ভিডিও মুহূর্ত সরবর ফুড পার্কের || @shy-fox 10% beneficiary
আমার বাল্য বন্ধুর চাচাতো ভাই হচ্ছে সাব্বির । সাব্বির আসলে পেশায় তেমন কিছু করত না । ঐ যে পড়াশোনা শেষ করে কিছুটা বাবার ঘাড়ে চেপেই খেত । এক বাবার এক ছেলে, তাই তেমন কোনো চিন্তা করত না সে । তবে এভাবে আর কতদিন । সময় বদলায়, বদলে যায় সময়ের সঙ্গে চিন্তা-ভাবনা ও প্রেক্ষাপট গুলো । হয়তো সাব্বিরের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল ।
সাব্বিরের আসলে বিবাহ পরবর্তী জীবনে বাস্তবিক চিন্তাভাবনা গুলো বেশি কাজ করতো । হুট করে বাবার মৃত্যু তারপর আবার সংসারে নতুন অতিথির আগমন । সর্বোপরি সাব্বিরের এখন একটু পয়সার বাড়তি দরকার । হয়তো তাই সময়ের সঙ্গে অনেক ভেবে চিন্তে চেষ্টা করেছে, বর্তমান অবস্থার জন্য সে কিছুটা প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য । একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, বসে থেকে খেলে রাজার রাজভান্ডারও শেষ হয়ে যায় ।
আমি মনে করি এ যাত্রায় সাব্বিরের থেকে বেশি বুদ্ধিমান হচ্ছে সাব্বিরের সহধর্মিনী । সেই হয়তো সাব্বিরকে অনেকটাই সহযোগিতা করছে বর্তমানের এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য । যেহেতু তাদের বাড়িটা একদম বড়দীঘির পাড়ের উপরেই দ্বিতল বিশিষ্ট বাড়ি । আর তার বাবা, মারা যাওয়ার পর থেকে বাড়িতে তেমন লোকজন নেই বললেই চলে । তাই বাড়িটাকেই কেন্দ্র করে চেষ্টা করেছে ব্যবসায়িক অবকাঠামো হিসেবে দাঁড় করানোর জন্য ।
অনেকটা বাংলো বাড়ির মত এই বাড়ি । এমনিতেই এই এলাকাতে তেমন লোকজনের কোনো আনাগোনা নেই আর যেহেতু নিরিবিলি পরিবেশ আর অনেক বড় একটা জায়গা জুড়ে তাদের বাড়ির অবস্থান । তাই মোটামুটি বাড়ির উপর তলায় তারা থাকে এবং নিচতলা ও বাড়ির পাশের ফাঁকা জায়গা গুলোতে চেষ্টা করেছে খড়কুটো দিয়ে ছাউনি বানানোর জন্য এবং সেগুলোর মধ্যে খুব ভালোই আলোকসজ্জা করেছে এবং চেষ্টা করেছে কাস্টমারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেওয়ার জন্য আর তার ভিতরে মুখরোচক খাবারের বিজ্ঞাপন, সর্বোপরি নতুনত্বের ছোঁয়া।
বিকেলের দিকে যখন রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম, তখন মনে হচ্ছিল অন্য একটা জগতে প্রবেশ করলাম । মূলত তাদের সেলফিবুথ গুলো অনেক সুন্দর ছিল, যেটা আমি গত পর্ব বলেছিলাম এবং বাড়ির পিছনের অংশে পুকুরপাড়ের দিকে যাওয়ার সময়, যে গেটটা আছে ওখানে একটা দোলনা বসিয়েছে এবং সকলেই চেষ্টা করছে দোলনায় বসে দোল খাওয়ার জন্য । বিশেষ করে দর্শনার্থীদের সঙ্গে ছোট ছোট বাচ্চারা । যাইহোক পুরো বাড়িটা একদম সাজানো গোছানো ও সুন্দর এবং সঙ্গে ঘরোয়াভাবে খাবারের পরিবেশনা ।
সাব্বিরের সহধর্মিনীর মাথায় যে বুদ্ধি আছে তা আবারো একবার তারিফ করতে হচ্ছে । সাব্বির হচ্ছে ক্যাশে বসে আছে এবং তার স্ত্রী সামলাচ্ছে কিচেন এবং সঙ্গে কিছু রেস্টুরেন্টের জনবল । সব মিলিয়ে তারা চেষ্টা করছে, পুরো রেষ্টুরেন্টটিতে কাস্টমারদের কাছে খাবারের অর্ডার সংগ্রহ ও খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য ।
আসলে কোন কিছু করার জন্য নিজের মানসিক সিদ্ধান্ত ও ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট বলে, আমি মনে করি । যাইহোক তাদের এই নতুন রেস্টুরেন্টের উদ্বোধনের দিন আমি হয়তো এখানে এসেছি, তবে খুব একটা বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করতে পারিনি হয়তো অতিরিক্ত লোকজনের উপচে পড়া ভিড়ের । কারণে হয়তো অন্য আরেকদিন আসব , তখন অন্যান্য খাবার গুলো খাবো এবং আরো গল্প করব সাব্বির ভাইয়ের সঙ্গে ।
যখন খাবারের বিল দিতে গিয়েছি, তখনই মোটামুটি পরিচয় দিয়ে ফেললাম নিজের এবং খুবই আন্তরিক ভাবে কথা বললাম তাদের সঙ্গে । ব্যাপারটা জানার চেষ্টা করলাম , তারাও বেশ আগ্রহ নিয়েই আমার প্রশ্নের উত্তর গুলো দেওয়ার চেষ্টা করল । সর্বোপরি বেশ ভালো একটা মুহূর্ত ছিল, সরবর ফুড পার্কে ।
আশাকরি পুরো ভিডিওটি দেখলে, আপনারা অনেকটাই ধারণা পেয়ে যাবেন । যাইহোক বন্ধুরা দেখা হবে, পরবর্তী সময়ে অন্য কোন বিষয়ে । ততক্ষণ পর্যন্ত ,ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ সবাইকে
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি অবাক হলাম রেস্টুরেন্টের মালিকের এই আনকমন চিন্তা ধারা দেখে। খুব সুন্দর একটা আইডিয়া থেকে এই রেস্টুরেন্টটি তৈরি করা হয়েছে। আমার তো মনে হচ্ছে এখানে খেতে গেলে কিছুটাদাওয়াত খাওয়ার ফিল আসবে। 😁😁 মানে এটা টাকা দিয়ে দাওয়াত খাওয়া আর কি! তবে রেস্টুরেন্টের চার পাশে সুন্দর ডেকারেশন রেস্টুরেন্টের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই, রাতের বেলা আরো সুন্দর লাগবে জায়গাটা। শায়ান বাবুর চুপ করে থাকার কারণ এইটাই হুটহাট অনেক মানুষ দেখে কিছুটা চিন্তিত ছিলো। যাইহোক, ভাই পুরো ভিডিও দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
আমিও বেশ অবাক হয়েছিলাম, আপনার মত বাড়িওয়ালার বুদ্ধি দেখে । তবে তার স্ত্রী তাকে ভালোই সহযোগিতা করেছে ।
অনেক মানুষ দেখে শায়ানের মুড অফ😳।
আর শায়ান শুধু আয়নায় তাকাচ্ছে 😁। যাইহোক বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া। আরেকটি কথা পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
ভাইয়া গত পর্বে আপনার সরবর পার্কের পোস্ট পড়ে খুবই ভাল লেগেছিল আর তাই আজ সেই সরবর পার্কের ভিডিওটির অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে ভিডিওটি দেখা হলো খুবই ভালো লাগলো সরোবর ফুড পার্কের মনমুগ্ধকর পরিবেশ দেখে। সাব্বির ভাইয়ের সহধর্মিণীর কথা বলাতে আমারও কিছু কথা বলার ইচ্ছে হলো ভাইয়া। আমারও একটি রেস্টুরেন্ট ছিলো যার নাম নবান্ন রেস্তোরাঁ। করোনাকালীন সময়ে আমার এই রেস্তোরাঁটিতে খুব জমজমাট ব্যবসা ছিল। আমি ক্যাসে বসে ছিলাম আর আমার সহধর্মিনী তার স্কুল বন্ধ থাকার কারণে রেস্তোরাঁর ভেতরে কর্মচারীদের পরিচালনা করত। খুবই জমজমাট ভাবে আমার ব্যবসাটি চলতে থাকল কিন্তু করোনাকালীন বন্ধ শেষ হওয়ার পরে আমার সহধর্মিনী যখন আবারও স্কুলে জয়েন করলো তখন আমি আর আমার ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম হলাম না। আমি একাই একজন ব্যক্তি হওয়াতে রেস্টুরেন্টের পিছনে কর্মচারীরা বিভিন্ন ধরনের চুরি করা শুরু করে দিল। এমনকি কখনো কাউকে ক্যাসে রেখে গেলে টাকা পর্যন্ত সরিয়ে ফেলত। তাই পরবর্তী সময়ে অনেক টাকা লস করে রেস্টুরেন্টটি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়ে গেলাম। বর্তমানে আমি প্রাণ কোম্পানির ডিলারশিপ ব্যবসার সাথে জড়িত আছি। পরিশেষে বলতে চাই, একটি সংসারের উন্নতির পেছনে অর্ধাঙ্গিনীর সঠিক দিক নির্দেশনা থাকলে সফলতা আসবেই। ভাইয়া খুবই সুন্দর মনমুগ্ধকর পরিবেশ এর শরবর ফুড পার্কের অসাধারণ ভিডিও এবং সুন্দর উপস্থাপনার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার ব্যাপারটি জেনে বেশ খারাপ লাগলো ভাই । তবে আপনি যে ঘুরে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন, এটাই তো অনেক বেশি । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
বাড়ি হয়ে গেছে ফুডপার্ক বেশ দারুণ। প্রতিটা মহৎ কাজের পেছনেই একজন মহিলার অবদান থাকে। সাব্বির সাহেবের বউ তাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে এবং পাশে থেকেছে বলেই এইরকম একটা ফুডপার্ক গড়ে উঠেছে। বাড়ির মতো হওয়াই মনে হচ্ছে পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠান এটা। ভিডিও ব্লগটা ভালো ছিল।
আসলেই আইডিয়াটা বেশ ভালো ছিল ভাই । আপনার কথাগুলো তো যুক্তি আছে বেশ ।
ভাইয়া আপনার এই কথাটির সাথে সহমত পোষণ করছি। আসলে কোন কিছু করার জন্য মানসিক সিদ্ধান্ত এবং ইচ্ছাশক্তি অনেক বেশি কাজে আসে। এই সুন্দর একটি ফুড পার্ক নিরিবিলি পরিবেশে গড়ে উঠেছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। তাদের ইচ্ছাশক্তির কারণেই তারা এই সুন্দর একটি ফুড পার্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ভাইয়া আপনার এই ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই ফুড পার্কের পরিবেশ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। তবে আজকে শায়ান বাবুর কেন জানি মন খারাপ। তার হাসিমাখা মুখ খুব একটা দেখতে পেলাম না। অনেক লোক জন দেখেছে বলে হয়তো সে কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার কাটানো মুহূর্ত আমাদের মধ্যে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❤️❤️
এমনটাই তো হওয়া উচিত ভাই , তাহলে তো মনে করি সকল কর্মে খুব সহজেই নিজেকে নিয়োজিত করা যায় ।
সাব্বিরের বউ এর মতো সহযোগিতা ভাবাপন্ন বউ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা জীবনসঙ্গী হিসেবে সব সময় সাপোর্ট দেওয়ার মানুষকে চাই যে আমাদের সাপোর্ট দিতে পারবে। সাব্বিরের এই ধরনের উদ্যোগ তার বেকারত্বকে ঘুচিয়ে দিয়েছে। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর ভাবে স্বরবর্ণ রেস্টুরেন্টের ভিডিও করেছেন এবং আপনাদের কাটানো সময় গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে ভিডিওর মাধ্যমে যে বিষয়গুলো যত সহজে পরিষ্কার হয় লেখার মাধ্যমে অনুভূতিগুলো বোঝা যায় না। আপনাদের যখন একসাথে দেখি তখন অনেক ভালো লাগে ভাইয়া। সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে বাড়ির ভিতরে এরকম একটি রেস্টুরেন্ট সত্যি ক্রিয়েটিভ একটি কাজ করেছে।
সত্যি বলতে কি, জীবন যেখানে যেমন । হয়তো তাদের কাছেও সিদ্ধান্তটা নিতে অনেক বেগ পেতে হয়েছিল । তবে আমি মনে করি , এ যাত্রায় সাব্বির অনেক ভাগ্যবান । সহমত পোষণ করছি আপনার কথার সঙ্গে ।
কালকে পোস্ট পড়েছিলাম সরবর ফুড পার্কের।আজকে ভিডিও টা দেখতে পেলাম।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
এই কথাটি আমি ১০০% এই বিশ্বাস করি ভাইয়া, একেবারেই বাস্তব কথা।
সরবর ফুড পার্কের এই সুন্দর পরিবেশ দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাইয়া, মালিকের প্রচুর পরিমাণে বুদ্ধি আছে এটা মানতেই হবে, এছাড়াও ভিডিও এর মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে সরবর ফুড পার্ক আমাদের দেখিয়েন যেটি সত্যি অনেক সুন্দর আইডিয়া ছিলো, সব মিলিয়ে আমরাও অনেক সুন্দর করে সরবর ফুড পার্ক দেখতে পেলাম, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
সম্পূর্ণ কাহিনীটি জানতে পেরে ভালো লাগলো। আসলে প্রতিটি কাজের পেছনেই এরকম কিছু গল্প থাকে। যেগুলো বেশিরভাগ সময় আমাদের অজানা থেকে যায়।
এই ডায়লগ প্রায় আমার আব্বু আমাকে শুনায়,আজকে আবার আপনার কাছ থেকে শুনলাম😁।
আসলেই ভাই মেয়ে মানুষ এর মাথায় একটু বেশি বুদ্ধি থাকে।আমার মনে হয় সংসার এর মূল দায়িত্বে তারা থাকার কারণে তারা বিষয় গুলও ভালোভাবে বুঝতে পারে।আর আপনার ইন্ট্রো টা কিন্তু সেই ছিল,আর আমি যদি ভুল না বলি প্রথমে "রাইট নাও হেয়ার আমার বাংলা ব্লগ" বলতে ধরেছিলেন🤪। যাইহোক সব মিলিয়ে ভালো ছিল ভাই পুরো উপস্থাপনা🖤
তোমার বাবা যা বলেছে, সেটা কিন্তু মোটেও মন্দ বলেন নি ।জীবনকে চিনতে শেখো, বাবা মার কথায় মনোযোগী হও ।ধন্যবাদ তোমার সাবলীল মন্তব্যের জন্য ।
হুম ভাই একদম।আগে ছোটবেলায় বাবার এই কথা গুলো বড্ডো বিরক্ত লাগতো।এখন বুঝি ভাই,চেষ্টা করি সবসময় মুরব্বীদের কথা মেনে চলার।🖤