আবদার মেটাই || @shy-fox 10% beneficiary
আসলে আমার বউয়ের মাথায় কিছুদিন থেকে ভূত চেপেছে । এখানে সকলের বিভিন্ন রকম চিত্রকর্ম দেখে তার মাথাটা অনেকটাই গুলিয়ে গিয়েছে । আর সে নিজে নিজেই চেষ্টা করার চেষ্টাও চালাচ্ছিল । তবে ইদানিং দেখি তার এই নেশাটা বেশ ভালোই চেপেছে । তাই অবশেষে আমাকে বলেই ফেলল তাকে কিছু রং এবং তুলি কিনে দিতে হবে ।
তবে তার চাহিদাটা একটু আলাদা । কারণ সে আসলে ড্রইং করতে চায়, তবে সেটা কাপড়ের উপর । তার এই কনসেপ্টটা আমার একটু ভালো লেগেছে । এইজন্যই চেষ্টা করলাম , তার আগ্রহকে একটু গুরুত্ব দেওয়ার জন্য।
মূলত এটা ছিল যে , তার বাড়িতে পড়ার জামা গুলো সে নিজেই পেইন্ট করবে এবং সেগুলো সেলাই করার পরে সেগুলো পরিধান করবে । আসলে সে এগুলো দেখেছে মূলত ইউটিউব থেকে তাছাড়াও এখানে অনেকের ড্রইং দেখে একটু আগ্রহ পোষণ করেছে তাছাড়াও যেহেতু এটা একটা ভিন্ন রকম কাজ, মূলত কাপড়ের উপর ড্রয়িং করা । তাই কনসেপ্টটা ভালো ছিলো আমার কাছে ।
আমি প্রথমে ভাবছিলাম যে, এই রংগুলো আসলে এই উপজেলা শহরে কিনতে পাওয়া যাবে কিনা । তবে যেহেতু তার আবদার তাই সেটা মেটানোর চেষ্টা করাটা আমার এক প্রকার দায়িত্ব । অতঃপর খোঁজ খবর নিলাম নিয়ে দেখলাম যে, আমাদের এই উপজেলা শহরেও এই ধরনের রঙ বিক্রি করে । মূলত যেখানে কাপড়ের বিভিন্ন জামার লেজ ও সুতা এবং বিভিন্ন রকম পুঁথি পাওয়া যায় ঠিক সেই দোকানগুলোতেই নাকি এই রং গুলো পাওয়া যায় ।
এমনিতেই চতুর্দিকে যে গরম পড়েছে, আবহাওয়ার অবস্থা কখনো ঠিক থাকে আবার কখনো ভ্যাপসা গরম । সব মিলে একটা বিরক্তিকর অবস্থা । যাইহোক সন্ধ্যার দিকে কোন রকম বেড়িয়ে পড়লাম ওকে নিয়ে । মূলত আমার টার্গেট জাহানারা মার্কেটের চিপা গলির ভিতর সেই সুতোর দোকানে । তেমন কোনো ভীড় লক্ষ্য করলাম না দোকানে । মূলত কাস্টমার আমরাই ছিলাম । এমনিতেই সন্ধ্যাবেলা গিয়েছি, এই সময়টা খুব একটা ভীড় থাকে না ।
তবে মার্কেটের ভিতরে অসহ্য গরম । আমি বাবুকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে-থাকতে অনেকটা ঘেমে গিয়েছি । নিজের বউ বলে বলছি না , মেয়ে মানুষকে নিয়ে যদি মার্কেটে যান, তাহলে বিচিত্র রকম অভিজ্ঞতা আপনার হবে । এরা আসলে এতই খুঁতখুঁতে স্বভাবের যে, মনে হয় পুরো দোকানটা যদি ঘেঁটে ঘেঁটে দেখতে পারতো , তাহলে মনে হয় তারা, অন্তর থেকে আলাদা একটা আত্মতৃপ্তি পেত ।
আমি যতই বলছি যে, একটু তাড়াতাড়ি করো । আমার ভীষণ গরম লাগছে, ও ততই বলছে আরে একটু ধৈর্য্য ধরো । দেখতে পারছ না, আমি জিনিস কিনছি । ও দোকানী কে বলছে , এটা দেখান ওটা দেখান সেটা দেখান । আমি শুধু এপাশ-ওপাশ দেখছি আর রাগে গজগজ করছি ।
অতঃপর খুবই বিনয়ের সঙ্গে বললাম , হীরা আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে এই গরমের ভিতরে । তুমি দয়াকরে একটু তাড়াতাড়ি কাজটা সেরে ফেলো ,এদিকে বাবুর অবস্থাও কাহিল । ওরো গরম লাগছে বেশ ভালই । যাইহোক অতঃপর মোটামুটি বেশ কিছু রং ও তুলি কিনে ফেলল । তবে তাও সেটা অনেকটা ঘুরপ্যাঁচ করার পরে এবং তারপরে আবারো দোকানী কে জিজ্ঞাসা করল, কিছু পলিথিনের উপর কাজ করা প্যাটার্ন দেন , সেগুলোতে নাকি জামার নকশা আগে থেকেই কিছু ডিজাইন দেওয়া থাকে ।
আমি এবার অনেকটাই রেগে যাওয়ার মত অবস্থা । ও বুঝতে পেরেছে যে, আমি আর নিতে পারছি না এই বিষয়গুলো । যাইহোক ও তাড়াতাড়ি করে জিনিস গুলো গুছিয়ে নিল এবং আমাকে বললে এখন পয়সা দিয়ে দাও ।
গুনে গুনে অনেকগুলো পয়সা দিয়ে দিলাম । তাও সম্ভব হতো চারশো টাকার মতো হবে । অতঃপর মার্কেট থেকে বেরিয়ে দুটো জুস নিয়ে চুষতে চুষতে খোলা হাওয়ায় রিক্সায় চড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে আসতাম । তবে এতকিছুর পরেও ভালোলাগা এক জায়গাতেই কাজ করছিল কারণ তার আবদার মেটাতে পেরেছি ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ভাবীর আগ্রহ দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। কাপড়ের উপর ড্রয়িং এটা আসলেই অসাধারণ একটি কনসেপ্ট। আশা করি এগুলো নিয়ে ভাবীর ড্রয়িং টিউটোরিয়াল দেখতে পারবো।
তবে ভাই আপনার গরমে ঘেমে যাওয়া ছবি দেখে আমারই খারাপ লাগলো। অনেক কষ্ট হইছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। হাহাহ, কিন্তু ভাবীত শখ পূরণ করতে গেছেন কষ্টতো একটু সহ্য করতেই হবে।
যাইহোক, সব মিলিয়ে কষ্ট হলেও জুস চুষে খাওয়ার সময় সম্ভবত সব কষ্ট দূর হয়ে গেছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালোবাসা অবিরাম।
আপনার ভাবী ইতি মধ্যেই একটা কাপড়ের উপর ড্রয়িং করেছে হয়তো সেটা সামনে শেয়ার করবে ।
আশা করি ভাইয়া, ভালো আছেন? ভাবি আবদার মেটাতে জেনে খুব ভালো লাগলো। ভাবীর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইল। আশা করছি অনেক সুন্দর সুন্দর পেইন্টিং দেখতে পাবো। ভাবির আগ্রহ দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক অসাধারণ ডিজাইন আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে মার্কেটে প্রচন্ড গরম গামে একেবারে অস্থির হয়ে গেছেন। এত অসাধারন পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই । ভালো থাকবেন ভাইয়া।
আমি আপাতত সময়ে বলতে পারছিনা, ও কি ডিজাইন করবে । তবে এটা নির্ভর করবে, আপনাদের গ্রহণযোগ্যতার উপর ।দেখি ও আগে কাজ করুক ।
হিরা আপুর কিন্তু খুবই ভাল একটি আইডিয়া হয়েছে। এটা আসলে খুবই ভালো লেগেছে, আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর একটি কথা ভাই আসলে মেয়েরা এইরকমই যে দোকানে গিয়ে এটা ওটা কিনবে যদি অন্য মানুষের খারাপ লাগে এটা আমার দেখার বিষয় না। তবে আপনার খারাপ লাগছে শুনে আমারও খুব খারাপ লাগল ভাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য
কি আর বলবো ভাই । পুরুষ মানুষের একটু দায়িত্ব বেশি । তাই হয়তো এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে ।
চেষ্টা করার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। হুট করে কোন কাজ করলে আনন্দ থাকে না কিন্তু চেষ্টার পর যখন কাজটা সুন্দর হয়ে ওঠে মনের ভিতর প্রশান্তি কাজ করে। নিজের কাছেও ভাল লাগা কাজ করে। বেশ ভালো লাগলো এভাবে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য আমাদের ভাবিকে।এটাই যে মানুষের জন্য পরিবারের সাপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাহাহা এটাই কিন্তু সত্য কথা। ওরা একটা দোকানে কিনেনা অনেকগুলো দোকান দেখার পর একটা জিনিস কিনে।আর দাম কমানো তেতো ফাস্ট। তার আবদার মেটাতে পেরেছেন আলহামদুলিল্লাহ্যা।এইভাবেই যেন পরিবারের মধ্যে আনন্দ বয়ে আসে 🤲🤲
একদম ঠিক বলেছেন ভাই । মেয়ে মানুষ আসলে সব দিক থেকেই এক্সপার্ট বেশি । যাইহোক ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা ছিল ওটা আমার ।
ভাবির আবদার মিটিয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো আসলে। আমরা নতুন নতুন সুন্দর ডিজাইনের দেখতে পাবো। এই আশায় রইলাম। তবে মার্কেটে অনেক গরম দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি খুবই অস্থির হয়ে গেছিলেন। যাই হোক তারপরে ভাবির আবদার মিটাতে পেরেছেন। জেনে খুবই ভালো লাগলো এবং চিত্র শিল্প তৈরি করা এটি খুবই ভালো কাজ। যাই হোক আমরা ভাবির জামার ওপরে চিত্র শিল্প দেখার আশায় রইলাম।
ও আসলে কাপড়ের উপর ড্রইং করার চেষ্টা করবে । মূলত হয়তো সেটা ওর জামা নতুবা বাবুর জামা , দেখা যাক কি করে
।
আমরা যেহেতু আপুর ইতিপূর্বে কোন ড্রয়িং দেখিনি তবে আশা করছি তিনি অবশ্যই ভালো ড্রয়িং করবেন। আর আপু যেহেতু কাপড়ের উপর ড্রয়িং করবেন তাহলে অবশ্যই অনেক ভালো ড্রয়িং পারেন। আপু ড্রয়িং গুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম। তবে ভাইয়া আপনি বরাবর আপুর সব আবদার গুলো মিটিয়ে যাচ্ছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে। আপনার মত সহযোগিতাপূর্ণ ও ইতিবাচক চিন্তাসম্পন্নএকজন জীবনসঙ্গী পেয়ে আপু নিজেকে অবশ্যই ধন্য মনে করে। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
আসলে ওর আইডিয়াটা ভালো ছিল বিধায় আমিও একটু ওকে সহযোগিতা করেছি । তবে হ্যাঁ , আমিও আশা করছি ও ভাল কিছু করবে ।
ভাই প্রথমেই বলে নিচ্ছি আপনার ফটোগ্রাফিতে ঘেমে যাওয়া নিদারুণ ছবিটি দেখে আমি খুবই কষ্ট পাচ্ছি। কেননা এরকম ঘামে প্রতিদিনই জর্জরিত হয়ে আমিও মাঝে মাঝে গজ গজ করে থাকি। কেননা গরমের যন্ত্রণাটা আমার বোধহয় অন্য সকলের চেয়ে একটু বেশি। যাইহোক ভাই আপনি এত কষ্ট করে হলেও আমাদের ভাবির আবদার পূরণ করেছেন এটা জেনে বেশ ভালো লাগছে। কেউ কখনো কোন জিনিস তৈরি করতে আগ্রহ দেখালে তাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য একটু-আধটু খরচ করতেই হয়। আর তাই দুহাত খুলে টাকা খরচ করে আমাদের ভাবীর জন্য রং তুলি ও পলিথিন এর প্যাটার্ন কিনে দিয়েছেন নিজ দায়িত্বে। এতে করে আপনার দায়িত্ব পালন হল অপরদিকে আমাদের ভাবী চিত্রকর্ম তৈরি করার সুযোগটাও পেয়ে গেল। ভাই বরাবরই আপনার উপস্থাপনা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর আজকেও পোষ্টটি পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। সব সময় এত সুন্দর পোস্ট গুলো আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাই রে ভাই , জীবন যেখানে যেমন । কি আর বলবো ভাই , হয়তো যদি আপনি বিবাহিত পুরুষ হন, আমি মনে করি এ রকম পরিস্থিতিতে আপনাকেও পড়তে হয়েছে । কারণ এটা একটা দায়িত্বের ভিতরে পড়ে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
ভাই আপনাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো কতটা গড়ম আপনার অনুভুতি হচ্ছিলো। রং ও তুৃলি গুলো ভালো ছিলো দেখেই মনে হচ্ছে। মাঝে মাঝে এভাবেই ভাবির আবদার গুলো পুরন করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ও যেমনটা চেয়েছে , আমি তেমনটাই কিনে দেওয়ার চেষ্টা করেছি । এখন দেখি বাকিটা কি হয় ।
ভাইরে ভাই আপনার এ কী অবস্থা। এমনভাবে ঘেমে গেছেন মনে হচ্ছে কেউ মাথার উপরে পানি ঢেলে দিয়েছে। দেখে আমারই তো অসহ্য লাগছে। যাইহোক তবে আমি আপনার উপদেশটা অনেক আগে থেকেই মেনে চলি। মানে নিজের সবটা দিয়ে চেষ্টা করি যাতে মেয়ে মানুষের সাথে মার্কেটে যাওয়া না লাগে। তবে আমি আপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কারণ আপনি প্রিয় মানুষটার আবদার পূরণে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। যাক শেষ পযর্ন্ত আপুর শখটা তো পূরণ হলো। এখন সুন্দর জামার আর্ট দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।।
চেষ্টা করুন নারী হতে দূরে থাকার জন্য । তাদেরকে নিজের মতো করে থাকতে দিন । পারলে তাদেরকে একা যেতে দিন , সঙ্গে থাকবেন না ভুলেও । তাহলে কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হবে ।
ভাই মাঝে মাঝে এমন আবদার মেটানো ভালো। আর সেটা যদি হয় কাজের তাহলে তো বাধা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কাপড়ের উপর ছবি আঁকা কে সম্ভবত বুটিক বলে থাকে। নিজের সৃষ্টিশীলতা বিকাশের দারুন একটি মাধ্যম এই আকা আকি। তবে প্লাস্টিকের ওপর এই জামার নকশা আঁকা থাকে তা জানা ছিলোনা। আশা করি এরপর ভাবীর কাছ থেকেও দারুন দারুন ডিজাইনের পোস্ট দেখতে পাবো।
জি ভাই এটাকে বুটিক বলে । ও কিছুদিন থেকে চেষ্টা করছে, তাই বাঁধা দিলাম না । আসলে আমার বাঁধা দিতে ভালোও লাগেনা । কারণ দিন শেষে সবার স্বাধীনতা থাকা উচিত । দেখি কি করে ।