একটা কারণ ভেবে, কারণ সেই সময়ের পনেরশো টাকা নির্ঘাত আজকের সময়ের কম করে হলেও লাখখানেক টাকার সমান ।

জীবনযাত্রার মান আসলে দিন কে দিন পরিবর্তন হয়েছে। খালেক মিয়ার বয়স এখন ষাট ছুঁইছুঁই । এই ষাট বছরের জীবনে খালেক মিয়া বহু কিছুর দর্শন পেয়েছে এবং প্রতিনিয়তই পাচ্ছে । টাকার পরিবর্তন সে খুব কাছ থেকে হতে দেখেছে । মানে টাকার মান দিনদিন যে কমে গিয়েছে এবং সহজলভ্য হয়েছে মানুষের কাছে, যার কারণে যে সময় তার তিনশো টাকায় পুরো মাসের খরচ চলে যেত । তা আজ দশহাজার টাকাতেও যেন হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

চল্লিশ বছর পরে এসে এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে খালেক মিয়া হা হুতাশ করেই বলছে। আগের সময়গুলোই তার কাছে বেশ ভালো ছিল । হয়তো বিদ্যুৎ ছিলো না, হয়তো যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল ছিল না বা এতো আধুনিকতার ছোঁয়া ছিল না । তবে দিনশেষে দুবেলা পেট ভরে ভাত খাওয়া যেত , এতেই তো আত্মতৃপ্তি বেশ ভালো ছিল ।

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 
গল্পটা পড়ে পুরো মুগ্ধ হলাম। খালেক মিয়ার বিয়ের ঘটনা পড়ে খুবই মজা পেলাম। বউ ডাকাতির ঘটনা আমার দাদার মুখেও শুনছি। বউ ডাকাতির ভয়ে সন্ধ্যা নামার আগেই বিয়ের কাজ শেষ করা হতো। দাদা মুখে আমার দাদীকে বিয়ে করার কাহিনী শুনছিলাম। যদিও তারা আর পৃথিবীতে নেই।
আসলেই ভাই আগের দিনগুলো অনেক ভালো ছিলো। মানুষের মাঝে ভালো একটা বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। আগের মানুষের জীবণ ধারা এতো উন্নত না থাকলেও তাদের সরল মন ছিলো।
ভাই আপনার গল্পের নাম করণ ছিলো অনেক ক্রিয়েটিভ। পোস্ট না পড়ে কেউ বুঝতে পারবে না, এই নাম দেওয়ার কারণ সম্পর্কে। সাহেরার সাথে খালেক মিয়ার বিয়ের কাহিনী খুবই সুন্দর ভাবে গল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাই। ❤️❤️
 2 years ago 
ভাইয়া গল্পের শুরুটা ভারী চমৎকার ছিল।বেশ রহস্য দিয়েই শুরু করেছিলেন গল্পটি।40 বছর আগের সাহেরা।এবং তার পরিচয় খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।সত্যি তখনকার দিনে আধুনিকতার ছোঁয়া ছিল না ঠিকই ঘটকের মাধ্যমে যে বিয়ে গুলো হয়েছিল সেই ভিডিওগুলো গ্রুপে অনন্তকাল ধরে টিকে আছে শান্তিতে আছে সুখে আছে।বর্তমানের সাথে যার হাজার হাজার গুণ পরিবর্তন।আমরা যত বেশী আধুনিক হচ্ছি তত বেশি বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছি এবং সেইসাথে দ্রব্যমূল্যের দাম এখন হাতের নাগালের বাইরে।সত্যি বাস্তব ভিত্তিক এই সাহেরার গল্পটি আমার মন ছুঁয়ে গেছে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা আপনাকে এরকম হাজারো সাহেরার গল্প তুলে আনবেন আপনি।প্রত্যাশা রেখে গেলাম।♥♥
 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে আপু । আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি আপনার মতামতে ।

 2 years ago 

♥♥

 2 years ago 

ভাইয়া, আপনার বলা বাস্তব জীবনের গল্পগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে।এটি সত্যিই শিক্ষণীয় ছিল।আগের দিনের মানুষগুলো এই কথাগুলোই বলে যে ,তখন ব্যবস্থা হয়তো উন্নত ছিল না কিন্তু খাদ্য ব্যবস্থা খুবই টাটকা ছিল ও খাবারের কোনো ভেজাল ছিল না।কিন্তু এখন প্রত্যেকটি জিনিস ভেজাল ও দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

গ্রাম থেকে পাঁচটা গরুর গাড়ি ঠিক করা হলো । সেই গ্রামের মেঠো পথ ধরে গরুর গাড়িতে করে মোটামুটি এলাকার লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে খালেক মিয়া চলে গেল সেই বার মাইল দূরে সাহেরাদের গ্রামে ।

ভাইয়া আপনার লেখাগুলো যখন পড়ছিলাম তখন মুহূর্তের মধ্যেই খালেক নিয়ার সেই জীবনের মাঝে আটকে গিয়েছিলাম। আসলে পূর্বের দিনগুলো অনেক ভালো ছিল। আমি আমার দাদিমার কাছে অনেক গল্প শুনেছি। মাত্র এক টাকা দিয়ে অনেক কিছু পাওয়া যেত তখন। সেই সময় হয়তো যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ছিল না বা প্রযুক্তি ততটা উন্নত ছিল না। কিন্তু সময় অনেক ভালো কাটত। কথায় আছে যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ। ভাইয়া আপনার এই লেখাগুলো পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 2 years ago 

যায় দিন ভালো আসে দিন কঠিন থেকে আরও কঠিনতর হচ্ছে । ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য আপু ।

 2 years ago 

মানুষের জীবন বৈচিত্রময়, আর সেই বৈচিত্রময় এর সন্ধানে আপনি আমাদের প্রিয় ভাইয়া। তবে খালেক মিয়ার জীবনের গল্প এত মজার এবং কি এত আনন্দ পাব সেটা ভাবি নি। তবে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে এসে খালেক আঙ্কেলের জীবনটা বিষিয়ে উঠেছে। তাই তিনি বলছিলেন আগেই ভালো ছিল দিনশেষে দুমুঠো ভাত পেট ভরে খেতে পারতেন। বর্তমান বাজারে বেঁচে থাকাটা ও প্রায় দায় হয়ে পড়েছে। তবে সত্যি ভাইয়া আগে আমি অনেক গল্প শুনেছি। আগের মানুষের জীবনের চলার গতি ছিল আমাদের কাছে এখন অনেক বড় বড় গল্প। এবং কি মজার যাই হোক জীবনের দীর্ঘ চল্লিশ বছরের আগের গল্প আপনি আমাদেরকে নতুন করে শুনিয়েছেন অনেক আনন্দ পেয়েছি। আপনার জন্য রইল ভালোবাসা অবিরাম।

 2 years ago 

পাঠকের সন্তুষ্টি লেখকের আত্মতৃপ্তি । চেষ্টা করছি ভাই সময় উপযোগী কথা বলার জন্য।

 2 years ago 

ভাই আপনার গল্পের মাধ্যমে আজ থেকে 40 বছর আগের দৃশ্যপট যেন চোখের সামনে ভেসে উঠলো। মাত্র পনেরশো টাকায় বিয়ের সমগ্র অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা এজন্য কল্পনাতেই সম্ভব। 40 বছরের ব্যবধানে আমাদের দেশে মুদ্রাস্ফীতি কি পরিমাণ হয়েছে তা আপনার গল্পের মাধ্যমে উঠে এসেছে। তবে আমার কাছেও মনে হয় অতীতের দিনগুলোই বেশি ভাল ছিল। আর কিছু না হোক পৃথিবীতে এত মানুষ ছিল না।

 2 years ago 

একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই । সময় যতো এগিয়ে যাচ্ছে সব কিছু যেন আরও এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে ।

 2 years ago 

চল্লিশ বছর পরে এসে এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে খালেক মিয়া হা হুতাশ করেই বলছে। আগের সময়গুলোই তার কাছে বেশ ভালো ছিল । হয়তো বিদ্যুৎ ছিলো না, হয়তো যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল ছিল না বা এতো আধুনিকতার ছোঁয়া ছিল না । তবে দিনশেষে দুবেলা পেট ভরে ভাত খাওয়া যেত , এতেই তো আত্মতৃপ্তি বেশ ভালো ছিল ।

বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। খালেক মিয়ার মতো হাজারোও মানুষ আজ আগের দিনগুলো ভেবে আফসোস করছে। তখন হয়তো বিদ্যুৎ ছিল না বা আধুনিকতার ছোঁয়া ছিল না। কিন্তু মানুষ পেট ভরে দুবেলা-দুমুঠো খেতে পারতো। সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষদের দুবেলা ভালোমতো খাওয়ার জন্য আজ যে দ্রব্যগুলো প্রয়োজন সেগুলো ক্রয় করা সকলের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❤️❤️❤️❤️

 2 years ago 

যায় দিন ভালো কিন্তু বর্তমান দিনের অবস্থা তো আরও বেগতিক হয়ে যাচ্ছে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

এখনকার জীবন যতই ডিজিটাল হোক না কেন ভাই, আমার কাছে আগের কার জীবনই ভালো লাগতো। যদিও তখন হেঁটে যেতে হতো কিংবা গরুর গাড়িতে করে কোথাও যেতে হতো। তবুও আগের দিনগুলো অনেক ভালো ছিল। সাহেরার কথাগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আর সেই খালেক মিয়ার চিন্তাটা আমার কাছেও ভাল লেগেছিল। আগের দিন গুলি খুবই ভালো ছিল যদিও তখন ডিজিটাল যুগ ছিল না। আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল আসলে আপনার ধারণা একদমই ঠিক সেই সময়ে পনেরশো টাকা এখন হয়তো ১ লাখ টাকা হবে। আসলে টাকার মান যে কতটা কমে গিয়েছে সেটা কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টে আমার মাঝে শেয়ার করার জন্য ভাই।

 2 years ago 

কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি ভাই । সুন্দর সাবলীল মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

গল্পটি গ্রাম বাংলার সাধারন একটি গল্প, কিন্তু খুব কিউট লাগছিল যখন আপনার লেখাগুলো পড়ছিলাম। সেই প্রথম দেখা, প্রথম দেখায় পরিচয়, ভালোলাগা বিয়ের প্রস্তাব। বিয়েতে ছোট ছোট আবদার সবমিলিয়ে তাদের ভালোবাসার সংসার।

তবে এটা সত্যি বর্তমান সময়ে আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত হলেও কোন একদিক থেকে আমরা সত্যিই খুব পিছিয়ে আছি।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনার মতামত প্রকাশের জন্য। এই ভাবেই চলছে জীবন।

 2 years ago 

গ্রাম থেকে পাঁচটা গরুর গাড়ি ঠিক করা হলো । সেই গ্রামের মেঠো পথ ধরে গরুর গাড়িতে করে মোটামুটি এলাকার লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে খালেক মিয়া চলে গেল সেই বার মাইল দূরে সাহেরাদের গ্রামে ।

আসলে ভাইয়া ৪০ বছর আগেকার জীবন যাপন আর বর্তমানের জীবনযাপন অনেকটাই পার্থক্য।তবে আমার কাছে ৪০ বছর আগের সাধারণ জীবনযাপন অনেকটাই ভালো ছিল।কারণ তখনকার মানুষের মধ্যে এত হিংসা বিদ্বেষ ছিল না। তখন তারা ছিল একদম নিরীহ মনের।আসলেই গরুর গাড়ি করে এই বিয়ের অনুষ্ঠান সত্যিই মুগ্ধময়। এটি এখন বাংলার ঐতিহ্য হয়ে, আসে।কিন্তু এখন আর সেটা দেখা যায় না। এখন নতুন যুগ এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। যার মাধ্যমে খুব বেশি মজা করি। কিন্তু শান্তি পায় না। তবে আগের অল্প কিছু মজাতে অনেক শান্তি পাওয়া যেত। বিয়ে করতে পাঁচটি গরুর গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখনকার যে আনন্দ তারা উপভোগ করেছিল। এখন আমরা অনেক গাড়ি নিয়ে সে আনন্দটা পায় না। সত্যি আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো।

 2 years ago 

সময়ের ব্যবধান শুধুমাত্রই । চেষ্টা করেছি সময় উপযোগী কথা বলার জন্য। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.12
JST 0.025
BTC 54096.18
ETH 2412.88
USDT 1.00
SBD 2.10