হুট করে নানী শ্বাশুড়ির বাড়িতে || @shy-fox 10% beneficiary
আমি একদম কোথাও যাই না বললেই চলে। বলতে পারেন আমি অনেকটা রোবটিক জীবন যাপন করি । তবে তাও আমাকে মাঝে মাঝে সমাজ সামাজিকতার ব্যাপার গুলো কিছুটা মেইনটেইন করতে হয়। সর্বোপরি আত্মীয়-স্বজনের ব্যাপার গুলোতে একটু আগ্রহ প্রকাশ করতে হয় । যাইহোক সকালবেলা শুক্রবারের দিন বাজার করে এসে, ভেবেছিলাম যে একটু সারাদিনটা ঘুমিয়ে কাটাবো । কিন্তু হঠাৎ করে ফোন চলে আসলো যে, আমাকে জয়পুরহাটে যেতে হবে। আর আমার বাসা থেকে জয়পুরহাটের দূরত্ব কমপক্ষে দেড় ঘন্টার রাস্তা। আমি কী করবো আসলে তাৎক্ষণিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না । যেহেতু নানী শ্বাশুড়ি আমাকে খুবই আন্তরিকভাবে রিকোয়েষ্ট করেছে, তাই আমি ব্যাপারটাকে একটু সিরিয়াস ভাবে নিলাম।
আমাদের বিয়ের পরে আসলে, মূলত আমার নানি শ্বাশুড়ির বাড়িতে এবার নিয়ে দুইবার যাওয়া হলো । তবে প্রথমবার গিয়েছিলাম বিয়ের পরে ঘুরতে আর এবার গেলাম নানি শ্বাশুড়ির মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে । যাইহোক ব্যাপার গুলো অনেকটাই কমপ্লিকেটেড ছিল । আর সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে আমার ওয়াইফ তার কলেজ জীবন, সেই জয়পুরহাট শহরে কাটিয়েছে এবং তার নানি বাড়িতে থেকে। তাই আমার ওয়াইফের জয়পুরহাট শহরের প্রতি আলাদা একটা দুর্বলতা আছে। যেহেতু ফোনটা করেছিল আমার ওয়াইফের কাছে, তাই আমার ওয়াইফ আগ্রহ প্রকাশ করেছিল । সর্বোপরি তাই আমাকে যেতে অনেকটা বাধ্য হতে হয়েছিল ।
আসলে হঠাৎ করেই বিয়েটা ঠিক হয়েছে এবং সঙ্গে সঙ্গেই বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলা হয়েছে। তাই আর কি বাধ্য হয়ে যেতে হয়েছে। আর সত্যি বলতে কি, সকাল বেলার সেই সময়টা কি যে পরিমাণ আমার কাছে একটা মানসিক যন্ত্রণা ছিল ,সেটা আমি বলে বোঝাতে পারবো না । এমনিতেই গত রাতে ঘুম হয়নি তার ভিতর আবার গাড়ি ম্যানেজ করা থেকে শুরু করে, একদম জয়পুরহাট যাওয়া পর্যন্ত পুরো সময়টা একদম খুবই কঠিন সময় ছিল আমার কাছে। যাইহোক যদিও যাত্রাপথে আমার কাছে ভালই লেগেছিল কারণ পরিবেশটা অনেক ভাল ছিল। তবে ঘুম না হওয়ার কারণে কিছুটা মাথা ব্যথা করছিল । তবে অপরদিকে আমার পরিবারের লোকজন বেশ ভালই মজা করছিল, কারণ তারা বেশ ভালই আনন্দ করছিলো কারণ তারা বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছে এটা ভেবে।
যাইহোক আমরা পৌঁছতে পৌঁছতে, দুপুরের পরে গিয়ে পৌঁছেছি এবং গিয়ে দেখি মোটামুটি তখন বিয়ে পড়ানো হয়ে গিয়েছে । যাইহোক আমরা মূলত গিয়েই খেতে বসেছি, কারণ সকাল বেলা বাসায় খুব একটা খাওয়া-দাওয়া করা হয়নি। তাই মোটামুটি ভীষণ ক্ষুধার্ত ছিলাম । সর্বোপরি গিয়েই একদম ভারী খাবার খাব এটা ভেবে একটু ভালো লাগছিল আর খাবারের আইটেম মোটামুটি ভালই ছিল এবং যেহেতু ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠানটা করা হয়েছে, তাই তারা সর্বোচ্চটুকু চেষ্টা করেছে অতিথি আপ্যায়নের ক্ষেত্রে এবং পরবর্তীতে আবারও পুনরায় অনুষ্ঠান করার কথা আছে। আমি আবার খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে ভীষণ আপোষহীন। কারণ আমার মুখে যেটা খেতে ভালো লাগে, আমি সেটাই খাওয়ার চেষ্টা করি । সর্বোপরি চোখের সামনে অনেক লোভনীয় খাবার ছিল, তাই নিজেকে খুব একটা বেশি সামাল দিতে পারিনি । চেষ্টা করেছি ভালোভাবে ভুরিভোজ করে নেওয়ার জন্য।
তবে যাই বলুন খাওয়ার সময় খুব একটা বেশি ছবি তুলতে পারিনি । যা তুলেছি প্রথমের দিকে আর সবথেকে বড় বিষয় খুবই ক্ষুধার্ত ছিলাম এইজন্য খুব একটা বেশি টাইম পাইনি আর তাছাড়া মোবাইলেও খুব একটা বেশি চার্জ ছিল না ।যাইহোক এইভাবেই সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় কেটে গিয়েছিল এবং সন্ধ্যার পরে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। কারণ রাতে আবার ক্লাস আছে এটা ভেবে । যাইহোক আমি আমার জায়গা থেকে আমার সাধ্যমত দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি এবং সামাজিকতা রক্ষার চেষ্টা করেছি এবং চেষ্টা করেছি নানি
শ্বাশুড়ির মেয়ের বিয়েতে মোটামুটি ভালোভাবেই উপস্থিত থাকার জন্য এবং তাদেরকে সর্বোপরি একটা সহযোগিতা করার জন্য।
যদিও বা হুট করে বিয়েটা হয়ে গিয়েছিল, তবে মুহুর্তগুলো আমার কাছে ভালই ছিল এবং আমি চেষ্টা করব আমার পরবর্তী পর্বে, বিয়েতে কাটানো মুহূর্ত এবং আমার যাত্রাপথের ভিডিও আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে, সেই পর্যন্ত আমার সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া আপনি নানী শাশুড়ীর বাড়িতে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন এটা আপনার পোস্ট পড়ে বোঝা যাচ্ছে। আসলে আমরা আমাদের ব্যস্ত জীবনে অনেকটা সময় আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় যাওয়ার সময় পাইনা। সময় যত যাচ্ছে ব্যস্ততা বেড়েই চলেছে। আপনার কথা চিন্তা করলে তো আপনি আরও অনেক ব্যস্ত মানুষ। একদিকে আপনার রিয়েল লাইফ অন্যদিকে এই কমিউনিটির গুরুদায়িত্ব। সবদিক থেকে আপনি সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। আপনার এই ব্যস্ত জীবনের মাঝে একটুখানি সময় বের করে সামাজিকতা রক্ষার জন্য যে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন এটা দেখেই ভালো লাগলো। তবে নিজের মনকে ভালো রাখতে মাঝে মাঝে একটুখানি ঘুরে আসা অনেক উপকারী। যাই হোক আপনি সবসময় ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
নানী শাশুড়ীর মেয়ের বিয়েতে আসলে এই কথাটায় আমি প্রথম বুঝতেই পারিনি ভাইয়া যে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন পরে আমি একটু ভেবে দেখলাম যে সে তো আপনার খালা শাশুড়ি হয়। পরে আমার খুবই হাসি পেল আসলে আপনি খুবই মজার মানুষ। আর একটা জিনিস ভালো লেগেছে যে আপনি সামাজিকতা রক্ষা করে চলেন এটা খুবই ভালো জিনিস অনেক মানুষ এটা বোঝে না। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আর আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
আমি একদম কোথাও যাই না বললেই চলে।
আমিও অনেকটা আপনারই মতো। সেরকম কোনো আত্মীয় স্বজন বাড়ি যায়না বললেই চলে। কিন্তু ঠিকই বলেছেন সামাজিকতা বা আত্মীয়তার খাতিরে অনেক কাজই করা লাগে। এবং খাবারের সময় বেশি ছবি না তোলায় স্বাভাবিক। তবে যেগুলো দিয়েছেন তাই যথেষ্ট। এতকিছুর মাঝেও যে আপনি আমাদের সময় দিতে একটুও কারপন্ন করেন না এই বিষয়টি আমার দারুণ লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল
ভাইয়া আপনি খুবই ভালো একটি কাজ করেছেন যে আপনার নানি শাশুড়ির মন রক্ষায় আপনার কষ্ট হলেও সেখানে গিয়েছেন। তিনি নিশ্চয়ই আপনার উপস্থিতিতে খুবই খুশি হয়েছেন। তাছাড়া আপনার পরিবারের সবাই এই বিয়েতে যেতে পারে খুবই আনন্দিত হয়েছে যা বুঝতে পারলাম। আপনার একটু কষ্ট হলেও সব মিলিয়ে দিনটি কিন্তু খারাপ যায়নি আপনার। কি বলেন?
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল
আমি কতোদিন হচ্ছে বিয়ে খাইনা।
আপনার এই বিয়ের খাওয়া-দাওয়া দেখে আমার নিজেরই খেতে ইচ্ছে করছে। যে কয়টি আইটেমের ছবি দিয়েছেন সে কয়টি আইটেম দেখে বলে দেওয়া যাচ্ছে যে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা বেশ ভালোই হয়েছে। আপনি সব ব্যস্ততা নিয়ে পরিবারকে সময় দেন এই জিনিসটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
বিয়ে মানে শুধু খাওন আর খাওন!!! আপনি তাও কয়েকটা ছবি তুলেছেন খাবারের। আমি হইলে তো খাবারের ছবি তোলার সময় পায় না। শুধু খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম!!! যাহোক আপনি আপনার নানি শ্বশুরবাড়িতে খুব সুন্দর সময় পার করেছেন।। আপনার বিস্তারিত বর্ণনা এবং ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
আপনার কাটানো সময়গুলো মজার সাথে কিছু টা কষ্টের হলেও আমাদের কিন্ত অনেক অনেক ভালো লাগে ভাই, মানে ক্যামন জানি সিনেমার মতো একটা ঘটনায় চলে যায় চিন্তাভাবনা, এমন টা হয় আপনার গোছালো লিখার কারনে।
তো যাই হোক, নানী শাশুরির মন রক্ষা করতে পেরেছেন এটাই বড় কথা, আর ভরপুর খাওয়া সুন্দর পরিবেশ এসব বোনাস হিহিহি। ভালো থাকবেন ভাই সবসময়, বাবুর জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
ভাইয়া আপনার এই কথা শুনে আমার খুব হাসি পেল। নানী শ্বাশুড়ির মেয়ে আপনার তো খালা-শ্বাশুড়ী🤔🤔যাইহোক আপনার সামাজিকতা রক্ষার বিষয়টি খুব ভালো লেগেছে। সামাজিকতা আর আত্মীয়তা রক্ষা করতে পারাটা বিশাল এক ব্যাপার। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ব্যাপারটি হলো, আসলে আমার নানী শ্বাশুড়ির দাম্পত্য জীবন অনেক ভালো ছিল। বিধায় তারা পরবর্তী সময়ে গিয়ে আবারো সন্তান নিয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ছোট খালামণি থাকলে মন্দ হয় না। আমারও ২ জন খালামণি আছে, আমার থেকে ছোট। এই বিষয়টি আমার অনেক ভালোলাগে। তাদের সাথে সময় কাটাতে পারি।
হ্যাঁ ভাইয়া শুক্রবার দিনটা আমাদের জন্য স্পেশাল। আমরা যারা চাকরি করি আমরা চিন্তা করি শুক্রবার একটু ঘুমাব রেস্ট করব। কিন্তু এমন সময় যদি কোন আত্মীয় স্বজনের কোন খোঁজখবর আসে বা যেকোনো ধরনের সমস্যা হয় বাধ্য হয়ে যেতেই হয়। যত সমস্যা থাকুক পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনের মন রক্ষার্থে হলেও যেতে হয়। যেহেতু ভাবির কলেজ জীবনটা নানাবাড়িতে কেটেছে ভাবির আন্তরিকতা নানাবাড়ির প্রতি একটু বেশি। আপনি বিভিন্ন ঝামেলায় ছিলেন গাড়ি ঠিক করা নিয়ে খুব টেনশন ফিল করেছেন। যাওয়ার পরে সবাই আনন্দ অনুভব করছে আপনিও। তবে আমার কাছে একটু সন্দেহ লাগছে, আপনি বিয়ের ব্যাপারটা আগে থেকে জানতেন এ কারণে সকালবেলা খেয়ে বাসা থেকে বের হননি, এ কারণে বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সাথে সাথে খেতে বসে গেছেন,হাহাহা। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেন। আজকে আমি আর বেশি কিছু বলবো না। আগামী পর্বে ফটোগ্রাফি গুলা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য ভালোবাসা অবিরাম।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আমি মনোযোগ দিয়ে আপনার পোস্টটি পড়লাম। আপনি নানী শ্বাশুড়ি বাড়িতে খুবই আনন্দময় সময় পার করেছেন এবং আপনি সামাজিকতা খুবই সুন্দরভাবে বজায় রাখেন। এটি আমার খুবই ভালো লাগে। আগে স্বাস্থ্য সুরক্ষার তারপরে আনন্দ মুহূর্ত গুলো। আপনি আপনার নানী শ্বাশুড়ি মেয়ের বিয়েতে এসেছেন এটি আপনার জন্য সত্যিই অনেক সৌভাগ্যের। কারণ সে আপনার খালা শাশুড়ি হয় খালা শাশুড়ি বিয়ে খাওয়া সত্যিই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। আপনার প্রতিটা মুহূর্ত অনেক মজায় কাটুক এই দোয়া করি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।