খোঁজখবর || @shy-fox 10% beneficiary
কয়েকদিন থেকে যে পরিমাণ ঠান্ডা পড়েছে, তাতে একদম জীবন কাহিল হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও সাধারণ মানুষদের জীবন ও ছিন্নমূল মানুষের জীবন। তারা একদম অসহায় হয়ে পড়েছে এই শীতে। আমি যখন বাইরে মাঝেমাঝে হাঁটাহাঁটি করি, তখন অনেক কিছুই চোখে পড়ে আমি ইচ্ছা করেই চোখ বন্ধ করে থাকি। কারণ আমার একার পক্ষে তেমন কিছুই করার থাকেনা। তাই বলে যে কিছুই করি না,তেমনটা ভাবলে কিন্তু ভুল হবে । তবে আমার বলা আর লেখার অনেক কিছুই থাকে । আর এই লেখার মাধ্যমে যারা উদ্বুদ্ধ হয়ে থাকে, আমি মনে করি দিন শেষে আমার সার্থকতা সেখানেই ।
সবকিছু তো আর চোখে আকর্ষণ করে না, তবে কিছু কিছু জিনিস হুটহাট করে এমন ভাবে আকর্ষণ করে। যেখানে ইচ্ছাকৃতভাবেই নিজেকে নিয়োজিত করতে ইচ্ছা করে। যাইহোক গত সন্ধ্যার একটা ঘটনা বলার চেষ্টা করছি । অফিস থেকে বাসার উদ্দেশ্যে ফিরছি , সিএনজি স্ট্যান্ডে নেমে এই শীতের মধ্যে সোজা পায়ে হেঁটে বাসায় উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। স্ট্যান্ড থেকে বাসার দূরত্ব খুবই কাছে এ জন্যই মূলত একটু হাঁটার চেষ্টা করছি। যাইহোক এলাকাটা একদম নিরিবিলি ,একটা দোকানে দেখলাম মাঝবয়সী একটা ছেলে বিস্কিট ছিটিয়ে ছিটিয়ে রাস্তার কুকুরকে খাওয়াচ্ছে। ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগলো , আমি একটু এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম মূলত পুরো ঘটনাটা দেখার জন্য ।
মাঝবয়সী ছেলেটা আসলে অন্য কেউ না । ছেলেটা হচ্ছে নিজেই সেই দোকানের মালিক । সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে , এটা তার কাছে নতুন কোন কিছু নয় । আসলে তারপর পশুপ্রেমে প্রচুর আগ্রহ কাজ করে, তাই সে মূলত চেষ্টা করছে এ কাজগুলো করার জন্য । তবে তার পশুপ্রেমের ধারাবাহিকতাটা একটু ভিন্ন । তার আসলে প্রেম জাগ্রত হয়, মূলত রাস্তার নিরহ প্রাণীদের প্রতি ।
যদিও কথা গুলোকে প্রথমে তেমন গুরুত্ব দেইনি । তবে যখন দেখতে পারলাম দোকানের ভিতরে বেশ কয়েকটা বিড়ালের ছানা এবং সেগুলো তাকে মূলত ঘিরে বসে আছে, তখন ব্যাপারটা দেখে সত্যিই আমি চমকপ্রদ হয়েছি । কারণ আসলেই ব্যাপারটা তখন আমার ভালো লেগেছে ।
হিরামনিকে ফোন করলাম, বললাম বাসার জন্য কিছু লাগবে কিনা । সে বলল চানাচুর আর মুড়ি কিনে নিয়ে আসার জন্য। আমি আসলে চাচ্ছিলাম সেই ভদ্রলোকের দোকান থেকে কিছু কেনাকাটা করার জন্য। কারণ এ ধরনের মানুষের সঙ্গে যখন হঠাৎ করে পরিচয় হয়ে যায়, তখন ব্যাপারটা বেশ ভালই লাগে ।
কারণ তার পশুপ্রেমের ব্যাপারটি আমাকে ভীষণভাবে ছুঁয়ে গিয়েছে । যার কারণে আসলে মূলত ইচ্ছা করেই তার দোকান থেকে কেনাকাটা করলাম । তবে সেই কেনাকাটায় আমি একটু আত্মতৃপ্তি পেয়েছি ।
যে শহরে
মানুষ মানুষের খোঁজ রাখে না ,সেই শহরে একটা মাঝবয়সী ছেলে নিরীহ পথের পশুপ্রানীর খুব যত্নসহকারে খোঁজখবর নিচ্ছে , এটাই বা কম কিসের ।।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
পশু প্রেম আমাদের একটি মানবিক গুণ। রাস্তাঘাটে যেসব পশু না খেতে পেয়ে এদিকে-সেদিকে ঘুরে বেড়ায় তাদেরকে যদি আমরা আমাদের সাধ্যমত খাবার দেওয়ার চেষ্টা করি তাহলে পশুরা না খেতে পেয়ে মরার হাত থেকে রক্ষা পাবে। আমাদের চারপাশে যেসব পশুপাখি ঘুরে বেড়ায় সেগুলোকে যদি আমরা খাবার না দেই তাহলে তারা না খেতে পেয়ে মারা যায়। পশু পাখির প্রতি সকলের ভালোবাসা তৈরি হওয়া উচিত। কারণ সৃষ্টিকর্তা মানুষকে তার সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে তৈরি করেছে। আর এই মানুষগুলো যদি সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি অন্যান্য জীব জন্তু গুলোর খেয়াল না রাখে তাহলে এর চেয়ে দুঃখের বিষয় আর কিছু হতে পারে না। সত্যি কথা বলতে আমাদের চিন্তাধারা গুলোকে বদলানো উচিত। দোকানি সেই ছেলেটির মত মন মানসিকতা নিয়ে আমাদেরকেউ নিজেকে গড়ে তোলা উচিত। সেই ছেলেটির কথা জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। পশুপ্রেমী মানুষ খুবই কম দেখতে পাওয়া যায় আজকাল। সে যেন সারা জীবন ভালো থাকে এবং এভাবেই পশুপাখির সেবা করে এই কামনাই করি। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
পশুর প্রতি ভালোবাসা সবার মনে জন্মায়না। পশুপ্রেমী মানুষ খুবই কম দেখতে পাওয়া যায় আজকাল। অনেকে দেখা যায় বিদেশি পশু পাখির প্রতি বেশি আকৃষ্ট। তাদের পিছনে অনেক টাকা খরচ করছে। কিন্তু আমাদের চারপাশে যেসব পশুপাখি না খেতে পেয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরে যাচ্ছে এসব বিষয়ে কেউ খেয়াল রাখে না। যে ভাইটি পশুকে ঘিরে নিজের পৃথিবী তৈরি করেছে সেই ভাইটিকে জানাচ্ছি স্যালুট। কারণ এরকম মন-মানসিকতা প্রতিটি ব্যক্তির হওয়া উচিত। এজন্য আমাদেরকে অবশ্যই নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। আসলে আমরা হয়তো তার মতো করে কখনো চিন্তা করিনি। সত্যি তার চিন্তাধারা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপনি এতো সুন্দর করে প্রতিটি বিষয় গুছিয়ে আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। হয়তো আপনার এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে অনেকে নিজের মানসিকতাকে পরিবর্তন করবে। এর ফলে আমরাও নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবো। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে সবসময়ই কোন না কোন বিষয়ে শিক্ষা লাভ করতে সক্ষম হই। আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে সবসময় শিক্ষণীয় কিছু বিষয় উপস্থাপন করেন। যেগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। শিক্ষনীয় একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
আসলেই যা শীত পড়ছে আমরা রুমের মধ্যে থেকেও তাও শীত অনুভব করছি আর যারা একটু নিম্ন-মধ্যবিত্ত তারা কি ভাবে দিন কাটাচ্ছে সৃষ্টিকর্তাই জানেন।আসলে তাদের মত যদি একটা দিন আমরা কাটাতে পারতাম তাহলে কষ্টটাও কতটা অনুভব টা বুঝতে পারতাম।আসলে দিন শেষে আমরা সকলেই মানুষ আমাদের উচিত আমাদের প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নেওয়া।এটা ঠিক কথা বলেছেন একটা মানুষ মানুষেরই খোঁজ নেয়না আর একটা মানুষ পশুর খোঁজ নিচ্ছে এটা কম কিসের সত্যিই।একটা মানুষকে যদি ভালোবাসা যায় তার প্রতিদান দিতে পারে না বরং আরো নীচে নামানোর চেষ্টা করে আর একটা পশুকে যদি ভালোবাসা সহানুভূতি দেখান তাহলে সে পশু আপনার প্রতি আরও সহানুভূতিশীল এবং সাহায্য করার চেষ্টা করে।আসলেই মানুষের মনটাই আসল কিছু।পশু পাখির প্রতি ভালোবাসা থাকা খুবই ভাল। তার আনন্দ সে পশু পাখির ভিতর খুঁজে পাচ্ছে এটা খুবই ভালো দিক।আসলেই মানুষ কিন্তু একটা মানুষের ব্যবহার তার কার্যক্রম দেখেই কিন্তু তার প্রতি মুগ্ধ হয়। আপনি মুগ্ধ হয়ে তার দোকান থেকে কেনাকাটা করলেন। একটা পারস্পারিক সুন্দর একটি সম্পর্ক তৈরি হলো। খুবই ভালো ছিল। আজকের বিষয়টি ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
এরকম পশু প্রেমী মানুষ অনেক কম দেখা যায়। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো।আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানা যায়। তবে লোকটির পশুদের প্রতি এমন প্রেম দেখে খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বৌদি আমি কৃতজ্ঞ। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
শেষের কথাটি চিরন্তন সত্য,যে শহরে মানুষ মানুষের খোঁজ রাখেনা পশুপ্রেমী পাওয়া এখানে খুবই দূরহ ব্যাপার। কিন্তু তাই বলে যে এমন কেউ নেই তা বললেও ভুল হয়। এরকম অনেকেই আছে যারা মানুষের জন্য কাজ করতে চায় নিরীহ প্রাণীদের জন্য কাজ করতে চায়। হয়তো তাদের একার পক্ষে হয়ে ওঠে না,কিন্তু আমরা যুবসমাজ যদি এগিয়ে যাই তবেই সম্ভব এই সমাজের সকল নিরীহ প্রাণীদের সহযোগিতা করা।দিন শেষে তারাও প্রাণী তাদেরও একটি প্রাণ আছে তাদের ও এই ধরায় ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে।আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় পারে এই চিত্রনাট্য বদলাতে।🖤
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
গতকয়েক দিন ধরেই বেশ শীত পড়েছে। আজকে আমাদের এলাকায় প্রচুর শীত পড়েছে। যাইহোক পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আজকের যুগে মানুষ পশু সামনে দেখলে তাকে তাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তুু দোকানের মালিক ভাইটা একদম বিপরীত। আসলে আমাদের ঐ ভাইটার মতো হওয়া উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
ভাইয়া আপনার পোস্ট টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
আমার বাসায় ও আমার দুইটি মিষ্টি মিষ্টি বিড়াল আছে। মানুষ হিসেবে আমাদের সবার প্রয়োজন পশু পাখির কে ভালোবাসা।
সত্যি ভাইয়া আপনার পোস্ট টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
জি ভাইয়া, বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড রকমের ঠান্ডা পড়ছে।এই ঠান্ডায় প্রতিটা মানুষ কষ্ট করছে তবে ছিন্নমূলের মানুষ গুলো সত্যি অনেক কষ্ট করছে।প্রায় সময় আমি বাচ্চার জন্য ফর্মুলার দুধ কিনতে বাজারে গেলে রাস্তায় দেখি অনেক অসহায় মানুষ শীতে কাঁপছে।আমিও আপনার কথায় একমত পোষণ করছি। আমার একার পক্ষে সহযোগিতা করা সম্ভব নয় তারপরও চেষ্টা করি।তাদের কষ্ট গুলো দেখলে খুবই কষ্ট লাগে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া,এখন মানুষের খোঁজ খবর রাখে না। এই ছেলেটি নিরীহ প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা দেখে আমারও সত্যি অনেক ভালো লেগেছে।পোষা প্রাণী আদর যত্নে থাকে কিন্তু পথ প্রাণীগুলো কষ্ট করে। আমাদের প্রত্যেকেরই প্রয়োজন সৃষ্টির প্রতিটি জীবকে ভালোবাসা। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।